• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রাজধানীতে যুবকের মৃত্যু, চিকিৎসকের ধারণা হিট স্ট্রোক
রাজধানীর ডেমরার আমিন বাগে মেহেদী হাসান (২৩) নামে এক যুবক মারা গেছেন। ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত গরমে স্ট্রোক করে তার মৃত্যু হয়েছে। মেহেদী হাসান ডেমরার ইষ্টার্ন হাউজিং বাঁশের পোল আমিন বাগের জুয়ের মণ্ডলের একমাত্র ছেলে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকের ধারণা, হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন মেহেদী হাসান। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেরেছন ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি ডেমরা থানা পুলিশকে জানানো হয়ছে। নিহতের খালা ইসরাত জাহান জানান, শুক্রবার মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিল মেহেদীর। কিন্তু এরই মধ্যে আজ (বুধবার) দুপুরের দিকে নিজ বাড়িতে হঠাৎ সে গরমে অস্থির হয়ে পড়ে। বেশ কয়েকবার বমিও করে সে। পরে দ্রুত তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান মেহেদী আর বেঁচে নেই।
১৯ মিনিট আগে

হিটস্ট্রোক / স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪ নির্দেশনা
তীব্র গরমে পুড়ছে দেশ। চলমান এই গরম আরও কয়েক দিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ অবস্থায় হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে চার দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বিদ্যমান আছে। এ অবস্থায় সুস্থ থাকতে সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই। নির্দেশনাগুলো হলো- ১. তীব্র গরম থেকে দূরে থাকুন, মাঝে মাঝে ছায়ায় বিশ্রাম নিন। ২. প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করুন। হেপাটাইটিস এ, ই, ডায়রিয়াসহ প্রাণঘাতি পানিবাহী রোগ থেকে বাঁচতে রাস্তায় তৈরি পানীয় ও খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করুন। ৩. গরম আবহাওয়ায় ঢিলেঢালা পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন, সম্ভব হলে গাঢ় রঙিন পোশাক এড়িয়ে চলুন। ৪. গরম আবহাওয়ায় যদি ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তীব্র মাথাব্যথা হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, খিঁচুনি এবং অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এর আগে, হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা পেতে এবং পুলিশ সদস্যদের সুস্থ থাকতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ১১টি নির্দেশনা প্রদান করে। সেগুলো হলো- বাইরে দায়িত্ব পালনের সময় ছাতা, ক্যাপ এবং সানগ্লাস ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ ও স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ধীরে ধীরে পান করতে হবে এবং ঠান্ডা পানি (বরফসহ/ফ্রিজের পানি) পান পরিহার করতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে এবং বাসি, খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। পুলিশ মেস এবং ক্যান্টিনে বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশন নিশ্চিত করতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে আধাঘণ্টা পর/দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হওয়ার পর হাতমুখ ধৌত বা গোসল করতে হবে। জুস বা এ জাতীয় পানীয় পরিহার করতে হবে। স্বাভাবিক শরবত, ডাব বা লবণ পানি পান করা যেতে পারে যদি তা অন্য কোনো কারণে নিষিদ্ধ না হয়ে থাকে। অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অফিস ও আবাসন-ব্যারাকের দরজা-জানালা যথাসম্ভব খোলা রাখতে হবে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের তাপপ্রবাহ চলাকালে সুস্থ থাকার বিষয়টি তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে। তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকতে এবং হিটস্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে নিয়মিত রোলকলে এবং অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় পুলিশ সদস্যদের অবহিতকরণসহ সচেতন করতে হবে।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০১

