• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
স্কুলছাত্রীকে তিন দিন আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে তুলে নিয়ে তিনদিন আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আটককৃতরা হলেন- উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পাঁচগাও গ্রামের মৃত লালু সরদারের ছেলে ইব্রাহিম সরদার দুদুল (২০), একই গ্রামের আলম মাঝির ছেলে তুষার মাঝি (২২), সুরেশ্বর গ্রামের আলম হাওলাদারের ছেলে মো. নাহিদ হাওলাদার (১৯) ও তাদের বন্ধু শাকিব হোসেন। জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। পরিবারের কেউ না থাকায় মায়ের সঙ্গে বোনের বাড়িতে থাকেন। ঈদের দিন সন্ধ্যায় নানা বাড়ি যাওয়ার পথে চন্ডিপুর ভিআইপি মোড় এলাকা থেকে তাকে একটি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায় দুদুল সরদার ও তুষার মাঝি নামের তুই তরুণ। তারা ওই শিক্ষার্থীকে সুরেশ্বর দরবার শরিফের পাশের একটি টিনের ঘরে নিয়ে দুদিন আটকে ধর্ষণ করে। শনিবার সকালে ওই দুই তরুণ আরও তিনজনকে ডেকে এনে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে দুপুরে একটি অটোরিকশায় তুলে দেওয়া হয়। বাড়ি ফিরে বোনদের কাছে বিষয়টি খুলে বললে তারা পুলিশে অভিযোগ করেন। পুলিশ রাতে ভিকটিমকে চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। একই সঙ্গে অভিযান চালিয়ে দুল সরদার, তুষার মাঝি, শাকিব ও নাহিদকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর বোন বাদী হয়ে মামলা করেন। ভুক্তভোগী বলেন, ঈদের দিন হেঁটে নানার বাড়িতে যাচ্ছিলাম। তখন দুদুল ও তুষার মাঝি আমাকে মুখ চেপে ধরে অটোরিকশায় সুরেশ্বর দরবার শরিফের কাছে একটি ঘরে নিয়ে আটকে রাখে। একপর্যায়ে তারা আমাকে পুড়িয়ে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। শনিবার সকালে আরও তিনজন আমাকে ধর্ষণ করে। আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে একটি অটোরিকশায় আমাকে পাঠিয়ে দেয়। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা লিমিয়া সাদিয়া বলেন, মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সবধরনের নমুনা ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ফলাফল আসলে ধর্ষণের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।    
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৬

স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা মামলায় প্রধান আসামি কারাগারে
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ঘরে ঢুকে এক স্কুলছাত্রীকে (১৬) কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত প্রধান আসামি জাকির সিকদারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।   শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এর আগে রাতে অভিযান চালিয়ে রায়পুরের চরবংশী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  গ্রেপ্তার জাকির সিকদার চরবংশী ইউনিয়নের কুচিয়ামারা সিকদার কান্দি এলাকার মৃত আমজাদ আলী সিকদারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে শুক্রবার রায়পুর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর মা। এতে জাকির সিকদারকে প্রধান আসামি করেন তিনি। মামলায় আরও দুজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। ভুক্তভোগী স্থানীয় একটি হাই স্কুল থেকে এ বছর এসএসসি পরিক্ষা দিয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন থেকে প্রতিবেশি জাকির সিকদার গংদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রবাসী মাসুদ সিকদারের পরিবারের বিরোধ চলে আসছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে বাড়ির পানি নিষ্কাশনের জায়গা নিয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে ওই ছাত্রীর মা হালিমা বেগমের তর্ক-বিতর্ক হয়। বিকেলে ওই ছাত্রী এবং তার ছোট বোন ঘরে ছিল। এই সুযোগে জাকির হোসেনসহ আরও ৪-৫ জন ঘরে ঢুকে ওই ছাত্রীকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। একপর্যায়ে কুপিয়ে জখম করে এবং গলাচিপে হত্যা চেষ্টা করে তারা। এছাড়া ছাত্রীর শীলতাহানীরও অভিযোগ রয়েছে জাকির সিকদারের বিরুদ্ধে।  এ সময় তার শোর চিৎকারে স্থানীয় ও স্বজনরা এগিয়ে আসলে তারা (হামলাকারীরা) পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় ওই ছাত্রীর গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ও আলমারিতে থাকা নগদ ২ লাখ টাকা নিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে স্থানীয় ও স্বজনরা ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।  লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার (ইএমও) ডা. এ কে আজাদ বলেন, ওই ছাত্রীর মাথায় গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়েছে। তার মাথায় সিলাই করা হয়েছে। এছাড়া গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঁচড়সহ আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রায়পুর থানার ওসি (তদন্ত) শামসুল আরেফিন বলেন, ছাত্রীকে হত্যা চেষ্টা মামলায় প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:০২

