• ঢাকা বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের সুফল পাচ্ছে বিদেশ গমনেচ্ছুরা!
২০২১ সালের শেষের দিকে বিদেশগামীদের সেবা দিতে তৈরি করা হয় ‘আমি প্রবাসী’ নামের অ্যাপ। মাত্র তিন বছরেই দেশের সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারী অ্যাপের কাতারে জায়গা করে নিয়েছে এটি। এই অ্যাপটি ব্যবহার করে সহজেই যে কেউ বিদেশে কর্মসংস্থান খুঁজে বের করাসহ বিদেশ যাওয়ার পুরো প্রক্রিয়া ঘরে বসে সম্পন্ন করতে পারছেন। এই মধ্যে ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপটি ৫২ লাখেরও বেশি মানুষ ব্যবহার করছেন। এই অ্যাপ ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করে ঘরে বসেই এখন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ডাটাবেজে রেজিট্রেশন করা সম্ভব হচ্ছে। আর এখন পর্যন্ত এই সেবা নিয়েছেন ২৮ লাখেরও বেশি বিদেশ গমনেচ্ছু ব্যক্তি। এদিকে, করোনা মহামারির সময়ও ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপ ব্যবহার করে ১৭ লাখেরও বেশি বিদেশগামী করোনা টিকার রেজিস্ট্রেশন করেন। কোনোরকম ভোগান্তি ছাড়াই বিদেশগামীরা সেবা গ্রহণ করেন। করোনা পরবর্তী সময়ে বিএমইটির ডিজিটাল সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে বিদেশগমনেচ্ছুদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমাতে বিদেশ যাত্রার সব সরকারি প্রক্রিয়াগুলো ডিজিটালাইজেশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে ‘আমি প্রাবাসী’ প্রাথমিকভাবে বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন, প্রিডিপার্চার ওরিয়েন্টেশন (পিডিও), ট্রেনিং এবং বিএমইটি কিউআর কোড সম্বলিত স্মার্ট কার্ডসহ চারটি সেবা ডিজিটালাইজেশনের মধ্য দিয়ে অভিবাসনের ডিজাটালাইজেশন শুরু করে অ্যাপটি। কর্মকর্তাদের ফাইল জট কমাতে ও রিক্রুটিং এজেন্সিদের সেবাগুলোও নিরবিচ্ছিন্ন করতে বিদেশগমনেচ্ছুদের পাশাপাশি ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হয়েছে রিক্রুটিং এজেন্সিদের সার্ভিসগুলোও। ইতোমধ্যে প্রায় দুই হাজারেরও বেশি রিক্রুটিং এজেন্সি ‘আমি প্রবাসী’র স্মার্ট সার্ভিস সিস্টেমে যুক্ত হয়েছে।  আমি প্রবাসীর কর্মকর্তা মো. সাইফ-উল-আলম জানান, অ্যাপটি ব্যবহারে বিদেশগমনেচ্ছুদের চেয়েও বেশি সুবিধা পাবেন রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। কারণ, অনলাইনেই ক্লায়েন্টদের ফাইল পুট-আপের সুযোগ পাবেন তারা। এছাড়া ডিজিটালাইজেশনের কারণে অনলাইনে কিউআর কোডের মাধ্যমে মিলছে বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স। তিনি আরও বলেন, নারীদের বিদেশ যাত্রা নিরাপদ করতে সরকার নারী কর্মীদের বিএমইটি ছাড়পত্র ক্লিয়ারেন্সের আবেদন আমি প্রাবসীতে বাধ্যতামুলক করেছে। ফলে এখন কোন অসাধুচক্র ভুয়া সার্টিফেকেট দিয়ে নারীদের বিদেশে পাঠাতে পারছে না। আমি প্রবাসীর কো-ফাউন্ডার এবং সিইও নামির আহমেদ বলেন, আমাদের এই সেক্টর শতভাগ ডিজিটাল সেবার আওতায় নিয়ে আনতে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা ডিজিটাল সত্যায়ন চালু করছি। এর ফলে আর কোনো কর্মী বিদেশে গিয়ে প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। সেইসঙ্গে সরকারও ভিসা এটাস্টেশন বাবদ নির্ধারিত রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে না।  তিনি আরও বলেন, যে কেউ চাইলেই আমি প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসে বিদেশ যাত্রার সব কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে কিছু কিছু সার্ভিসের বিনিময়ে নামমাত্র একটা ফি নির্ধারণ করা আছে। এছাড়া ঘরে বসে বিএমইটি ফর্ম পুরণ করে বিকাশ অথবা নগদ বা মোবাইলে ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পেমেন্ট করে তার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:১৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়