• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
রোহিঙ্গাদের জন্য স্থানীয় জনগণই এখন সংখ্যালঘু : প্রধানমন্ত্রী
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে এখন কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণই সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোহিঙ্গারা এখন বাংলাদেশের পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সোমবার (৪ মার্চ) সংসদ ভবন কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আইনজীবী ডক্টর পায়াম আখভান। এ সময় এসব কথা তুলে ধরে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছেন শেখ হাসিনা।    আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের আইনজীবীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তার স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবাসন এখন সেখানকার অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে জটিল বলে মনে হচ্ছে। রোহিঙ্গারা এখন বাংলাদেশের জন্য বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা, ডক্টর পায়াম আখভানকে বলেন, মিয়ানমারের নাগরিকদের আগমনে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণ এখন সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে। তারা আমাদের পরিবেশের ক্ষতি করছে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর একটা অংশ ইতোমধ্যে অস্ত্র, নারী ও মাদক পাচারের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের জন্য এটি বড় উদ্বেগের বিষয়। সাক্ষাতে ‘জলবায়ু ব্যবস্থার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে’ বিভিন্ন রাষ্ট্রের বাধ্যবাধকতার বিষয়ে পরামর্শমূলক মতামতের জন্য আইসিজে-তে বাংলাদেশের আইনগত উপস্থাপনা প্রস্তুত করতে সহায়তার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য ড. পায়ম আখভানকে ধন্যবাদ জানান তিনি। ড. পায়ম আখভানও এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশ এখন জলবায়ু ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে বিশ্বনেতা হয়ে উঠেছে।
০৫ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫০

সমগ্র গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৮-এ ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলব, সারা দেশে ডিজিটাল সেন্টার গড়ে তুলেছি। প্রথমে তথ্যকেন্দ্র পরে ডিজিটাল সেন্টার করি। আজ সারা দেশে প্রায় ৮ হাজারের মতো ডিজিটাল সেন্টার আছে। যেখান থেকে মানুষকে বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমগ্র গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি।ওয়াইফাই কানেকশনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগটাও আমরা করে দিয়েছি। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস-২০২৪ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে ছিল তখন একটি কমিশন গঠন করি। ৯৬ সালে যখন সরকারে আসি তখনই ওয়ার্ড থেকে নিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে, উপজেলা, জেলা পর্যন্ত আইন পাস করি। জেলা পরিষদ আইন সেসময় করে দেই। জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে উন্নয়নের সার্বিক কাজ হয়, সে ব্যবস্থাটাও আমরা নিয়েছিলাম। সরকারপ্রধান আরও বলেন, মানুষের আত্মসামাজিক উন্নয়ন এবং শোষণ থেকে রক্ষা করার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করেন। একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের দায়িত্বভার তিনি হাতে নেন। তার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের মানুষের অন্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ব্যবস্থা করা। সেই স্বপ্ন নিয়ে তিনি স্বাধীনতা পর একটি সংবিধান দেন। মাত্র ১০ মাসের মধ্যে সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনকে শক্তিশালী করি। জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে যেন এগুলো গড়ে ওঠে সেই ব্যবস্থাটা আমরা নিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের সার্বিক উন্নয়ন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।   এসময় আরো বক্তব্য রাখেন- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ, শরীয়তপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, পঞ্চগড় পৌরসভা মেয়র জাকিয়া খাতুন, জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রশিদ লাভলু ও বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. মো. লায়েব উদ্দিন লাভলু প্রমুখ।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:২৭

