• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
সুপ্রিম কোর্ট ভবনের ছাদ চুয়ে পানি, বিচারকাজে বিঘ্ন
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারকাজ পরিচালনার সময় ছাদ চুয়ে পানি পড়েছে বিচারকদের আসনে। এতে প্রধান বিচারপতিসহ ৫ বিচারপতি এজলাস ছেড়ে চলে যাওয়ায় সাময়িক বন্ধ থাকে বিচারকাজ।  বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, বিচারকাজের শুরু থেকেই বিচারকদের ডানপাশে বসা বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের আসনে ছাদ থেকে ফোঁটায় ফোঁটায় পানি পড়ছিল। বিষয়টি নিজের বেঞ্চ অফিসারকে জানান তিনি। এক পর্যায়ে পানি পড়ার ঘটনা প্রধান বিচারপতিরও নজরে আসে। পরে ৯টা ৪৪ মিনিটে প্রধান বিচারপতিসহ ৫ বিচারপতি এজলাস ছেড়ে খাস কামরায় চলে যান।  পরে রেজিস্টার জেনারেলসহ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের কর্মকর্তারা ছুটে যান এজলাসে। দ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা থেকে সরিয়ে ফেলা হয় বিচারপতিদের আসন। ঘটনার প্রায় ১৮ মিনিট পর এজলাসে পুনরায় বিচারকাজ শুরু হয়। এদিকে দ্বিতীয় দফায় বিচারকাজ শুরু হওয়ার পর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ছাদটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে, ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে ভালো করে দেখানো উচিত। এতে সহমত পোষণ করে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ছাদের অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ, আজকে থেকে ইঞ্জিনিয়াররা কাজ শুরু করবে। এ ব্যাপারে অ্যাটর্নি জেনারেলকেও সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানান তিনি। প্রসঙ্গত, এর আগেও আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে ছাদ থেকে পানি, পলেস্তারা পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এরপরও অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে আপিল বিভাগে বিচারকাজ পরিচালিত হয়ে আসছে।  
২১ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৮

সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে মারামারি / জামিন পেলেন ব্যারিস্টার কাজল 
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার) ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (২০ মার্চ) বিচারপতি মো. রেজাউল হকের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। গত ৮ মার্চ রাতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি, বিএনপির প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর রাতেই ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত নিজ চেম্বার থেকে সিআইডির হাতে আটক হন ব্যারিস্টার কাজল। এরপর তাকে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে সিআইডি। এরপর চার দিনের রিমান্ড শেষে ১৪ মার্চ ব্যারিস্টার কাজলকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানায় পুলিশ। শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান। মামলার অন্য আসামিরা হলেন— অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ (৫৫), অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ, ব্যারিস্টার উসমান, অ্যাডভোকেট আরিফ, অ্যাডভোকেট সুমন, অ্যাডভোকেট তুষার, রবিউল, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল (৪০), অলিউর, যুবলীগ নেতা জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, অ্যাডভোকেট তরিকুল ও অ্যাডভোকেট সোহাগ। এ ছাড়া মামলায় ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।  
২০ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩৯

