• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কেএনএফের প্রধান নাথানের স্ত্রীসহ দু’জনকে বদলি
কুকি চিন ন্যাশনালফ্রন্টের (কেএনএফ) ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় আলোচনায় উঠে আসে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান হলেন নাথান বমের নাম। তার স্ত্রী হলেন সদ্য বদলি হওয়া লাল সম কিম বম। তিনি দীর্ঘদিন যাবত রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর বাইরেও কয়েকজনকে তাৎক্ষনিক বদলি করা হয়। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বান্দরবান সিভিল সার্জন ডা. মাহাবুবুর রহমান লাল সম কিমের বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  তিনি বলেন, নার্সিং ও মিড ওয়াইফারী অধিদপ্তরের (ডিজিএনএম) পরিচালক ও প্রশাসন এর উপসচিব মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এর স্বাক্ষরিত বদলির আদেশের নির্দেশনায় আমরা কনফার্ম করেছি। রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স লাল সং কিম বম কে লালমনির হাটে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ও দিপালী বারৈ কে লালমনিরহাটে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলির আদেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, লাল সম কিম বম সাম্প্রতিক সময়ে বহুল আলোচিত কুকি চিন ন্যাশনালফ্রন্ট কেএনএফ দলের প্রধান নাথান বম এর স্ত্রী।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৬

স্ত্রীসহ সাবেক এমপির পিএসের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর ইমামের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল (৪৬) ও তার স্ত্রী মোরশেদা মরিয়মের (৪৪) বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ আয়ের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশন পাবনার সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক খাইরুল হক বাদী হয়ে এ মামলা দুটি করেন। মামলার নথিসূত্রে জানা যায়, মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১৮ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের স্থাবর এবং এক কোটি ৪৮ লাখ ১৯ হাজার ৭৭৬ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদের তথ্য দাখিল করেন। তবে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী অনুসন্ধানকালে তার নামে ১৮ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের স্থাবর এবং এক কোটি ৫০ লাখ ৬৮ হাজার ৯৫৯ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। অর্থাৎ তিনি তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে দুই লাখ ৪৯ হাজার ১৮৩ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। এছাড়া অনুসন্ধানকালে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল ৪৫ লাখ ৮৩ হাজার ৮৯৫ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগদখলে রেখেছেন যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অন্যদিকে একই তারিখে দাখিলকৃত তার স্ত্রী মোরশেদা মরিয়মের সম্পদ বিবরণীতে ৬২ লাখ ৮২ হাজার ৪৫ টাকা মূল্যের স্থাবর এবং ৮৩ লাখ ৪৪ হাজার ৬২৪ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। তবে অনুসন্ধানকালে তার নামে ৬২ লাখ ৮২ হাজার ৪৫ টাকা মূল্যের স্থাবর এবং ৯৬ লাখ ৪১ হাজার ৮১৪ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। এতে তিনি ১২ লাখ ৯৭ হাজার ১৯০ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। এছাড়া অনুসন্ধানকালে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, মোরশেদা মরিয়ম এক কোটি ৩৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৭৮ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে রেখেছেন। অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল বলেন, আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। আমাকে বরাবরই একটি মহল বিভিন্নভাবে ফাঁসানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। দুদকের এ মামলা তারই অংশ। আমি আইনগতভাবেই এটার মোকাবেলা করবো। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন পাবনার সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক খাইরুল হক বলেন, তারা উভয়ই জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে আলাদা দুটি মামলা করা হয়েছে।
২৭ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৮

কুমিল্লার হোমনায় স্বামীকে হত্যা, স্ত্রীসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লার হোমনায় প্রবাসী আব্দুল জলিল হত্যা মামলায় তার স্ত্রী শাহনাজ বেগমসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। এ মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় মো. শাহজাহান নামের এক আসামিকে খালাস দিয়েছেন বিচারক।  রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলায় মোট ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করেন।   রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আবু ইউসুফ মুন্সী জানান, ২০১৩ সালের ৯ জুন ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে হোমনার বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন আবদুল জলিল৷ পরদিন বাহের খোলা এলাকার রাস্তার পাশ থেকে জলিলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হোমনা থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই তাজুল ইসলাম। পরে আব্দুল জলিলের স্ত্রী শাহানাজ বেগম, মো. শাহজাহান, মো. কুদ্দুস মিয়া, আবদুল খালেক ও মো. রাজিব নামে ৫ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।   তিনি আরও জানান, দীর্ঘ তদন্ত ও শুনানি শেষে আজ সকালে চারজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন বিচারক। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি পলাতক ছিলেন। আদালতে হাজির মো. শাহজাহান নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে খালাস প্রদান করেন বিচারক।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫৮

