• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বলেই বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে’
সাবেক পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, এ দেশের স্বাধীনতার প্রথম স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বলেই বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। আর আমরা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ পেয়েছি। রোববার (১৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শরীয়তপুরের নড়িয়া ও সখিপুরে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল পূর্ব আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এনামুল হক শামীম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেতনায় জাগ্রত, হৃদয়ে স্পন্দিত। মুজিব মরেনি, মরতে পারে না। শতবর্ষে শেখ মুজিব শতকোটি গুণ শক্তিশালী। তিনি বলেন, শেখ মুজিব মানেই বাঙালির ঠিকানা। শেখ মুজিব মানেই বাঙালি জাতির আশ্রয়-ভরসা। শেখ মুজিব মানেই বাঙালির আদর্শ। শেখ মুজিব মানেই ঝড়-ঝঞ্ঝার মাঝে মাথা উঁচু করে বাঙালির সঠিক পথে চলা।  তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মানেই বাঙালির মৃত্যুঞ্জয়ী চেতনা। শেখ মুজিব মানেই সাম্য-অধিকার-গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। শেখ মুজিব মানেই দেশের জনগণের প্রতি, মানুষের প্রতি ভালোবাসা। এনামুল হক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গেছেন। তার কারণেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বসভায় অনন্য মর্যাদায় আসীন। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে  বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম ইসমাইল হক, ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির মোল্যা, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য জহির সিকদার, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন এবং সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক সরকার প্রমুখ।
১৭ মার্চ ২০২৪, ২২:২৬

যেভাবে সৃষ্টি হলো একুশের গান
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’— গানটি শুনলেই যেন আবেগতাড়িত হয়ে পড়ে সমগ্র বাঙালি। কেননা এই গানের মাঝেই মিশে আছে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউরসহ আরও অনেকের নাম;  ভাষা আন্দোলনে যারা নিজের জীবন দিয়েছেন। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে এনেছেন মাতৃভাষা।     ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’— এই গানটিকে প্রথমে কবিতা হিসেবেই লিখেছিলেন আব্দুল গাফফার চৌধুরী। কবিতাটি ইতিহাসের বাঁক বদলের সাক্ষী, রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে রক্তক্ষয়ী অধ্যায়ের প্রতিচ্ছবি, ভাষা আন্দোলনের এক অনন্য দলিল। যে কবিতায় উঠে এসেছে বাঙালির আত্মত্যাগের গল্প। কিন্তু পরে সেটা রূপান্তরিত হয় গানে।  ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ছাত্রদের মিছিলে গুলি চালালে শহীদ হন— সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউরসহ নাম না জানা অনেক ছাত্র। সেসময় ঢাকা মেডিকেলে আহত ছাত্রদের দেখতে গিয়েছিলেন ঢাকা কলেজের ছাত্র ও দৈনিক সংবাদের অনুবাদক আবদুল গাফফার চৌধুরী। তিনি যখন ঢাকা মেডিকেলের বহির্বিভাগে ঢোকেন, তখন দেখতে পান সেখানে পড়ে আছে জগন্নাথ কলেজের ছাত্র ভাষা শহীদ রফিকউদ্দিন আহমদের মরদেহ।   ১৪৪ ধারা ভেঙে যখন ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হোস্টেল প্রাঙ্গণে আসে, তখন ছাত্রদের ওপর গুলি চালায় পুলিশ। মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই শহীদ হন রফিকউদ্দিন। মেডিকেল হোস্টেলের ১৭ নম্বর রুমের পূর্বদিকে পড়ে ছিল তার মরদেহ। পরে ৬-৭ জন ভাষা আন্দোলন কর্মী তার মরদেহ এনাটমি হলের পেছনের বারান্দায় এনে রাখেন।  রফিকউদ্দিনের মরদেহ দেখে আবদুল গাফফার চৌধুরীর মনে হয়েছিল, এটি যেন তার আপন ভাইয়েরই রক্তমাখা মরদেহ। আর তখনই তার মনের আল্পনায় ভেসে এসেছিল কবিতার ২টি ছত্র।   ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু গড়া-এ ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’  হাসপাতালের বাইরে তখন ছাত্র-জনতার ভিড়। ঠিক তখনই বন্ধু সৈয়দ আহমদ হোসেনের সঙ্গে দেখা হলে তাঁকে আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেন, একটা মরদেহও দেখে এলাম বারান্দায়। একইসঙ্গে তার কবিতাটির কথাও জানালেন। সৈয়দ আহমদ হোসেন কবিতার প্রথম ছত্র শুনে আবদুল গাফফার চৌধুরীর হাত চেপে বললেন, খুব ভালো হয়েছে। এই কবিতাটির বাকি অংশ এখনই লিখে ফেলুন না। জবাবে আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী, রাস্তায় দাঁড়িয়ে কি কবিতা লেখা যায়? হোস্টেলে ফিরে না হয় লিখব।' কিন্তু তর সইল না সৈয়দ আহমদ হোসেনের। তিনি বলেই ফেললেন, 'হোস্টেলে ফিরতে তো দেরি হবে। হেঁটে আরমানিটোলা যদি যান পথেই কবিতাটি হারিয়ে যাবে। তারচেয়ে আমার সাইকেলটা নিয়ে রওনা দিন। জলদি পৌঁছতে পারবেন। এদিকে হোস্টেলে পৌঁছেই আবদুল গাফফার চৌধুরী ভাবলেন, কবিতার একটা ব্যবস্থা করা উচিত। নয়তো পরে আর লেখা সম্ভব হবে না। তখন হোস্টেলে বসেই তিনি বেশ কয়েক লাইন লিখলেন তিনি।  হোস্টেল বন্ধ হয়ে যাবে বলে সেখান থেকে বেগমবাজারে অবস্থিত ঢাকা কলেজের অন্য একটি হোস্টেলে চলে যান আবদুল গাফফার চৌধুরী। সেই হোস্টেলের সুপার ছিলেন ঢাকা কলেজের অধ্যাপক সাইদুর রহমানের ছেলে সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক শফিক রেহমান। তার সঙ্গে ভালো বন্ধুত্ব ছিল আবদুল গাফফার চৌধুরীর। সেই সূত্রে সেদিন রাতে হোস্টেলের অতিথি নিবাসে শফিক রেহমানের সঙ্গে ছিলেন তিনি। আর সে রাতেই লেখা হলো কবিতাটির একাংশ।    পরদিন ২২ ফেব্রুয়ারি শহীদ স্মরণে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ইমামতিতে অনুষ্ঠিত হয় গায়েবি জানাজা। আর সেই জানাজা শেষে জনতার মিছিল বের হলে মিছিলে হঠাৎ লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। সেখানে আবদুল গাফফার চৌধুরীও ছিলেন। পুলিশের লাঠিচার্জে আহত তিনি। পরে সেখান থেকে তার বন্ধু দাউদ খান মজলিশের সহযোগিতায় গেণ্ডারিয়ায় এক আত্মীয়ের বাসা চলে যান তিনি। সেই বাসার চিলেকোঠাতেই লেখা হয়েছিল কবিতাটির আরেক অংশ। তবে কবিতাটি লেখা সম্পন্ন হয়নি।      লাঠিচার্জে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হন আবদুল গাফফার চৌধুরী। হাসপাতালেই ফের সৈয়দ আহমদ হোসেনের সঙ্গে দেখা হয় তার। সেসময় কবিতাটি লেখা শেষ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেন, হয়েছে কিছুটা। সৈয়দ আহমদ হোসেন আবারও তাক্যা অনুরোধ করে বলেন, আজকের মধ্যেই লেখা শেষ করে দিন। বিশেষ প্রয়োজন। এরপরেই কবিতাটির বাকি অংশ লেখা শেষ করেন আবদুল গাফফার চৌধুরী।  জানা গেছে, ‘বিপ্লবের কোদাল দিয়ে আমরা অত্যাচারী, শাসকগোষ্ঠীর কবর রচনা করব’ শিরোনামে একুশের গানের প্রথম কয়েক ছত্র লিফলেটে প্রকাশিত হয়েছিল। প্রায় ২-৩ হাজার লিফলেট ছাপানো হয়েছিল। উৎসাহী ছাত্ররাই লিফলেটগুলো চারদিকে ছড়িয়ে দেন। তবে লিফলেটে সেসময় লেখকের নাম প্রকাশিত হয়নি।   পরে ১৯৫৩ সালে হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’ সংকলনে আবদুল গাফফার চৌধুরীর নাম ও একুশের গান শিরোনামে কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এই কবিতাটিতে প্রথম সুর দিয়ে গানে রূপান্তরিত করেন তৎকালীন যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আব্দুল লতিফ। ১৯৫৩ সালের ঢাকা কলেজের ছাত্র সংসদের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রথম গাওয়া হয় গানটি। গুলিস্তানের ব্রিটেনিকা হলে গানটি গেয়েছিলেন আব্দুল লতিফ এবং আতিকুল ইসলাম।  একই বছর ঢাকা কলেজের ছাত্ররা কলেজে শহীদ মিনার স্থাপনের সময় গানটি গেয়েছিলেন। আর সেসময় এই গান গাওয়ার অভিযোগে কলেজ থেকে ১১ ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়। পুলিশ গ্রেপ্তার করে সুরকার আব্দুল লতিফকে। পরে মওলানা ভাসানীর অনুরোধে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী প্রতিবাদ জানালে ছাত্রদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় প্রশাসন।   পরে ১৯৫৪ সালে গানটিতে নতুনভাবে সুরারোপ করেন প্রখ্যাত সুরকার আলতাফ মাহমুদ। ওই বছরই ২১ ফেব্রুয়ারি প্রভাতফেরিতে আলতাফ মাহমুদের সুরে গাওয়া হয় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’। ধীরে ধীরে এই সুরটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়।    ১৯৬৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত জহির রায়হানের কালজয়ী ‘জীবন থেকে নেওয়া’ চলচ্চিত্রে প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল গানটি। ২০০৬ সালের মার্চ মাসে বিবিসি  বাংলার শ্রোতা জরিপে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাংলা গানের তালিকায় এই গানটির অবস্থান ছিল তৃতীয়। গানটি গাওয়া হয়েছে ইংরেজি, ফরাসি, জাপানি, হিন্দিসহ মোট ১২টি ভাষায়।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৭

