• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
৫০৪তম ম্যাচে নারাইনের প্রথম সেঞ্চুরি
ক্যারিয়ারের ৫০৪তম ম্যাচে নিজের শতকের দেখা পেয়েছেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার সুনিল নারিন।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ইডেন গার্ডেনসে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ৫৬ বলে ১০৯ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। এদিন ৫৬ বলে ১০৯ রানের ইনিংসে ১৩টি চার আর ৬টি ছক্কা হাঁকান নারিন। রান করেছেন ১৮৭.৭৫ স্ট্রাইকরেটে। ইডেন গার্ডেনে কলকাতার কোনো ব্যাটারের এটিই প্রথম সেঞ্চুরি। নারিনের সেঞ্চুরিতে ভর করেই ৬ উইকেটে ২২৩ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ গড়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। অর্থাৎ জিততে হলে রাজস্থান রয়্যালসকে করতে হবে ২২৪। মঙ্গলবার রাজস্থান রয়্যালসের আভেশ খান আর কুলদ্বীপ সেন নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।  
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৪৫

আইপিএল-২০২৪ / হেডের সেঞ্চুরি ও রেকর্ডের ম্যাচে বেঙ্গালুরুর হার
ট্রাভিস হেড রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর পেসার বিজয়কুমার ভৈশাখের ফুল লেংথের বলটি ওয়াইড লং অন দিয়ে মারলেন চার। সঠিক ক্যালকুলেশনে গরম মেজাজে হেড ব্যাট করলেও  ঠান্ডা মেজাজে হেলমেট খুলে রাখলেন ব্যাটের হাতলের ওপর। ঠিক যেন ক্রিস গেইল। আর এভাবেই  উদ্‌যাপন করলেন সেঞ্চুরি । আইপিএলের ইতিহাসে চতুর্থ দ্রুততম তার ৩৯ বলের এই সেঞ্চুরি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএলে যা ছিল দ্রুততম। ৪১ বলে ৮ ছক্কা, ৯ চারে ১০২ রান করে পরের ওভারে আউট হলেন হেড। তারপরেও  ভেঙেছেন আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ডটি। এরপর হাইনরিখ ক্লাসেনের ৩১ বলে ৬৭ এবং এইডেন মার্করাম (১৭ বলে ৩২) ও আবদুল সামাদের (১০ বলে ৩৭) দুটি অপরাজিত ‘ক্যামিও’ ইনিংসে ভর করে নিজেদের রেকর্ডই ভাঙে সানরাইজার্স। আইপিএলে এর আগে গত ২৭ মার্চ মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ২৭৭ রান তুলে টুর্নামেন্টটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়েছিল সানরাইজার্স। নিজেদের গড়া সে রেকর্ড নতুন করে লিখল তারা। ৩ উইকেটে ২৮৭ রান—আইপিএলের ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড গড়ল সানরাইজার্স। শুরুতে ভাল সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি বেঙ্গালুরু। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৬২ রান তুলেছে ফাফ ডু প্লেসির দল। সানরাইজার্স  জিতেছে ২৫ রানে। ফলে ৬ ম্যাচে মোট ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে উঠে এল সানরাইজার্স। ৭ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে পড়ে গেল বেঙ্গালুরু। ৬.২ ওভারে ওপেনিং জুটি ভাঙার আগে ৮০ রান তুলে বেঙ্গালুরু। মায়াঙ্ক মারকান্দের বলে আউট হন ২০ বলে ৪২ রান করা বেঙ্গালুরু ওপেনার বিরাট কোহলি। এরপর বেঙ্গালুরুর রানের গতি কমে যায়, ১০ ওভারের মধ্যে উইকেটও পড়ে যায় আরও চারটি। রান পাননি উইল জ্যাকস, রজত পাতিদার ও সৌরভ চৌহানরা । আউট হন ৪ ছক্কা ও ৭ চারে ২৮ বলে ৬২ রান করা ডু প্লেসিও। ষষ্ঠ উইকেটে ২৫ বলে ৫৯ রানের জুটি গড়ে চেষ্টা করেছিলেন মহীপাল লোমরোর ও দিনেশ কার্তিক।  ১৫তম ওভারে ভাঙে এই জুটি। পরে ওই ওভার শেষে জয়ের জন্য শেষ ৩০ বলে ১০১ রানের লক্ষ্য ছিল বেঙ্গালুরুর সামনে। এরপর একাই লড়তে হয়েছে  কার্তিককে। তিনি ওভারে চার ছক্কা, অর্থাৎ ১৭তম ওভারে দুটি ছক্কা, ১৮তম ও ১৯তম ওভারে একটি করে ছক্কা মেরেছেন কার্তিক। ১৯তম ওভারে চার-ছক্কাসহ ১৪ রান তোলার পর পঞ্চম বলে আউট হন কার্তিক। ৭ ছক্কা ও ৫ চারে সাজানো কার্তিকের ৩৫ বলে ৮৩ রানের ইনিংস বেঙ্গালুরু সমর্থকেরা মনে থাকার মত। চার-ছক্কার বৃষ্টিতে মোট ৫৪৯ রানের এই ম্যাচও স্মরনীয় হয়ে থাকবে দর্শকের কাছে। টি–টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে দুই দলের ইনিংস মিলিয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। ফলে এবারের আইপিএল এরই মধ্যে স্মরণীয় হয়ে গেল। আইপিএলের ইতিহাসে এবারই দেখো গেল সর্বোচ্চ তিনটি দলীয় সংগ্রহ। সংক্ষিপ্ত স্কোর: সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ২০ ওভারে ২৮৭/৩ (হেড ১০২, ক্লাসেন ৬৭, সামাদ ৩৭*, অভিষেক ৩৪, মার্করাম ৩২*; ফার্গুসন ২/৫২, টপলি ১/৬৮, উইল ০/৩২, দয়াল ০/৫১) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ২০ ওভারে ২৬২ /৭ (কার্তিক ৮৩, ডু প্লেসি ৬২, কোহলি ৪২, লোমরোর ১৯, পাতিদার ৯, উইল ৭; কামিন্স ৩/৪৩, মায়াঙ্ক ২/৪৬, ভুবনেশ্বর ০/৬০, নটরাজন ১/৪৭) ফল: সানরাইজার্স ২৫ রানে জয়ী।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৪

সেঞ্চুরি করে সাকিব-মাশরাফিদের স্পর্শ করলেন তাসকিন
লঙ্কানদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তিন উইকেটে হেরেছে টাইগাররা। ম্যাচ হারলেও এই ম্যাচ দিয়ে দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে ওয়ানডে ফরম্যাটে একশ উইকেট নেওয়ার মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তাসকিন আহমেদ। শুক্রবার (১৫ মার্চ) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ২৮৬ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি সফরকারীদের। শরিফুলের জোড়া আঘাতে ৫০ রানের আগেই ৩ উইকেট হারায় লঙ্কানরা। ইনিংসের দ্বিতীয় উইকেট গিয়েছিল তাসকিনের ভাগ্যে। ইনফর্ম কুশাল মেন্ডিসকে ফেরান এই পেসার।  পিচে এসেই ব্যাট চলাতে থাকেন কুশাল। তানজিম সাকিবের দুই ওভারে ২২ রান নিয়ে চাপ তৈরি করেছিল শ্রীলঙ্কান ব্যাটাররা। তখনই উইকেট শিকার করেন তাসকিন। তার বাইরে বেরিয়ে যাওয়া বল আলতোভাবে স্পর্শ করেছিল কুশাল মেন্ডিসের ব্যাট। উইকেটের পেছনে ক্যাচ নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম।  শেষ দিকে সেঞ্চুরির পথে থাকা চারিথ আসালাঙ্কাকে ফেরান তাসকিন। ৯১ রানে তাসকিনের বলে আবারও উইকেটের পেছনে চলে যায় ক্যাচ। রিভিউ নিয়ে উইকেট পান তাসকিন। এরই মাধ্যমে পূরণ হয় ওয়ানডে ক্রিকেটে তার একশত উইকেট।  তাসকিনের আগে বাংলাদেশের সাতজন বোলার ওয়ানডেতে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। ৩১৭ উইকেট নিয়ে সবার শীর্ষে রয়েছেন সাকিব আল হাসান (৩১৭)। এরপর যথাক্রমে মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা (২৬৯), আব্দুর রাজ্জাক (২০৭), মোস্তাফিজুর রহমান (১৬২), রুবেল হোসেন (১২৯), মোহাম্মদ রফিক (১১৯) ও মেহেদী হাসান মিরাজ (১০৩)। ২০১৪ সালে মিরপুরে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় তাসকিনের। অভিষেক ম্যাচেই ৮ ওভারে ২৮ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
১৫ মার্চ ২০২৪, ২৩:২৭

সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বিখ্যাত ‘এমজি’ গাড়ি উপহার পাচ্ছেন বাবর
