• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঈদযাত্রায় ট্রেনে নাশকতার তথ্য নেই : র‌্যাব
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে ট্রেনে নাশকতা বা সহিংসতার কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রেলে ঘরমুখী মানুষের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে টিকেট কালোবাজারি প্রতিরোধসহ র‍্যাব কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ এবং গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে কমলাপুর রেলস্টেশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময়কালে এ কথা জানান তিনি। সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৯টায় ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ নিয়মতান্ত্রিকভাবে ট্রেনে চলাচল করুন। নিজের জীবনের ঝুঁকি নেবেন না। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা ছিল- এবার যেন সম্মানিত যাত্রীগণ নির্বিঘ্নে, সুষ্ঠুভাবে নিরাপদে বাড়িতে ফিরতে পারেন, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারেন। সে লক্ষ্যে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য র‍্যাব বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। বেশ কিছু অভিযান পরিচালনা করেছি। যারা দুষ্কৃতকারী, যারা এই ঈদকে ঘিরে হাজার হাজার টিকিট কালোবাজারির পরিকল্পনা করছিল তাদের শতাধিকজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। আমরা কিন্তু কাউকে ছাড় দিইনি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে যারাই অপকর্মে জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।  দেশের বড় বড় স্টেশনগুলোতেও অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে জানিয়ে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, র‍্যাবের সকল ব্যাটালিয়ন কাজ করছে। রেলওয়ে কর্তৃক ভালো সিদ্ধান্ত অ্যাপসে শতভাগ টিকিট বিক্রি। তবে এটার সুযোগও নেয় একশ্রেণির অসাধু চক্র। গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। আজকে যাত্রীদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, তারা সন্তুষ্ট। এজন্য ধন্যবাদ পেতে পারে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষও। তারা বেশ সতর্ক ছিল। যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ঈদযাত্রায় সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতে বিভিন্ন বাহিনীর নিরাপত্তা কর্মীরা নিয়োজিত আছেন। র‍্যাবের সদস্যরাও কাজ করছেন। যদি সহযোগিতা করেন তাহলে আপনার লাভ, আমার, দেশের লাভ, সবার লাভ। ঝুঁকি নিয়ে গমন করবেন না, সময় নিন। কিন্তু যাত্রা নিরাপদ করুন। আপনাদের ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নিশ্চিত করতে রেলওয়েসহ সকল নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা বদ্ধপরিকর। তিনি আরও বলেন, ঈদ ঘিরে আমাদের বিভিন্ন রেলস্টেশনে গোয়েন্দা কার্যক্রমসহ চলমান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন এজন্য একজন দালালকেও পাই তাহলে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে।  ঈদযাত্রায় নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাতে নিশ্চিত হয় সেজন্য র‍্যাব নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে, গোয়েন্দারা কাজ করছে, সাইবার জগতেও রয়েছে নজরদারি। অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা ও বাহিনীর সঙ্গে সমন্বিত তথ্য হচ্ছে- এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের নাশকতা বা সহিংসতার তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে আমরা বসে নেই, প্রস্তুত আছি। যাতে করে ঈদে নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করা যায়।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২২

ঈদযাত্রার পঞ্চম দিন / কমলাপুরে বেড়েছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনযাত্রার পঞ্চম দিনে কমলাপুর রেল স্টেশনে যাত্রীর চাপ বেশ বেড়েছে। রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, ব্যাগ-ট্রলি নিয়ে নির্ধারিত ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন ঘরমুখো মানুষ। ট্রেন এলেই দ্রুত ট্রেনে উঠে পড়ছেন তারা। তবে, কারও কাছে টিকিট না থাকলে তাকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পুরো বিষয়টি স্টেশনে দাঁড়িয়ে তদারকি করছেন। যাত্রীদের প্রত্যাশা, সব সময় রেলওয়ে এমন সার্ভিস থাকলে টিকিট বিহীন যাত্রী কমে যাবে। কারওয়ান বাজারের বাসিন্দা তোফায়েল তার স্ত্রীকে নিয়ে ভোরেই কমলাপুরে এসেছেন। বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনে লালমনিরহাট যাবেন তারা। তোফায়েল বলেন, আমার বন্ধু আগেই আগাম টিকিট কিনে দিয়েছিল। এবার যাত্রীদের জন্য কমলাপুরে বস্থাপনা ভালো। চাঁপাইনবাবগঞ্জের যাত্রী নোমান গাজী বলেন, আজকে যাত্রীদের চাপ বেশি। তারমধ্যে গরমও আছে। কিছুটা কষ্ট হলেও পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করার আনন্দই আলাদা। রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী কাফি জমাদার বলেন, উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের জন্য ট্রেনই একমাত্র ভরসা। খুব সহজে অনলাইন থেকে টিকিট পেয়েছি। আশা করি তেমন কোনো ভোগান্তি হবে না। রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ১৪টি ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। উল্লেখ্য, গত ২৪ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ ছাড়া ২৫ শতাংশ টিকিট ভ্রমণের দিন যাত্রা শুরুর আগ মুহূর্তে স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।  এছাড়া ঈদ উদযাপন শেষে ঢাকায় ফেরার জন্য গত ৩ এপ্রিল থেকে ট্রেনের ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছে রেলওয়ে। আজ (রোববার) বিক্রি হচ্ছে ১৭ এপ্রিলের টিকিট। ১৮ এপ্রিলের টিকিট ৮ এপ্রিল এবং ১৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হবে ৯ এপ্রিল।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২০

