• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
টাইটানিকের সেই দরজা নিলামে যত টাকায় বিক্রি হলো
বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার গল্পে ১৯৯৭ সালে নির্মিত হয় ‘টাইটানিক’ সিনেমা। যেখানে রোজ চরিত্রে অভিনয় করেন কেট উইন্সলেট এবং জ্যাক চরিত্রে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। পর্দায় এই দুই তারকার রসায়ন ছুঁয়ে যায় লাখো কোটি দর্শকের হৃদয়। এখনও ভক্তদের মনে ঝড় তোলে রোজ-জ্যাকের ভালোবাসার সম্পর্ক ও বিভিন্ন ঘনিষ্ঠ দৃশ্য। বিশেষ করে সিনেমার শেষের দিকে নায়িকা রোজকে জাহাজের একটি ভাঙা দরজার ওপর রেখে নিজে বরফ শীতল পানিতে ভেসে থাকার সেই মুহূর্ত কাঁদিয়েছে সবাইকে।  সিনেমার সেই দরজা এবার উঠেছে নিলামে। মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, ৭ লাখ ১৮ হাজার ৭৫০ মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়েছে দরজাটি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্য ৭ কোটি ৯০ লাখ টাকারও বেশি। ওই নিলামে আরও বেশ কিছু ঐতিহাসিক সিনেমার ব্যবহৃত পণ্য, সরঞ্জামও তোলা হয়। তবে এসব কিছুর মধ্যে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছে টাইটানিকের সেই দরজাটি। কারণ, এই দরজা নিয়ে সিনেমার পরে অনেক প্রশ্ন ছিল।  জ্যাক ভক্তরা নির্মাতা জেমস ক্যামেরনকে প্রশ্ন করেছিল, কেন সেই দরজায় জ্যাককে তোলা হয়নি? কেন তাকে বাঁচানো হলো না? এ সকল প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন পরিচালক।  প্রসঙ্গত, ১৯১২ সালে ডুবে যাওয়া টাইটানিক জাহাজের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয় ‘টাইটানিক’ সিনেমা। আটলান্টিক সাগরে দুর্ঘটনায় তলিয়ে যাওয়া সেই টাইটানিকে দেড় হাজারের বেশি যাত্রী ও ক্রু প্রাণ হারিয়েছিলেন। 
৯ ঘণ্টা আগে

অবশেষে সেই অভিযুক্ত প্রেমিক সেলিম গ্রেপ্তার
পাবনার ঈশ্বরদীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করা তরুণীর দায়ের করা মামলায় অবশেষে সেই অভিযুক্ত প্রেমিক সেলিম রেজাকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।  বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে পাবনা শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিকেলে র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  গ্রেপ্তার সেলিম পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মশুরিয়াপাড়া এলাকার আবদুল গফুরের ছেলে।  সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মেজর এহতেশামুল হক খান জানান, এক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক তরুণীর (১৮) সঙ্গে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক হয় সেলিম রেজার। এরপর তাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকার শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করতেন। এরপর বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে বিয়ে না করে সেখান থেকে পালিয়ে নিজ গ্রামে চলে যান অভিযুক্ত সেলিম। শুধু তাই নয়, বাড়িতে গিয়ে অন্য মেয়ের সঙ্গে গত ২২ মার্চ বিয়ে করেন তিনি। এ ঘটনা শুনে ভুক্তভোগী  ওিই তরুণী গত ২৩ মার্চ অভিযুক্ত সেলিম রেজার বাড়িতে যান। তাদের সম্পর্কের কথা পরিবারের সদস্যদের জানালে তারা তরুণীকে জানিয়ে দেয় সেলিম রেজারকে অন্য জায়গায় বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন আর তার সঙ্গে বিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। এ কথা শোনার পর বিয়ের দাবিতে সেলিমের বাড়ির সামনে অনশন শুরু করেন ওই তরুণী। তখন তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তাকে বিয়ে না করলে তিনি এই বাড়ি থেকে যাবেন না। প্রয়োজনে তিনি বিষপানে আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেলিমের পরিবার থেকে সমাধান না পেয়ে পরবর্তীতে ভুক্তভোগী তরুণী থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। এরপর প্রতারক সেলিম রেজাকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পাবনা র‌্যাবের একটি দল। কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খানের নেতৃত্বে দলটি ২৪ ঘণ্টাব্যাপী দীর্ঘ অভিযান পরিচালনা করে পাবনা শহরের আব্দুল হামিদ সড়কে মর্ডান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে থেকে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেলিম রেজাকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত সেলিম ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে ঈশ্বরদী থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 
২৭ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৪

সেই ইজিবাইকচালকের পাশে দাঁড়াল র‌্যাব
গাজীপুরে ইজিবাইকচালক আবু সাঈদকে আর্থিক অনুদান দিয়েছে র‌্যাব-১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ মোসতাক আহমেদ।  বুধবার (২৭ মার্চ) বিকালে র‌্যাব-১ উত্তরার পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ইজিবাইকচালককে ওই আর্থিক অনুদানের টাকা হস্তান্তর করা হয়। র‌্যাব-১-এর সহকারী পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান রাত ৮টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আবু সাঈদ ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজহাটি গ্রামের মৃত কলুম উদ্দিনের ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগর সদর থানার ছোট দেওড়া কাজী বাড়ির আবু মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থেকে সাড়ে তিন বছর যাবৎ ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। শনিবার (২৩ মার্চ) রাত পৌনে ৮টায় যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীরা তার ইজিবাইকটি ছিনতাই করে। এতে তিনি নিঃস্ব হয়ে পড়েন এবং তার উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে যায়। মানবিক দিক বিবেচনা করে র‌্যাব ওই ইজিবাইকচালকের পাশে দাঁড়ায়। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত সাড়ে ৮ টায় র‌্যাব ওই চালকের ছিনতাইকৃত ইজিবাইক উদ্ধারে গাজীপুর মহানগর সদর থানার পশ্চিম ধীরাশ্রম (আশা ব্যাংক) সংলগ্ন জীম এন্টারপ্রাইজে অভিযান চালায়। ওই দোকান থেকে ছিনতাইকৃত ইজিবাইকের বিভিন্ন খোলা অংশ উদ্ধার করে র‌্যাব। এ সময় ধীরাশ্রম এলাকার হেলাল উদ্দিনের ছেলে চুন্নু মিয়াকে (৩৪) গ্রেপ্তার করা হয়।
২৭ মার্চ ২০২৪, ২২:০৬

যেভাবে দিন কাটছে ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’র সেই রইছের (ভিডিও)