পিএসএলের নবম আসরে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিপক্ষে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন পাকিস্তানের তারকা ব্যাটার বাবর আজম। অধিনায়কের ব্যাটিং নৈপুণ্যে এই ম্যাচে ৮ রানের জয় পেয়েছে পেশোয়ার জালমি। বাবরের অসাধারণ পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে দামি একটি গাড়ি উপহারের ঘোষণা দিয়েছেন দলটির মালিক জাভেদ আফ্রিদি। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে অপরাজিত ১১১ রানের ইনিংস খেলেন বাবর। ৬৩ বলের ইনিংসটি ১৪টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজানো। আর তাতে ভর করে তার দল পেশোয়ার জালমি ৫ উইকেটে ২০১ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ দাঁড় করায়।  ম্যাচটি ৮ রানে জিতে নেয় পেশোয়ার। ব্যাট হাতে ৩৯ বলে ফিফটি তুলে নেওয়ার পর ৩ অঙ্কে পৌঁছাতে বাবর খেলেছেন ৫৯ বল। অর্থাৎ পরের ফিফটি এসেছে মাত্র ২০ বলে। এটি তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি।   নিজের এক্স একাউন্টে এক পোস্টের মাধ্যমে বাবরকে ‘এমজি এইচএস’ একটি গাড়ি ঘোষণা দেন পেশোয়ারের মালিক। সেখানে জাভেদ লেখেন, ‘বাবর আজমের জন্য এমজি উপহার। পাকিস্তানে তৈরি হওয়া এমজি অ্যাসেঞ্জ প্রথম ব্যক্তি হিসেবে চালাবেন তিনি। পিএসএলে এ নিয়ে দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেলেন বাবর। এর আগে গত বছর কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে শতক হাঁকান তিনি। গতকাল বাবর প্রতিপক্ষ বোলারদের ওপর রীতিমতো ঝড় বইয়ে দিয়েছেন।  তরুণ ব্যাটার সাইম আইয়ুবকে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে ৭৭ রান তোলেন বাবর। এরপর আসিফ আলীর সঙ্গে তার অবিচ্ছিন্ন জুটিতেও আসে ঠিক ৭৭ রান। বাবর শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে দলকে ২০০ পার করান। 
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৪

রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরি যাকে উৎসর্গ করলেন তামিম
ডু অর ডাই ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে হারিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। বন্দরনগরীর দলটির এমন জয়ের দিনে রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরিতে বড় অবদান রেখেছেন তানজিদ হাসান তামিম। ১১৬ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরাও হয়েছেন তরুণ এই ওপেনার।  এদিন বিপিএলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের সেরা ইনিংস খেলেন তামিম। আগের ম্যাচে ৭০ রানের পর এবার ১১৬ রানে মারকাটারি ইনিংস খেলেন তিনি। ৮ চারের পাশাপাশি ৮ ছক্কায় সাজান অতিমানবীয় এই ইনিংস। বিপিএলে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস খেলার দিনে রান সংগ্রাহকদের শীর্ষস্থানও দখলে নিয়েছেন তিনি। রেকর্ড সেঞ্চুরির পথে তামিম রান সংগ্রাহকদের শীর্ষস্থানও নিজের করে নিয়েছেন। এই ম্যাচ শেষে ১১ ইনিংসে তার নামের পাশে চলতি বিপিএলে ৩৮২ রান যোগ হয়েছে।  নিজের এমন সেঞ্চুরি ভাগ্নেকে উৎসর্গ করেছেন তরুণ এই ওপেনার। তার ভাষ্য, আমার ছোট একটা ভাগ্নে আছে। সবসময় ওর সঙ্গে কথা হয়, ম্যাচের আগের দিন মাঠে আসার আগেও। ৬ বললে ৬ দেখায়, আউট বললে আউট দেখায়। আমার সেঞ্চুরিটা ওকে উৎসর্গ করতে চাই। তামিম যোগ করেন, এর আগেও আমি বলছি যে জিনিসটা নিয়ে আমি ভাবি না। আমি চেষ্টা করি দলের জন্য, আমার নিজের সেরাটার দেওয়ার। আমি শুধু আমার জোনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। প্রথমে আমাদের একটা-দুইটা উইকেট পড়ে গিয়েছিল। আমি আর ব্রুস চেষ্টা করেছি সেখান থেকে একটা জুটি গড়ার। আমরা দুইজন ভালোভাবে করতে পেরেছি। আমি সবসময় অপেক্ষা করেছি বাজে বলের জন্য। আমার জোনে যেটা ছিল সেটাতে শট খেলেছি।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৭

