• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ, নেই ভোগান্তি
আজও ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ রয়েছে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে। তবে যানজটের ভোগান্তি নেই এই মহাসড়কে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ভোর থেকে মহাসড়কে এ চিত্র দেখা যায়। যানবাহনের চাপের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী। তিনি জানান, ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে সড়কপথে কর্মস্থলে ফিরছেন উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। ফলে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ রয়েছে। মহাসড়কের হাটিকুমরুল ও কড্ডা এলাকায় যানবাহনের জন্য ভিড় বেড়েছে ঢাকামুখী কর্মজীবী মানুষের।  তিনি আরও জানান, গণপরিবহনের পাশাপাশি ট্রাক-পিকআপ ভ্যান ও ব্যক্তিগত যানবাহনে যাত্রী পরিবহনের প্রবণতা রোধে মহাসড়কে কাজ করছে পুলিশ।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫১

সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে বাড়ছে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ 
পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগের পর কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। ফলে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ বাড়ছে। গণপরিবহনের পাশাপাশি ট্রাক, পিকআপ, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত যানবাহনে ঢাকা ফিরছেন মানুষ। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল থেকে মহাসড়কে এ চিত্র দেখা যায়। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল কাদের জিলানী বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর ও নববর্ষের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। ফলে রোববার রাত থেকে মহাসড়কে ঢাকামুখী যানবাহনের পরিমাণ বেড়েছে। সোমবার সকাল থেকে যানবাহনের চাপ আরও বেড়েছে।  ওসি আরও বলেন, তবে কোথাও যানজটের ভোগান্তি নেই। ঈদ উৎসব শেষে কর্মজীবীদের কর্মস্থলে ফেরা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৬

স্বস্তির ঈদযাত্রা, ফাঁকা ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক
প‌রিবা‌রের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে নাড়ির টানে বা‌ড়ি যা‌চ্ছেন মানুষ। ত‌বে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কে নেই সেই চিরচেনা যানজট। নেই তেমন কোনো গণপ‌রিবহন।  বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা‌ যায়।  যদিও প্রথম ২ থেকে ৩ দিন প‌রিবহ‌নের কিছুটা চাপ দেখা গে‌লেও ঈদের আগের দিন মহাসড়ক একেবারে ফাঁকা। ফ‌লে ভোগা‌ন্তি ছাড়াই স্বস্তির ঈদযাত্রা করছেন ঘরমুখো মানুষ।  সরেজমিনে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কে গিয়ে দেখা যায়, রাবনা বাইপাস থেকে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ও বঙ্গবন্ধু সেতু গোলচত্ত্বর এলাকার কোথাও তেমন কোনো গণপ‌রিবহন উত্তরবঙ্গের দি‌কে যে‌তে দেখা যায়‌নি। কিছু কিছু গণপ‌রিবহন গ‌তি‌ নি‌য়ে চলাচল কর‌ছে। এ ছাড়াও মহাসড়‌কে তেমন কোনো যাত্রীও নেই। ত‌বে কিছু মানুষ বাস না পে‌য়ে ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রা‌ক ও পিকআপে গন্তব্যে যা‌ত্রা করছেন।  এ নিয়ে কথা হয় স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে। তারা বলেন, আগে ঈদ আসলেই চির‌চেনা যানজটের সৃষ্টি হতো এই মহাসড়‌কে। প্রতিবছরই ঈদের আগের রা‌তেও মানু‌ষের স্রোত দেখতে পাওয়া যেত। ঈদের প‌রিবহ‌নের চাপ থাকা এই মহাসড়‌কে ছিল স্বাভাবিক বিষয়। আর আইনশৃঙ্খলা বা‌হিনীর সদস‌্যরাও মহাসড়‌কের প‌রিবহন চলাচল স্বাভা‌বিক রাখতে হিমশিম খেত। আর সেই মহাসড়‌ক এখন ফাঁকা থাকছে যা ভাবতেই অবাক লাগছে।  এ দিকে জেলা পুলিশের দাবি, তাদের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কারণে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারছেন ঘরমুখো যাত্রীরা। এ বিষয়ে মহাসড়কে দায়িত্বরত এক পু‌লিশ সদস্য বলেন, আজ হয়তো যানজট নেই কিন্তু গতকাল ভালোই চাপ ছিল এ মহাসড়কে। ঈদের আগের দিন মহাসড়ক ফাঁকা থাকা এমন ঘটনা আগে হয়েছে এমন খুব কম হয়েছে।    বুধবা‌রে ঈদ হ‌বে এই টা‌র্গেটে এবং সব প্রতিষ্ঠান আগেই ছু‌টি হ‌য়ে যাওয়ায় মানুষ আগে থে‌কেই বা‌ড়ি‌তে যাওয়া শুরু ক‌রে‌ছিল।  তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার গা‌র্মেন্টসের লোকজনসহ অন‌্যান‌্যরা একসঙ্গে রওনা হওয়ায় মহাসড়কে চাপ বে‌ড়ে‌ছিল। ত‌বে আজ‌কে তেমন মানুষ বা‌ড়ি যাওয়ার নেই। যারা যাওয়ার তারা আগেই চ‌লে গে‌ছেন। ফ‌লে মহাসড়‌কে তেমন প‌রিবহন নেই। একদম ফাঁকা মহাসড়ক।  এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি আলমগীর আশরাফ বলেন, মহাসড়‌কে তেমন প‌রিবহন নেই। পরিবহনগু‌লো স্বাভা‌বিক গ‌তি‌তেই চলাচল কর‌ছে। উত্তরবঙ্গগামী মানুষ স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন। 
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২৪