যোগগুরু রামদেবকে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের তলব
বিভ্রান্তিমূলক বিজ্ঞাপনের জন্য পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের স্বত্বাধিকারী রামদেবকে তলব করেছেন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে সংস্থাটি ও তার ম্যানেজিং ডিরেক্টর আচার্য বালকৃষ্ণণকে ভর্ৎসনা করেছেন দেশের শীর্ষ আদালত। সূত্র জানিয়েছে, পতঞ্জলির বিজ্ঞাপনে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারের জন্য এর আগে তাদের ওষুধ সামগ্রীর বিজ্ঞাপন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। একইসঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তারা যেন ওই ধরনের বিজ্ঞাপন বন্ধ রাখে তা জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু পতঞ্জলি গ্রুপ তা অমান্য করায় আদালত অবমাননার নোটিশ দেওয়া হয় তাদের। এরপরও পতঞ্জলির পক্ষ থেকে কোনও কোনো সাড়া না মেলায় আদালত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বলেছে, এর ফল ভোগ করতে হবে। মূলত ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন সুপ্রিম কোর্টে অ্যালোপ্যাথি সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রচারের কারণেই পতঞ্জলির বিরুদ্ধে বিচারকাজ চলছে বলে জানা গেছে। মামলাকারী ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, যোগগুরু রামদেব অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা এবং ওষুধের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমাগত প্রচার চালিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন। মিথ্যা প্রচার করেছেন। গত বছর নভেম্বরে কোভিড ১৯-এর ভ্যাকসিন নিয়েও ভুল তথ্য প্রচার চালিয়েছিল পতঞ্জলি। আদালত তখনই বলেছিলেন যে পতঞ্জলির সমস্ত মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন এই মুহূর্তে বন্ধ করতে হবে। এর জন্য প্রতিটি সামগ্রীর জন্য ১ কোটি টাকা করে জরিমানা করা হতে পারে তাদেরকে।    
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪২

অ্যাডভোকেট যুথীর জামিন আবেদন শুনতে হাইকোর্টের নতুন বেঞ্চ
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীর জামিন আবেদন শুনতে নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টে বেঞ্চে তার জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য পাঠানো হয়েছে। এর আগে সোমবার (১৮ মার্চ) বিচারপতি মো. সেলিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চের এক বিচারক নাহিদ সুলতানা যুথীর জামিন আবেদন শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেন। গত ১৪ মার্চ হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলার এক নম্বর আসামি তিনি। যুথী ছাড়াও মামলার আসামি অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন ও ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা) জামিন আবেদন করেছেন। প্রসঙ্গত, গত ৮ মার্চ রাতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী, বিএনপির প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন— অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ (৫৫), অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ, ব্যারিস্টার উসমান, অ্যাডভোকেট আরিফ, অ্যাডভোকেট সুমন, অ্যাডভোকেট তুষার, রবিউল, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল (৪০), অলিউর, যুবলীগ নেতা জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, অ্যাডভোকেট তরিকুল ও অ্যাডভোকেট সোহাগ। এ ছাড়া মামলায় ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের বিএনপির প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ৬ আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  
১৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৫৫

যুথীর জামিন আবেদনের শুনানি নিতে হাইকোর্টের অপারগতা প্রকাশ
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে মারামারি এবং ভাঙচুরের ঘটনার পর হত্যাচেষ্টার মামলায় অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীর আগাম জামিন আবেদনের ওপর শুনানি নিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। সোমবার (১৮ মার্চ) বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নুর উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ অপারগতা প্রকাশ করেন। আইনজীবী যুথী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী। গত ১৪ মার্চ হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেন নাহিদ সুলতানা যুথী। একই মামলার আসামি অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা) জামিন আবেদন করেছেন। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারি, ভাঙচুরের ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ বাদী হয়ে মামলা করেন।  মামলায় অ্যাডভোকেট যুথীকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া বিএনপির প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়। এরপর এই মামলায় ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ৬ আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করা হয়। কাজল বর্তমানে কারাগারে আছেন।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:২০

সেই ঘটনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন যুবলীগের চেয়ারম্যান
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় অবশেষে মুখ খুলেছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) নিজের ফেসবুকে পেজে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোর্ট প্রাঙ্গণের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় সংগঠনের কেউ জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।   শামস পরশ বলেন, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের উদ্দেশ্যেই যুবলীগের আইনজীবীরা গত ৬ এবং ৭ মার্চ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু ৮ মার্চ নির্বাচন কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। এই ঘটনা যুবলীগ কোনোভাবেই সমর্থন করে না। বিচ্ছিন্নভাবে কেউ যদি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে তার নিরপেক্ষ তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে।   একই সঙ্গে সার্বিক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির অবতারণা হওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান। তিনি আরও বলেন, যুবলীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্নকে বুকে ধারণ করে মানবিক যুবসমাজ প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। উল্লেখ্য, আইনজীবী সমিতির ভোটগ্রহণ শেষে গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল ও মারধরের ঘটনায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ২০ জনকে আসামি করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ। এ ছাড়া মামলায় ৩০ থেকে ৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামসের (পরশ) স্ত্রী আইনজীবী নাহিদ সুলতানাকে (যুথী)। দুই নম্বর আসামি ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৮:৩৪