সেঞ্চুরি করে যেসব রেকর্ডে ভাগ বসালেন তানজিদ তামিম
চলমান বিপিএল ও টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তাওহীদ হৃদয় এবং এরপর সেঞ্চুরি করেন উইল জ্যাক। এবার তাদের পাশে নাম লেখালেন তানজিদ হাসান তামিম। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ১১৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন তিনি। এতে বেশ কয়েকটি রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন জুনিয়র তামিম। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নিজেদের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রামকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেয় তানজিদ হাসান তামিম। ৫৮ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ৬৫ বলে ১১৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।  সামগ্রিকভাবে বিপিএলে এটি পঞ্চম সর্বোচ্চ স্কোর। সমান ১১৬ রানের ইনিংস খেলেছেন আরও দুজন। ক্রিস গেইল ও লেন্ডন সিমন্সের আছে ১১৬ রানের ইনিংস।  বিপিএলের দশ আসরে মধ্যে এটি দেশি ক্রিকেটারদের মাঝে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। সবার ওপরে আছে টাইগার ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবালের অপরাজিত ১৪১ রানের ইনিংস। এরপরেই আছে সাব্বির রহমানের ১২২ রান।  চলমান বিপিএলে এটাই সর্বোচ্চ স্কোর। ছাড়িয়ে গিয়েছেন উইল জ্যাকস ও তাওহিদ হৃদয়ের ১০৮ রানের ইনিংস। বিপিএলের ইতিহাসে চট্টগ্রামের মাঠে এটিই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর। বিপিএলের আগের নয় আসর এবং চলতি বিপিএলে তামিম, হৃদয় ও উইল জ্যাকের শতক রানে  মোট ৩২ টি সেঞ্চুরি হয়েছে। যেখানে পাঁচটি সেঞ্চুরির মালিক ক্যারিবিয়ান তরকা ক্রিকেটার ক্রিস গেইল।  জনসন চালর্স ও তামিম ইকবালের রয়েছে দুটি করে শতক রানের ইনিংস। তা ছাড়া বাকি সবার একটি করে সেঞ্চুরি রয়েছে। তাই ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে সেঞ্চুরি করে গেইলদের পাশেও বসেছেন জুনিয়র তামিম।    
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৪

গেইল-তামিমের পর মুশফিকের ছক্কার সেঞ্চুরি
তামিম ইকবালের পর দেশি দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টিতে ১০০ ছক্কার মাইলফলক স্পর্শ করলেন উইকেটকিপার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) চলতি বিপিএলে ৩৫তম ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ১০০ ছক্কা পূর্ণ করেন ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলতে নামা মুশফিক। এ ম্যাচে তিনটি করে চার-ছক্কায় ৩২ বলে ৫২ রান করেন তিনি। এই ইনিংসের সুবাদে বিপিএলের ইতিহাসে তৃতীয় ও দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ১০০ ছক্কার মালিক হন মুশফিক। মুশফিকের আগে বিপিএলে ১০০ ছক্কার মাইলফলক স্পর্শ করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল ও তামিম। এবারের আসরে বরিশালের হয়েই খেলছেন তামিম। গত ১৪ ফেব্রুয়ারিতে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৫ বলে ৭১ রানের ইনিংস খেলার পথে বিপিএলে ১০০ ওভার বাউন্ডারি পূর্ণ করেন তামিম। ৫২ ম্যাচের ৫২ ইনিংসে বিপিএলে সর্বোচ্চ ১৪৩ ছক্কার মালিক গেইল। ৯৮ ম্যাচের ৯৭ ইনিংসে ১০৩ ছক্কায় এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছেন তামিম। ১১৫ ইনিংসে ১০০ ছক্কা নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে আছেন মুশফিক।