যাত্রীদের নিরাপত্তায় কমলাপুর স্টেশনে র‌্যাবের কন্ট্রোল রুম
ঈদযাত্রায় যাত্রীদের নিরাপত্তায় রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে কন্ট্রোল রুম চালু করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। কন্ট্রোল রুম থেকে যাত্রীরা যেকোনো আইনগত সহায়তা নিতে পারবেন। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রম শুরু করে র‌্যাব-৩। সন্ধ্যায় র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, কমলাপুর রেলস্টেশনে স্থাপিত কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। এখান থেকে সাধারণ যাত্রীরা সব ধরনের সেবা নিতে পারবেন। বিশেষ করে যেকোনো আইনগত সহায়তা ছাড়াও জাল টাকা শনাক্ত করা হবে। পাশাপাশি সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ছাড়া বয়োজ্যেষ্ঠ, শারীরিক প্রতিবন্ধী, অসুস্থ ব্যক্তি সহায়তা চাইলে সহায়তা করবেন র‌্যাবের সদস্যরা। ঘরমুখো যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং যে কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে দ্রুত যাত্রীদের সহায়তা করা হবে। তিনি আরও বলেন, যেকোনো প্রয়োজনে র‍্যাবের হটলাইন নম্বর দেওয়া হয়েছে। হটলাইন নম্বর- ০১৭৭৭-৭১০৩৯৯।
২৯ মার্চ ২০২৪, ২০:৩৩

৪টা থেকে বন্ধ থাকবে সিএনজি স্টেশন
আজ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিকাল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সিএনজি স্টেশন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে গ্যাস সরবরাহ নিয়ে এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আজকের বৈঠকে মূলত দুটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। একটি সিএনজি স্টেশনগুলো ৫ ঘণ্টার পরিবর্তে ৬ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে। তবে ঈদের আগে ও পরে ৭ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন চালু থাকবে।  অন্যটি, বিদ্যুৎচালিত সেচ পাম্পগুলো রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সেচ মৌসুমের জমিতে সেচ দেওয়া যাবে। বেশি প্রয়োজন পড়লে তা সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত করা যাবে। তবে রাত ১২টার আগে সেচ দেওয়া যাবে না। প্রসঙ্গত, পিক আওয়ারে গ্যাসের স্বল্প চাপের সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে এতদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখার নির্দেশনা ছিল।
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩১

সিএনজি স্টেশন বন্ধ থাকবে যে ৫ ঘণ্টা
রমজান মাস উপলক্ষে সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এ বন্ধের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ ঘণ্টা। ১২ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত এ নির্দেশনা বলবত থাকবে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ৭ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত সিএনজি স্টেশন সার্বক্ষণিক সময়ের জন্য খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রমজান মাসে বিদ্যুৎ চাহিদার দৈনিক পিক-আওয়ারে গ্যাস বিতরণ নেটওয়ার্কে সম্ভাব্য স্বল্প-চাপ পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে ১২ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত সিএনজি স্টেশনগুলো বন্ধের সময়কাল (সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত) পরিবর্তন করে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মোট পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হবে। এ ছাড়া আসন্ন ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে মহাসড়কে যাত্রী সাধারণের যাতায়াতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য জ্বালানি সরবরাহের সুবিধার্থে ৭ থেকে ১৮ এপ্রিল সিএনজি স্টেশনগুলো সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে। ১৯ এপ্রিল থেকে পূর্বের নিয়মে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সিএনজি স্টেশনগুলো বন্ধ থাকবে।
১২ মার্চ ২০২৪, ২১:৫৫

ইকিউ চার্জিং স্টেশন স্থাপনে চুক্তি স্বাক্ষর
দেশব্যাপী ইকিউ চার্জিং স্টেশন স্থাপনে র‍্যানকন মোটরস ও জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। সম্প্রতি তেজগাঁও শিল্প এলাকার র‌্যাংগস ব্যাবিলোনিয়া টাওয়ারের মার্সিডিজ-বেঞ্জ শোরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ সময় র‍্যানকন মোটরসের প্রতিনিধি হিসেবে বিভাগীয় পরিচালক ইমরান জামান খান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদওয়ানুল জিয়া, হেড অব মার্কেটিং চৌধুরী মো. নাবিল হাসান এবং জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের পক্ষে সিওও সৈয়দ শফিকুল হাসান, উপ-মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) মাহমুদুল হাসান লরেন্স, সিনিয়র ম্যানেজার (সল্যুশন এবং গবেষণা ও উন্নয়ন) পল্লব কুমার পাল  ও সহকারী ব্যবস্থাপক বিজনেস এনগেজমেন্ট গালিব মোহাম্মদ করিম উপস্থিত ছিলেন।  অনুষ্ঠানে র‍্যানকন মোটরস লিমিটেডের ডিভিশনাল ডিরেক্টর ইমরান জামান খান বলেন, আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছি। আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির অনুপ্রবেশ বাড়ানো এবং চার্জিং স্টেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য নির্বিঘ্ন এবং সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করা। জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মাহমুদুল হাসান লরেন্স বলেন, মানুষ যত বেশি বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহার করা শুরু করবে, চার্জিং স্টেশনের চাহিদা বাড়বে। আমাদের দক্ষ এবং নিবেদিত ইপিসি দল নির্বিঘ্ন গ্রাহক সেবা নিশ্চিতের লক্ষে প্রকল্পটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে প্রস্তুত।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৮