জামিন মঞ্জুর হয়নি, সেই ৫ আইনজীবী কারাগারে
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ঘিরে মারামারির ঘটনায় করা মামলায় পাঁচ আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত এ আদেশ দেন। আসামিরা হলেন- অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহমেদ, অ্যাডভোকেট তুষার, অ্যাডভোকেট তরিকুল, অ্যাডভোকেট এনামুল হক সুমন ও ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী। এর আগে, এদিন তিন দিনের রিমান্ড শেষে আসামাদির আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অপরদিকে আসামি পক্ষে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ৭ মার্চ বিকেলে আইনজীবী সমিতির ভোটগ্রহণ শেষে গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল ও মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ২০ জনকে আসামি করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ। এ ছাড়া মামলায় ৩০ থেকে ৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামসের (পরশ) স্ত্রী আইনজীবী নাহিদ সুলতানাকে (যুথী)। দুই নম্বর আসামি ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
১২ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩৬

সর্বোচ্চ আদালতকে অপবিত্র করেছে মাফিয়া সরকার : রিজভী
দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে সরকার অপবিত্র করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। এ সময় বর্তমান সরকারকে মাফিয়া হিসেবেও আখ্যায়িত করেছেন তিনি। সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজলকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র এ নেতা। সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ কৃত্রিম সংঘাত সৃষ্টি করে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দাবি করে রিজভী বলেন, মিথ্যা অজুহাতে অবৈধভাবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজলকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। যারা সংঘাত করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। মামলা হয়েছে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীর বিরুদ্ধে। এই নির্বাচনে আইনজীবীদের ভোটের প্রতিফলন ঘটেনি। ভোটের প্রতিফলন ঘটলে এইবারও রুহুল কুদ্দুস কাজল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হতেন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিজেদের মধ্যে কৃত্রিম সংঘাত সৃষ্টি করেছে। তারা নিজেরা নিজেরা মারামারি করেছে। ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলের ৪ দিনের রিমান্ড নিয়ে নিন্দা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, অ্যাডভোকেট যুথি কার স্ত্রী? যুবলীগের সভাপতির স্ত্রী। তার গ্রুপের লোকজন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর গ্রুপের লোকজনের সঙ্গে মারামারি করেছে। অথচ মামলা দেওয়া হলো বিএনপি সমর্থিত সুপ্রিম কোর্টের জনপ্রিয় আইনজীবী মেধাবী আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল নামে। তাকে আবার গ্রেপ্তার করে ৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। একজন প্রখ্যাত আইনজীবীকে ৪ দিনের রিমান্ড, এটা কেবল ডাকাতদের সরকার হলেই করতে পারে। একজন মাফিয়া এবং সিন্ডিকেটবাজ সরকারই কেবলমাত্র একজন আইনজীবীকে মামলা দিয়ে রিমান্ডে নিতে পারে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এর আগে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে রিজভীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। কিন্তু সেই বাধা উপেক্ষা করে মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে ফের নয়াপল্টনের সামনে এসে শেষ হয়। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, যারা ব্যালট বাক্স ছিনতাই করল যারা মারামারি করল হানাহানি করল তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। কারণ, তারাও তো শেখ হাসিনার লোক। দেশের সর্বোচ্চ একটা প্রতিষ্ঠান যেখানে মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল সেই সুপ্রিম কোর্টকে অপবিত্র করেছে আওয়ামী আইনজীবীরা। আর গ্রেপ্তার করা হলো রুহুল কুদ্দুস কাজলকে। এই গ্রেপ্তার অবৈধ। এই রিমান্ড অবৈধ। এই মুহূর্তে তার রিমান্ড বাতিল করে অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, শেখ মো. শামীম, কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহসভাপতি আলী আকবর চুন্নু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ডা. জাহিদুল কবির, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, হুমায়ুন কবির, সাজ্জাদ হোসেন উজ্জ্বল, আশরাফ উদ্দিন আহমেদ রুবেল, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুর রশিদ প্রমুখ।  
১১ মার্চ ২০২৪, ১৭:২৬