সুযোগ পেলে চিকিৎসায় উদাহরণ সৃষ্টি করবে বাংলাদেশ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, সুযোগ পেলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারবে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকরা বিশ্বের সঙ্গে তাল-মিলিয়ে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নাক রিকনস্ট্রাকশন সার্জারি বাংলাদেশে আগেও অনেক হয়েছে, তবে বিদেশি প্রথম রোগী ভুটানের ২৩ বছর বয়সী কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী কারমা দেমার সফল সার্জারি বার্ন ইনস্টিটিউটের একটি বড় অর্জন। তিনি আরও বলেন, দেশের চিকিৎসায় সাধারণ মানুষের আস্থা ফেরানোর লক্ষ্যেই কাজ করছে সরকার। এ ছাড়া ভুটান বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থেকে ১০-১৫ ইউনিটের বার্ন ইউনিট করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি অন্তত সার্কভিত্তিক দেশগুলোতে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের বিভিন্ন ক্যাম্প করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনসিলসহ ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৬

‘বিএনপি-জামায়াত সবসময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়’
বিএনপি-জামায়াত সবসময় দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। এদের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকতে বললেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। ভাষা শহীদদের স্মরণে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আলোচনা ও শীতার্তদের শীতবস্ত্র প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি-জামায়াত সাম্প্রদায়িক ও অগণতান্ত্রিক রাজনীতির স্রষ্টা। তারা সবসময় বিরাজনীতিকরণের পক্ষে কাজ করে। এরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বীজ বপন করে মানুষকে বিপথগামী করতে চায়। তিনি বলেন, দেশের মানুষের মুক্তির পক্ষে বিএনপি-জামায়াত কখনও কাজ করতে পারেনি। উল্টো মানুষের দুঃখ বৃদ্ধির মাধ্যমে এরা রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চেয়েছে। এরা রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত। আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, দেশের মানুষের কষ্ট ও দুঃখ লাঘব করার জন্যই আওয়ামী লীগের রাজনীতি। দেশের মানুষ যাতে ভালোভাবে জীবনযাপন করতে পারে এটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। নাছিম বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দারিদ্র্য দূর হয়েছে। এখন আমাদের আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে। তাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।  তিনি বলেন, যাদের হাত থেকে পুলিশ, শিক্ষক, ছাত্র, পুরোহিত, মসজিদের ইমাম কেউ রক্ষা পায়নি তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। সবাইকে একত্রিত হয়ে এদের প্রতিহত করতে হবে।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৫

রমজানে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থা : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
আসন্ন রমজান মাসে তেল-চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুতের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ার করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাংলাদেশ ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি আয়োজিত দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে জানুয়ারি মাসের টিসিবি পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ হুঁশিয়ারি জানান  তিনি। প্রতিমন্ত্রী জানান, পণ্যের অবৈধ মজুত রেখে বাজারে কৃত্রিম সংকট করা যাবে না। যারা বেশি মুনাফার লোভে অন্যায়ভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দিয়ে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে।  