• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বনানীতে চালু হলো চীনা ভিসা সেন্টার
রাজধানীর বনানীতে ভিসা আবেদন ও সেবা কেন্দ্র চালু করেছে চীন। ভিসা আবেদন জমা দিতে এখন আর বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের যেতে হবে না দূতাবাসে। তবে, কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের ভিসার আবেদন দূতাবাসে গিয়েই করতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।  এসময় তিনি বলেন, নানা কারণে চীন ভ্রমণে বাংলাদেশি নাগরিকদের আগ্রহ বেড়েছে। তাই ভিসা আবেদন ও সেবা কার্যক্রম সহজ করতে এই ভিসা সেন্টার চালু করা হয়েছে। ভিসা আবেদন, ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স, মেডিকেল চেকআপ সংক্রান্ত সকল তথ্য চীনা ভিসা সেন্টার থেকে জানা যাবে। এ ছাড়া নতুন ভিসা সেন্টারের কারণে বাংলাদেশিদের ভিসা প্রক্রিয়া আরও সহজ ও দ্রুত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন চীনের রাষ্ট্রদূত। আগামী ২১ এপ্রিল থেকে পুরোদমে চালু হবে ভিসা প্রসেসিং সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম। সপ্তাহে রবি থেকে বৃহস্পতিবার টানা পাঁচদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত চলবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়) তৌফিক হাসান বলেন, চীনের এই নতুন স্মার্ট ভিসা সেন্টারের মাধ্যমে চীনা ভিসা আরও সহজ হবে। ভিসা সহজ হলে দুই দেশের জনগণের সম্পর্ক আরও বাড়বে। চীনা ভিসা সেন্টারের ঠিকানা—প্রাসাদ ট্রেড সেন্টার (৩য় তলা), ৬ কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ, বনানী, ঢাকা। টেলিফোনে যোগাযোগ নম্বর- 022 2660 3261 ও 022 2660 3262.
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০১

‘রাঙ্গামাটিতে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আইটি ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণ হবে’
রাঙ্গামাটির তরুণদের স্মার্ট কর্মসংস্থানের জন্য ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।  শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে জেলার প্রধান ডাকঘর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।  তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটি পোস্ট অফিসকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তর করা হবে। যেখান থেকে একজন নাগরিক ৩২৫ ধরণের সরকারি সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। আগামী মে মাসের মধ্যে রাঙামাটি প্রধান ডাকঘরে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের ভিত্তিতে স্মার্ট পয়েন্ট সার্ভিস স্থাপন করা হবে।  তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে পার্বত্য জেলা রাঙামাটির যে পরিবর্তন হয়েছে তা অভাবনীয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ইচ্ছার ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে।  এর আগে প্রতিমন্ত্রী রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সেকেন্ডারি গ্রাউন্ড স্টেশন ও রাঙামাটি বিটিসিএল কার্যালয় পরিদর্শন করেন।  এসময় উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ সহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১০

বিদ্যালয়ের নিচতলায় রেস্টুরেন্ট, দোতলায় কমিউনিটি সেন্টার
বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই এটি একটি স্কুল ভবন। খাবারের দোকান বা মার্কেট বলাটাই ঠিক হবে। রেস্টুরেন্টের চকচকে এক সাইনবোর্ড লাগানো আছে ভবনের গায়ে। নাম ভোজন বিলাস। যেটি ভবনের পরিচয় তুলে ধরছে। আর ভবনের দোতলা বরাদ্দ কমিউনিটি সেন্টারের জন্যে। এটিও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ভাড়া দেওয়ার জন্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের রওশন আরা জলিল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের চার তলা একটি ভবনের নিচতলা ও দোতলার এই হচ্ছে বাণিজ্যিক ব্যবহারের চিত্র।  এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা একটি চিঠি দিলেও সেটি আমলে নেয়নি বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। আশুগঞ্জ সোনারামপুর মৌজার ১৯০ দাগের ৯০ শতক খাস জমিতে ১৯৮৩ সালে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের ওই জায়গাতে একটি পেট্রোল পাম্পও রয়েছে। বিদ্যালয়টির বর্তমান ছাত্রীসংখ্যা প্রায় ১৫শ’।  