স্কুলছাত্রীকে জোর করে চুমু দিয়ে মাদরাসাছাত্র গ্রেপ্তার
দিনাজপুরে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে জোর করে চুমু দিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন সাখাওয়াত হোসেন (২০) নামের এক মাদরাসাছাত্র। রোববার (১৭ মার্চ) সকাল পৌনে ৯টার দিকে শহরের কালিতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, গ্রেপ্তার সাখাওয়াত শহরের বালুয়াডাঙ্গা মহল্লার আরিফুল ইসলাম মিন্টুর ছেলে। রংপুরের একটি হাফিজিয়া মাদরাসায় লেখাপড়া করেন তিনি। রোববার ওই ছাত্রী স্কুল ড্রেস পরা অবস্থায় চাচাতো বোনের বাড়িতে যাচ্ছিল। তাকে অনুসরণ করে জাপটে ধরে চুমু দেওয়ার চেষ্টা করেন ওই মাদরাসাছাত্র। এ সময় তার নখের আঁচড়ে ছাত্রীর গালে ক্ষত দেখা দেয়। পরে চিৎকার দিলে ওই যুবক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ওই সময় সিসিটিভিতে ঘটনার দৃশ্য দেখতে পেয়ে ধাওয়া দিয়ে তাকে আটক করে স্থানীয়রা পুলিশে তুলে দেন। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ সাখাওয়াতকে গ্রেপ্তার করে। দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় ওই মাদরাসাছাত্রের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন ছাত্রীর বাবা। তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে সাখাওয়াত হোসেনের পরিবার দাবি করেছেন, সে কিছুটা মানসিক রোগী। বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৯

প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
নওগাঁর রাণীনগরে প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে জালাল শেখ (৪৮) নামে এক চা ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (১৭ মার্চ) সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।  এর আগে শনিবার উপজেলার লোহাচুড়া গ্রাম থেকে জালাল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি লোহাচুড়া কারিগরপাড়া গ্রামের আলেফ উদ্দীনের ছেলে। মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জালাল শেখ একই গ্রামের এক প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে স্কুল ছুটির পর বিভিন্ন প্রলোভনে ও হুমকি-ধামকি দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আসছিল। গত সোমবার ওই স্কুলছাত্রী গ্রামের একটি পুকুরপাড়ে বসে মাছ ধরা দেখছিলেন। এমতাবস্থায় জালাল সেখানে গিয়ে ওই স্কুলছাত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন নিপীড়ন করে। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি ঘটনাটি দেখে ফেলেন। এরপর তারা স্কুলছাত্রীর পরিবারকে বিষয়টি জানান। পরে স্কুলছাত্রী তার পরিবারকে জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ স্কুল ছুটির পর বাড়িতে ফেরার পথে বিভিন্ন সময়ে জালাল তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ও হুমকি-ধামকি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে এবং ঘটনাটি কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে। এরপর ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় রাণীনগর থানায় জালালের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত জালাল শেখের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। এ বিষয়ে রাণীনগর থানার ওসি মো. আবু ওবায়েদ বলেন, প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় চা ব্যবসায়ী জালালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৭:২৫

প্রেমে রাজি না হওয়ায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণ, অতঃপর... 
রংপুর থেকে অপহরণের শিকার এক স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এ সময় দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ভোরে যশোরের ঝিকরগাছা থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার দুজন হলেন- রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ ইউনিয়নের বানুপাড়া এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে শাহাজাহান ওরফে সানি (২০) ও শাহিন মিয়া (২৮)। মামলা সূত্রে জানা যায় গেছে, হারাগাছ ইউনিয়নের অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল গ্রামার স্কুলে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে অপহরণ করেন শাহাজাহান ওরফে সানি ও তার ভাই শাহিন মিয়া। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে ৩ মার্চ হারাগাছ থানায় মামলা করেন স্কুলছাত্রীর বাবা। পরে এ মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্প। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোরে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গোলবাকপুর এলাকা থেকে সানি ও শাহিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের জিম্মায় থাকা ভিকটিমকেও উদ্ধার করা হয়। ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বরাতে র‌্যাব জানায়, স্কুলে যাওয়া আসার পথে সানি প্রায়ই তাকে উত্ত্যক্ত করতেন এবং প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে অপহরণ করে নানাবাড়িতে আটকে রাখেন। র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩৯

