• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কৃষকের জন্য সারা বছরই সেচ সুবিধা দেবে সরকার 
কৃষকদের সারা বছর সেচ সুবিধা দিতে এখন আর কোনো নির্দিষ্ট মৌসুম রাখছে না সরকার। আগে ডিসেম্বর থেকে মে মাস সেচ মৌসুম বিবেচনা করা হলেও নতুন সেচ নীতিতে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। কৃষকদের সারা বছর সেচ দেওয়ার সুবিধার্থে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। আর এখন থেকে আবেদনকারী কৃষকরা সারা বছরই পাবেন সেচ সংযোগ। নীতিমালা অনুযায়ী, ওভারলোডের ওজুহাতে সেচ সংযোগ বন্ধ রাখা যাবে না।  ‘সেচ নীতিমালা ২০২৪’–এ বলা হয়েছে, আউশ, আমন ও বোরো ধান উৎপাদনের পাশাপাশি পেঁয়াজ, রসুন, ডাল, তেল জাতীয় ফসল, হলুদ, আদা, শাক-সবজি, মৌসুমি ফুল-ফল উৎপাদনের লক্ষ্যে সকল ধরণের কৃষিকাজ সেচ কাজের আওতাভুক্ত হবে। এখন থেকে বৈদ্যুতিক সেচ কাজের জন্য আলাদাভাবে কোনো মৌসুম থাকবে না। স্থানীয় এলাকার প্রয়োজন সাপেক্ষে এখন থেকে সারা বছর বৈদ্যুতিক সেচকাজ পরিচালনা করতে পারবে। তাই বছরব্যাপী সেচ সংযোগ আবেদনকারীদের দ্রুত সংযোগ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে নীতিমালায়।   আগে সাধারণত ডিসেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত সেচ মৌসুম বিবেচনা করা হতো। এ সময়ের বাইরে আবেদন করলে পাওয়া যেত না সেচ সংযোগ। এটিকে সাধারণত বোরো মৌসুম হিসেবে বিবেচনা করা হতো। তবে দেখা যায় সারা বছরই কোনও কোনও এলাকায় সেচের প্রয়োজন হয়। তখন সংযোগের আবেদন করলে তা পাওয়া যেতো না।  নীতিমালায় বলা হয়েছে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত ও বিধি-বিধানের আলোকে প্রদত্ত উপজেলা সেচ কমিটির ছাড়পত্র এবং জমির মালিকানা নিশ্চিত হয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের প্রদত্ত নির্দেশনার আলোকে দ্রুত নতুন সেচ সংযোগ প্রদান করতে হবে।  সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেচে সরকার ভর্তুকিমূল্যে বিদ্যুৎ দিয়ে থাকে। এই বিদ্যুৎ যাতে অন্যকাজে ব্যবহার না হয় এ জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেচের জন্য যত্রতত্র পানির পাম্প বসানোর পর পানির স্তর নেমে যাচ্ছে। এজন্য পাম্প বসানোর আগে সেচ কমিটির অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেচ কমিটির অনুমোদন ছাড়া বোরিং স্থান পরিবর্তন করা হলে নতুন সংযোগ প্রদান করা যাবে না এবং বিদ্যমান সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। কোনও কারণে সাময়িকভাবে গ্রাহকের সেচ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলে কেবলমাত্র সংযোগ বিচ্ছিন্নের অব্যবহিত পরবর্তী বছরে পুনঃসংযোগের সময় নতুন করে উপজেলা সেচ কমিটির ছাড়পত্রের প্রয়োজন হবে না। সেচ নীতিমালায় বলা হয়েছে, ওভারলোডের কারণে কোন সেচ সংযোগ বন্ধ রাখতে হলে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জোনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে এবং দ্রুত ওভারলোড নিরসন করে সেচ সংযোগ প্রদান করতে হবে। এ ব্যাপারে শিথিলতা প্রমাণিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক/শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  নতুন সেচ গ্রাহকের লাইন নির্মাণসহ বিদ্যুৎ সরবরাহ সঠিক সময়ে নিশ্চিত করার জন্য ওভারলোডেড লাইন, উপকেন্দ্রসমূহের আপগ্রেডেশন ও ট্রান্সফরমারসহ মেরামত কার্যক্রম সম্পন্নের লক্ষ্যে (লোড বিভাজন, ফিভার বিভাজন, ১১ কেডি লাইনে পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নয়নে ক্যাপাসিটর স্থাপন ও ভোল্টেজ উন্নয়নে লাইন রেগুলেটর স্থাপন ইত্যাদি) সংশ্লিষ্ট জোনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী (এসওডি) গণের সহায়তায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তা নিশ্চিত করতে হবে। সেচ সংযোগপ্রত্যাশী যে গ্রাহক উপজেলা সেচ কমিটির ছাড়পত্র আবেদনের সঙ্গে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে জমা দিবেন তিনি নতুন সংযোগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। নতুন নীতিতে বলা হয়েছে, কোনও কোনও এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে লোড বৃদ্ধি তথা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন হর্স পাওয়ারের মোটরের প্রয়োজন দেখা দিলে সাব-মারসিবল পাম্প স্থাপন করতে হতে পারে; এ ক্ষেত্রে সেচ পাম্পটি অবশ্যই কমান্ডিং এরিয়ার মধ্যে এবং ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা অনুসরণের শর্ত মেনে চলতে হবে। সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের নীতি-গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহম্মদ হোসেইন বলেন, এখন সারাবছরই নানা ফল আর ফসলের আবাদ হয়। এসব আবাদে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। কৃষক যাতে সমস্যায় না পড়ে সেজন্যে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
১০ মার্চ ২০২৪, ১৩:২৬

পানির সেচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সিএনজি চালকের মৃত্যু
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে।   নিহত মো. ফয়েজ (৪০) উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের লাল মিয়া বাড়ির মৃত আব্দুল মতিনের ছেলে।  রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার নাটেশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।   স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত ফয়েজ পেশায় একজন অটোচালক ছিলেন। দুপুরের দিকে পুকুরে থেকে মোটর দিয়ে সে পানি উঠাতে যায়। ওই সময় পানি ওঠা বন্ধ হয়ে গেলে তা দেখতে মোটরে হাত দেন তিনি। এ সময় মোটরে থাকা বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। পরে বাড়ির লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ পরিবারে কাছে হস্তান্তর করা হয়। 
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:১০

সেচ মৌসুমে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান
চলতি সেচ মৌসুমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়। গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এতে বলা হয়, সেচ পাম্পে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতের লক্ষ্যে রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত সেচ পাম্প চালু রাখার অনুরোধ। দুর্ঘটনা এড়াতে হুকিং বা অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিরত থাকা। নিম্নহারে বিদ্যুৎ বিল সুবিধা প্রাপ্তির লক্ষ্যে দোকান, শপিং মল, পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে অতিরিক্ত বাতি ব্যবহারে বিরত থাকা। বেআইনিভাবে ইজিবাইক ও মোটরচালিত রিকশার ব্যাটারি চার্জিং থেকে বিরত থাকা। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ওয়েট অ্যান্ড ড্রাই পদ্ধতিতে সেচ কাজ সম্পাদন করা এবং সর্বোপরি বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়া। এ ছাড়া বিদ্যুৎ সেবা পেতে যেকোনো অভিযোগ বা তথ্যের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের হট লাইন নম্বরে (১৬৯৯৯) যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদানে বিদ্যুৎ বিভাগ আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলেও জানানো হয়। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি থেকে সেচ মৌসুম শুরু হয়, যা ৩১ মে পর্যন্ত চালু থাকে। এ সময় বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। 
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়