স্ত্রীসহ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকার মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়ের সাথে ৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা মূল্যের অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ থাকায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুদক মামলা করেছে।  এছাড়া ৩৪ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়ের সাথে ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা মূল্যের সম্পদ অসঙ্গতিপূর্ণ থাকায় চেয়ারম্যানের স্ত্রী মোছা. জোমেলা খাতুনের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে।  বুধবার (২০ মার্চ) দুর্নীতি দমন কমিশন পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ সহকারি পরিচালক মো. মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।  মামলায় উল্লেখ করা হয়, সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণিত হলে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে পাবনা কার্যালয় তার সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারি করে। গত বছরের ১২ মে তিনি তার সম্পদের বিবরণী দাখিল করেন। সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর ও অস্থাবর মিলে সর্বমোট ২ কোটি ৫৫ লাখ ৯২ হাজার ৪৮৪ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য দেন। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে তার নামে স্থাবর ও অস্থাবর মোট ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৩৪৩ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। অর্থাৎ সাইফুল ইসলাম দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৩ কোটি ২০ লাখ ৭ হাজার ৮৫৯ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।  এছাড়াও  তার নামে পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় পাওয়া যায় ১৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৫ কোটি ৯৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৪৩ টাকা। কিন্তু উল্লেখিত সম্পদের বিপরীতে তার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় মোট ১ কোটি ৬০ লাখ ২২ হাজার ৬৭৯ টাকা। অর্থাৎ সাইফুল ইসলাম জ্ঞাত আয়ের সাথে ৪ কোটি ৩৪ লাখ ১৪ হাজার ৬৬৪ টাকা মূল্যের অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন।  একইভাবে সাইফুল ইসলামের স্ত্রী মোছা জোমেলা খাতুনের দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর ও অস্থাবর মোট ১ কোটি ৫ লাখ ২৬ হাজার ২১৯ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য দিয়েছেন। দুদকের অনুসন্ধানে তার নামে ১ কোটি ৩৯ লাখ ৫৭ হাজার ১৮ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। তাছাড়া তার নামে পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় পাওয়া যায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে তার মোট অর্জিত সম্পদের মূল্য ১ কোটি ৩৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা। এসব সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় মাত্র ১৩ লাখ ৫৫ হাজার ৮৩০ টাকা। অর্থাৎ জোমেলা খাতুন ১ কোটি ২৪ লাখ ৬০ হাজার ৯১৪ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন।  পাবনা দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক খায়রুল হক মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার দুটির তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে গাড়াদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনও লিখিত কোনো চিঠি পাইনি। ফলে বিষয়টি আমার জানা নেই। আগামীকাল অফিস টাইমে দুদক অফিসে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর এবিষয়ে বিস্তারিত জানাবো। 
২০ মার্চ ২০২৪, ২৩:০৪

সিরাজগঞ্জে স্ত্রীসহ ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের দুই মামলা
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সিরাজগঞ্জে এক ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (৩ মার্চ) দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ফেরদৌস রায়হান বকসী মামলাটি দায়ের করেন। অভিযুক্ত সেলিম রেজা (৪৫) চৌহালী উপজেলার উমারপুর ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা। তিনি জেলার বেলকুচি উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের চর জোকনালা গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে তিনি সিরাজগঞ্জ পৌরসভার মাছুমপুর মহল্লার বাসিন্দা। সোমবার (৪ মার্চ) সকালে দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয় সূত্রে ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালে সেলিম রেজার বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতি করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। সেলিম রেজা তার সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর সম্পদ ও অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে ৫৩ লাখ ৪৭ হাজার ৯২৪ টাকা মূল্যের সম্পদ গোপন করেন, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এছাড়া তিনি ৪৫ লাখ ৭২ হাজার ৪৫০ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখেছেন, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অপরদিকে তার স্ত্রী আফরোজা বেগম (৪২) তার সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর সম্পদ ও অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে ৩৫ লাখ ১১ হাজার ৫৫৫ টাকা মূল্যের সম্পদ গোপন ও ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ৫৫৫ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখেছেন। এ পরিস্থিতিতে দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ফেরদৌস রায়হান বকসী বাদী হয়ে ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা সেলিম রেজা ও তার স্ত্রী আফরোজা বেগমের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদী ফেরদৌস রায়হান বকসী বলেন, সেলিম রেজা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। চৌহালী উপজেলার উমারপুর ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, আমার যা স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রয়েছে, তা আয়কর বিবরণীতে উল্লেখ আছে। এগুলো দুদক অফিসে জমা দিয়েছিলাম। তবে আমার ও আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কিনা তা জানা নেই।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩৫

দক্ষিণ আফ্রিকায় গুলিতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ বাংলাদেশি নিহত
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ মহিন নামে এক বাংলাদেশি প্রবাসীকে খুন করেছে সন্ত্রাসীরা। রোববার (৩ মার্চ) স্থানীয় সময় সাড়ে ৯টায় জোহান্সবার্গের পার্শ্ববর্তী শহর জুলিস্ট্রিটে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত মাহিন একজন ব্যবসায়ী।  নিহতরা হলেন, মো.মহিন ভূঞা (৩২) উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মানিকপুর গ্রামের ইসলাম পাটোয়ারী বাড়ির মো. হোসেন ভূঞার ছেলে ও তার স্ত্রী রুনা আক্তার (২২)। সে একই উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নেরে জমাদার বাড়ির মো. লিটনের মেয়ে।    এসব তথ্য নিশ্চিত করেন অর্জুনতলা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) আব্দুর জব্বার। তিনি বলেন, গতকাল সন্ধ্যার দিকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আফ্রিকার জোহানের্সবাগ স্ট্রেটে মহিন ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গুলি করে। ওই সময় তারা স্বামী-স্ত্রী ঘটনাস্থলে মারা যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে। তখন ভাগ্যক্রমে তাদের সঙ্গে থাকা তাদের দুই সন্তান বেঁচে যায়। রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে আফ্রিকায় থাকা নিহতের ছোট দুইভাই বিষয়টি দেশের বাড়িতে জানায়। প্রাথমিকভাবে এর থেকে বেশি কিছু আমরা এখনো জানতে পারেনি। ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শক্রতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে।        নিহতের ছোট ভাই মো. মফিজ ভূঞা বলেন, জীবিকার সন্ধানে আমার বড় ভাই মহিন ২০০৮ সালে প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান। এরপর ছয় বছর আগে তার স্ত্রীকে নিয়ে যায়। আমার ভাবি ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল।  সন্ত্রাসীরা ভাবিসহ আমার বড় ভাইকে গুলি করে হত্যা করেছে।  ইউপি সদস্য আব্দুর জব্বার আরও বলেন, নিহত প্রবাসীর গ্রামের বাড়ির মসজিদের মাইকে তাদের মৃত্যু সংবাদ এলাকাবাসীকে জানানো হয়েছে। এতে গোটা এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতের পরিবার তাদের মরদেহ দেশে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।      
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৩:১৫

স্ত্রীসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালকের রহস্যজনক মৃত্যু
পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক সৈয়দ নজমুল আহসান (৫৬) ও তার স্ত্রী নাহিদ বিনতে আলমের (৪৮) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে তার স্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আর বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান নজমুল। হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে, অতিরিক্ত মদ্যপানে তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কেউ মন্তব্য করেননি। নজমুল আহসানের ভাই সৈয়দ আবু জাফর জানান, তার ভাইয়ের মৃত্যুতে মিরপুর মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।  মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সী ছাব্বীর আহম্মদ তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বুধবার  মিরপুর-২ অফিসার্স কমপ্লেক্সে বাসায় স্বামী-স্ত্রী উভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে নজমুল আহসানকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একই সময়ে তার অসুস্থ স্ত্রী নাহিদ বিনতে আলমকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। আজ তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। কী কারণে এ দম্পতির মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে সঠিক তথ্য জানা যাবে। এদিকে সৈয়দ নজমুল আহসানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) পৃথক পৃথক শোকবার্তায় তারা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। সৈয়দ নজমুল আহসান ১৯৯৬ সালে সরকারি চাকরিতে যোগদান করে পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। 
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩১