এবার স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে বিয়ে করলেন ৭৭ বছরের আ. লীগ নেতা
স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে ৭৭ বছর বয়সী এক আওয়ামী লীগ নেতা এবং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা। অভিযুক্ত ব্যক্তি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও মুশুদ্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হযরত আলী (৭৭)। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ও নবম শ্রেণির ছাত্রী ওই কিশোরীর (১৪) পরিবার একই ইউনিয়নের। তারা দরিদ্র হওয়ার সুবাদে ওই বাড়িতে বিভিন্ন সহযোগিতার কথা বলে যাওয়া-আসা করতেন হযরত আলী। এভাবে চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরিবারটির সম্পর্ক ভালো ছিল। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান চলাকালে কৌশলে স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে যান হযরত আলী। পরে এক সপ্তাহেও তাকে কোথাও না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ে ভুক্তভোগী পরিবার। ঘটনাটি এলাকাতে জানাজানি হলে হযরত আলীর বিচার চেয়ে স্কুলছাত্রীর পরিবার ২০ ফেব্রুয়ারি ধনবাড়ী থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করে। স্থানীয়রা জানান, হযরত আলীর প্রথম স্ত্রী রয়েছে। নাতি বয়সী কিশোরীকে বিয়ে করার বিষয়টি এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে। চেয়ারম্যান (সাবেক) ওই কিশোরীকে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বয়স এফিডেভিট করে বিয়ে করেছেন। ওই কিশোরীর বাবা বলেন, ‘আমরা গরিব হওয়ায় সহযোগিতার কথা বলে হযরত আমাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করত। তাকে সরল মনে বিশ্বাস করেছি। সে মেয়েকে তুলে নিয়ে জোর করে বিয়ে করেছে মেনে নিতে পারছি না। এখন অভিযোগ তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে।’ এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত হযরত আলীর ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। ধনবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি ফৌজদারি না হওয়ায় থানায় মামলা নেওয়া যায়নি। তবে ভুক্তভোগী পরিবার যদি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা করে, তাহলে তাদের সর্বোচ্চ আইনি সহযোগিতা দেওয়া হবে।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৭

হাতিয়ায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১।   শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতের দিকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন দুপুরের দিকে র‍্যাব-১১ সিপিসি-৩ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার মো.গোলাম মোর্শেদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।   গ্রেপ্তার আবদুল মান্নান (৩২) হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নের ভূঁইয়ারচর গ্রামের হাজী মোস্তাফার বাড়ির করিমুল মোস্তফার ছেলে।   বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভিকটিম একজন স্কুল ছাত্রী। ভিকটিমের বাবা এবং ভাই পার্শ্ববর্তী জেলায় কাজকর্ম করায় ওই স্কুল ছাত্রী তার মায়ের সঙ্গে বাড়িতে বসবাস করত। আসামি মান্নান তাদের প্রতিবেশী হয়। ভিকটিম স্কুলে যাওয়া-আসার পথে প্রতিনিয়ত সে উত্ত্যক্ত এবং প্রেম নিবেদন করত।  বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ভিকটিম তার বসত ঘরের বাইরে বের হন। ওই সময় মান্নান ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে টেনে হিঁচড়ে ভিকটিমের ঘরের পাশে থাকা পুকুর পাড়ে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগীর শোরচিৎকারে তার মা এগিয়ে আসলে আসামি পালিয়ে যায়। এ ঘটনার ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাতিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।    
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৮