স্থানীয় নির্বাচনে যেতে চায় বিএনপির তৃণমূল 
২০২১ সালের পর মার্চের পর থেকেই নির্বাচন পুরোপুরি এড়িয়ে চলছে বিএনপি। নির্বাচন এলেই সরব, তবু গত দুই বছরে একটিও নির্বাচনে অংশ নিতে দেখা যায়নি দলটিকে। উলটো দলের যে নেতাই এ সময়ে নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে নাম লিখিয়েছে, হাইকমান্ড থেকে তার উপরই নেমে এসেছে বহিষ্কারাদেশের খড়গ; যার সর্বশেষ নজির সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এরই মধ্যে ঘনিয়ে এসেছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন। তৃণমূলে সক্রিয়তা জানান দিতে এ নির্বাচন অন্য যে কোন দলের চেয়ে বিএনপির জন্য আলাদা গুরুত্ব বহন করছে এই মূহুর্তে- এমনই মত দলটির একাংশের। নির্বাচন ঘিরে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন দলটির তৃণমূলের অনেক নেতা, যদিও এ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত আসেনি বিএনপি হাইকমান্ড থেকে।  দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এখন ৪৮৫টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। গত ১৬ জানুয়ারি ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ধাপে ধাপে এসব নির্বাচন হবে। রোজার আগেই প্রথম ধাপের নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপ-নির্বাচন। একই দিন কয়েকটি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে তফসিল ঘোষণা করা হবে।  তাছাড়া আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার এবার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না রাখার নীতিগত সিদ্ধান্তও হয়েছে। এ ব্যাপারটাই বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের আরও বেশি প্রলুব্ধ করছে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য। তাদের বড় একটি অংশ মনে করছে, দলীয় প্রতীক না থাকায় ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার জোরে স্থানীয় সরকারে জনপ্রতিনিধি হওয়ার ভালো সুযোগ আছে তাদের সামনে। একইসঙ্গে তাদের মত, পরপর দুইটি জাতীয় নির্বাচন বর্জনের পর এমনিতেই অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে দেশের অন্যতম বৃহত্তম দলটি। দুই বছর ধরে ভোটের মাঠে উপস্থিতি নেই তাদের। এবারও যদি নির্বাচনের ট্রেন না ধরার সিদ্ধান্তে অটল থাকে বিএনপি হাইকমান্ড, তবে একেবারে বিলীন হতে হবে দলটিকে।  এমনও গুঞ্জন আছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ না নিলে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অনেকেই অন্য রাজনৈতিক দলে যোগ দেবে, অনেকে পেশাজীবী হয়ে যাবে, নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে রাজনীতিতে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পক্ষে যেসব নেতা, তাদের দাবি,  বিএনপির মূল শক্তি তৃণমূল। আর এখন তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ধরে রাখতে হলে স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিকল্প নেই তাদের জন্য। সরকারবিরোধী আন্দোলন যদি বেগবান করা না যায়, বিশেষ করে বাংলাদেশ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের ভূমিকা যদি আন্দোলনের পক্ষে না থাকে, সেক্ষেত্রে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ধরে রাখতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিত। এ অংশের নেতারা মনে করেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিভক্তি বিএনপির প্রার্থীর জন্য সহায়ক হবে। সরকার-বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হলে অন্তত দুইশ' উপজেলায় উপজেলা চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করার মতো সক্ষমতা এখনো রয়েছে বিএনপির।  