পদ্মা সেতুতে একদিনে টোল আদায়ে রেকর্ড
ঈদ আসলেই পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহনের চাপ বাড়ে। এতে টোলও আদায় হয় বেশ। তবে, এবারের ঈদ যাত্রার একদিনে টোল আদায়ের নতুন রেকর্ড গড়েছে পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আমিরুল হায়দার চৌধুরী জানান, সোমবার (৮ এপ্রিল) রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়েছে ৪৫ হাজার ২০৪টি যানবাহন। এতে টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ টাকা, যা একদিনে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ৩০ হাজার ৩৩০টি যানবাহন পার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৭৬ লাখ ৩৭ হাজার ৯০০ টাকা।  এ ছাড়া জাজিরা প্রান্ত দিয়ে পার হয়েছে ১৪ হাজার ৮৭৪টি গাড়ি। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ১৩ লাখ ৫৬ হাজার ৮০০ টাকা। এর আগে, গত বছরের ২৭ জুন পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ে সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল। সেদিন সেতু দিয়ে ৪৩ হাজার ১৩৭টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয় ৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরের দিন ২৬ জুন থেকে যানবাহন পারাপারের জন্য সেতু খুলে দেওয়া হয়।  
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:১৬

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কে যান চলাচল স্বাভা‌বিক
দীর্ঘ ভোগা‌ন্তির পর টাঙ্গাইলের মহাসড়‌কে প‌রিবহন চলাচল স্বাভা‌বিক হ‌য়ে‌ছে। এর আগে ফিট‌নেসবহীন প‌রিবহন, বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দুর্ঘটনা ও টোল আদায় বন্ধ থাকায় গভীর রাত থে‌কে মহাসড়‌কের বি‌ভিন্ন প‌য়ে‌ন্টে গাড়ি চলাচ‌লে ধীরগ‌তি ও যানজ‌ট সৃষ্টি হ‌য়। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুর ২টার পর ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব মহাসড়‌কে যানবাহন চলাচল স্বাভা‌বিক হ‌তে শুরু হয়। বর্তমা‌নে একরকম ফাঁকাই হ‌য়ে প‌ড়ে‌ছে মহাসড়ক। স‌রেজ‌মি‌নে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দেখা গে‌ছে, প‌রিবহ‌নের তেমন চাপ নেই। ক‌য়েক‌টি করে গা‌ড়ি যা‌চ্ছে উত্তরব‌ঙ্গের দি‌কে। এর আগে সকা‌লে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব মহাসড়‌কে ব্যাপক যানজ‌ট সৃ‌ষ্টি হয়। এতে মহাসড়‌কের টাঙ্গাইল-আশিকপুর বাইপাস থেকে সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা পর্যন্ত ২৫ কি‌লো‌মিটার সড়‌কে গাড়ি থমকে যায়। এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ওসি মীর মো. সাজেদুর রহমান জানান, এখন পু‌রো মহাসড়কে তেমন কোনো প‌রিবহন চাপ নেই। স্বাভা‌বিক গ‌তি‌তে চলাচল কর‌ছে গা‌ড়িগু‌লো। দুপু‌রের পর মহাসড়ক ফাঁকা হ‌য়ে‌ছে। গা‌ড়ির চাপও ক‌মে‌ছে। চাপ আর বাড়ার সম্ভবনা নেই। বঙ্গবন্ধু সেতুর সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, সোমবার দিবাগত রাত ৯টার পর সেতুর ওপরে ১১টি গাড়ি বিকল হয়। সেগুলো তাৎক্ষণিক অপসারণ করাতে কিছুটা সময় লাগে। এতে যানজট সৃষ্টি হ‌য়ে‌ছিল। বর্তমা‌নে সেতুর টোল প্লাজার কা‌ছে কিছু সংখ্যক প‌রিবহন থাক‌লেও সেতুর দুই পা‌শে তেমন প‌রিবহন নেই। স্বাভা‌বিক গ‌তি‌তে চলাচল কর‌ছে গাড়ি।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০১

দৌলতদিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ কম
