• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘সৃজিতের স্ত্রী’ পরিচয়টা আমার জন্য দুর্ভাগ্যের
ওপার বাংলার দর্শকনন্দিত পরিচালক সৃজিত মুখার্জিকে বিয়ে করেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। এরপর দুই বাংলাতেই সমানতালে কাজ করে চলেছেন তিনি। তাদের বিয়ে নিয়ে সমালোচনার কমতি ছিল না। তবে সেই সমালোচনাকে পাশ কাটিয়েই দিব্যি ভালো আছেন এই দম্পতি। সম্প্রতি ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৃজিতের সঙ্গে সংসার জীবনের অদ্ভুত এক বিড়ম্বনার কথা জানিয়েছেন এই তারকা।  যেখানে মিথিলা বলেছেন, সৃজিতকে কেউ তার বিবাহিত জীবনের বিষয়ে প্রশ্ন করে না। কিন্তু আমায় করে। এই এক জিনিস ‘মায়া’ সিনেমার প্রমোশনের সময়ও হয়েছিল। বাংলাদেশেও সবাই সৃজিতকে ভারতের পরিচালক হিসেবে চেনে। আর আমি তার স্ত্রী। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের। আমি আন্তর্জাতিক স্তরে কাজ করি, পিএইচডি করছি, অভিনেত্রীও। সেগুলো যথেষ্ট নয় আমার পরিচয়ের জন্য? আমায় কেন কারও স্ত্রীর পরিচয়ে পরিচিত হতে হবে? মিথিলা আরও বলেন, সৃজিত আমাকে চমক দিতে কখনই ভুলে যায় না। আমি উলুপির কথা জানতাম। এখানে এসে দেখলাম, তার তিনটে বড় পাইথন আছে। সত্যি বলতে গেলে আমি কোনোদিন সাপের ভক্ত না। তাই আমি জানি না, যে গোটা বিষয়টায় আমি ঠিক কী অনুভব করব। কিন্তু আমি সৃজিতকে বাধা দিইনি। সৃজিতের সঙ্গে কি ঝামেলা চলছে মিথিলার এমন প্রশ্নের জবাবে মিথিলা বলেন, এসব একদমই ভুল কথা। আমি এবং আমার মেয়ে ঢাকায় থাকি। কারণ সেখানে থেকে আমাদের কাজ করতে সুবিধা হয়। আমাদের পরিবারও ঢাকাতে। আর কলকাতায় আসলে অনেক সময়ই সৃজিত বাইরে থাকে। তাই বলে আমাদের মাঝে কোনো ঝামেলা নেই। প্রসঙ্গত, ‘দশম অবতার’র পর ‘অতিউত্তম’ ছবির মাধ্যমেই আবার সিলভার স্ক্রিনে ফিরেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। মহানায়ক উত্তম কুমারকে দীর্ঘ ৪২ বছর পর আবারও পর্দায় ফিরিয়ে এনেছেন। তাতেও বেশ বাহবা পাচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে ঈদে আসছে গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত ও মিথিলা অভিনীত ‘কাজলরেখা’।
৩০ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪০

বাড়িতে অজগর পুষছেন সৃজিত
বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের প্রাণী পোষেন তারকারা। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কুকুর আর বিড়াল পোষেন তারা। তবে এবার ভিন্ন প্রাণী পোষার শখের কথা জানালেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি। কুকুর কিংবা বিড়াল নয়, বাড়িতে সাপ পুষছেন এই তারকা।      দীর্ঘদিন ধরেই নাকি সাপ পোষার শখ সৃজিতের। অবশেষে সেই শখ পূরণ হলো তার। শখ করে নিজের বাড়িতে অজগর পুষছেন তিনি। ইতোমধ্যে তার নতুন পোষ্যটিকে বাড়িতেও নিয়ে এসেছেন সৃজিত। তবে বাড়িতে অজগর পোষা যায় কি না, সে নিয়ে রয়েছে সংশয়।      ভারতীয় গণমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের বন দপ্তর থেকে যাবতীয় প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়েই অজগরটিকে বাড়িতে নিয়ে এসেছেন সৃজিত।   