• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মারা গেছেন মিমকে সোনার ব্রেসলেট উপহার দেওয়া সেই ভক্ত
গেল বছর মুক্তি পায় বিদ্যা সিনহা মিম ও সিয়াম অভিনীত সিনেমা ‘অন্তর্জাল’। এটি নির্মাণ করেছিলেন দীপংকর দীপন। মুক্তির পর দারুণ সাড়া ফেলে সিনেমাটি। তবে এই সিনেমা মুক্তির পর প্রেক্ষাগৃহে মিমের সঙ্গে ঘটে যায় এক অভাবনীয় ঘটনা। সিনেমাটি হলে দেখতে এসে মিমকে সোনার ব্রেসলেট উপহার দেন তার ভক্ত চিকিৎসক নাজিয়া যাবিন।     সেই ঘটনার বছর না গড়াতেই জানা গেল না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন মিমের সেই ভক্ত। বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্তদের মৃত্যুর খবরটি জানান অভিনেত্রী নিজেই। এদিন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে নাজিয়ার সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করে আবেগঘন পোস্ট দেন মিম।   পাঠকদের সুবিধার জন্য মিমের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো—   ‘আজ (বুধবার) আমি এমন এক মানুষের ব্যাপারে কথা বলছি যাকে আমি চিনেছি খুব অল্প সময়ের জন্য। কিন্তু এই অল্প সময়ে উনি আমার খুব কাছের একজন হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাকে আরও ভালো করে জানার আগেই তিনি চলে গেলেন আমাদের সবাইকে ছেড়ে। ডক্টর নাজিয়া আমার এত বছরের ক্যারিয়ারে যদি সত্যিকারের স্পেশাল একজন ভক্ত পেয়ে থাকি, তবে সেটা ছিলেন উনি। আমার এই পর্যন্ত মুক্তি পাওয়া সকল সিনেমার ফার্স্ট শো তিনি দেখতেন!  গত বছর ‘অন্তর্জাল’ যখন মুক্তি পায় তিনি তখন জানতে পরেন আমি ওইদিন আসব। আমার অপেক্ষায় উনি সারাদিন ওখানে বসে ছিলেন। যাওয়ার পর আমাকে দেখেই তিনি এত খুশি হয়েছিলেন। আমাকে তখনই একটা ব্রেসলেট দেন। আমি নিজেই খুব অবাক হই যে আমাকেও কেউ কখনও না জেনে না দেখে এতটা পছন্দ করতে পারে। আমি আজকেও তার দেওয়া সেই ব্রেসলেট পরেছিলাম।  আজ কী মনে করে যেন আপুর প্রোফাইলে গিয়ে দেখি আপুর কাছের মানুষ লিখছেন আপু আর নেই। প্রথমে আসলেই মানতে পারিনি। আপুকে অনেকবার ফোন করলাম এই আশায় যে তিনি ধরে বলবেন সব ঠিক আছে আর আমি ভুল দেখছি। আমার ভুল ভেঙেছে এবং ওটাই সত্যি যেটা মেনে নিতে আমার কষ্ট হচ্ছে। আপু আর নেই আমাদের মাঝে। জীবনটা আসলেই অনেক অনিশ্চিত। কাল রাত থেকে মন খুব খারাপ। নাজিয়ার সঙ্গে আমার খুব অল্প সময়ের পরিচয়, কিন্তু যেইটুকু সময় তাকে জেনেছি সেই সময়টুকু খুব সুন্দর কেটেছে। আপুর জন্য সবাই দোয়া করবেন।’ প্রসঙ্গত, বারডেম হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন নাজিয়া যাবিন। চলতি রমজানেই ইফতারের আগে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। 
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪০

বাপ্পি লাহিড়ীর ব্যবহৃত সোনার মালিকানা এখন কার কাছে?