ফুলবাড়ীতে হিটস্ট্রোকে ২ জনের মৃত্যু
সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। আর এই তাপপ্রবাহে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে হিটস্ট্রোকে দুজন মারা গেছেন। তারা হলেন- পৌর এলাকার চকসাবাজপুর গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোতাহার আলী (৫৮) এবং অপরজন যশোর কোতোয়ালি থানা এলাকার রাজারহাট গ্রামের ট্রাকচালক বিল্লাল হোসেন (৫২)। রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান। নিহত মোতাহার আলীর ছেলে সানজিদ আহম্মেদ সুইট বলেন, হঠাৎ করে শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে আমার বাবা জ্বরে আক্রান্ত হন। বাসাতে প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট নেওয়ার সময় বিকেলে বাবা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।  ট্রাক মালিক সোহরাব হোসেন বলেন, যশোর থেকে পাথরের ডাস্টের ভাড়া আনতে বড়পুকুরিয়া এলাকায় যান ট্রাকচালক বিল্লাল হোসেন। শনিবার (২০ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শুনেছি স্ট্রোক করে ড্রাইভার বিল্লালের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান বলেন, ‘স্থানীয়রা ট্রাকচালক বিল্লাল হোসেনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে তার পালস পাওয়া যাচ্ছিল না। এখানে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গরমে হিটস্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে। সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোতাহার আলীরও মৃত্যু একই কারণে হয়েছে।’ দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, দিনাজপুর জেলাতে গত কয়েক দিন থেকে ৩৩ থেকে ৩৬ ডিগ্রির মধ্যেই তাপমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে রোববার (২১ এপ্রিল) বেলা ৩টায় দিনাজপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের আর্দ্রতা ছিল ৪৪ শতাংশ। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১০

পাবনায় হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু
তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ পাবনার জনজীবন। শনিবার (২০ এপ্রিল) পাবনার ঈশ্বরদীতে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়াও তাপদাহে পাবনা শহরে সুকুমার দাস (৬০) নামে এক ব্যক্তি হিট স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।  শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে পাবনা শহরের রুপকথা রোডে একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় হিট স্ট্রোক করেন তিনি। এ সময় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সুকুমার দাস শহরের শালগাড়িয়ার জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদুল ইসলাম।  তিনি বলেন, ওই ব্যাক্তি হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন। পাবনা শহর থেকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাকে। আমরা উনাকে চিকিৎসা চিকিৎসা দিতে পারিনি। নাম-পরিচয় জানার পর আত্মীয়-স্বজন আসছিল। মরদেহ তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে যতদূর সম্ভব তাপ এড়িয়ে চলতে হবে। বেশি বেশি তরল খাবার খেতে হবে। গায়ে পাতলা কাপড় পরতে হবে। ডায়াবেটিস ও প্রেসারের রোগীদের রোদে না যাওয়াই ভালো। এসব রোগী যদি বাহিরে বের হলে সমস্যা মনে করেন তাহলে দ্রুত ঠান্ডা জায়গায় যেতে হবে। সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হবে।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৫

হিট স্ট্রোক কেন হয়, প্রতিরোধে যা করবেন
দেশের সবচেয়ে তাপপ্রবাহের মাস এপ্রিল শুরু হয়েছে। প্রতিদিন পারদ স্তম্ভ বেড়েই চলছে। অধিক তাপমাত্রা জনস্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ওপর প্রভাব বেশি পড়ে। তীব্র গরমে জনদুর্ভোগের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালেও বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। শনিবার (২০ এপ্রিল) প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়।  এমন বৈরী পরিবেশে প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয় মানুষ। হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যান কেউ কেউ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আজ চুয়াডাঙ্গা ও চট্টগ্রামের আনোয়ারায় মোট ২ জন হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন। হিটস্ট্রোকের প্রধান লক্ষণগুলো নিয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেনিন চৌধুরী বলেন, প্রচণ্ড গরমে যখন শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, শরীর থেকে পানি, তরল পদার্থ ও লবণও বেরিয়ে যায়, তখন আমাদের শরীরের রক্তের চাপ কমে যায়। সেই সঙ্গে নাড়ির গতি বেড়ে যায়। শরীর অবসন্ন লাগে, মাথা ঝিমঝিম করে। এ কারণে বমি-বমি ভাব লাগে ও বমিও হতে পারে। অনেকে চোখে আবছা দেখে। মাথা ঘুরতে থাকে। কেউ কেউ অসংলগ্ন কথা-বার্তাও বলে। এগুলো হচ্ছে হিট স্ট্রোকের প্রধান লক্ষণ। তিনি বলেন, হিট স্ট্রোক হলে কেউ কেউ জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারেন। জ্ঞান হারালে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ,  এই গরমের মধ্যে যারা বাইরে বের হবেন, তারা যদি সঙ্গে একটু খাবার পানি রাখেন এবং যাদের রোদের মধ্যে বেশিক্ষণ থাকার বাধ্যবাধকতা আছে, তারা যদি ওরস্যালাইন নিয়ে বের হন তাহলে ভালো হয়। এক্ষেত্রে একটু পর পর তারা পানি ও ওরস্যালাইন খাবেন এবং প্রস্রাবের রঙ ও পরিমাণের দিকে লক্ষ্য রাখবেন। প্রস্রাবের রঙ বদলের পাশাপাশি পরিমাণ কমে গেলে পানিসহ তরলজাতীয় খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। ডা. লেনিন জানান, তাপপ্রবাহের সময়টাতে টাইট জামাকাপড় না পরে ঢিলেঢালা সুতি জামাকাপড় পরতে হবে। এ সময় ছাতা নিয়ে বের হলে ভালো হয়। আর যারা শ্রমজীবী, টানা রোদের মধ্যে কাজ করেন তাদের কিছুক্ষণ পর পর বিশ্রামের সঙ্গে পানি ও তরল খাবার খেতে হবে। তবে রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় যে সরবত, পানি বিক্রি হয় তা খাওয়া যাবে না। কারণ এই সরবত যে পানি কিংবা বরফ দিয়ে বানানো হয় সেটা কোনোমতেই সুপেয় না। তিনি বলেন, এর বাইরে বয়স্ক মানুষ, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শিশু ও দীর্ঘমেয়াদী রোগে ভুগতে থাকা সংবেদনশীল মানুষদের নিতান্তই প্রয়োজন না পড়লে বাইরে বের না হওয়া ভালো। লেনিন চৌধুরী বলেন, গরমের ভেতর তৃষ্ণা নিবারণে ঠান্ডা পানি খাওয়া একেবারেই উচিত না। কারণ, আমাদের গলায় শ্বাসনালীর ওপরের অংশে কিছু সুবিধাবাদী জীবানু বাস করে। সুবিধাজনক অবস্থা পেলেই এরা আক্রমণ করে। যখন চারপাশে গরম তখন হঠাৎ করে ঠান্ডা পানি গলায় গেলে গলার তাপমাত্রা অনেক কমে যায়। এই জীবাণুগুলো তখন সক্রিয় হয়ে ওঠে।  
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৮

হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয়
দেশের অনেক জায়গায় বইছে তাপপ্রবাহ। হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। হঠাৎ তাপমাত্রার উর্ধ্বগতির এমন পরিস্থিতিতে হিট স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এটি প্রতিরোধে কী কী করা উচিত, তা ফেসবুকে ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআরবি। প্রতিষ্ঠানটির ভাষ্য, হিট স্ট্রোকের সর্বোচ্চ ঝুঁকি আছে শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, শ্রমজীবী ব্যক্তি (যেমন- রিকশাচালক, কৃষক, নির্মাণশ্রমিক), অতিরিক্ত ওজন থাকা ব্যক্তি, শারীরিকভাবে অসুস্থ, বিশেষত হৃদরোগ বা উচ্চরক্তচাপ থাকা ব্যক্তির। চিকিৎসকেরা বলেন, হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ করতে শরীর হাইড্রেট রাখার কোনো বিকল্প নেই। তাপমাত্রা বেশি হলে ঢিলেঢালা এবং হালকা রঙের পোশাক পরে ঘরের বাইরে যেতে হবে। সূর্যের আলো থেকে চোখকে রক্ষা করতে সানগ্লাস ব্যবহার করার। রোদে থাকতে হলে প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।  করণীয়: হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে কিছু করণীয় ‍জানিয়েছে আইসিডিডিআরবি, জেনে নিন করণীয়গুলো। দিনের বেলায় যথাসম্ভব বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন, রোদ এড়িয়ে চলুন। বাইরে বের হলে ছাতা, টুপি বা ক্যাপ বা কাপড় দিয়ে মাথা যথাসম্ভব ঢেকে রাখুন। হালকা রঙের, ঢিলেঢালা এবং সম্ভব হলে সুতির জামা পরুন। প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করুন। সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং বাসি, খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। দিনের বেলায় একটানা শারীরিক পরিশ্রম করা থেকে বিরত থাকুন। সম্ভব হলে একাধিকবার পানির ঝাপটা নিন বা গোসল করুন। প্রস্রাবের রঙের দিকে নজর রাখুন। তা হলুদ বা গাঢ় হলে অবশ্যই পানি পানের পরিমাণ বাড়ান। ঘরের পরিবেশ যেন অতিরিক্ত গরম বা ভ্যাপসা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। বেশি অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩১