আর একদিন পরই পবিত্র ঈদুল ফিতর। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে শেষ মুহূর্তে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। কিন্তু পদ্মা সেতুতে ট্রেন ও অসংখ্য পরিবহন চলছে বলে ঢাকার অধিকাংশ মানুষ সেপথেই যাত্রা করছে। ফলে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে ঘরে ফেরা মানুষের ভিড় কম লক্ষ্য করা গেছে। চাপ কম থাকায় ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ পাটুরিয়া থেকে লঞ্চে ও ফেরিতে পার হয়ে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্তে আসছেন।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে। তবে সরেজমিনে দেখা যায়, গত কয়েক দিনের তুলনায় দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ঘরমুখো মানুষের চাপ কিছুটা বেড়েছে। পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরি ও লঞ্চে যাত্রীদের ভিড় ছিল। যাত্রীরা ফেরি ও লঞ্চ থেকে দৌলতদিয়া বাস টার্মিনালে এসে বিভিন্ন যানবাহনে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছে। ঘাট এলাকায় যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ফায়ার সার্ভিস, নৌপুলিশ, গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশসহ পরিবহন মালিকদের স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে। ঘাট এলাকায় যাত্রীদের সুবিধার্থে বাস কাউন্টারগুলোতে ভাড়ার চার্ট টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাস মালিকরা যাতে যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক কাজ করছে। এ ছাড়াও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘাট এলাকায় সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে। ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সুমী। ঈদ করতে নাড়ির টানে কুষ্টিয়া নিজ বাড়িতে যাচ্ছেন তিনি। ফেরিতে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় আসলে কথা হয় তার সঙ্গে।  তিনি বলেন, ঈদযাত্রায় এবার কোনো ভোগান্তি নেই। ভিড় থাকলেও পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় যাত্রীদের অসুবিধা হচ্ছে না। ঈদে চাপ একটু থাকে। পাটুরিয়া থেকে লঞ্চে দৌলতদিয়া ঘাটে আসা কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রীদের চাপ এবার খুবই কম। বেশির ভাগ যাত্রী পদ্মা সেতু ব্যবহার করছে। ফলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট ব্যবহারকারীদের এবার ভোগান্তি কম। আমি পরিবার নিয়ে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি। দৌলতদিয়া পর্যন্ত আসতে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়নি। ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও ফাঁকা ছিল। বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাটের সার্বিক পরিস্থিতি বলতে গেলে যাত্রীদের কোনো ভোগান্তি নেই। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে আমাদের সক্ষমতা অনেক। কিন্তু সেই তুলনায় যানবাহন ও যাত্রী নেই। ঈদের আগে দৌলতদিয়াতে যাত্রীর চাপ বাড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সম্ভাবনা কম। কারণ, বেশির ভাগ যানবাহন ও যাত্রী পদ্মা সেতু ব্যবহার করছে। রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যাত্রীরা এবার স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদ করতে বাড়িতে যেতে পারছেন।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৪

বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ, পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় চাপ
ঈদের ঘরমুখো যাত্রীদের চাপে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকাল থেকে সেতুর টোল প্লাজায় ৭টি বুথের মাধ্যমে টোল আদায় করা হলেও ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের চাপে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। সেই সঙ্গে দূরপাল্লার পরিবহনের সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মতো। এ বিষয়ে মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের টিআই মো. জিয়া বলেন, ঈদের বাকি আর একদিন। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। তাই এ সময়ে যানবাহনের চাপ একটু বেশি হবেই। পদ্মা সেতু এলাকায় ভোরে বাসের চেয়েও মোটরসাইকেলের চাপ বেশি ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মোটরসাইকেলের চাপ কিছুটা কমেছে। টোল প্লাজার সামনে দীর্ঘ গাড়ির সারি রয়েছে। আজ গাড়ির চাপ অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেকটা বেশি। এদিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কে বিশৃঙ্খলা এড়াতে মহাসড়কের ৬টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে পুলিশ। পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় অপেক্ষমাণ যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেলেও মহাসড়কে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন রয়েছে। তবে বেপরোয়া মোটরসাইকেল যেকোনো সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। এ বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা যায়, ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় এড়াতে ও ওভার ট্রেকিং বন্ধে স্পিড গানের মাধ্যমে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে হাইওয়ে পুলিশ। এ দিকে পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, এবার ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজায় ৭টি টোল বুথের মাধ্যমে যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হচ্ছে। প্রতি পাঁচ সেকেন্ডে একটি করে যানবাহনে টোল আদায় করা হচ্ছে। এতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভোগান্তি ছাড়াই পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছেন যাত্রীরা। এ প্রসঙ্গে হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি কাঞ্চন কুমার সিংহ বলেন, ভোরে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকটা কমছে। আমরা সকাল থেকে মহাসড়কে টহল দিচ্ছি। ওসি কাঞ্চন কুমার আরও বলেন, হাইওয়ে পুলিশ যানজট নিরসনে এবার বেশ কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে মহাসড়কে কাজ করছে। অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে যাত্রীদের নিরাপত্তা স্বার্থে বিভিন্নভাবে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সিসিটিভির মাধ্যমে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫০

বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষের চাপে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে।  রোববার (৭ এপ্রিল) ভোরে সরেজমিন দেখা গেছে, পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে গণপরিবহনের পাশাপাশি ট্রাক, পিকআপভ্যান, মোটরসাইকেলসহ ব্যাক্তিগত যানবাহনে বাড়ি ফিরছে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। বিষয়টি নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানি জানান, রাত থেকেই বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে। তবে যানচলাচলের গতি স্বাভাবিক রয়েছে। মহাসড়কের কোথাও যানজটেন সৃষ্টি হয়নি।  তিনি আরও বলেন, যানজট এড়াতে ও ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এদিকে, ঈদ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সেতুতে যানবাহন পারাপার ও টোল আদায় বেড়েছে। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ২৮ হাজার ৭১০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ থেকে দুই কোটি ৩৫ লাখ ৪৯ হাজার ৮০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এরমধ্যে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব অংশে ১৬ হাজার ৪৭৪ যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয় এক কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৮০০ টাকা। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জের সেতু পশ্চিম অংশে ১২ হাজার ২৩৬ যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে এক কোটি ১১ লাখ ৩১ হাজার টাকা টোল আদায় হয়েছে। এর আগে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ১৮ যানবাহন পারাপার হয়েছিল। এ থেকে টোল আদায় হয়েছিল ২ কোটি ১১ লাখ ১১ হাজার ৫৫০ টাকা। বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসানুল কবীর পাভেল জানান, ঈদের ছুটিতে যানজট নিরসনে সেতুর উভয় অংশে ৯টি করে ১৮টি টোল বুথ স্থাপনসহ মোটরসাইকেলের জন্য চারটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।  
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৭