তিনি আরও বলেন, ভয়-ভীতি বা জরিমানা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমাদের উদ্দেশ্য উৎপাদন এবং রপ্তানিকারকদের থেকে রিটেইলারের মাধ্যমে ভোক্তার কাছে সহজে সব পণ্য যেন পৌঁছে যায় সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। একটি স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করা। যারা সৎভাবে ব্যবসা করবে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। কিন্তু যেসব ব্যবসায়ী সুযোগ নেবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আহসানুল ইসলাম টিটু জানান, টিসিবির পণ্য বিতরণে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন ডিলাররা। তাদের সহযোগিতা না পেলে এই বিশাল কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করা সম্ভব হতো না। এজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ডিলারদের অবশ্যই জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। ডিলারশিপ প্রতিবছর পুনঃনিবন্ধন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসবে প্রমাণিত হলে ডিলারশিপ বাতিল করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এক কোটি স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছি। ২০ লাখ কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। বাকি কার্ড জুনের মধ্যে বিতরণ সম্পন্ন করা হবে। এরপর তিনি বলেন, আমরা গার্মেন্টসের শ্রমিকদের জন্য আলাদা কার্ডের ব্যবস্থা করব। বিশেষ করে যারা কর্মজীবী মানুষ তারা যেন বিকেলেও পণ্য নিতে পারে সেই ব্যবস্থাগুলো আমরা সামনে নিয়ে আসব। আমরা শুরু করেছিলাম ট্রাক দিয়ে। সেখান থেকে দোকানে এসেছি। পরে এটা যেন ন্যায্যমূল্যের দোকানের মতো হয় সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টিসিবির কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য এসময় তিনি জনপ্রতিনিধিদের আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এছাড়া টিসিবির চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল ইসলাম এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সলিম উল্লাহ (সলু) উপস্থিত ছিলেন।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৭

আমার প্রধান কাজ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা : এ কে আজাদ
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য এ কে আজাদ বলেছেন, আমার প্রধান কাজ হচ্ছে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। যে সব বেকার যুবক আছে তাদের কর্মসংস্থান বাড়ানো। পাশাপাশি যেসব চাঁদাবাজ আছে, মাদক আছে এবং বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাস আছে সেগুলো থেকে ফরিদপুরবাসীকে রেহাই দেওয়া। পাশাপাশি শিক্ষাঙ্গনে যাতে শিক্ষার মান বাড়ানো যায় সে চেষ্টা করা। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করার পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ কে আজাদ বলেন, আমরা স্বতন্ত্র যে ৬২ জন সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি, তারা যদি একটি মোর্চা করার সুযোগ পাই তাহলে সংসদে জাতীয় পার্টি থেকে ভালো করবো। ফরিদপুর -৩ (সদর) আসনের এ সংসদ সদস্য বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদধারী নেতা হলেও আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থী। নৌকা কিংবা দলীয় কোনো প্রতীকে  নির্বাচন করিনি। আমরা একেক জন ভিন্ন ভিন্ন মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেছি। সেক্ষেত্রে দলীয় প্রার্থীদের তুলনায় আমরা উন্মুক্ত। তিনি বলেন, আমি মনে করি বিরোধীদলের (জাতীয় পার্টির) ১১ জনের চেয়ে আমরা ভালো ভূমিকা রাখতে পারবো। আমরা এ সিদ্ধান্তটা স্পিকারের সঙ্গে বসার পর নেব। এর আগে আমি আর কিছু বলতে চাচ্ছি না। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ আর দরিদ্র দেশের পর্যায়ে নেই, মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এ সময় ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভী মাসুদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:০৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়