• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সেহরিতে মসজিদের মাইকে অনবরত ডাকাডাকি, যা বললেন আহমাদুল্লাহ 
মহান রব্বুল আল-আমিনের অধিকতর নৈকট্য লাভের শ্রেষ্ঠ সময় ও পরকালীন পাথেয় অর্জনের অভাবনীয় মাস রমজান। ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা গভীর রাতে উঠে সেহরি খাওয়ার মধ্য দিয়ে রোজা পালন শুরু করেন। সেহরিতে পাড়ামহল্লার মসজিদের মাইকের ডাক মুসুল্লিদের ঘুম ভাঙাতে সাহায্য করে। তবে কারও কারও জন্য এই ডাক মারাত্মক বিরক্তিকরও। গভীর রাতে ঘণ্টাব্যাপী মসজিদের মাইকে ইসলামী সংগীত পরিবেশন, কিছুক্ষণ পরপর মুসুল্লিদের সতর্ক করা, সময় বলে দেওয়া প্রভৃতি শিশু, বৃদ্ধ, ঋতুবতী নারী, অসুস্থ ব্যক্তি কিংবা অমুসলিমদের জন্য মারাত্মক ঘুমের ব্যাঘাত। সামাজিকমাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক আলাপ-আলোচনাও হচ্ছে। এবার এ বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার শায়েখ আহমাদুল্লাহ। তার ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো—    ‘ভোররাতে সাহরির সময় মসজিদের মাইকে অতিরিক্ত ডাকাডাকি এবং গজল গাওয়ার প্রথা বন্ধ হওয়া উচিত।একটা সময় মানুষের প্রয়োজনেই হয়তো ডাকাডাকির এই প্রথা চালু হয়েছিল। কিন্তু এখন প্রতিটা বাড়িতেই ঘুম ভাঙানোর মতো দু-চারটা এলার্ম ঘড়িবিশিষ্ট মোবাইল ফোন আছে। এ সময়ে এসে ঘুম ভাঙানোর জন্য মাইকের মাত্রারিক্ত ডাকাডাকি নিষ্প্রয়োজন; বরং বিরক্তিকর।  কারণ, সাহরির ওই সময়টা তাহাজ্জুদ এবং দোয়া কবুলের সময়। ওই সময় মাইকের আওয়াজ ইবাদতকারীদের ইবাদতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। তাছাড়া ঋতুবতী নারী, অসুস্থ, শিশু এবং অমুসলিমদের ঘুমেরও ব্যাঘাত সৃষ্টি করে মাইকের আওয়াজ।  যেখানে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটিয়ে উচ্চস্বরে কোরআন তেলাওয়াত করতে নিষেধ করেছেন স্বয়ং রাসুল (সা.), সেখানে অনেক সময় ধরে মাইক বাজানো কতটা যুক্তিসঙ্গত এবং ইসলাম-সঙ্গত? হ্যাঁ, সাহরির শুরুতে এবং শেষে এক-দুবার ডেকে দেওয়া যায়। কিন্তু লাগাতার ডাকাডাকি, গজল, হামদ-নাত গাওয়া মোটেও কাম্য নয়। আমাদের এইসব কর্মকাণ্ডের জন্য অনেকে ইসলামের প্রতি বিতৃষ্ণ হয়ে যায়। অনেকে হয়তো আজানের কথা বলবেন— ফজরের আজানের কারণেও তো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। আসলে আজান এবং সাহরির ডাকাডাকি দুটো ভিন্ন জিনিস।  আজান ইসলামের শিআর। তাছাড়া আজান খুবই সংক্ষিপ্ত সময় নিয়ে হয় এবং ফজরের আজান গভীর রাতেও দেওয়া হয় না। এ কারণে দুটোকে এক করে দেখার সুযোগ নেই। ইসলাম পরিমিতিবোধের ধর্ম। ইসলামের এই পরিমিতিবোধ সমাজের সকল স্তরে প্রয়োগ হলে আমাদের জীবন সহজ এবং সাবলীল হবে।’
২৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫৩

সেহরিতে চেতনানাশক খাইয়ে সর্বস্ব লুট
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে একই পরিবারের ৩ সদস্যকে সেহরিতে চেতনানাশক মেশানো খাবার খাইয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ সর্বস্ব লুট করেছে চোর চক্র। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ভোররাতে উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের মতিরহাট এলাকার পাটোয়ারি বাড়িতে লুটপাটের এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই পরিবারের সদস্যদের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনরা। স্থানীয় ও স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার ভোর রাতে সেহরির খাবার খেয়ে অচেতন হয়ে ঘুমিয়ে পড়েন মন্নান পাটোয়ারির পরিবারের লোকজন। সকালে তাদের উঠতে দেরি দেখে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করেন। কিন্তু তারা সাড়া না দেওয়ায় প্রতিবেশীরা অসুস্থ অবস্থায় মান্নান পাটোয়ারি, তার স্ত্রী কহিনুর বেগম ও পুত্রবধূ শারমিন আক্তারকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা জানান, ঘরের আলমিরা ও অন্যান্য আসবাবপত্র তছনছ করে নগদ টাকা ও  স্বর্ণালঙ্কারসহ সবকিছু লুটপাট করা হয়েছে। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করায় এ ঘটনা ঘটেছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সবাই শঙ্কামুক্ত। কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
১২ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪০

তারাবিহ ও সেহরিতে লোডশেডিং হবে না : প্রধানমন্ত্রী
রমজানে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, তারাবিহ ও সেহরিতে লোডশেডিং হবে না। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসন্ন রমজানে তারাবিহ ও সেহরির সময় লোডশেডিং হবে না। তবুও যদি সংকট হয়, তবে দিনের কোনো একটা নির্দিষ্ট সময়ে লোডশেডিং করা হতে পারে। বাজার পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার কাজ করছে। আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য নিয়ন্ত্রণসহ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। রমজানে বিভিন্ন পণ্যের শুল্কছাড়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর খুব শিগগিরই মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে আসবে। তিনি বলেন, রমজান তো কৃচ্ছ্রসাধনের মাস। কিন্তু আমাদের এখানে যেন সংযম না করে খাওয়া বেড়ে যায়। মিতব্যয়ী হলে দেখবেন, বাজারে কিছু পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে।   সরকারপ্রধান জানান, আগামী রোজায় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার অভিপ্রায়ে নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত জোগানের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যতম নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু পণ্য সরবরাহের জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর বাইরেও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দৈনিকভিত্তিতে কৃষিপণ্যের বাজারদর প্রকাশ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কারও গুজবে কান দেবেন না কেউ। সবাই সতর্ক থাকলে- যারা গুজব ছড়াচ্ছে, তারা খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না। কেউ যাতে মানুষের খাদ্য নিয়ে খেলতে না পারে, সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। 
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:৪৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়