• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
পঞ্চগড়ে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত, তাপমাত্রা ৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সূর্যের দেখা মিললেও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে পঞ্চগড়ে। ঘন কুয়াশার দাপটে এখনও দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন উত্তরের এ জনপদের বাসিন্দারা। গত ২৩ জানুয়ারি থেকে টানা এক সপ্তাহ ধরে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ।  মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সোমবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ। তিনি বলেন, তিনদিন ধরে ভোরেই কুয়াশা ভেদ করে দেখা মিলছে সূর্যের। তবে গতকালের চেয়ে আজ সামান্যতম তাপমাত্রা বেড়েছে। এখন তীব্র থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ অঞ্চলে। এদিকে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান বন্ধ থাকলে সকাল ৭টা থেকেই স্কুল, কোচিং, প্রাইভেটে যেতে দেখা গেছে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের। পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রোদ ঝলমলে সকাল হলেও হিম বাতাসে ঝরে শীতের পারদ। শীতের তীব্রতায় জর্জরিত শিশু ও বৃদ্ধরা। দুর্ভোগে পড়েছে বিভিন্ন গৃহপালিত ও বন্য প্রাণীরাও। লাগাতার শীতের কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষদের। কাজকর্ম কমে যাওয়ায় দিন কাটছে অভাব-অনটনের ভেতর। প্রয়োজনের বাইরে শহরের অভিজাত মানুষজন ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষদের শীত উপেক্ষা করেই কাজে যেতে হচ্ছে।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৯

তেঁতুলিয়ায় ১০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড
শীতপ্রধান জেলা পঞ্চগড়ে সূর্যের দেখা নেই অনেক দিন হলো।  সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে অল্প সময়ের জন্য রোদের দেখা মিললেও উত্তাপ ছড়ানোর আগে আবারও কুয়াশায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। সকাল ৯ টায় জেলায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। রোববার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি। দিনের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৮ দশমিক ১ ডিগ্রি।  তবে হাড় কাঁপানো শীতে দুর্ভোগ বেড়েছে দুঃস্থ, ছিন্নমূল আর খেটে খাওয়া মানুষের। এদের অনেকেই শীতের কারণে কাজে যোগ দিতে পারছেন না।  শীত নিয়ে তেঁতুলিয়ার ইজিবাইক চালক শিমুল বিশ্বাস বলেন, তীব্র শীতে কাজে বের হতে কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু শীতের জন্য রাতে ঘুমাতে অনেক কষ্ট হয়। এ দিকে জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, শীতপ্রবণ জেলা হিসেবে প্রতি বছর পঞ্চগড়ে সরকারি-বেসরকারিভাবে পর্যাপ্ত কম্বল বিতরণ করা হয়। এবারও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। তবে এবারে শীতের শুরু নির্বাচনকালীন হওয়ায় পাঁচ উপজেলার ইউএনও এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ইতিমধ্যে প্রাপ্ত শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, বেসরকারিভাবেও বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রত্যন্ত এলাকায় শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। সরকারিভাবে আরও কম্বলের চাহিদা রয়েছে। এজন্য আরও শীতবস্ত্র চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। নতুন করে কম্বল বা শীতবস্ত্র পাওয়া গেলে দ্রুত বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৪

দিনাজপুরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস
হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে উত্তরের জনপদ দিনাজপুরের মানুষ। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় দিন দিন বাড়ছে শীতের প্রকোপ। ঘন কুয়াশাতে দিনের বেলায়ও যানবাহনকে লাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় দিনাজপুরে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।  এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৫ ভাগ। চলতি বছরে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, রোববার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৬ ভাগ। দিনের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় রাস্তায় কমেছে মানুষের চলাচল। উষ্ণতার আশায় কেউ বা আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করে নিচ্ছেন আবার কেউ ভিড় জমাচ্ছেন চায়ের দোকানে।  দূরপাল্লার গাড়িগুলো চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। দিনের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায়, বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্নআয়ের মানুষ। 
০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়