খোঁজখবরে জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ৬ লেন সম্প্রসারণ কাজের জন্যে বিদ্যালয়ের সামনের দিকে জায়গা ছেড়ে দিতে হয় এবং সেখানে থাকা পুরনো স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়। এজন্যে আনুমানিক ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণও পেয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপরই নতুন করে ৪ ও ৫ তলা দুটি নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়। নতুন নির্মিত ৪ তলা ভবনের অবস্থান ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বর্ধিত অংশের পাশেই।  সম্প্রতি ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হলে এর বাণিজ্যিক ব্যবহার দৃশ্যমান হয়। ভবনের নিচতলায় দুই সাটার বিশিষ্ট ১১টি দোকান করা হয়েছে। এরমধ্যে ৯টি দোকানের জায়গা নিয়ে রেস্টুরেন্ট ভোজন বিলাস করা হয়েছে। যার একদিকে রয়েছে চাইনিজ, অন্যদিকে বাংলা খাবারের ব্যবস্থা। মাসিক ১ লাখ ১৪ হাজার টাকায় এই রেস্টুরেন্টের জায়গাটি ভাড়া নিয়েছেন স্থানীয় আলমনগরের মোস্তাফিজুর রহমান।  আর অন্য দুটি দোকান থাইগ্লাস ও টাইলস ব্যবসায়ীদের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। ভবনের দো’তলাও কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে ভাড়া দেয়ার উপযোগী করে নির্মাণ করা হয়েছে। যদিও এটি মিলনায়তন হিসেবে ব্যবহারের জন্যে রাখা হয়েছে বলে বলা হচ্ছে। কিন্তু বিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে এটি কমিউনিটি সেন্টারের জন্যে ভাড়া দেওয়া হবে। সেজন্যে সামনের দিক দিয়ে সিঁড়ি নামানো হবে। বিদ্যালয়ের ভেতর দিক থেকে ভবনে ওঠা এবং মিলনায়তনে যাওয়ার জন্যে একেবারে পশ্চিমপ্রান্তে আপাতত একটি সিঁড়ি রাখা হয়েছে। এরপাশে বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢোকার গেট করা হয়েছে। যা আগে সম্মুখভাগে ছিল।  নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর পিতা বলেন, দেশের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই সড়ক-মহাসড়কের পাশে। কিন্তু এভাবে বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার হতে দেখিনি। তাও আবার গালর্স স্কুলে। আমরা শুনেছি কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে দোতলা ভাড়া দেওয়া হবে। তাহলে ছাত্রীদের প্রাইভেসির কী হবে।  বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল আজাদ নিজস্ব অর্থায়নে দুটি ভবনের নির্মাণ কাজ হয়েছে জানালেও বাকি বিষয়ে কথা বলেননি। একটি অনুষ্ঠানে আছেন বলে ফোন রেখে দেন।  বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য মো. সেলিম রেজা এ বিষয়ে সাক্ষাতে কথা বলবেল বলে জানান।  উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শওকত আকবর খান জানান, কোনো স্কুল ভবনে বাণিজ্যিক কোনো কিছু করা যাবে না বলে সরকারের নির্দেশনা রয়েছে। সেই আলোকে আমি তাদেরকে এ ব্যাপারে ৫-৬ মাস আগে চিঠি দিয়েছি। তারা চিঠির রেসপন্স করেনি।  
২৪ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৬

ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও চিকিৎসালয়কে ৭ লাখ টাকা জরিমানা
গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জে বিভিন্ন অপরাধের দায়ে পাঁচ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও একটি চিকিৎসালয়কে ৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসান এ জরিমানা করেছেন। রোববার (৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টায় র‌্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাহফুজুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। বেলা ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কালীগঞ্জ উপজেলার উলুখোলা বাজার, পেট্টোবাংলা রোড, শহীদ ময়েজ উদ্দিন রোড, বালিগাঁও পূর্বাচল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, উলুখোলা মডার্ন ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, নুরজাহান হাড়ভাঙ্গা চিকিৎসালয়, কালীগঞ্জ নিউ আধুনিক হাসপাতাল, বিসমিল্লাহ ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ট্রমা জেনারেল হাসপাতাল এবং শাপলা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। র‌্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাহফুজুর রহমান জানান, পূর্বাচল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী সাবিকুর নাহারকে ২ লাখ টাকা, উলুখোলা মডার্ন ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারের স্বত্বাধিকারী শুভৎকর চন্দ্র দাসকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, নুরজাহান