ভারতের আশির দশকের জনপ্রিয় গায়ক বাপ্পি লাহিড়ী। ক্যারিয়ারে অসংখ্য হিট গান শ্রোতা-দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। শুধু গান নয়, তার ফ্যাশনের জন্যও বেশ জনপ্রিয় ছিলেন এই সঙ্গীতশিল্পী। ২০২২ সালে স্লিপ অ্যাপনিয়ায় মারা যান বাপ্পি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।    ভারতে ‘গোল্ড ম্যান’ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন বাপ্পি। সোনার গয়নার প্রতি ভীষণ ঝোঁক ছিল তার। হাতে চওড়া ব্রেসলেট, গলায় নানান মাপের সোনার গয়না পরে থাকতেন তিনি। তবে বাপ্পির মৃত্যুর পর সেই সব গয়না কোথায় রাখা আছে? বদলে গিয়েছে কি এর মালিকানা? এমন প্রশ্ন রীতিমতো রহস্যের জট বেঁধেছে তার ভক্তদের মনে।    ভারতীয় গণমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, ২০১৪ সালেই এক এফিডেবিট করে গিয়েছিলেন বাপ্পি। সেখানে উল্লেখ ছিল, তার কাছে মোট ৭৫৪ গ্রাম স্বর্ণ রয়েছে। সেসময় যার বাজারমূল্য ছিল ভারতীয় মুদ্রায় ৩৮ লাখ ৭১ হাজার ৭৯০ টাকা। পাশাপাশি লেখা ছিল— বাপ্পির মৃত্যুর পর তার যাবতীয় সোনার গয়নার দায়িত্ব পাবেন গায়কের ছেলে বাপ্পা ও মেয়ে রিমা।  জানা গেছে, বাপ্পির মৃত্যুর পর তার ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়ে রিমা ও বাপ্পার কাছেই সেই সোনার গয়নাগুলো গচ্ছিত রাখা আছে। তবে সেগুলো খুবই যত্নসহকারে নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছেন তারা। বিক্রি করেননি দুই ছেলেমেয়ের কেউই। মূলত স্মৃতি হিসেবে সেটা পরিবারের কাছে গচ্ছিত রয়েছে। মৃত্যুর আগে এক সাক্ষাৎকারে বাপ্পি জানিয়েছিলেন, গোল্ড ইজ মাই গড! আমি ছিলাম প্রেসলির বড় ভক্ত। আমি সবসময় ভাবতাম আমি যদি কখনও সাফল্য পাই, তাহলে আমি নিজের ইমেজ আলাদাভাবে তৈরি করব। ভগবানের আশীর্বাদে সোনা দিয়ে সেটা করতে পেরেছি। অনেক লোকই ভাবেন আমি মানুষকে দেখানোর জন্য গয়না পরি। কিন্তু সেটা সত্যি নয়। আমি সোনা পড়তে ভালোবাসি। সূত্র : টিভি নাইন
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৪

সোনার বাংলা পিতলের বাংলায় পরিণত হয়েছে : মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আজকের সোনার বাংলা যে ডামি সোনার বাংলায় পরিণত হয়েছে এটা আমরা মেনে নিতে পারছি না। ডামি সোনার বাংলা কথাটি আমাদের নয়, যারা সরকার চালাচ্ছেন, তারাই এই শব্দটি ব্যবহার করেছেন। ডামি সোনার বাংলা হলো, আসল সোনার বদলে নকল সোনা। খুব সাধারণ বাংলায় বললে, সোনার বাংলা আজ পিতলের বাংলায় পরিণত হয়েছে। রোববার (৩ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) আয়োজিত ২ মার্চ ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, যদি তারা মনে করে, প্রশাসনের জোরে, বিচার বিভাগের জোরে, বুলেটের জোরে, পুলিশ বাহিনীর জোরে বা অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের জোরে জনগণের টুটি চেপে ধরে দেশের ক্ষমতায় চিরকালের জন্য আসীন হয়ে থাকবে, তাহলে তারা ভুল স্বপ্ন দেখছে। সেই স্বপ্ন তাদের ভেঙে যাবে। মঈন খান বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর আমরা পেরোতে চলেছি। এখনো মাঝে মাঝে সোনার বাংলার কথা শুনি। পতাকা থেকে সোনার বাংলা কথাটি এসেছে সেটা আমরা জানি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য প্রশ্ন করে বলেন, দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, এদেশের মানুষ আজ বুভুক্ষ। যে বাংলাদেশের জন্য লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে, আমরা তাদের কাছে কী জবাব দেবো? যে সোনার বাংলার কথা আওয়ামী লীগ সরকার বলে, তারা কী করে? এই বাংলাদেশের জন্য কী লাখ লাখ মানুষ বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল? ড. আব্দুল মঈন খান আরও বলেন, সরকার বলে তারা নাকি স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী। স্বাধীনতার চেতনা কি গণতন্ত্র ছিল না? আওয়ামী লীগকে সেই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। মুখে গণতন্ত্র, সোনার বাংলার কথা বলে, কার্যক্ষেত্রে এর উল্টোটা করে। আওয়ামী লীগ যদি মনে করে ক্ষমতার জোরে সবকিছু অস্বীকার করে যাবে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষ সেটা হতে দেবে না। তিনি আরও বলেন, সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে পারে। কিন্তু তারা বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা হারিয়েছে, মানুষ কর্তৃক প্রত্যাখিত হয়েছে। সরকারকে এই সত্য স্বীকার করতেই হবে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রবের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল পাটোয়ারির সঞ্চালণায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক প্রমুখ।
০৩ মার্চ ২০২৪, ২০:২৭