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের উপন্যাস অবলম্বনে চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ সিনেমায় রইছ চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন অভিনয়শিল্পী বিজয় চৌধুরী। নব্বইয়ের থেকে শূন্য দশকের দর্শকমাত্রই রইছকে চেনেন। সেই সিনেমাটির ওই দৃশ্য দেখে আজও দর্শকের চোখে পানি চলে আসে। আলোচিত সেই ছবির দৃশ্যে দেখা যায় বুড়ির (সুচরিতা) ঘরে আত্মগোপনে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজে এসেছে পাকিস্তানি হানাদাররা। মুক্তিযোদ্ধাদের বাঁচাতে নিজের বাক্ ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী পুত্রসন্তান রইছকে উৎসর্গ করেন মা। রইছের হাতে বন্দুক ধরিয়ে দিয়ে ঘরের বাইরে পাঠান; বাড়ির আঙিনায় রইছের বুক ঝাঁজরা করে চলে যায় হানাদাররা। আমগাছের তলায় রইছের নিথর দেহ পড়ে থাকে। মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধে পাঠিয়ে নিথর সন্তানকে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বুড়ি। মাত্র একটি দৃশ্যে অভিনয় করে আজও দর্শকদের মনে রয়ে গিয়েছেন বিজয়। ১৯৯৩ সালে পরিচালক রায়হান মুজিবের ‘প্রেমপ্রীতি’ সিনেমা দিয়ে অভিনয়ে অভিষেক ঘটে বিজয়ের। মাঝে আরও দু-তিনটি সিনেমা করলেও রইছকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি। ১৯৯৭ সালে ‘লাট ভাই’-এর পর আর কোনো সিনেমায় পাওয়া যায়নি তাকে। মাঝে আড়াই দশকে আর কোনো সিনেমা করেননি। টুকটাক নাটক করলেও নিয়মিত নন। অভিনয়ের বাইরে মূলত ব্যবসায়ী হিসেবেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। দু-তিন বছর ধরে তৈরি পোশাক রপ্তানি করছেন তিনি। চার বন্ধুর সঙ্গে অংশীদারির ভিত্তিতে ঢাকার বারিধারা ডিওএইচএসে অফিস নিয়েছেন। বিভিন্ন কারখানা থেকে সোয়েটার নিয়ে কলকাতায় রপ্তানি করছেন তারা। এর আগে মতিঝিলে ‘উনুন’ নামে একটি রেস্তোরাঁ ছিল বিজয়ের। প্রায় এক যুগ ধরে রেস্তোরাঁটি পরিচালনা করেছেন তিনি। করোনাভাইরাসের মধ্যে সেটি বন্ধ করে পোশাক রপ্তানি ব্যবসায় হাত দেন। প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালে বিয়ে করেন বিজয় চৌধুরী। তিনি ও তাঁর স্ত্রী সালমা চৌধুরীর সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে সাবিত চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন, গত বছর বিয়ে করেছেন সাবিত। মেয়ে ফিওনা আজাদ উচ্চমাধ্যমিকে পড়ছে। বিজয়ের বাবা মোহাম্মদ মনির চৌধুরী একজন অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী, মা মিনা চৌধুরী গৃহিণী। বিজয়রা তিন ভাই ও এক বোন। দুই ভাই আয়ারল্যান্ডে থিতু হয়েছেন।    
২৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৬

তামিমের সেই বিজ্ঞাপন ইস্যুতে যা বললেন পাপন
বেশ কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ দুই তারকা ক্রিকেটার তামিম ইকবাল এবং মেহেদী হাসান মিরাজের ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে হৈচৈ পড়েছিল দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। মূলত একটি মোবাইল আর্থিক লেনদেন প্রতিষ্ঠানের প্রচারকে কেন্দ্র করেই এই ফোনালাপ ফাঁস হয়। এবার সেই বিজ্ঞাপন ইস্যুতে কথা বলেছেন যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তার দাবি, এখনও সেই বিজ্ঞাপনটি দেখেননি তিনি। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পাপন জানান, আমি বিজ্ঞাপনটা দেখিনি, তবে শুনেছি। একজন আমাকে বলেছে যে এ রকম একটা বিজ্ঞাপন হয়েছে। তারা যদি বিসিবির কোনো নিয়ম ভেঙে থাকে, তাহলে বোর্ড তার সিদ্ধান্ত নেবে। পাপন বলেন, এমন কোনো বিজ্ঞাপন কিংবা নাটক করা উচিত না, যেটা কোনো ক্রিকেটারকে হাস্যকরে পরিণত করে।
২৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:২০

পুরস্কার পাচ্ছেন কাঁধে করে ডাকাত তুলে আনা সেই এএসআই
