• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আজ স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস
শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের আজ স্থায়ী জামিন আবেদন করার কথা রয়েছে।    মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন চাইবেন বলে নিশ্চিত করেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ শেষ পর্যায়ে। তাই শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. ইউনূস মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন চাইবেন। তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে সাজার বিরুদ্ধে ড. ইউনূসের আপিল শুনানি হবে। সকাল ১০টার পর তিনি আদালতে উপস্থিত হতে পারেন। ৩ মার্চ ড. ইউনূসসহ চার জনের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন শ্রম আপিলের ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ১৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত। ওইদিন পর্যন্ত চারজনের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবীরা। অপর তিনজন হলেন-গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। গত ৩ মার্চ শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন। ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে আদালতে ওইদিন ছিলেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও এস এম মিজানুর রহমান। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। এ সময় ড. ইউনূসসহ অন্য তিন বিবাদী গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।  
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১১

মঙ্গলবার স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হচ্ছেন আগামীকাল মঙ্গলবার। আদালতের কাছে স্থায়ী জামিন চাইবেন তিনি। একই আবেদন নিয়ে এদিন ট্রাইব্যুনালে হাজির হবেন এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত অপর তিন আসামীও।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  তিনি বলেছেন, আগামীকাল সকাল ১০টায় ড. ইউনূসসহ চারজন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে যাবেন। যদিও কাল আপিল শুনানির দিন ধার্য রয়েছে, কিন্তু বিচারক সংকটের কারণে তার শুনানি শুরু হওয়া অনেকটাই অনিশ্চিত। এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার রায় চ্যালেঞ্জ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের আপিলের প্রেক্ষিতে তাদেরকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত। সেদিন শ্রম আদালতের দেওয়া সাজাও স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলছেন, মামলায় শ্রমে আদালতে যে রায় হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ অবৈধ। ৩০৭ ধারা অনুযায়ী এ মামলায় শাস্তি দেয়ার বিধান নেই। কারণ, শ্রম আইনের ২৩৬ ধারা অনুযায়ীই এ মামলার শাস্তির বিধান আছে। এ ধারাতেই বলা আছে, যদি বকেয়া থাকে তাহলে সেটা পরিশোধের জন্য নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হবে। এটা না করলে ১ লাখ টাকা জরিমানা, প্রতিদিন ৫ হাজার টাকা করে।   
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ২০:২৩

স্থায়ী জামিন পেলেন বিএনপি নেতা ইশরাক
নাশকতার ১২ মামলায় স্থায়ি জামিন পেয়েছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) এসব মামলার শুনানি শেষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন তার জামিন মঞ্জুর করেন। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি নাশকতার এসব মামলায় ইশরাক হোসেন উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন পান। আজ (সোমবার) জামিন শেষে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে স্থায়ী জামিন আবেদন করেন তিনি। নাশকতার ১২টি মামলার মধ্যে পল্টন থানার সাতটি, রমনা থানার তিনটি ও মতিঝিল থানার দুটি মামলায় ইশরাকের জামিন হয়।  উল্লেখ্য, গত বছরের ২৮ অক্টোবরকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাদের ধারাবাহিক মামলার অংশ হিসেবে ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে এসব মামলা দায়ের করা হয়।  
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪৩

খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার আবেদনের বিষয়ে আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। গত ৬ মার্চ খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। পাশাপাশি আবেদনে তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়। সেই আবেদনের বিষয়ে মতামত নিতে সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এ প্রসঙ্গে সোমবার (১৮ মার্চ) আনিসুল হক বলেন, চিঠিতে তারা আগের মতোই খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি চাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) নাগাদ সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। এর আগে, এ দুটি শর্তে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ আটবার বাড়ানো হয়েছে। শর্ত ছিল, ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না সর্বশেষ গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হবে। এবার বাড়ানো হলে নয়বারের মতো খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়বে। প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়া আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। অসুস্থতা বাড়লে মাঝে মাঝে তাকে হাসপাতালে নিতে হচ্ছে। গত ১৩ মার্চ রাতেও তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরদিন তিনি বাসায় ফিরে যান। দুটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রথমদিকে কারাবন্দি ছিলেন। সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে তাকে বাসায় থাকতে দেওয়া হচ্ছে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৮

ধর্ষণকাণ্ড : জাবির ৫ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার, ২ জনের সনদ বাতিল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় ৫ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং দুইজনের একাডেমিক সনদ বাতিল করা হয়েছে। রোববার (১০ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান জানান, সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মূল অভিযুক্ত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও তার সহযোগী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মুরাদ হোসেনের সনদ স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া বাকি অভিযুক্তদের সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩৭

স্থায়ী হলো দ্রুত বিচার আইন
সংসদে বিরোধী দলের এমপিদের সমালোচনার মুখেই দ্রুত বিচার আইন স্থায়ী করতে বিল পাস হয়েছে।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জাতীয় সংসদে ‘আইন–শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার-সংশোধন) বিল-২০২৪’ উত্থাপন করা হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিলটি পাসের জন্য সংসদে তোলেন।  বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণ এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।  বিলটি পাসেরর বিরোধিতা করে সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ২০০২ সালে বিএনপি যখন আইনটি করে, তখন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এবং সব দলের পক্ষ থেকে এই আইনের সমালোচনা করা হয়েছিল। দ্রুত বিচার আইন নাম হলেও কোর্টে কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খুব কম মামলা শেষ হয়। সিআরপিসি মামলা যেভাবে চলে, সেভাবেই চলে। শুধু গ্রেপ্তারের বেলায় আইনটা মনে করা হয়। এই আইন দিয়ে সরকারের যদি ইনটেনশন থাকে, সাধারণ মানুষ বা প্রতিপক্ষকে হেনস্তা করার সুযোগ আছে। আপনি আজকে ক্ষমতায় আছেন, কালকে ক্ষমতায় যদি অন্য কেউ আসে; এই আইনের মাধ্যমে আপনারাই হয়রানির শিকার হবেন। সেদিন আফসোস করবেন। তিনি বলেন, আইনটি স্থায়ী করবেন না। প্রত্যাহার করেন প্রয়োজনে। এক-দুই বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ান। আপনারা ভুগবেন, মানুষ ভুগবে। জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আইনটি এনেছিল বিএনপির সময়। ওই সময় আমরা ও আজকের সরকার আওয়ামী লীগ বিরোধিতা করেছিলাম। তারপরও আইনটি পাস হয়েছিল। আজকেও পাস হবে। আমার প্রশ্ন হলো—যার জন্য গর্ত খুঁড়বেন, নিজেকেই সেই গর্তে পড়তে হয়। আজকে বিএনপি সেই গর্তে পড়েছে। এখন আওয়ামী লীগ আইনটিকে স্থায়ী করতে নিয়ে এসেছে। দিন এক রকম থাকবে না। বিরোধী দলের সমালোচনার জবাবে আইনটি করার সময় বাংলাদেশে অরাজক পরিস্থিতি ছিল বলে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সে সময় নানা ধরনের অপরাধ হতো, তাই হয়তো আইনটি তৎকালীন সরকার করেছিল। আমি মনে করি, আইনটি করার উদ্দেশ্য ছিল তাৎক্ষণিক বিচার যেন মানুষ পায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীরা যাতে শাস্তি পায় সেটাই মূল উদ্দেশ্য ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সংসদ সদস্যদের কেউ বলেনি আইনটি বাতিল করে দেন। কেউ বলেননি আইনটি যথাযোগ্য নয়। তারা সময় বৃদ্ধি করে দিয়ে আইনটি চালু থাকার কথা বলেছেন। আইনটি একই রকম আছে আমরা কোনো রকম সংশোধন করি নাই। কাউকে উদ্দেশ্য করে বা ক্ষতি করার জন্য আইনটি হয়নি। কোনো রাজনৈতিক নেতা বলতে পারবেন না এ আইনের মাধ্যমে শাস্তি হয়েছে। সংশোধনীর আলোচনায় মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন আইনটি ভালো। তাহলে বিএনপি যখন আইনটি করেছিল আপনারা বিরোধিতা করেছিলেন কেন? এখন ভালো হয়ে গেল! আপনি বলেছিলেন অপপ্রয়োগ হয় কিনা যারা আন্দোলন করছে তারা বলতে পারবে। আমরা যদি কখনো আপনাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাই তখন বলতে পারব অপপ্রয়োগ হচ্ছে কিনা।  পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আইনটি কখন আনা হয়েছিল তা মুখ্য উদ্দেশ্য নয়। শান্তির পরিবেশ তৈরির জন্য আইনটি স্থায়ী করা হচ্ছে। ২০০২ সালে প্রথম এই আইনটি করা হয়েছিল দুই বছরের জন্য। এরপর ৭ দফা এই আইনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০১৯ সালে আইনটি সংশোধন করে মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগামী ৯ এপ্রিল এই আইনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এর মধ্যে আইনটির মেয়াদ না বাড়িয়ে, তা স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত ২৯ জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত বিলটি সংসদে তোলা হয়েছে। বিলে আইনটি স্থায়ী করা ছাড়া অন্য কোনো সংশোধনী প্রস্তাব আনা হয়নি। অর্থাৎ আইনটির বিদ্যমান ধারা এখনকার মতো থাকবে।
০৫ মার্চ ২০২৪, ২১:৪৪