তারা বলছেন, এ ইস্যুতে বিএনপির হাইকমান্ডের নমনীয় থাকা উচিত। যেহেতু দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে না, তাই যাদের সক্ষমতা আছে তারা নির্বাচন করলে প্রকাশ্য না হলেও অভ্যন্তরীণভাবে দল থেকে উৎসাহ দেওয়া উচিত। স্থানীয় নির্বাচনে যেহেতু সরকার পরিবর্তন হয় না, তাই আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিত। নির্বাচনে গেলে আত্মগোপনে থাকা নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে আসার সুযোগ পাবেন, যা চলমান আন্দোলনকে আরও গতিশীল করবে। এদিকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিপক্ষেও মত আছে বিএনপির নেতাদের একাংশের মধ্যে। তাদের দাবি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর একই কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিলে তাতে বিএনপির নৈতিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। সেটি সরকারের প্রতি সমর্থন জানানোও হবে।  বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ সরকার এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে বিএনপি জাতীয় এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেবে না। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য আগে অনেককেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের কাছে দল কী জবাব দেবে? তাছাড়া উপজেলা নির্বাচনে যে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ হয় তা বহন করার সামর্থ্য এ মুহূর্তে বিএনপি নেতাকর্মীদের নেই। অনর্থক নেতাকর্মীদের হয়রানির শিকার করতে নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন নির্বাচনের বিপক্ষ অংশ। এমনকি বিএনপি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ না নিলে আওয়ামী লীগের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল আরও প্রকট হবে বলেও মোট এ পক্ষের।  দলটির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, বিষয়টি নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা থাকলেও সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি। ওই ফোরামের বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন কখনোই শান্তিপূর্ণ, বিশ্বাসযোগ্য ও সুষ্ঠু হবে না। সুতরাং তার অধীনে কোনো নির্বাচনে বিএনপি যাবে না, সে সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া আছে। বিএনপি এখনো সে সিদ্ধান্তে অটল। উপজেলা পরিষদের ভোটে দলীয় প্রতীক নৌকা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। সে ক্ষেত্রে দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন হলে বিএনপি কী করবে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এ সরকারের অধীনে নির্বাচনই তো সুষ্ঠু হয় না। সেখানে দলীয় প্রতীক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪১

স্থানীয় সরকার নির্বাচন / যে কারণে প্রার্থীদের ‘নৌকা’ দেবে না আ.লীগ
আট বছর আগে দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার নিয়ম চালু করেছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু এখন সেই অবস্থান থেকে সরে আসছে ক্ষমতাসীন দলটি। এর পেছনে তৃণমূলের কোন্দল মেটানো ও নির্বাচন ঘিরে সহিংসতা কমিয়ে আনাসহ বেশ কিছু কারণ রয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় সরকার (উপজেলা) (সংশোধন) বিল-২০১৫ পাস হওয়ার পর ২০১৭ সালের মার্চে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ভোট হয় উপজেলায়। তারপর থেকে সব স্থানীয় সরকারের নির্বাচন দলীয় প্রতীকেই হচ্ছে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের মতে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করায় আগের চেয়ে গত দুই দফায় নির্বাচন ঘিরে সহিংসতা তুলনামূলকভাবে বেশি হয়েছে। সহিংসতায় শীর্ষে ছিল সরকারি দলের প্রার্থীদের অনুসারীরাই। ফলে সহিংসতার দায় পড়েছে আওয়ামী লীগের ওপর। তাই এবার আর দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দিয়ে সহিংসতার দায় নিতে চায় না ক্ষমতাসীন দলটি। পাশপাশি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও স্বতস্ত্র প্রার্থিতা ‘উন্মুক্ত’ রাখতে চাচ্ছে দলটি। এর মাধ্যমে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পাশপাশি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বিভেদ কমানোর কৌশল নেওয়া হয়েছে। এর ফলে জনপ্রিয় ও ত্যাগী নেতাদের বিজয়ী হয়ে আসার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এতে করে আগামীতে তৃণমূল পর্যায়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন মোকাবিলা সহজ হবে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম গণমাধ্যমকে বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে না হলে তৃণমূল পর্যায়ে সহিংসতা কমে আসবে। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, স্থানীয় নির্বাচনের কারণে অনেক সময় নৌকার যারা সমর্থক তারাও নৌকার বিরুদ্ধে ভোট দেয়, এই নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে ভোট না করা এটা একটা কারণ। আবার নিজেদের মধ্যে সহিংসতাও বাড়ে। নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখাসহ বিভিন্ন বিষয় চিন্তা করে দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে, গত ২২ জানুয়ারি গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকা না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  সেসময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এবারের উপজেলা নির্বাচনে আমাদের দলীয় প্রতীক নৌকা ব্যবহার করা হবে না। নৌকা না দেওয়ার জন্য ওয়ার্কিং কমিটির সভায় এখন অভিমত পেশ করেছে। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, সবার অভিমতের সঙ্গে তিনি ভিন্নমত প্রকাশ করেন না। তবে বৈঠকে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, শুধু উপজেলা নয়, আগামীতে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কোনো পর্যায়ে দলীয় প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী মার্চে অনুষ্ঠিতব্য ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রতীক না দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তথ্যমতে, আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আগামী ১০ মার্চ পবিত্র মাহে রমজান শুরু হবে। কমিশনের অনুমোদনক্রমে রোজা শুরুর আগেই উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ভোট হতে পারে। সারাদেশে ৪৮৫টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনযোগ্য হয়েছে। সেই অনুযায়ী কমিশন প্রস্তুতি নিয়েছে।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪০

বিপিএলে স্থানীয় কোচদের সঙ্গে লড়াই করবেন যে বিদেশি
আর মাত্র কয়েকদিন পরই মাঠে গড়াবে বিপিএলের দশম আসর। সাত দলের টুর্নামেন্টে ইতিমধ্যেই ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলো তাদের দল গোছানোর কাজ শেষ করেছে। দলগত লড়াই ছাড়াও, আসন্ন এই বিপিএলে স্থানীয় কোচদের বিপক্ষে লড়াই করবে কেবল একজন বিদেশি কোচ। সবাই দেশি কোচদের উপর ভরসা রাখলেও, বাংলাদেশ দলের সাবেক হেড কোচ ডেভ হোয়াটমোরকে নিয়োগ দিয়েছে তামিমের ফরচুন বরিশাল। এর আগে ২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন ডেভ হোয়াটমোর। সবকিছু ঠিক থাকলে ১৩ কিংবা ১৪ জানুয়ারি হোয়াটমোর আবারও বাংলাদেশে ফিরতে যাচ্ছেন। ফরচুন বরিশালের হয়ে এবার বিপিএলে দেখা যাবে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ব্যাটসম্যান হোয়াটমোরকে। হোয়াটমোরের জন্য বাংলাদেশ স্মৃতিকাতর জায়গা। তার অধীনেই বাংলাদেশ বড় দলগুলোকে হারানো শুরু করেছিল। লম্বা সময় পর তিনি আবার ফিরতে যাচ্ছেন তিনি। গতবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বরাবরের মতো এবারও কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের ওপর রেখেছে আস্থা। টানা ষষ্ঠবারের মতো এই দলটিরে দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন তিনি। বিপিএলে সবচেয়ে বেশি চার শিরোপাও জিতেছেন তিনি।  রানার্স আপ সিলেট স্ট্রাইকার্স বেছে নিয়েছে রাজীন সালেহকেই। গতবারও রাজীনের অধীনে টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেছিলেন সিলেট।  এদিকে সাকিবের রংপুর রাইডার্স কোচ সোহেল ইসলামের ওপর আস্থা রেখেছে। বিপিএলের এবারের আসরে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি দুর্দান্ত ঢাকা নামের দলটির হেড কোচের দায়িত্ব সামলাবেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি গতবার ছিলেন খুলনা টাইগার্সে।  অন্যদিকে খুলনার দায়িত্ব পেয়েছেন তালহা জুবায়ের। গতবার এই দলের সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন জাতীয় দলের সাবেক এই ক্রিকেটার। এ ছাড়াও স্থানীয় আরেক কোচ তুষার ইমরানকে নিয়োগ দিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তুষার গত বছর সিলেট স্ট্রাইকার্সের ব্যাটিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। এবার প্রমোশন পেয়ে হেড কোচ হয়েছেন চট্টগ্রাম দলের।  ফলে আসন্ন বিপিএলে স্থানীয় কোচদের সঙ্গে এক বিদেশি কোচের লড়াইও আলাদা উন্মাদনা ছড়াবে বলার অপেক্ষা রাখে না। 
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়