হাড়ভাঙ্গা চিকিৎসালয়ের স্বত্বাধিকারী সেলিম জাহানকে ১ লাখ টাকা , কালীগঞ্জ নিউ আধুনিক হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী আশরাফুল আলমকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, বিসমিল্লাহ ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ট্রমা জেনারেল হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী বাবলু কাজীকে ৫০ হাজার টাকা এবং শাপলা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী মাহাবুবুর রহমানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও আদায় করা হয়। তিনি জানান, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্লিনিকে অপচিকিৎসার ফলে বেশ কয়েকজন রোগীর মৃত্যু হয়। অসাধু ব্যক্তিদের সমন্বয়ে বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে চিকিৎসার নামে প্রতারণা, মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ রেজিস্ট্রেশন ব্যবহার করে ব্যবসা পরিচালনা করে অসুস্থ মানুষকে প্রতারিত করা হচ্ছে। তাদের অনেকে ডাক্তারের নামের শেষে মিথ্যা পদবি ব্যবহার করে আসছে। এসব প্রতারণারোধে এবং মানুষের উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে র‌্যাব এ অভিযান পরিচালনা করেছে। তাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। জরিমানার আদায়কৃত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অভিযানে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস এম মনজুর এ এলাহী উপস্থিত ছিলেন।
০৩ মার্চ ২০২৪, ২৩:০০

গ্রামীন ব্যাংকের স্পষ্ট ব্যাখ্যার পরেও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে ইউনূস সেন্টার
বাংলাদেশে গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ কল্যাণসহ সাতটি প্রতিষ্ঠানের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংকের মধ্যকার দ্বন্দ্ব স্পষ্ট করেছে গ্রামীণ ব্যাংক। ১৭ ফেব্রুয়ারি ডাকা সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীন ব্যাংক স্পষ্ট করে বলেছে কেনো এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানা কোন ব্যক্তির নয়। এরপরেও ১৮ ফেব্রুয়ারি আবারও ইউনূস সেন্টার বিবৃতি দিয়ে পাল্টা বক্তব্য হাজির করায় বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ করছেন বিশ্লেষকরা।  অধ্যাপক ইউনূস অভিযোগ করেছেন যে, প্রতিষ্ঠানগুলো ‘জবরদখল’ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, 'তাদের টাকাতেই ওইসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে' দাবি করে গ্রামীণ ব্যাংক বলছে, আইন মেনেই প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, এখন আইনজীবীদের সাথে পরামর্শ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে প্রতিষ্ঠানটি। সর্বশেষ ঘটনা প্রবাহের শুরু গত সপ্তাহে। গত বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) অধ্যাপক ইউনূস সংবাদ সম্মেলন করে তার প্রতিষ্ঠানে 'জবর দখলের' অভিযোগ করেন। পাল্টা জবাব হিসেবে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান আরেকটি সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছেন, অধ্যাপক ইউনূসের দাবি সঠিক নয়। এর আগে, সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা পরিচয়ে কয়েকজন ব্যক্তি মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকম ভবনের ঢুকে পড়ে এবং তারা মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়। গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান এ কে এম সাইফুল মজিদ দাবি করেছেন, চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও গ্রামীণ ব্যাংকসহ বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোেত ড. ইউনূসের কোনো মালিকানা বা অংশ নেই। ‌‌ ‘সব প্রতিষ্ঠানই তৈরি করা হয়েছে গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায়, এসব প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের’; শনিবার সাংবাদিকদের বলেন গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাইফুল মজিদ। গ্রামীণ ব্যাংকের কোনো প্রতিষ্ঠানে ড. ইউনূসের মালিকানা নেই বলে ব্যাংকটির বর্তমান চেয়ারম্যান যে বক্তব্য দিয়েছেন, সে বিষয়ে ইউনূস সেন্টার বলেছে, ড. ইউনূস নিজেই বারবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংকসহ তাঁর সৃষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানে তাঁর কোনো শেয়ার বা মালিকানা নেই। এ ছাড়া গ্রামীণ ব্যাংক ব্যতীত তাঁর প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলো কোম্পানি আইন, ১৯৯৪-এর ২৮ ধারা অনুসারে গঠিত। যার কোনো ধরনের মালিকানা থাকে না। গ্রামীণ টেলিকম ও গ্রামীণ কল্যাণে ড. ইউনূস আর চেয়ারম্যান নেই, নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বক্তব্য হচ্ছে, গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকমের জন্মলগ্ন থেকে ড. ইউনূস চেয়ারম্যান পদে নিয়োজিত আছেন।  