মেট্রোরেলে চড়ে অফিস পরিদর্শনে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মেট্রোরেলে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের অফিস পরিদর্শনে গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশ সচিবালয় (জাতীয় প্রেস ক্লাব) মেট্রোরেল স্টেশন থেকে মেট্রোরেলে আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনে তিনি পৌঁছান বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম খান। এরপর সেখান থেকে তিনি আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের অফিস পরিদর্শনে যান এবং সেখানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। বাংলাদেশ সচিবালয় (জাতীয় প্রেস ক্লাব) মেট্রোরেল স্টেশন থেকে মেট্রোরেলে আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনে পৌঁছতে সময় লেগেছে মাত্র ১৬ মিনিট। পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-শাহবাগ-কারওয়ান বাজার-ফার্মগেট-বিজয় সরণি স্টেশনে প্রায় এক মিনিট করে যাত্রী ওঠা-নামার সময় ছিল। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মেট্রোরেল আমাদের জীবন ও জীবিকার সাথে যুক্ত। সময় কত মূল্যবান ঢাকার মানুষ সেটি বুঝতেছি। এ রুটে যারা যাতায়াত করে এখন তাদের দুই তিন ঘণ্টা সময় বেঁচে যাচ্ছে। এটি আনন্দের। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা শত চ্যালেঞ্জের মধ্যেও মেট্রোরেল করতে পেরেছেন। মেট্রোরেল যাতে নির্মাণ না হয়- সেজন্য ভয়ংকর হলি আর্টিজানের ঘটনা ঘটিয়েছিল। জাপানের সাথে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে যে সম্পর্ক সেটি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র ছিল। ঢাকাবাসী যেন মেট্রোরেলের মত এরকম একটি পরিবহন না পায় সেজন্য ষড়যন্ত্র ছিল। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সুন্দর একটি মেট্রোরেল উপহার দিয়েছেন। একজন নাগরিক হিসেবে আমি প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগে সচিবালয় থেকে আগারগাঁওয়ে যাওয়ার কথা চিন্তা করলেই মন খারাপ হয়ে হয়ে যেতো। এখন সেটা আনন্দের বিষয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোনার বাংলা গড়ে তোলার যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন, দিন বদলের চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। আজকে বাংলাদেশ বদলে গেছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগে মতিঝিল থেকে মিরপুর পর্যন্ত যাতায়াতে যাত্রীদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। এখন এই রোডে যানজট যেটা নিত্যদিনের ছিলো সেটা কিন্তু নাই। যাত্রীদের ভোগান্তি নাই। মাত্র কয়েক মিনিটেই চলে যাচ্ছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কর্মচারীরা এখন মেট্রো রেলে যাতায়াত করে। আগে যেখানে দুই ঘণ্টা লাগতো এখন মাত্র ১০/১২ মিনিটে আগারগাঁও চলে যাচ্ছে, এখন দেড় ঘণ্টার মত সময় বেঁচে গেছে। দেড় ঘণ্টা যানজটে বসে থেকে একটা ক্লান্তি চলে আসতো, এখন সেই ক্লান্তিটা নাই। তিনি বলেন, এখনই যেমন মিরপুর রোডে গণপরিবহনে যাত্রী নেই, চাপ নেই। আর এমআরটি লাইনের বাকিগুলো চালু হয়ে গেলে ঢাকার পরিবেশটাই সুন্দর হয়ে যাবে। প্রতিমন্ত্রী আগারগাঁও বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করেন এবং সেখানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য মো. মুসা, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুন্সী মো. মনিরুজ্জামান, পরিচালনার পরিষদের সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব পাওয়ার পর আজকে আমার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কোন সংস্থায় প্রথম সফর। আজকের অনুভূতিটা একটু ভিন্ন ধরনের- কারণ আজকে মেট্রোরেলে চড়ে সচিবালয় থেকে আগারগাঁও এসেছি। প্রতিমন্ত্রী স্থলবন্দরের মাধ্যমে প্রতিবেশীদের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটানোর আহবান জানান। তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে শৃঙ্খলা থাকতে হবে; শৃঙ্খলা রাখতে হবে। আমার খুব ভালো লাগছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০১ সালে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের এফডিআর এ জমা আছে ৮০০ কোটি টাকা। সেটি মিলিয়ন বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়