জানি না, কী সোনার হরিণের খোঁজে ভূমধ্যসাগরে ডুবে মরা : প্রধানমন্ত্রী 
অবৈধভাবে সাগরপথে ইউরোপে যাত্রা করতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরে বাংলাদেশি অভিবাসীদের ডুবে মরা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, জানি না, কী সোনার হরিণ খুঁজতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরে ডুবে মরা, এটা খুবই কষ্টকর। যারা অবৈধভাবে বিদেশে আসতে চায়, তাদের সচেতনতা করতে হবে। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জার্মানির মিউনিখে প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।  এসময় তিনি দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় সবার দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, কিছুলোক অনবরত বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করে। এটা যেন করতে না পারে, এ ব্যাপারে যথাযথভাবে সজাগ থাকতে হবে এবং ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রসঙ্গত, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি লিবিয়া উপকূল থেকে ৫২ জনের একদল অভিবাসী সাগরপথে ইউরোপ যাওয়ার সময় তিউনিসিয়া উপকূলে তাদের বহনকারী নৌকাতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী নৌকাটি থেকে ৯ অভিবাসীর মরদেহ এবং ৪৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। যে ৯ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে তারা সবাই বাংলাদেশি বলে ধারণা করছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। এদিকে মতবিনিময় সভায় প্রত্যেক প্রবাসীকে বাংলাদেশের একেকজন অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করতে হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিদেশে যারা কাজ করেন, তারা নিজেরা অংশীদার খুঁজতে পারেন, দেশে বিনিয়োগ করতে পারেন। দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হয়েছে, সেখানে বিনিয়োগ করতে পারেন।  একইসঙ্গে দেশের সমৃদ্ধির বিরুদ্ধে সব ধরনের ষড়যন্ত্রের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫-এর পর এবারই সবচেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনে কোথাও এতটুকু্ও খুঁত পাওয়া যায়নি। যদি মানুষের আস্থা-বিশ্বাস ভালোবাসা অর্জন করতে না পারতাম, তাহলে টানা চারবার নির্বাচিত হতে পারতাম না। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগেও বিএনপি খেলতে চেয়েছিল। এ খেলায় তাদেরকে উসকানি দেয় কিছু মুরুব্বি। কিন্তু এবার সফল হতে পারেনি। জনগণ স্বতঃস্ফুর্তভাবে ভোট দিয়েছে।  তিনি আরও বলেন, বিএনপি কী নির্বাচন করবে? ২০০৮ সালে পেয়েছিল ৩০টা সিট, ২০ দলের ৩০ সিট। এরপর থেকে এরা নির্বাচনবিমুখ। আওয়ামী লীগ নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়ে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবিলা করেই রাজনীতি করে, ভোটের মাধ্যমেই ক্ষমতায় এসেছে।     
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩০

ফিলিপাইনে সোনার খনির গ্রামে ধস, মৃত ৫
ফিলিপাইনে দাভাও দে ওরো প্রভিন্সে প্রবল বৃষ্টির ফলে ধস নেমেছে। এতে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের, নিখোঁজ রয়েছেন আরও ২৭ জন। উদ্ধারে সেনা নামানো হয়েছে। দক্ষিণ ফিলিপাইনে মাসারা বলে যে গ্রামে ধস নেমে এই কাণ্ড হয়েছে, গ্রামটি সোনার খনির গ্রাম বলে পরিচিত। বুধবার সেখানে এই ধস নামে। বিপর্যয় মোকাবিলার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৩১ জন আহত হয়েছেন। তার মধ্যে ১১ জনের আঘাত গুরুতর। মাসারা গ্রামে বহু বাড়ি ও দুইটি বাস কাদামাটির স্রোত ও পাথরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রচণ্ড বৃষ্টি হওয়ার ফলে এই ধস নামে। আঞ্চলিক বিপর্যয় মোকাবিলা কর্মকর্তা এডওয়ার্ড ম্যাকাপিলি বলেছেন, গত বৃহস্পতিবার বৃষ্টি থেমে যায়। রোদ ওঠে। তাই এরকমভাবে ধস নামবে, তা ভাবা যায়নি। উদ্ধারকাজে সাহায্য করার জন্য সেনা নামানো হয়েছে। তিনজন গুরুতর আহতকে চিকিৎসার প্রয়োজনে বিমানে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বুধবার সেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওই অঞ্চলে রাস্তা বলে আর কিছু নেই। সেলফোনের সিগন্যাল নেই। এখানে কাজ করাটা রীতিমতো চ্যালেঞ্জের।  মাসারা ও তার আশপাশের চারটি গ্রামের ২৮৫টি পরিবারকে উদ্ধার করে নিরাপদ এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে বন্যা ও ধসের জন্য এখানে ১৮ জন মারা গিয়েছিলেন বলে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থা জানিয়েছে।  
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০১

স্বর্ণের দামে আবারও রেকর্ড