টাকার টেনশনে দুইবার স্ট্রোক করেন ইভ্যালির গ্রাহক
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে পাওয়া টাকা ফেরত পেয়েছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ১৫০ জন গ্রাহক। এরমধ্যে একজন টাকার টেনশনে দুইবার স্ট্রোক করেছেন বলে জানিয়েছেন। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আনুষ্ঠানিকভাবে ১০ জনের হাতে চেক তুলে দেন। বাকিরা বুথ থেকে চেক সংগ্রহ করেন। টাকা ফেরত পাওয়ার পর কুষ্টিয়া থেকে আসা সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, ইভ্যালিতে দুটি অর্ডার করেছিলাম। সেটির অর্ধেক টাকা আজ ফেরত দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকা সামনের কিস্তিতে পরিশোধ করবে বলে জানিয়েছে। ভাবতেই পারিনি যে টাকাগুলো ফেরত পাব। এখন আমি অনেক খুশি। আমি মাঝখানে মালয়েশিয়া চলে গিয়েছিলাম। টাকার টেনশনে দুইবার স্ট্রোকও করেছি। কামরুল হাসান নামে আরেক গ্রাহক বলেন, আমি ২০২১ সালে অর্ডার করেছিলাম। কখনো ভাবিনি যে টাকা ফেরত পাব। ভেবেছিলাম এই টাকা জীবনেও তুলতে পারব না। তবে সবার প্রচেষ্টায় সেটি সম্ভব হয়েছে। ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিকুজ্জামান বলেন, আমরা চাচ্ছি ধারাবাহিকভাবে সব অভিযোগের নিষ্পত্তি করে গ্রাহকের টাকা যেন পরিশোধ করা সম্ভব হয়। ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের সহযোগিতা করে, তাহলে আমরা আশা করি সময়সাপেক্ষ হলেও পর্যায়ক্রমে সব গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করতে পারব। ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মাদ রাসেল বলেন, ইভ্যালির কাছে পাওনা রয়েছে এমন প্রতিটি গ্রাহকের দেনা পরিশোধ করা হবে। এক্ষেত্রে যারা অভিযোগ করেছেন, অথবা যারা অভিযোগ করেননি সবাইকেই তালিকা অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করা হবে।  এ সময় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণাগার বিভাগ) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন ও উপপরিচালক (অভিযোগ) মাসুম আরেফিনসহ ইভ্যালির অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৪

৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে ফারুকী, জানালেন তিশা
গতকাল সোমবার মধ্যরাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন খ্যাতিমান নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। বর্তমানে রাজধানীর একটি হাসপাতালের আইসিইউতে অবজারভেশনে রয়েছেন তিনি। নির্মাতার অসুস্থতার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিশ্চিত করেন তার স্ত্রী ও অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। এবার ফারুকীর বর্তমান পরিস্থিতির কথা জানালেন তিশা।  জানা গেছে, ফারুকীকে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি সিটি অ্যানজিওগ্রাম করা হয়েছে এই নির্মাতার।  এদিকে ফারুকীর অসুস্থতার খবরে ভীষণ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন বিনোদন অঙ্গনে তাদের শুভাকাঙ্ক্ষী, সহযাত্রী এবং দেশ–বিদেশে ছড়িয়ে থাকা তাদের ভক্তরা। সবাই দ্রুত সুস্থতা কামনা করছেন নির্মাতার।   মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দেশের এক গণমাধ্যমে তিশা বলেন, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অপারেশন করতে হবে না। তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে একটু সময় লাগবে। পাশাপাশি ৭২ ঘণ্টা পর পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে ফারুকীকে। এরপর ব্রেইনের একটা সিটি স্ক্যান করা হবে।  এর আগে সোমবার মধ্যরাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ফারুকীর অসুস্থতার বিষয়টি জানিয়ে একটি পোস্ট দেন তিশা। ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন— ‘আজ সন্ধ্যা থেকে মোস্তফা একটু অসুস্থ। ডাক্তারের কাছে নিতেই ডাক্তার বলল সিটি অ্যানজিওগ্রাম করতে। করা হলো। ছোট একটা ব্রেন স্ট্রোক হয়েছে ওর। নিউরো আইসিইউতে অবজারভেশনে আছে এখন। সবাই মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর জন্য দোয়া করবেন।’ প্রসঙ্গত, নির্মাতা ফারুকী ও অভিনেত্রী তিশা ২০১০ সালে ১৬ জুলাই ভালোবেসে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে ইলহাম নুসরাত ফারুকী নামে এক সন্তান রয়েছে।    
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়