গ্রামীণ টেলিকম ও গ্রামীণ কল্যাণে ড. ইউনূস আর চেয়ারম্যান নেই, নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বক্তব্য হচ্ছে, গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকমের জন্মলগ্ন থেকে ড. ইউনূস চেয়ারম্যান পদে নিয়োজিত আছেন। প্রতিষ্ঠান দুটির শুরুতে তাদের আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশনে চেয়ারম্যান ও বোর্ড সদস্য মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষমতা গ্রামীণ ব্যাংকের হাতে ছিল। পরে প্রতিষ্ঠান দুটি পরিচালনার সুবিধার্থে কোম্পানি আইনের ২০ ধারা অনুযায়ী গ্রামীণ কল্যাণের আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশনের ৪৮ নম্বর অনুচ্ছেদ এবং ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হয়। সেটি ২০১১ সালের ২৫ মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এই পাল্টাপাল্টি অভিযোগের ক্ষেত্রে গ্রামীণ ব্যাংকের যুক্তি অপেক্ষাকৃত গ্রহণযোগ্য এবং তারা তাদের যুক্তির অংশ হিসেবে আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুতি নিবে। ড. ইউনূস একভাবে এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকানা চাইতে পারেন কিনা প্রশ্নে ব্যাংকের চেয়ারম্যান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এটা অসম্ভব। তিনি নিজেও সেটা জানেন। এখানে যে প্রতিষ্ঠানগুলোর কথা বলা হচ্ছে তার কোন মালিকানা থাকে না। উনি নিজেকে কেনো এখনও চেয়ারম্যান দাবি করছেন সেটাও আমাদের বোধগম্য নয়। গ্রামীন ব্যাংকের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাসুদ আখতার বলেন, কমপ্রিহেন্সিভ অডিট করছি। সেখানে খুব চাঞ্চল্যকর বিষয় উঠে আসছে। ওই প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো ড. ইউনূস যখন ব্যাংকের এমডি ছিলেন সেই সময় বোর্ডের মাধ্যমে। এটার মালিকানা তিনি নিজে ব্যক্তি হিসেবে কীভাবে দাবি করতে পারে।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫৩

গ্রামীণ ব্যাংকের অভিযোগের যে জবাব দিলো ইউনূস সেন্টার
গ্রামীণ ব্যাংকে থাকাকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস মানি লন্ডারিং করেছেন বলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যে অভিযোগ তুলেছে, সেটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর বলে উল্লেখ করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউনূস সেন্টার। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে নিজেদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদলিপি তুলে ধরে ইউনূস সেন্টার। গত শনিবার গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান এ কে এম সাইফুল মজিদ সংবাদ সম্মেলন করে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ ফান্ড—এসব প্রতিষ্ঠান গড়তে গিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা সরিয়েছেন ড. ইউনূস। এ বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের ভাষ্য হচ্ছে, দেশের খ্যাতিমান নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রামীণ ব্যাংকের বার্ষিক নিরীক্ষা করেছে। তারা বা বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দল ও সরকারের গঠিত কমিটি এমন কোনো আর্থিক অসংগতি খুঁজে পায়নি। তাছাড়া ড. ইউনূসের কর্মকালে গ্রামীণ ব্যাংক বোর্ড পরিচালিত হয়েছে সমাজের শ্রদ্ধাভাজন ও বিদগ্ধ ব্যক্তিদের দ্বারা। গ্রামীণ ব্যাংকের কোনো প্রতিষ্ঠানে ড. ইউনূসের মালিকানা নেই বলে ব্যাংকটির বর্তমান চেয়ারম্যান যে বক্তব্য দিয়েছেন, সে বিষয়ে ইউনূস সেন্টার বলেছে, ড. ইউনূস নিজেই বারবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংকসহ নিজের সৃষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানে তার কোনও শেয়ার বা মালিকানা নেই। এছাড়া গ্রামীণ ব্যাংক ব্যতীত তার প্রতিষ্ঠিত অন্য কোম্পানিগুলো কোম্পানি আইন, ১৯৯৪-এর ২৮ ধারা অনুসারে গঠিত। যার কোনও ধরনের মালিকানা থাকে না। গ্রামীণ টেলিকম ও গ্রামীণ কল্যাণে ড. ইউনূস আর চেয়ারম্যান