ঈদের আগেই দুই সেতু ও ৮ ওভারপাস উন্মুক্ত
ঈদুল ফিতরের আগেই এলেঙ্গা-হাটিকমরুল-রংপুর মহাসড়কে নির্মিত একটি রেল ওভারপাস, ৭টি ওভারপাস ও দুটি সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে সচিবালয় থেকে ভার্চুয়ালি প্রকল্পগুলো উন্মুক্ত করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ঘরমুখী যাত্রীদের নির্বিঘ্নে যাতায়াতের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে জনগণের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে এসব উন্মুক্ত করা হলো। অনুষ্ঠানে একইসঙ্গে মেঘনা টোল প্লাজায় ১২টি বুথে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) চালু করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা সেতু ও মেঘনা-গোমতী সেতু টোল প্লাজায় ২০১৬ সাল থেকে সীমিত পরিসরে একটি করে লেনে ইটিসি চালু রয়েছে। যানবাহনের দীর্ঘ সারি কমাতে এবং দ্রুত সময়ে টোল সংগ্রহ করতে বিদ্যমান মেঘনা সেতু টোল প্লাজার পাশে নতুন আরেকটি টোল প্লাজা নির্মাণ করা হয়েছে। দুটি টোলপ্লাজার মোট ১২টি বুথের সবকটিতেই ক্যাশ ও ক্যাশলেস (ইটিসি) ট্রানজেকশনের মাধ্যমে টোল দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।  ইটিসির মাধ্যমে টোল দিলে যানবাহন বিরতিহীনভাবে অর্থাৎ টোল প্লাজায় না থেমেই দ্রুততম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। এতে টোল প্লাজায় যানবাহনের দীর্ঘ সারিও তৈরি হবে না।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫৭

পদ্মা সেতুতে স্বস্তিতে চলছে যানবাহন
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নাড়ির টানে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। এ জন্য মহাসড়কগুলোতে বেড়েছে যানবাহন। এর ফলে সড়কগুলোতে তৈরি হচ্ছে যানজট। তবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমবঙ্গের প্রবেশদ্বার পদ্মা সেতুতে স্বস্তিতে চলাচল করছে যানবাহন। শনিবার (৬ এপ্রিল) পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে  এমন চিত্র দেখা গেছে। পদ্মা সেতুতে ওঠার আগ পর্যন্ত পথে যানজট বা গাড়ি চলাচলে ধীরগতি নেই। নির্বিঘ্নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিচ্ছে যানবাহনগুলো। তবে দূরপাল্লার গণপরিবহনের চেয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি বেশি দেখা গেছে। পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, এবার ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজায় ৭টি টোল বুথে প্রতি পাঁচ সেকেন্ডে একটি করে যানবাহনে টোল আদায় করা হচ্ছে। ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যেই ভোগান্তিহীনভাবে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাচ্ছে যান চালক ও যাত্রীরা। এ ছাড়া  মোটরসাইকেলের চাপ বেশি থাকায় আলাদা দুটি লেন তৈরি করে টোল আদায় করা হচ্ছে। ঈদ পর্যন্ত এভাবে টোল আদায় করা হবে। পদ্মা সেতুর সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আমিরুল হায়দার চৌধুরী জানান, তেমন চাপ নেই। কোথাও কোনো বিড়ম্বনা নেই। মানুষ সহজেই পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফিরছেন। পদ্মা সেতু (উত্তর) থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, শুক্রবার মাওয়া প্রান্তে তীব্র যানজট থাকলেও আজকে তা দেখা যাচ্ছে না। তবে ভোরে সেহরির পরে কিছু চাপ ছিল। সেগুলোও ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার। তিনি জানান, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে সড়কে বিশৃঙ্খলা এড়াতে মহাসড়কের ৬টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আসা করছি এ বছর ঈদে দক্ষিণবঙ্গের ঘরমুখো যাত্রীরা নির্বিঘ্নে পারাপার করতে পারবে।  
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়