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ হলো স্বর্ণের দাম। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি ভরিতে দাম বেড়েছে ১ হাজার ৪০০ টাকা। ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ১২ হাজার ৪৪০ টাকা। এতদিন যা ছিল ১ লাখ ১১ হাজার ৪১ টাকা। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির (বাজুস) স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটির বৈঠকে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম বাড়ায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে। এতে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১২ হাজার ৪৪০ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭ হাজার ৩০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯২ হাজার ২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার ভরি ৭৬ হাজার ৬৩২ টাকা। স্বর্ণের দাম বাড়া‌নো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রূপার দাম। এরআগে গত ২৩ ডিসেম্বর স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল বাজুস। যা ২৪ ডিসেম্বর কার্যকর হয়।
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪১

সোনার বাংলা গড়তে নৌকায় ভোট দিন : সোহেল তাজ 
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে এখনও অনেক কাজ বাকি। কাজগুলো সম্পন্ন করতে আগামী ৭ তারিখে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের পুত্র ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ (সোহেল তাজ)। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে কাপাসিয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে গাজীপুর ৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বড় বোন সিমিন হোসেন রিমির নির্বাচনী জনসভায় তিনি এ কথা বলেন। সোহেল তাজ বলেন, দুর্নীতি, অনিয়ম পিছনে ফেলে আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। যে জাতি নিজের অর্থ দিয়ে একটি দেশ স্বাধীন করতে পারে, সেই জাতি বীরের জাতি। আমাদের সামনে আরও কাজ রয়ে গেছে। কাজগুলো সম্পন্ন করতে আগামী ৭ তারিখে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে। আমি সেই ভোট চাইতে এসেছি। তাজউদ্দীন আহমদের পুত্র বলেন, আমার বোন সিমিন হোসেন রিমি তার মানবিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে, সে ভালো কাজ করেছে।  আমাদের ভিতরে অনেকে বিবেদ সৃষ্টি করতে চায়। মনে রাখবেন, নৌকা আমাদের প্রাণের মার্কা। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রিমিকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। রিমিকে নৌকা ভোট দিয়ে কাজ করার সুযোগ দেবেন।    তিনি বলেন, আমাদের সোনার বাংলার একটা স্বপ্ন ছিল। স্বপ্ন ছিল একটা মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না। একটি মানুষও না খেয়ে মারা যাবে না। এমন একটি সোনার সুন্দর দেশ, যে দেশে সবার শিক্ষার অধিকার থাকবে। যে দেশে মানুষ সুন্দর-শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। যে দেশে কোনো অনিয়ম থাকবে না, কোনো দুর্ণীতি থাকবে না। ন্যায়বিচার থাকবে, মানুষের সমান অধিকার থাকবে। ভোটারদের উদ্দেশে সোহেল তাজ বলেন, এখানে একটা কমন জিনিস হলো সবকিছুর মূলে আছে তাজউদ্দীন আহমদ। আপনারা নৌকায় ভোট দিয়েছিলেন তাজউদ্দীন আহমদকে। ভালোবাসার প্রতিফলন ঘটিয়েছিলেন বারবার নৌকায় ভোট দিয়ে। আজ বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আপনাদের মূল্যবান ভোটের কারণে সেদিন ইতিহাস সৃষ্টি করতে পেরেছিলাম।  গাজীপুর- ৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী এবং দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সিমিন হোসেন রিমি কাপাসিয়ার উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বলেন, কাপাসিয়া তাজউদ্দীন আহমদের পূণ্য ভূমি। আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক, উন্নয়নের প্রতীক, বঙ্গবন্ধুর প্রতীক, শেখ হাসিনার প্রতীক নৌকা। আমাকে নৌকায় ভোট দিয়ে আপনাদের পাশে রেখে কাজ করার সুযোগ দেবেন।  তিনি বলেন, ‘কাপাসিয়াকে মডেল উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। যেখানে মানুষের তথ্যের জন্য ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। যে যে ধরনের কাজে দ্ক্ষ, তাকে সে ধরনের কাজে যুক্ত করা হবে।  স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোটেক মাজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রিমির বোন মাহজাবিন আহমদ মিমি, উপজেলা চেয়ারম্যান আমানত হোসেন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান ও আজগর রশিদ খান, মিজানুর রহমান প্রধান বক্তব্য রাখেন।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:০১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়