নেই, নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বক্তব্য হচ্ছে, গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকমের জন্মলগ্ন থেকে ড. ইউনূস চেয়ারম্যান পদে নিয়োজিত আছেন। প্রতিষ্ঠান দুটির শুরুতে তাদের আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশনে চেয়ারম্যান ও বোর্ড সদস্য মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষমতা গ্রামীণ ব্যাংকের হাতে ছিল। পরে প্রতিষ্ঠান দুটি পরিচালনার সুবিধার্থে কোম্পানি আইনের ২০ ধারা অনুযায়ী গ্রামীণ কল্যাণের আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশনের ৪৮ নম্বর অনুচ্ছেদ এবং ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হয়। সেটি ২০১১ সালের ২৫ মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। গ্রামীণ টেলিকমের আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ নম্বর অনুচ্ছেদ ও ৩৫ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধন করে আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশনের ধারাগুলো সংশোধন করা হয়। তাই গ্রামীণ ব্যাংক এখন এ দুটি প্রতিষ্ঠানে চেয়ারম্যান ও পরিচালক পদে নিয়োগ দিতে পারে না। গ্রামীণ টেলিকম প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ২৪ কোটি টাকা অনুদান নিয়েছেন—এমন বক্তব্যের বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের জবাব, গ্রামীণ টেলিকম প্রতিষ্ঠালগ্নে নরওয়ে থেকে ১৯ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা পেয়েছে। এছাড়া গ্রামীণ ব্যাংকের সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট ফান্ড থেকে ৩০ কোটি টাকার ঋণ চুক্তি করে। চুক্তির আওতায় ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ২৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ঋণ নেওয়া হয়। ১৯৯৭ সালে ঋণ চুক্তিটি গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ডের সিদ্ধান্তের আলোকে গ্রামীণ কল্যাণের নামে ঋণ চুক্তি হয়। যেহেতু গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে ঋণ চুক্তিটি গ্রামীণ কল্যাণে হস্তান্তর করা হয়েছে, তাই এ বাবদ গ্রামীণ ব্যাংকে কোনো অর্থ প্রদানের প্রযোজ্যতা নেই। এছাড়া সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট ফান্ড গঠন ও এর দ্বারা বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য দাতা সংস্থা থেকে প্রদত্ত অর্থের ২ শতাংশ গ্রামীণ কল্যাণকে দেওয়ার ক্ষেত্রে হিসাবসংক্রান্ত বিষয়ে যুক্তিযুক্ত করার জন্য ৩৪৭ কোটি টাকা গ্রামীণ ব্যাংক থেকে গ্রামীণ কল্যাণের নিজস্ব বুকস অব অ্যাকাউন্টসে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। যেখানে বাস্তবে কোনও রকম আর্থিক লেনদেন হয়নি, যা গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ ব্যাংকের হিসাব বইয়ে প্রতিফলিত আছে। গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাইফুল মজিদ শনিবার সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছিলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৯০ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত গ্রামীণ ব্যাংকের বিভিন্ন আর্থিক তথ্য ধ্বংস করেছেন। এ বিষয়ে ইউনূস সেন্টার বলছে, কোনো নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের কাগজপত্র, দলিল-দস্তাবেজ পাওয়া যায়নি বলে কখনও কোনও মন্তব্য করেনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দল ও সরকার গঠিত কমিটি এমন কোনও পর্যবেক্ষণ দেয়নি। ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক থেকে চলে যাওয়ার পর গ্রামীণ ব্যাংক কমিশন গঠন করা হয়েছে। গঠিত কমিটিও এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ আনেনি। এছাড়া গ্রামীণ ব্যাংকের টাকা দিয়ে টেলিকম ভবন বা অন্য কোনও স্থাপনা বা প্রতিষ্ঠান করা হয়নি বলেও ইউনূস সেন্টারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।  
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৪৮

সেন্টার ফর এনআরবি’র সঙ্গে আলোচনায় বিমানমন্ত্রী