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫১

সেঞ্চুরি করে গেইলকে স্পর্শ করলেন তামিম
চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন তামিম ইকবাল। এর আগে বিপিএলে তিন হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ  করেছিলেন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক। এবার আরও একটি রেকর্ড গড়লেন এই টাইগার ক্রিকেটার। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে শততম ছক্কা হাঁকানোর এলিট ক্লাবে প্রবেশ করেন এই ড্যাশিং ওপেনার। বিপিএলের এখন পর্যন্ত দশটি আসরের ইতিহাসে এতদিন ছক্কার সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা ক্রিস গেইলের দখলে। মাত্র ৫২ ইনিংসে ১৪৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন এই ক্যারিবিয়ান তারকা ব্যাটার।  এবার প্রথম বাংলাদেশি ও দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে গেইলের পাশে বসলেন তামিম। দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ৪টি ছক্কা মারেন বাঁহাতি ওপেনার। যা নিয়ে বর্তমান বিপিএলে তামিমের ছয়ের সংখ্যা দাঁড়াল ১০৩টি। এদিন দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৫ বলে ৭১ রানের ইনিংস খেলেন তামিম ইকবাল। সাতটি চার এবং চার ছক্কায় ১৫৭ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন তিনি। বিপিএলে নিজের ৯৮তম ম্যাচে ছক্কার সেঞ্চুরি করেন তামিম। ড্যাসিং ওপেনারের পরের স্থানে আছেন ইমরুল কায়েস ও মুশফিকুর রহিম। দুজনে সমান ৯৭ টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। আর ৯৫টি ছক্কা নিয়ে এ দুজনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাকিব আল হাসান বিপিএলে ৮৫ ছয়ের মার মারেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৯

বিশ্বকাপ জয়ের দিনে সেঞ্চুরি করে যা বললেন হৃদয়
চার বছর আগে যে দিনটাই  (৯/২/২০২০) দেশকে বিশ্বকাপ শিরোপা উপহার দিয়েছিলেন সেই দিনটাই ভুলে গেছেন তাওহীদ হৃদয়। ভুলে যাওয়ারই কথা কারণ, বিপিএলে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। এই দিনটি হয়তো হৃদয়ের জন্য খুবই স্পেশাল। তাই একই দিনে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিরও দেখা পেয়েছেন।   শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ১০৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হন। এরপর সংবাদ সম্মেলনে আসেন তিনি। যেখানে চার বছর আগের স্মৃতি মনে করিয়ে দেয় সাংবাদিকরা। সেই স্মৃতির দিনটি নিয়ে তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, চোখ বনিই করলেই মনে পড়ে।’ চলমান বিপিএলের উইকেটে রান না হওয়া নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের তাওহীদ চার-ছক্কার বৃষ্টিতে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিতে হৃদয় জিতে নিলেন। ৮ চার ও ৬ ছক্কায় ৫৩ বলে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন এই তরুণ ব্যাটার। সেঞ্চুরির পর তাসকিনকে ফ্লিক করে চোখ ধাঁধানো শটে আছড়ে ফেলেন গ্যালারিতে। ম্যাচ জেতানোর অসাধারণ ইনিংসে ছক্কা ছিল ৭টি।  