বিয়ের প্রস্তাব দিতে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ, যুবকের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
ফরিদপুরে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের দায়ে রমজান মিয়া (৩১) নামে এক যুবককে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন। রায় প্রদানের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় প্রদানের পর তাকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত যুবক রমজান মিয়া রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার সাংগুড়া এলাকার বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি (পিপি) স্বপন কুমার পাল। তিনি জানান, ২০০০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় এ রায় প্রদান করা হয়েছে। এই মামলার অন্য দুই আসামি সুমন শিকদার (৩১) ও জাকির মিয়ার(৫১) অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছেন। এই রায়ের ফলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে এবং দেশে আইনের শাসনের পথ সুগম হবে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের শুরু থেকেই রমজান মধুখালির গাজনা ইউনিয়নের একটি গ্রামের দশম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না পেয়ে একই বছর ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে তার কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে একটি কালো মাইক্রোবাসে করে ওই কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর ওই কিশোরীকে রমজান তার এক আত্মীয়ের বাড়ি নিয়ে গিয়ে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু রমজানের সেই আত্মীয় ওই কিশোরীকে বাড়ি ফিরিয়ে দিতে বলে। পরে রমজান ওই দিনই কিশোরীটিকে মধুখালি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে রেখে চলে যায়। পরে মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে সব ঘটনা পরিবারের লোকজনকে খুলে বলার পর তার বাবা (৫০) বাদী হয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর রমজানসহ তার কয়েকজন সঙ্গীর নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মধুখালি থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলাটি তদন্ত করে মধুখালি থানা পুলিশের উপপরিদর্শক এস এম রিয়াদুজ্জামান ২০১৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:২৮

নাটোরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, টিকটকার গ্রেপ্তার
নাটোরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে এক টিকটকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীকেও উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাজশাহীর বাঘা উপজলার গোচর গ্রাম থকে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, মঙ্গলবার স্কুলে যাওয়ার সময় নিরব ও তার এক সহযোগী ওই স্কুলছাত্রীকে মোটরসাইকেলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নিরব ও তার সহযোগী পারভেজকে অভিযুক্ত করে নাটোর থানায় মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তার নিরব নাটোর শহররে উত্তর বড়গাছা মহল্লার বাসিন্দা। সে টিকটক করার জন্য এলাকায় টিকটক নিরব নামেই পরিচিত। মামলায় স্কুল ছাত্রীর বাবা বলেন, মঙ্গলবার স্কুলে যাওয়ার পথে নিরব ও তার সহযোগী পারভেজ ওই স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। মামলা দায়েরের পর পুলিশ গোচর গ্রামে অভিযান চালিয়ে অসুস্থ অবস্থায় স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে। নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলনে, অপর অভিযুক্ত পারভেজকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫১

কালিয়াকৈরে বিয়ের প্রলোভনে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে হিমেল নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। রোববার রাতে উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের মনতলা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি করেছেন ওই স্কুলছাত্রী ও তার বাবা। এ ঘটনায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মীমাংসার আশ্বাস দিয়েও কোনো সমাধান করতে না পারায় ওই স্কুলছাত্রীর বাবা শাহীন হোসেন বাদী হয়ে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী পাবরিয়াচালা এম এম পি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী।  অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের মনতলা গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে হিমেল বেশ কিছু দিন যাবৎ ওই স্কুলছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করে আসছিল। একপর্যায়ে ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বেশ কিছুদিন বিয়ের কথা বলে হিমেল ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে নিয়া যায়। তবে রোববার বিকেলে ওই স্কুলছাত্রীকে বিয়ের কথা বলে হিমেল ঘুরতে নিয়ে পাবুরিয়াচালা কামারের উত্তর পাশের জঙ্গলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর হিমেল ওই স্কুলছাত্রীকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে ওই স্কুলছাত্রী বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনকে সবকিছু খুলে বলে। এতে ওই ছাত্রীর বাবা বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিকট জানালে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। মীমাংসার চেষ্টা ব্যর্থ হলে বুধবার বিকেলে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা শাহিন হোসেন বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন জানান, মেয়ের বক্তব্য ও ছেলের বক্তব্য শোনা হয়েছে। মীমাংসার স্বার্থে উভয়পক্ষকে নিয়ে বসা হয়েছিল। ছেলের পক্ষ থেকে জরিমানা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল কিন্তু মেয়ের বাবা এতে রাজি হননি। কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম জানান, ধর্ষণের বিষয়ে কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:৫১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়