বিমানের ভাড়া কমানো, অধিক প্রবাসী অবস্থানকারী মধ্যপ্রাচ্য, আরব দেশ, মালয়েশিয়া এবং লন্ডনে বিমানের অধিক ফ্লাইট পরিচালনা ও উন্নত সেবা প্রদান এবং সেসব দেশে মৃত্যুবরনকারী প্রবাসী শ্রমিকদের লাশ বিনামূল্যে পরিবহনের ব্যবস্থা গ্রহন, নিউইয়র্কে বিমানের ফ্লাইট চালু ইত্যাদি প্রস্তাবগুলো নিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনআরবি’র একটি প্রতিনিধিদল গতকাল বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী মোহাম্মদ ফারুক খান এমপির সঙ্গে তার সচিবালয় কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।  চেয়ারপার্সন এম এস সেকিল চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাহাবুব আনাম, এবিএম মোস্তাক হোসেন, আওরঙ্গজেব চৌধুরী, মাশিউজ্জামান সেরনিয়াবাত ও শেখ মাসুমুল হাসান।  আলোচনাকালে মন্ত্রী বলেন, প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন, তাদেরকে উন্নত সেবা প্রদান করা আমাদের লক্ষ্য। মন্ত্রী বলেন, বিমান দেশের জাতীয় পরিবহন সংস্থা একই সঙ্গে বিমানকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করতে হয়। লাশ পরিবহনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, মৃত শ্রমিকদের লাশ পরিবহনে প্রবাসী মন্ত্রণালয় ও বিমান সমন্বিতভাবে কাজ করলে প্রবাসীদের অধিক সুবিধা প্রদান করা সম্ভব হবে, বিষয়টি তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে বিবেচনা করবেন।  অধিক ফ্লাইট পরিচালনার বিষয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, এই মূহুর্তে তা সম্ভব না হলেও যথা শীঘ্রই আমরা এ বিষয়ে উদ্যোগ নেব। তিনি বলেন, আরও বিমান সংগ্রহের চেষ্টা চলছে এ ব্যাপারে বিমান নির্মান সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনা চলছে, আমেরিকার রাষ্ট্রদূত আমার অফিসে এসে এ ব্যাপারে তাদের প্রতিষ্ঠানের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। নিউইয়র্কে ফ্লাইট চালুর বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা এ ব্যাপারে চেষ্টা করছি। আমাদের সক্ষমতাও আছে তবে এ ব্যাপারে আমেরিকার সিদ্ধান্ত দরকার। তিনি বলেন, আমাদের প্রবাসী আমেরিকানরা সেখানকার কতৃর্পক্ষের সাথে এ ব্যাপারে কাজ পারেন।  পরিত্যাক্ত বিমানগুলোকে বিকল্পভাবে ব্যবহারের জন্য প্রবাসীদের কাছ থেকে কোন প্রস্তাব পেলে বিবেচনার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১০

আজ থেকে এক মাস বন্ধ কোচিং সেন্টার
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১৫ ফ্রেব্রুয়ারি। প্রশ্নফাঁসের গুজবমুক্ত, সুন্দর পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা নেওয়ার লক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসএসসি পরীক্ষা গুজবমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। জানা যায়, সম্প্রতি সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ (ফিচার) ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। অননুমোদিত ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ট্রেজারি-থানা থেকে প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারীরা ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। প্রশ্নপত্র বহন কাজে কালো কাচযুক্ত মাইক্রোবাস বা এমন কোনো যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না। তাছাড়া প্রত্যেক কেন্দ্রের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন ট্যাগ অফিসার নিয়োগ প্রদান করা হবে। ট্যাগ অফিসার ট্রেজারি, থানা হেফাজত থেকে কেন্দ্র সচিবসহ প্রশ্ন বের করে পুলিশ প্রহরায় সব সেটের প্রশ্ন কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নের সেট কোড ঘোষণা করা হবে। বিধি অনুযায়ী কেন্দ্র সচিব, ট্যাগ অফিসার ও পুলিশ কর্মকর্তার স্বাক্ষরে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলবেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ও তৎপর চক্রের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো নজরদারি করবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস কিংবা পরীক্ষার্থীদের কাছে উত্তর সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জেলা প্রশাসন কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিবে। পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারীদের মোবাইল, মোবাইল ফোনের সুবিধাসহ ঘড়ি, কলম ও পরীক্ষা কেন্দ্রে ব্যবহারের অনুমতিবিহীন যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরীক্ষার প্রস্তুতি সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য সরবরাহের প্রয়োজন হলে আন্তঃবোর্ডের সমন্বয়ক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেনের মাধ্যমে গণমাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। প্রসঙ্গত, এ বছর এসএসসি, দাখিল, এসএসসি-ভোকেশনাল ও দাখিল-ভোকেশনাল পরীক্ষায় মোট ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:০৫