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে কাঁধে করে তুলে এনে ভাইরাল হওয়া পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কামরুল ইসলাম পুরস্কার পাচ্ছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন তাকে পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছেন। শুক্রবার (২২ মার্চ) নাসিরনগরর উপজেলার হরিপুর থেকে এক ডাকাতকে গ্রেপ্তারের পর কাঁধে করে তুলে আনেন এএসআই কামরুল। জানা গেছে, গ্রেপ্তার জীবন ওই এলাকার হুসন আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা আছে। সম্প্রতি তিনি মাধবপুর-হরিপুর সড়কে ডাকাতি শুরু করেন। তাকে অনেক দিন ধরে খুঁজছিল পুলিশ। অবশেষে শুক্রবার ইফতারের আগ মুহূর্তে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জীবনের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে নাসিরনগর থানা পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তার করতে ছদ্দবেশে এসআই রূপন নাথ, এএসআই কামরুল ইসলাম ও তিন পুলিশ কনস্টেবলকে নিয়ে হরিপুরে যান। সেখানে গিয়ে তারা দেখেন ডাকাত জীবন সঙ্গীদের নিয়ে একটি জমিতে বসে ইয়াবা সেবন করছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু পুলিশ কনস্টেবল রানার হাতে কামড় দিয়ে হাতকড়া নিয়েই পালিয়ে যায় জীবন। পুলিশ ছুটে গিয়ে তাকে পুনরায় গ্রেপ্তার করে। তার ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে এএসআই মো. কামরুল ইসলাম তাকে কাঁধে তুলে নেন। কিছুদূর আনার পর তাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে থানায় আনা হয়। এরপর ডাকাতকে কাঁধে তুলে আনার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। সবাই এএসআই কামরুলের প্রশংসা করেন। এবার এ কাজের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার কামরুলসহ অভিযানে থাকা পুরো টিমকে পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানান, বাংলাদেশ পুলিশ প্রতিটি ভালো ও প্রশংসার কাজে পুরস্কৃত করে। যার ফলে অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা অনুপ্রাণিত হন। ডাকাত ধরে প্রশংসিত হওয়া পুলিশ সদস্যদের আমরা পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছি। চলতি সপ্তাহের কল্যাণ সভায় তাদের হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেওয়া হবে।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১০:১৯

ছবি নিয়ে নানা প্রশ্ন, মুখ খুললেন সেই শরিফুল
এক বিজ্ঞাপনচিত্রে ‘হু টোল্ড ইউ, ওয়েল ইয়োর ওন মেশিন’ সংলাপটির মাধ্যমে সবার কাছে পরিচিতি পেয়ে যায় শিশুশিল্পী শরিফুল। পরিচিতি বেড়ে যাওয়ায় কাজ পেতে শুরু করে ছোট পর্দা, বড় পর্দা এবং বিজ্ঞাপনচিত্রে। নতুন নতুন নাটক নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় যাচ্ছে তার। ঠিক এমন সময়ই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলো এই অভিনেতার একটি ছবি। যেটিকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা।  শনিবার (২৩ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপে অভিনেতা শরিফুলের বিয়ের একটি ছবি ভাইরাল হয়। এরপর থেকে চলছে নানা আলোচনা। অনেকেই বিয়ের এই ছবিটি দেখে অবাক হচ্ছেন। আবার অনেকেই নাটকের দৃশ্য বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন বিষয়টি। তবে জানা গেছে এটি আসলেই একটি নাটকের শুটিংয়ের ছবি।  আরটিভিকে শরিফুল জানান, ছবিটি অনেক আগের 'বিয়ান আমার ক্রাশ' নামের নাটকের শুটিংয়ের একটি ছবি। আমিও দেখছি কয়েকদিন যাবৎ ছবিটি ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে ভাইরাল হয়েছে। আমি দর্শকদের বলবো আমি এখনো অনেক ছোট, এখন কাজ নিয়েই আছি। বিয়ে আরও অনেক পরের কথা।  গাজীপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান শরীফুল ইসলাম। হোতাপাড়ার খতিব খামারবাড়ি এলাকায় চা–বিস্কুটের দোকান ছিল তার বাবার। সেখানে সব সময় বসে থাকত শরীফুল। কেউ চা–বিস্কুট চাইলে শরীফুল হাজির। বাবার দোকানে ও দোকানের আশপাশে প্রায়ই শুটিং হতো। কখনো শুটিংয়ে আসা শিল্পী, কলাকুশলীদের চা–বিস্কুট পৌঁছে দিত শরীফুল আর লুকিয়ে দেখত শুটিং। মনে মনে ভাবত, অভিনয় বড়লোকের ব্যাপার-স্যাপার। এভাবেই একদিন চায়ের দোকানের পাশে ছোট্ট শরীফুলকে দেখে চিত্রগ্রাহক রাশেদ জামানের পছন্দ হয়। ছেলেটির বাবাকে খুঁজতে থাকেন। পরে শরীফুলের বাবার সঙ্গে কথা বলে তাকে অভিনয়ের জন্য নিয়ে যান। শরীফুল প্রথম অভিনয় করেন গিয়াস উদ্দিন সেলিমের নাটকে। তার পর থেকে বাচ্চাদের চরিত্রে কাউকে প্রয়োজন হলেও ডাক পড়ত শরীফুলের। তবে পরিচিতি তখনো হয়নি। এর মধ্যেই অমিতাভ রেজার বিজ্ঞাপনচিত্রের ডাক পায় শরীফুল। সেই বিজ্ঞাপনে ‘হু টোল্ড ইউ, অয়েল ইওর ওন মেশিন’ সংলাপটি শরীফুলকে জনপ্রিয় করে তোলে। এখন সে নাটকের পরিচিত মুখ। অভিনয় করেছে সিনেমাতেও। ‘আয়নাবাজি’ সিনেমা কিংবা ঢাকা মেট্রো ওয়েব সিরিজসহ একাধিক কাজ দিয়ে তিনি দর্শকদের কাছে পরিচিতি বাড়িয়েছেন।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫১

গ্রাহকদের শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া সেই প্রাণনাথ ভারতের জেলে
গ্রাহকদের শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে সপরিবারে পালিয়ে যাওয়া সাতক্ষীরার প্রগতি সঞ্চয় ও ঋণদান কো-অপারেটিভ সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক প্রাণনাথ দাস ভারতের জেলে রয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার গোবরডাঙ্গা থানা এলাকায় গত রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (‌এসটিএফ)। পরদিন সোমবার তাকে আদালতে নেওয়া হলে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বারাসাত আদালত। বর্তমানে  প্রাণনাথ দাস কলকাতা বিমানবন্দর সংলগ্ন দমদম সেন্ট্রাল জেলে রয়েছেন বলে জানা গেছে।  এসটিএফের তথ্যমতে, ভারতে আগে থেকেই নিজের ও পরিবারের অন্য সদস্যদের ভুয়া ভারতীয় নথি তৈরি করে রেখেছিলেন প্রাণনাথ। গ্রাহকদের আত্মসাৎ করা অর্থে কলকাতার নিউ টাউনে কয়েক কোটি টাকায় একটি বাড়ি কিনেছিলেন তিনি। পরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেন তিনি। এরপর নিউটাউনের সেই বাড়িতে উঠেন।  এসটিএফের দাবি, রোববার বাংলাদেশে ফেরার চেষ্টা করছিলেন প্রাণনাথ। এ সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাণনাথ দাশের বিরুদ্ধে ভারতে অনুপ্রবেশ ও পাসপোর্ট আইনে মামলা দায়ের করেছে কলকাতা পুলিশ। অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১২ সালে সাতক্ষীরায় প্রগতি সঞ্চয় ও ঋণদান কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামে একটি প্রতিষ্ঠান খোলেন প্রাণনাথ দাস। এরপর সোসাইটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিজের স্ত্রী ইতি রানী বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বড় ভাই বিশ্বনাথ দাসকে নিয়োগ দেন। লাখপ্রতি মাসে দেড় হাজার টাকা মুনাফা এবং ডিপিএসে সঞ্চয়কৃত টাকা পাঁচ বছরে দ্বিগুণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষের কাছ থেকে শতকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সপরিবারে ভারতে পালিয়ে যান প্রাণনাথ। এরপর টাকা ফেরত পেতে বিক্ষোভ করেন ভুক্তভোগীরা। 
