• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শিশুদের সুরক্ষায় কাজ করছে সরকার : দীপু মনি
সরকার শিশুদের সুরক্ষায় কাজ করছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধিকাংশ প্রোগ্রাম শিশুদের নিয়ে। শিশু পরিবার, মুক ও বধির বিদ্যালয়, শেখ রাসেল শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রসহ প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই শিশুদের নিয়ে কাজ করছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সমাজসেবা অধিদপ্তরে সিএসপিবি প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও নতুন শিশু সুরক্ষা সমাজকর্মীদের প্রশিক্ষণের সমাপনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, আমাদের শহরগুলোতে অনেক শিশু রাস্তায় বসবাস করে। অনিরাপদ পরিবেশে বসবাস করে। কাজেই এসব শিশুদের সুরক্ষা, তাদের অধিকার সংরক্ষণের বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। কোনো শিশু অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে কিনা, শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে কি না, তা শনাক্ত করবে আমাদের কর্মীরা। কমিউনিটিভিত্তিক এ কাজ করতেই সমাজকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ সময় তিনি দেশের শিশুদের বেড়ে ওঠার পরিবেশ ও সুরক্ষা নিয়ে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, গ্রামে শিশুরা সামাজিক ও পারিবারিক পরিবেশে থাকে। সেই সমাজ কাঠামো শিশুর সুরক্ষায় একটা কবচ হিসেবে থাকে। কিন্তু শহরের ক্ষেত্রে তা নয়। এখানে নারীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে তার সঙ্গীর মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার। একই সঙ্গে তার শিশুও অনিরাপদ পরিবেশে বেড়ে ওঠে। অপরদিকে গ্রামে যৌথ পরিবার কাঠামোটা নারীর সুরক্ষার রক্ষাকবচ তৈরি করে। এখানে শহুরে পরিবেশে তেমন কেউ এগিয়ে আসে না। গ্রামে শিশুদের শারীরিক মানসিক নির্যাতনের ঘটনা কম ঘটে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, শিশুরা যে অনিরাপদ পেশায় বা অনিরাপদ জীবনযাপন করছে তার অধিকাংশ ঘটে শহরে, গ্রামে ঘটে না। এ ধরণের সমস্যা শহরকেন্দ্রিক। তাই শহরে শিশু সুরক্ষায় অধিক গুরুত্ব দিয়ে শিশু সুরক্ষা সমাজকর্মীদের কাজ করতে হবে বলে জানান তিনি। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইউনিসেফ বাংলাদেশের ওআইসি প্রতিনিধি এমা ব্রিগাম, ইউনিসেফ বাংলাদেশের শিশু সুরক্ষা প্রধান নাতালি ম্যাক কলি ও  সিএসপিবি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. সারোয়ার হোসেন।
১৫ মার্চ ২০২৪, ০০:১৪

‘করোনার সুরক্ষায় এখন আর টিকা জরুরি না’
চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে তিন বছরে ৬৯ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন ৭০ কোটির বেশি মানুষ। ভাইরাসটির টিকা আবিষ্কার এবং প্রয়োগ শুরুর পর এটি নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে শুরু করে। বর্তমানে বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত অনেকটাই কমে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের এখন আর আগের মতো মারণক্ষমতা নেই। এটি এখন মৌসুমি রোগের পর্যায়ে এখন নেমে এসেছে। তাই এখন আর এই রোগ থেকে সুরক্ষার জন্য টিকা জরুরি না। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ভোক্তা অধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রধান ডা. আনা পোপোভা এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানিয়েছেন।  তিনি বলেন, মহামারির শুরুর দিকে করোনাভাইরাসের যে প্রাণঘাতী ক্ষমতা ছিল, এখন আর তা নেই। গত ৩-৪ বছরে মানুষ ও অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর দেহে অজস্র কোটি বার সংক্রমিত হতে হতে ভাইরাসটির সেই ক্ষমতা প্রায় হারিয়ে গেছে। এক সময়ের প্রাণঘাতী করোনা এখন ইনফ্লুয়েঞ্জা বা শীতকালীন সর্দিজ্বর পর্যায়ের রোগে পরিণত হওয়ার পথে। গত বছর আমরা দেখেছি যে শীতের সময় এই রোগটির প্রাদুর্ভাব ঘটে, আবার শীত কমে গেলে সেই প্রাদুর্ভাব অনেকাংশে কেটেও যায়। তাছাড়া আগে করোনায় আক্রান্ত হলেই মানুষ ভয় পেতেন এবং হাসপাতালে ছুটে আসতেন। কিন্তু এখন সেই হারও অনেক কমে গেছে। এ ছাড়া বাজারে এখন করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধও মিলছে। তাই এখন করোনায় আক্রান্ত হলে লোকজন বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডা. আনা পোপোভা বলেন, এসব কারণে আমরা মনে করি, করোনা এখন একটি মৌসুমি রোগ। এর ফলে এটি থেকে সুরক্ষা পেতে এখন আর টিকার প্রয়োজন নেই। তবে যারা বয়স্ক মানুষজন কিংবা যাদের উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিসসহ প্রভৃতি শারীরিক জটিলতা রয়েছে— তাদের জন্য করোনা এখনও শক্তিশালী। কিন্তু সেক্ষেত্রে রোগটির প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে সতর্কতা, স্বাস্থ্যবিধি এবং মুখে খাওয়ার ওষুধই সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য যথেষ্ট। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর মাত্র তিন মাসের মধ্যে এটি বিশ্বজুড়ে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে। রোগটির ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ মাসের পর মাস লকডাউন, কোয়ারেন্টাইন, সামাজিক দূরত্ববিধির মতো কঠোর সব পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়। এ ছাড়া বিজ্ঞানীরা এই রোগের টিকা আবিষ্কারে উঠেপড়ে লাগে। এমন পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের আগস্টে বিশ্বের প্রথম করোনা টিকা স্পুটনিক ৫ উদ্ভাবন করে রাশিয়ার গামালিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট। পরে একই বছর নভেম্বরে বাজারে আসে মার্কিন ওষুধ ও টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান ওষুধ কোম্পানি বায়োটেকের উদ্ধাবিত টিকা ফাইজার এন বায়োটেক। তারপর একে একে বাজারে আসে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না, জনসন অ্যান্ড জনসনসহ আরও বেশ কিছু করোনা টিকা। সূত্র : আরটি নিউজ
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়