আরও ৩ মামলায় মির্জা আব্বাসের জামিন
২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ ঘিরে নাশকতার অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহজাহানপুর, পল্টন ও রমনা থানার পৃথক তিন মামলায় জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন এসব মামলায় তাকে জামিন দেন।   ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে নাশকতার অভিযোগে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। এর মধ্যে ৯ মামলায় জামিন পেলেন তিনি। এর আগে সোমবার একই আদালত থেকে তিনি আরও ছয় মামলায় জামিন পান। গত বছরের ২৯ অক্টোবর রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার এক মামলায় মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ওই মামলাটি ছাড়াও পল্টন, রমনা এবং রেলওয়ে থানায় তার বিরুদ্ধে আরও ১০টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তার জামিন আবেদন করা হলে গত ১০ জানুয়ারি নিম্ন আদালত তা গ্রহণ করেননি।   এ জন্য ১০ মামলায় জামিন আবেদনগুলো গ্রহণ করে আইন অনুসারে নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন মির্জা আব্বাস। এর মধ্যে রেলওয়ে থানার মামলাটি ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অধীন হওয়ায় সেই আদালতে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করার কথা জানান।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৫৮

সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে সাকিব-মাশরাফি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ও বর্তমান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এই কমিটিসহ মোট ১৬টি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়। মাশরাফি বিন মুর্তজা গত সংসদেও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। অন্যদিকে সাকিব আল হাসান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হয়েছেন জাহিদ আহসান রাসেল। আওয়ামী লীগ সরকারের গত মেয়াদে তিনি এই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। কমিটিতে সদস্য হিসেবে আরও আছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নাজমুল হাসান, শফিকুল ইসলাম, মাইনুল হোসেন খান, আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সোলায়মান সেলিম ও মহিউদ্দীন মহারাজ। সংসদ নেতা শেখ হাসিনার অনুমতিক্রমে তার পক্ষে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর–ই–আলম চৌধুরী এই কমিটিসহ ১৬টি স্থায়ী কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন সোমবার। পরে কণ্ঠভোটে এই প্রস্তাব পাস হয়।  
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০৫

আরও ১৬টি স্থায়ী কমিটি গঠিত হলো সংসদে
জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের তৃতীয় দিনে আরও ১৬টি স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।  সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) গঠিত নতুন কমিটিগুলোর মধ্যে একটিতে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যকে সভাপতি করা হয়েছে। চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী বলেন, দ্বাদশ সংসদের ৫০টি কমিটি গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে রাত জেগে সভাপতিসহ সদস্যদের নাম লিখে দিয়েছেন। সে খাতাটি আমার হাতে। চলতি সপ্তাহেই সবগুলো কমিটি গঠনের প্রস্তাব পাস হবে। কমিটিগুলোর যথাযথ ভূমিকা সংসদকে আরও বেশি কার্যকর করবে। গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে সংবিধান ও কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী পিটিশন কমিটির সভাপতি ও ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু লাইব্রেরি কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। সেইসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি করা হয়েছে নূরুল ইসলাম নাহিদকে, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি করা হয়েছে মো. হুছামুদ্দিন চৌধুরীকে, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি করা হয়েছে জাহিদ আহসান রাসেলকে ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি করা হয়েছে আসাদুজ্জামান নূরকে।  স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হয়েছেন শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হয়েছেন বেগম সাগুফতা ইয়াসমিন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হয়েছেন মো. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হয়েছেন আফতাব উদ্দিন সরকার এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হয়েছেন এইচ এম ইব্রাহিম। এছাড়া, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে টিপু মুন্সী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে শ ম রেজাউল করিম, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে ড. আব্দুর রাজ্জাক, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দীপংকর তালুকদার এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে আ স ম ফিরোজকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এর আগে রোববার অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে ১২টি কমিটি গঠন করা হয়।  
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৫১

স্থায়ী রূপ পাচ্ছে দ্রুত বিচার আইন
বহু আলোচিত দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ ধাপে ধাপে না বাড়িয়ে এটিকে স্থায়ী রূপ দিচ্ছে সরকার।  সোমবার (২৯ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন’, ২০২৪-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘দ্রুত বিচার আইন করার পর এর মেয়াদ ছিল ২ বছর। পরে কয়েক ধাপে আইনটির মেয়াদ বাড়ানো হয়। ২০২৪ সালের ৯ এপ্রিল এর মেয়াদ শেষ হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আইনটিকে স্থায়ী আইন হিসেবে গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এখন থেকে আর এর মেয়াদ বাড়াতে হবে না।’
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:২১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়