• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মিয়ানমারের সেনাদের ফিরিয়ে নিতে জাহাজ চলে এসেছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমার থেকে আসা সেনাসদস্যদের ফিরিয়ে নিতে তাদের জাহাজ চলে এসেছে, তবে সমন্বয়হীনতার জন্য জাহাজটি ভিড়তে পারছে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার দ্রুতই তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। এটা খুব সহসা হবে। কখন কোন জাহাজ ভিড়বে সেটি টেকনিক্যাল পার্ট। সে বিষয়ে আমার বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। আমরা আপাতত তাদের ফেরত পাঠানো নিয়েই কাজ করছি। কারণ, আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার তাদের নাগরিকদের ফেরত পাঠানো। তারাও তাদের লোকদের নিয়ে যেতে চায়। তিনি বলেন, মিয়ানমারে যা ঘটছে তা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের নিরাপত্তা চৌকি কে পাহারা দিচ্ছে সেটিও তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে আমাদের বক্তব্য জানানো হয়েছে। তাদের অভ্যন্তরীণ গণ্ডগোলের কারণে এখানে (বাংলাদেশে) নিরাপত্তা বিঘ্নিত হোক তা আমরা কখনও চাই না। তবে আমাদের এখানে নিরাপত্তা কিছুটা বিঘ্নিত হয়নি, সেটি তো সঠিক নয়। তাদের শেল এসেছে পড়েছে, দুজন নিহত হয়েছে। এ নিয়ে কিন্তু আমরা কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছি। তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার থেকে যেসব বিজিপি ও সেনা এবং তাদের পরিবারের সদস্য পালিয়ে এসেছেন তাদের সহসা ফেরত পাঠাব। এ বিষয়ে আমরা দেশটির সঙ্গে একমত হয়েছি। মিয়ানমার তাদের ফেরত নিয়ে যাবে। আমি দিনক্ষণ বলতে চাই না, কারণ এটি গোপনীয়। এখানে নিরাপত্তার বিষয় রয়েছে। তবে সহসাই তাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমার সম্মত হয়েছে। আমরা আশা করছি, শিগগিরই তাদের ফেরত পাঠাতে পারব। এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের দেশে ১ দশমিক ২ মিলিয়ন রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। তাদের কারণে আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে। পরিবেশগত, নিরাপত্তা ও মাদকজনিত সমস্যাসহ অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের পক্ষে কি আরও রোহিঙ্গা আশ্রয় দেওয়া সম্ভব? মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিয়েই সংঘাত চলছে তা নয়। তাদের মধ্যে নানা জাতিগোষ্ঠী আছে। তাদের মধ্যে নানা সমস্যা চলছে। তাদের সংঘাতের উত্তাপের কারণে আমরা আমাদের দেশে নানান সমস্যায় পড়ব, তা কি সঙ্গত?  
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:০৮

মিয়ানমারের সেনাদের সমুদ্রপথে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া দেশটির সেনাবাহিনী, সীমান্তরক্ষী বাহিনীসহ (বিজিপি) বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের সমুদ্রপ‌থে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন। বৃহস্প‌তিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তা‌হিক ব্রিফিংয়ে এই তথ‌্য জানান তিনি। সেহেলী সাবরিন ব‌লেন, মিয়ানমা‌রের চলমান সংঘাতের কার‌ণে বাংলা‌দে‌শে আশ্রয় নেওয়া সেনা সদস‌্যদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তা‌দের গভীর সমুদ্র দিয়ে দে‌শে ফেরত পাঠানো হবে। এর আগে বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে মিয়ানমারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কাউকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না বললেও এখন কেন বিজিপি ও অন্যরা ঢুকছে, মিয়ানমার সেনাদের নৌরুটে ফেরত নিতে চাইলেও আমরা কেন বিমানে পাঠাতে চাচ্ছি- এমন প্রশ্নে সে‌হেলী সাব‌রীন ব‌লেন, মিয়ানমার সরকারের নিয়মিত বাহিনী বিজিপি সদস্যদের আশ্রয়দান এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়াকে এক করে দেখা ঠিক হবে না। আশ্রিত বিজিপি সদস্যদের নিরাপদ দ্রুত প্রত্যাবাসন প্রধান বিবেচ্য বিষয়। বিমান বা নৌরুটের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ না কিংবা পূর্বশর্তও না। যত দ্রুত সময় তাদের প্রত্যাবাসন করা সম্ভব, সেটা বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ এমন প্রস্তাব দিয়েছিল। মুখপাত্র ব‌লেন, কিছুদিন আগে মিয়ানমার ভারত থেকে বিমানযোগে সেনা নিয়ে এসেছিল। সে কারণেই বাংলাদেশ বিমানযোগে সেনাদের ফেরত নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। বাংলাদেশ দ্রুততম সময়ে তাদের প্রত্যাবাসন চায়। এখানে সময়ক্ষেপণের সুযোগ নেই। আশা করা যায়- তাদের দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে, সেটা আকাশ কিংবা বিমানযোগে। সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে, তাদের নিরাপদে ফেরত পাঠানো। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আরাকান আর্মিসহ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলার মুখে নতুন করে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সামরিক কমান্ডারসহ ৬৪ জন টেকনাফের হোয়াইক্ষ্যং সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন ৩২৮ জন মিয়ানমারের নাগরিক।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:১৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়