ছক্কা মারা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হৃদয় বলেন, আমি মনে করি ছয় মারা কঠিন কিছু না। প্রত্যেকটা খেলোয়াড় ছয় মারতে পারে, যারা ব্যাটার আছে। যদি আত্মবিশ্বাসটা থাকে আমার মনে হয় ছয় যে কোনো সময়, যে কোনো মাঠে ছয় হবে। তার মতে পাওয়ার নয়, ছক্কার জন্য শুধু আত্মবিশ্বাসটাই প্রয়োজন, আমার কাছে মনে হয়েছে আমরা এরকম পরিস্থিতিতে কম অভ্যস্ত। আমরা যখন আস্তে আস্তে খেলতে থাকবো। আরও যখন ম্যাচে এরকম ছয় মারবো, প্রত্যেকটা ব্যাটার যখন মারবে, তখন আত্মবিশ্বাসটা আসবে যে আমি মারলে ছয় হবে।  টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটি তাওহীদ উৎসর্গ করেছেন তার মাকে। যিনি এই মুহূর্তে অসুস্থ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাওহীদের কোনো সেঞ্চুরি নেই। প্রথম শ্রেণি, লিস্ট ‘এ’তে সেঞ্চুরি থাকলেও টি-টোয়েন্টিতে কখনো তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করার কীর্তি ছিল না।  তবে তার কাছে টি-টোয়েন্টির এই সেঞ্চুরি থেকেও স্মৃতিময় যুব দলে খেলার সময় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাওয়া হ্যাটট্রিক সেঞ্চুরি। যা কখনও ভুলতে চান না তিনি।  
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:১৩

বিপিএলে সেঞ্চুরি করে গেইল-ডি ভিলিয়ার্সদের পাশে হৃদয়
গত বিপিএলে সিলেটের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করে জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন তারুণ তাওহদী হৃদয়। ২০২৩ সালটা জাতীয় দলের হয়ে দুর্দান্তভাবে শেষ করেছেন তিনি। ফলে চলমান বিপিএলের অনেক আগেই কোটি টাকা খরচ করে দলে ভিড়িয়ে ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে দলকে জিতিয়ে প্রতিদানও দিয়েছেন হৃদয়। দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১০৮ রানের ইনিংস খেলেন এই টাইগার ব্যাটার। যেখানে ৭ ছক্কা ও ৮ চারে ইনিংস সাজিয়েছেন তিনি। এতে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তিনি। এ ছাড়াও বিপিএলে সেঞ্চুরিয়ানদের নামের পাশে জায়গা করে নিয়েছেন এই তরুণ ব্যাটার। এরপর আগে বিপিএলে পাঁচ বাংলাদেশি সেঞ্চুরি পেয়েছেন। যাদের মধ্যে রয়েছে তামিম ইকবাল, সাব্বির রহমান, নাজমুল হাসান শান্ত, শাহরিয়ার নাফিস। এবার তাদের পাশে নাম লেখালেন হৃদয়। এ ছাড়াও বিপিএলে বিদেশিদের মধ্যে গেইল, ডি ভিলিয়ার্স ও হেলসদের বড় বড় তারকা ক্রিকেটারদের স্পর্শ করেছেন তিনি। বিপিএলের আগের নয় আসর এবং চলতি বিপিএলে এই এক মাত্র সেঞ্চুরি মিলে মোট ৩০ টি সেঞ্চুরি হয়েছে। যেখানে পাঁচটি সেঞ্চুরির মালিক ক্যারিবিয়ান তরকা ক্রিকেটার ক্রিস গেইল। জনসন চালর্স ও তামিম ইকবালের রয়েছে দুটি করে শতক রানের ইনিংস।  তাছাড়া বাকি সবার একটি করে সেঞ্চুরি রয়েছে। চলমান বিপিএলে হৃদয়ের সেঞ্চুরিটায় দশম আসরে প্রথম সেঞ্চুরি। আসরের প্রথম কয়েক ম্যাচে রান না পেলেও বীরের বেশে রানে ফিরেছেন এই তারকা ব্যাটার। এখনও পর্যন্ত ৭ ম্যাচে ২৫০ রান করেছেন তিনি। এতে সেরা ব্যাটারদের মধ্যে এক লাফ দিয়ে তৃতীয়স্থান দখল করেছেন তিনি। তার পিছনে রয়েছে মুশফিকুর রহিম ও এনামুল হক বিজয়।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:৪৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়