তবে আপাতত তার পোষ্যকে অনুরাগীদের নজরের আড়ালেই রেখেছেন সৃজিত। ছবি দেখানোর অনুরোধ করলে মজার ছলে নির্মাতা বলেন, ‘বাচ্চাদের ছবি দেওয়া ঠিক নয়। আর একটু বড় হোক, দেব।’   গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে ফেসবুকে নতুন পোষ্যকে নিয়ে একটি পোস্ট দেন সৃজিত। ক্যাপশনে অভিনেতা লেখেন, উলুপীকে বাড়িতে স্বাগত। আমাদের জীবন চিরকালের জন্য বদলে গেল। নির্মাতার এমন পোস্টে রীতিমতো জল্পনা ছড়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরিচালকের পরিবারের নতুন অতিথি কে? সেটা জানতে অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন সৃজিতের ভক্তরা। এবার জানা গেল, নতুন অতিথি আর কেউ নয়— একটি অজগর সাপ। অজগর পুষছেন— এমন খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, সাপকে সামলাচ্ছেন কীভাবে সৃজিত? জবাবে নির্মাতা বলেন, অজগর খুবই শান্ত প্রাণী। এটা খুব একটা ঝামেলার কিছু না! তবে আমি অনেক ছোট থেকেই সাপখোপ সামলাতে পারি। আমার কোনো ভয় নেই। বরং এই উপমহাদেশে সাপ নিয়ে বড্ড কুসংস্কার। সেগুলো ভালো লাগে না।  সূত্র : আনন্দবাজার       
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৫

মমতা ব্যানার্জিকে নিয়ে সৃজিতের বায়োপিক!
ওপার বাংলার দর্শকপ্রিয় নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি। অনেকে তাকে বায়োপিক কিং বলেও আখ্যা দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের এই বায়োপিক কিং এবার নাকি বানাবেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বায়োপিক, এমন কথা মিডিয়াপাড়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে। ২০২৪ ভারতের লোকসভা ভোটের আগেই কেন এমন ভাবনা সৃজিতের, তা জানার আগ্রহ অনেকেরই। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে মমতার সঙ্গে ‘ওয়ান ম্যান আর্মি’ কথাটা একদম মিলে যায়। তার অনেক অনুরাগীই এখন তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।  সত্যিই কি মমতা বব্যানার্জির বায়োপিক বানাচ্ছেন সৃজিত? পরিচালক সে কথা পরিষ্কারভাবে না জানালেও এক সাক্ষাৎকারে তাকে বলতে শোনা যায়, মমতার জীবন নিয়ে খুব ভালো সিনেমা হবে। সৃজিত ছোটবেলা থেকে যেগুলো পড়ে এসেছেন, সেই ভালোলাগার জায়গাগুলোকে ফুটিয়ে তুলেছেন সিনেমার পর্দায়। ফেলুদা পড়তে ভালো লাগত তাই বানিয়েছেন দার্জিলিং জমজমাট-ছিন্নমস্তার অভিশাপ। বানিয়েছেন মিশর রহস্য, কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন। জুলিয়েট-সিজারকে ফুটিয়ে তুলেছেন জুলফিকারে। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে বায়োপিকের কথা উঠলে সৃজিত বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। তিনি বলেন, বায়োপিক বানানোর সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ছবিতে সব সত্যি দেখানো যায় না। কিছু অধ্যায় চেপে যেতে হয়। সৃজিত জানান, তিনি নিজের সিনেমা বানানোর সময়ে এমন পরিবেশ চান, যেখানে শেষ বক্তব্য থাকবে তারই। কেউ নাক গলাবে না তার পরিচালনা নিয়ে। আর তাই বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতার বায়োপিক বানানোর প্রস্তাব তার কাছে এলেও তিনি হাতে নেননি ওগুলো।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়