২১ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৫

ডিবি অফিসে মুখোমুখি জবির দুই শিক্ষক, যা বললেন সেই ছাত্রী
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের দুই শিক্ষককে সেই ছাত্রীর মুখোমুখি করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার (২০ মার্চ) রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে তাদের ডেকে নেওয়া হয়। ওই ছাত্রীর সঙ্গে ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন তার বাবা। জগন্নাথের ওই ছাত্রী রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, ডিবি কর্মকর্তারা আলাদাভাবে তার সঙ্গে কথা বলেছেন। আবার দুই শিক্ষকের সামনেও কথা বলেছেন। অভিযোগের বিষয়ে শুনেছেন ডিবি কর্মকর্তারা। ওই ছাত্রী আরও বলেন, ডিবি কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে দুই শিক্ষককে তার (ছাত্রী) নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার মতো কোনো পদক্ষেপ নিতে নিষেধ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন এবং অপর একজনের বিরুদ্ধে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। গত সোমবার তিনি ডিবিতে গিয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আবেদনও করেন। বিষয়টি নিয়ে ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছেও একটি আবেদন করেন। পরদিনই ডিবি ওই ছাত্রী ও দুই শিক্ষককে ডেকে নিল। এ সময় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন–অর–রশীদ উপস্থিত ছিলেন। ডিবি কার্যালয়ে যাওয়া দুই শিক্ষকের একজন গণমাধ্যমকে বলেন, যেহেতু ওই ছাত্রী ডিবিতে অভিযোগ জানিয়েছেন, সেহেতু ডিবি তাদের (দুই শিক্ষক) ডেকেছিল। তারা নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন। তিনি আরও বলেন, সেখানে ছাত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত না করতে বলা হয়েছে। তারা বলেছেন, নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার কোনো কারণই নেই। ছাত্রীর অভিযোগ ‘কাল্পনিক’। ওই ছাত্রী মঙ্গলবার বলেছেন, যৌন নিপীড়নের অভিযোগের বিচার চেয়ে তিনি ২০২০ সাল থেকে ঘুরছেন। এরপর তাকে পরীক্ষায় অকৃতকার্য করা হয়েছে। একটি পরীক্ষায় তিনি ৪০–এ শূন্য পান। তিনি বলেন, যে ম্যাডাম তাকে পরীক্ষায় শূন্য দিয়েছেন, তিনি ওই স্যারের বন্ধু ছিলেন। বিচার চাওয়ার কারণেই তাকে ওই ম্যাডামের একটি ও বিভাগীয় প্রধানের দুটি বিষয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এদিকে, সম্প্রতি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় যৌন হয়রানি ও নানা নিপীড়নের বিরুদ্ধে এ শিক্ষার্থী সোচ্চার হন।
২১ মার্চ ২০২৪, ০০:২৬

ডিবি কার্যালয়ে এসে যা জানালেন জবির সেই দুই শিক্ষক
শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনার পর সোমবার (১৮ মার্চ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তোলেন ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মিম। এর মধ্যে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন একই বিভাগের শিক্ষক আবু শাহেদ ইমনের ওপর। আর তাকে বাঁচানোর চেষ্টার অভিযোগ তোলেন বিভাগটির চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমেদ হালিমের ওপর। এবার অভিযোগের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হয় ওই দুই শিক্ষককে। বুধবার (২০ মার্চ) দুপুর সোয়া ২টা থেকে দুই শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমেদ হালিম সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ডিবি কার্যালয়ে ডাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‌‘ডিবি প্রধান আমাদের ডেকে নানা বিষয়ে জানতে চাইলেন। আমরা আমাদের মতো করে সব বলেছি। অভিযোগ তো দুই রকমের। এর মধ্যে একটা যৌন হয়রানি সংক্রান্ত। সেটি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। যার ফলে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যৌন হয়রানি সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট (তদন্তকারী, অভিযুক্ত, অভিযোগকারী, সাক্ষী) কেউ কথা বলতে পারবো না। এটা বিচারাধীন।’ আরেকটি বিষয় মিমের ফেলের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‍‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার রেজাল্ট ফাইনাল করার একটা ফর্মুলা আছে। গোপনীয়ভাবে খামে নম্বরপত্র সংগ্রহ করা হয়। গোপনীয়ভাবে নম্বরপত্র সিলগালা করে সংগ্রহ করা হয়। কেউ যদি ১০০ স্কোরের মধ্যে ৪০ পায় তাহলে সে পাস। বেশি হলে ফর্মুলা অনুযায়ী গ্রেড নম্বরটা হয়।’ হালিম বলেন, ‘নিজের দোষে ফেল করেছে মিম। তাকে ডেকেও মিড টার্ম বা এসাইনমেন্ট করানো যায়নি। ১০০ মার্কসের মধ্যে পাস ৪০ এ। সেখানে সে পেয়েছে ২৩.৫০। ওই শিক্ষার্থী সেকেন্ড ইয়ারের সেকেন্ড সেমিস্টারে এক কোর্সে যেটা আরেকজন শিক্ষক নিয়েছেন তার নাম হুমায়রা ফাতেমা আমিন। মিড টার্ম বা এসাইনমেন্টও জমা দেয়নি মিম। তিনবার নোটিশ দিয়ে দিয়ে ওই শিক্ষক মিড টার্ম নিয়েছে। কিন্তু মিম যোগাযোগও করেনি। সে সেকেন্ড ইয়ারে ফেল, এরপর চতুর্থ সেমিস্টারে আরেকটা কোর্সেও ফেল আছে। আর সপ্তম সেমিস্টারে কনটিউনিটি ফিল্ম রাইটিং কোর্স আছে।’ তিনি আরও বলেন, পাস করতে হলে পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষা ছাড়া ফেল করলে সে দায় তো শিক্ষকের না। তিনটি সেমিস্টারে সে একই কাজ করেছে। অনার্সের যে রেজাল্ট হয়েছে সেখানে তাদের ফেল আছে। ডিবি কি বিষয়ে জানতে চেয়েছে? এমন প্রশ্নে হালিম বলেন, ‘আমাদের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চেয়েছে। আমরা তথ্য দিয়েছি। সত্য-মিথ্যা প্রমাণ তো তাদের বিষয়।’ এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের  কাজী ফারজানা মিম অভিযোগ করেন, ‘২০২১ সালে আমার বিভাগের শিক্ষক আবু শাহেদ ইমন আমাকে যৌন হেনস্তা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এ অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে বিভাগের চেয়ারম্যান ও অভিযুক্ত শিক্ষক আমাকে সেটি তুলে নিতে নানাভাবে চাপ দিতে থাকে। এতে আমি রাজি না হওয়ায় তারা আমকে হাত-পা কেটে হত্যা করাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেন। আমাকে এক ঘরে করে দেওয়া হয়। আমাকে বিভিন্ন পরীক্ষায় শূন্য নম্বর দিয়ে ফেল করানো হয়। অনার্সের ফাইনালের ভাইভায় আমাকে ফেল করানো হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমি স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারছি না, আমাকে একঘরে করা হয়েছে। কখন আমাকে মেরে ফেলা হয় সেটা জানি না। শুধু আমি না, আমার পরিবারকেও নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে এবং হেনস্তা করছে। বর্তমান এ অবস্থা থেকে বাঁচতে ডিবি কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছি।’  
২০ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়