‌‘সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে অপরাধ করা ব্যক্তিদের ছাড় নয়’
সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে অপরাধ করা ব্যক্তি যতই প্রভাবশালী হোক কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর। সোমবার (১১ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।  ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচন যথাযথভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিচ্ছিন্ন দু-একটা ঘটনা ঘটেছে। সরকার যেহেতু অপরাধের দায়ে কাউকে ছাড় দিচ্ছে না, তাই বুঝতে হবে সরকার নির্বাচনে যেকোনো অনিয়মের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে।’ তিনি বলেন, ‘ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনসহ সারাদেশে একযোগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনগুলো মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে উল্লেখ করার বিষয় হচ্ছে, এই নির্বাচনকে ঘিরে দেশে-বিদেশে অনেক অপপ্রচার হয়েছে। ভোটাদের টার্ন আউট নিয়ে অনেক অপবাদ ছড়ানো হয়েছে। কেউ কেউ বিবৃতি দিয়ে নির্বাচনের ব্যাপারে বিতর্কিত তথ্য পরিবেশন করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের প্রতি জনগণ আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে— এই ধরনের অপপ্রচার যারা করে, তাদের অপপ্রচারের বাস্তব কোনো ভিত্তি নেই। দেশের জনগণের নির্বাচন, রাজনীতির প্রতি ক্রমেই আগ্রহ বাড়ছে। স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে ভোটাদের টার্ন আউট প্রমাণ করে বাংলাদেশের জনগণের নির্বাচন এবং গণতন্ত্রের ব্যাপারে আগ্রহ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। আকর্ষণ আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এ দেশের গণতন্ত্র, নির্বাচন ব্যবস্থা নিরাপদ। এই কথাটি আজকে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিদেশি কারও আদেশে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে না। তবে বিদেশিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে আওয়ামী লীগ।’
১১ মার্চ ২০২৪, ১৬:২৩

সুপ্রিম কোর্টে মারামারি / তিন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বরখাস্ত
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় তিনজন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার (১১ মার্চ) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বরখাস্ত হওয়া সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা হলেন, সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহমেদ ও অ্যাডভোকেট শ্যামা আক্তার। তাদের নিয়োগ আদেশ বাতিল করে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে এই আদেশ কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। বরখাস্ত হওয়া তিন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানার (যুথি) অনুসারী। তাদের মধ্যে কাজী বশির ও জাকির হোসেন মাসুদের বিরুদ্ধে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গত ৭ মার্চ বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোটগ্রহণ শেষে গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল ও মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ২০ জনকে আসামি করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ। এ ছাড়া মামলায় ৩০ থেকে ৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় আইনজীবী নাহিদ সুলতানাকে (যুথী)। দুই নম্বর আসামি ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। অন্য আসামিরা হলেন, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ, অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ, ব্যারিস্টার উসমান, অ্যাডভোকেট আরিফ, অ্যাডভোকেট সুমন, অ্যাডভোকেট তুষার, রবিউল, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল, অলিউর, যুবলীগ নেতা জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, অ্যাডভোকেট তরিকুল ও অ্যাডভোকেট সোহাগ।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়