স্ত্রীসহ ৩ জনকে গুলি করে হত্যা : পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড
পরকীয়ার জেরে নিজের স্ত্রী, সন্তান ও এক যুবককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার অপরাধে পুলিশের সাবেক এএসআই (বরখাস্ত) সৌমেন রায়কে (৩৪) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কুষ্টিয়ার একটি আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রুহুল আমীন এ রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি পিপি অনুপ কুমার নন্দী। জানা যায়, সৌমেন রায় মাগুরা সদর উপজেলার কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের আসবা গ্রামের সুনীল রায়ের ছেলে। তিনি সর্বশেষ খুলনার ফুলতলা থানায় এএসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৩ জুন বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে কুষ্টিয়া শহরের কাস্টমস মোড় এলাকার নাজ ম্যানশন মার্কেটের বিকাশের দোকানের সামনে স্ত্রী আসমা খাতুন (২৫), আসমার ছেলে রবিন (৫) এবং আসমার পরকীয়া প্রেমিক শাকিলকে (২৮) সরকারি অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করেন এএসআই সৌমেন রায়। এ ঘটনায় পুলিশ তাকে ঘটনাস্থল থেকে সার্ভিস রিভলভার, গুলি ও ম্যাগাজিনসহ আটক করে। পরে সেদিন বিকেলে তাকে বরখাস্ত করা হয়। একইদিন রাতে এএসআই সৌমেন রায়কে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা করেন নিহত আসমা খাতুনের মা হাসিনা বেগম। পরদিন ১৪ জুন বিকেলে কুষ্টিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. এনামুল হকের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সৌমেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিশিকান্ত সরকার তার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। যদিও ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন সৌমেন রায়। এরপর কুষ্টিয়া আদালতে বারবার আত্মসমর্পণের দিন ধার্য থাকলেও তিনি আত্মসমর্পণ করেননি।  আদালতে আত্মসমর্পণ না করায় ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও রয়েছেন পলাতক সৌমেন। মামলার বাদী হাসিনা বেগম বলেন, আমার মেয়ে, তার ছেলে রবিন ও শাকিল নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে সৌমেন। আদালত সৌমেনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় আমি খুশি। তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হোক। তবে এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের একমাত্র আসামি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় আমি হতাশ।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৬

স্ত্রীসহ কারাগারে মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান
সাবেক সংসদ সদস্য ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সাবেক মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান এবং তার স্ত্রী উম্মে কুলসুমা মান্নানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের চতুর্থ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ রাজিয়া সুলতানা তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর এ নির্দেশ দেন। কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. রফিক জানান, চেক ডিজঅনার মামলায় মেজর (অব.) আবদুল মান্নান ও তার স্ত্রী উম্মে কুলসুমা মান্নানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সেই মোতাবেক তাদের বিকেলে কারাগারে পাঠানো হয়। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোরশেদ হোসেন বলেন, চেক ডিজঅনার মামলায় দণ্ডিত দুই আসামি মঙ্গলবার আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আপিলের মেয়াদ শেষ হওয়ায় জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেন আদালত।  
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৪

বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে স্বামীকে হত্যা, স্ত্রীসহ আটক ৩ 
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে কোহিনুর বেগম নামে এক নারীর বিরুদ্ধে তার স্বামী আবুল বাশারকে (৫৫) বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কোহিনুরসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের দিঘির পাড় এলাকার ওয়ারেছ পাটোয়ারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।   নিহত আবুল বাশার ওই বাড়ির মৃত হাবিব উল্যার ছেলে ও সৌদি প্রবাসী ছিলেন। আটক অন্যরা হলেন- নিহতের মেয়ে রাফা আক্তার ও পুত্রবধূ দিপা আক্তার।  পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আবুল বাশার দীর্ঘদিন সৌদিআরব ও ওমান প্রবাসী ছিলেন। প্রায় ৬ বছর আগে তিনি বাড়িতে চলে আসেন। বিদেশ থেকে আসার পর তিনি জানতে পারেন, প্রতিবেশী বিল্লাল হোসেন দিলুর সঙ্গে কোহিনুরের পরকিয়া সম্পর্ক রয়েছে। তখন থেকেই স্ত্রী কোহিনুরের সঙ্গে বাশারের কলহ শুরু হয়। প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। ঘটনার সময় বাশারকে তার স্ত্রী পাশের বাড়ি থেকে ধান আনার জন্য বলে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কোহিনুর একটি বাঁশের লাঠি নিয়ে তাকে আঘাত করে। এতে বাশার অচেতন হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক বাড়ির মানুষ জড়ো হয়ে পড়েন। হাসপাতাল নেওয়ার আগেই বাশার মারা যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত বাশারের ভাতিজা বাহার উল্যাহ জানান, বাঁশের আঘাতে তার চাচা অচেতন হয়ে পড়েন। সেখানেই তিনি মারা যান। ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাই।  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) হাসান মোস্তফা স্বপন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়