মাসব্যাপী বন্ধ থাকবে সব কোচিং সেন্টার
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর এবং প্রশ্ন ফাঁসের গুজবমুক্ত পরিবেশে সম্পন্নের লক্ষ্যে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। রোববার (২৮ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় মনিটরিং ও আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর।  চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২৯ হাজার ৭৩৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো হলো- পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও প্রশ্ন ফাঁসের গুজবমুক্ত পরিবেশে সম্পন্নের লক্ষ্যে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। কেন্দ্র সচিব ব্যতীত পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না।  কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ (ফিচার) ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। অননুমোদিত ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ট্রেজারি-থানা হতে প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারী কোন ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং প্রশ্নপত্র বহন কাজে কালো কাঁচযুক্ত মাইক্রেবাস বা এরূপ কোনো যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না। তাছাড়া প্রত্যেক কেন্দ্রের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন ট্যাগ অফিসার নিয়োগ প্রদান করা হবে। ট্যাগ অফিসার ট্রেজারি, থানা হেফাজত হতে কেন্দ্র সচিবসহ প্রশ্ন বের করে পুলিশ প্রহরায় সকল সেটের প্রশ্ন কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২৫ মিনিট পূর্বে প্রশ্নের সেট কোড ঘোষণা করা হবে। সে অনুযায়ী কেন্দ্র সচিব, ট্যাগ অফিসার ও পুলিশ কর্মকর্তার স্বাক্ষরে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট বিধি অনুযায়ী খুলবেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত গুজব কিংবা এ কাজে তৎপর চক্রগুলোর কার্যক্রমের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহ নজরদারী জোরদার করবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস কিংবা পরীক্ষার্থীদের নিকট উত্তর সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জেলা প্রশাসন কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারীদের মোবাইল, মোবাইল ফোনের সুবিধাসহ ঘড়ি, কলম এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে ব্যবহারের অনুমতিবিহীন যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। এই নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরীক্ষার প্রস্তুতি সংক্রান্ত বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য সরবরাহের প্রয়োজন হলে আন্তঃবোর্ডের সমন্বয়ক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন তা গণমাধ্যমে সরবরাহ করবেন। সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, দেশের সকল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, আইনশৃঙ্খলা  এবং পরীক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:২২

সিরাজগঞ্জে হাসপাতালসহ ৩ ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ
নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সনদবিহীন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযানের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে একটি হাসপাতাল ও তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে।  গত সোমবার (২২ জানুয়ারি) ও মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) কাজিপুরের বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে অভিযান চালান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোমেনা পারভীন পারুল। এ সময় প্রয়োজনীয় সনদ না থাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেন তিনি। বন্ধ প্রতিষ্ঠানগুলো হলো সোনামুখীর ফারুক আল নাসির ওয়েলফেয়ার হাসপাতাল, সিমান্তবাজারের মা ও শিশু স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পল্লী ফাউন্ডেশন, সোনামুখী হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও চরপানাগাড়ির জননী ডায়াগনস্টিক সেন্টার।  বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোমেনা পারভীন পারুল। তিনি জানান, বন্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর হালনাগাদ লাইসেন্স নেই। তাই নিয়মানুযায়ী বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়