• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঘুঘুর চোখ সেলাই করে ফাঁদ পেতে পাখি শিকার
বাগেরহাটে ঘুঘুর চোখ সেলাই ও আঠা দিয়ে দৃষ্টিহীন করে পাখি শিকার করছে একটি চক্র। বুধবার (৩ এপ্রিল) বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের বকুলতলা গ্রামের একটি মাঠে ঘুঘু ধরার ফাঁদ পেতেছিল শিকারি চক্র। খবর পেয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা ওই ঘুঘু দুটিকে উদ্ধার করেছে। তবে পালিয়ে গেছে অসাধু শিকারিরা।  স্থানীয়রা জানান, প্রথমে চিকন সুতা দিয়ে সেলাই করা হয় ঘুঘুর চোখ। তার ওপর আঠা দিয়ে আটকানো হয়। এভাবে ঘুঘুর দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি কেড়ে নেওয়া হয়। দৃষ্টিহীন ঘুঘুকে বিশেষ পদ্ধতিতে বেঁধে জাল দিয়ে প্রকৃতিতে থাকা ঘুঘুসহ অন্য পাখি শিকার করেন অসাধু শিকারিরা।  শরণখোলা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি শেখ নাজমুল ইসলাম বলেন, কিছু শিকারি ঘুঘুর দুচোখ আটকে ও দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে জালের ফাঁদ পেতেছে এমন খবর পাই। স্থানীয় কয়েকজন তরুণকে নিয়ে আমাদের সদস্য শাহিন হাওলাদার ঘটনাস্থলে পৌঁছালে শিকারি চক্রটি ঘুঘু দুটিকে রেখে পালিয়ে যায়।  নাজমুল ইসলাম বলেন, মূলত গ্রামের মাঠে ওই দুটি ঘুঘুকে আটকে রাখা হয়েছিল অন্য পাখি ধরতে। সেখানে এই ঘুঘু দুটিকে দেখে ঘুঘু বা অন্য পাখি এলে জালে আটকা পড়তো। বাঁশ বা লম্বা লাঠি মাথায় বেঁধেও এভাবে পাখি দিয়ে পাখি ধরা হয়। আমরা পাখি দুটিকে উদ্ধারের পর চিকিৎসা দিয়ে অবমুক্ত করেছি। বিষয়টি বনবিভাগকেও অবগত করা হয়েছে।  সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, পাখিসহ বন্যপ্রাণী রক্ষায় স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। ভিটিআরটি দলসহ বন্যপ্রাণী রক্ষা স্থানীয়ভাবে কাজ করা ব্যক্তিরা এ ধরনের বিষয়ে আমাদের জানায়। আমরা সঙ্গে সঙ্গেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিই। এরপর থেকে এ বিষয়ে খেয়াল রাখা হবে।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৮

ব্যায়াম করতে গিয়ে ফাটল কপাল, চার সেলাই নিয়ে ফিরলেন মমতা
ব্যায়াম করতে গিয়ে পড়ে গিয়ে গুরুতর চোট পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যার এ ঘটনায় কপাল ফেটে বেশ রক্তক্ষরণ হয়েছে তার। অবশ্য চিকিৎসা শেষে রাতেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান। তবে, কপালে চারটি সেলাই পড়েছে তার।  তৃণমূল কংগ্রেসের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।  প্রতিবেদনে বলা হয়, কলকাতার কালীঘাটের বাসভবনে ট্রেডমিলে ব্যায়াম করছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ সময় হঠাৎ পড়ে গিয়ে কপালে গুরুতর আঘাত পান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার পিজি হাসপাতালে। আহত হলে তাকে  নেওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে রাতেই হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে ফেরেন তিনি। তবে তাঁকে বাসায় বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতালে উড বার্ন ওয়ার্ডের সাড়ে ১২ নম্বর কেবিনে ভর্তি হন মমতা। গঠন করা হয় ৮ চিকিৎসকের মেডিকেল বোর্ড। আঘাতের গুরুত্ব বিবেচনা করে তার কপালে চারটি সেলাই করেন চিকিৎসকরা। এরপর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মাথায় ব্যান্ডেজ অবস্থায় হুইল চেয়ারে করে পিজি হাসপাতাল থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালে। সেখানে সিটি স্ক্যান করা হয় মমতার।  এরপর সেখান থেকে রাতেই তিনি নিজের গাড়িতে করে ফিরে আসেন কালীঘাটের বাড়িতে। ওই গাড়িতেই ছিলেন ভাতিজা অভিষেক ব্যানার্জি এবং ভাতৃবধু কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক ব্যানার্জি জানিয়েছেন, আপাতত বাড়িতেই থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী এবং সেখানে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকবেন তিনি।  মমতার আঘাত পাওয়ার খবরে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে। হাসপাতালে ছুটে যান রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনসহ তৃণমূলের নেতারা।  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্রুত আরোগ্য কামনায় বার্তা পাঠিয়েছেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। এ ছাড়া বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মগুমদার, কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীসহ তৃণমূল নেতা-কর্মী থেকে কলকাতার বিশিষ্টজনেরা তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
১৫ মার্চ ২০২৪, ০২:৪৭

সেই গুনাথিলাকার ২২ সেলাই
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন লঙ্কান ব্যাটার দানুশকা গুনাথিলাকা। টাইগার পেসার আল-আমিনের বল বুঝে ওঠার আগেই সজোরে হাঁকাতে চেয়েছিলেন তিনি। পরে ইনসাইড এজে হেলমেটে লাগে বল। দেখা যায়, তার গাল থেকে রক্ত বের হচ্ছিল। ফলে খেলার মতো অবস্থায় না থাকায় মাঠ ছাড়েন তিনি। এরপর এই ব্যাটারকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা শেষে গুনাথিলাকা ফিরে এসেছেন ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে। ততক্ষণে অবশ্য চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে ৬ উইকেটে হেরে গেছে তার দল।   গুনাথিলাকার অবস্থা কেমন? জানতে চাইলে দুর্দান্ত ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত জানান, ওর আপডেট এখন ভালো। মাঠে ব্যাক করেছে। সেলাই লেগেছে ২০-২২ টার মতো।  দুর্দান্ত ঢাকার পরের ম্যাচ আগামী ২৭ জানুয়ারি। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে তাদের মাঠে লড়বে ঢাকা। এ ম্যাচে কি গুনাথিলাকাকে পাওয়া যাবে? উত্তরে মোসাদ্দেক বলেন, এখন তো দেখলাম যে ভালো ওর অবস্থা। কথা বলতেছে। আশা করা যায় আগামী ম্যাচ থেকে খেলবে। 
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:২০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়