• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গর্ভপাত বৈধ করার সুপারিশ জার্মান কমিশনের
গর্ভাবস্থার প্রথম ১২ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাতকে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈধ করার সুপারিশ করেছে জার্মান সরকারের নিয়োগ করা এক কমিশন৷ সিদ্ধান্তটি কার্যকর হলে তা জার্মানির জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে মনে করছে কমিশন৷ জার্মানিতে প্রচলিত আইনের ২১৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে দেশটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে গর্ভপাত একটি ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত৷ যদিও গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসের মধ্যে গর্ভপাত করা হলে আর গর্ভবতী নারীকে কাউন্সেলিং দেওয়া হলে তাকে শাস্তি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়৷ এছাড়াও ধর্ষণের ক্ষেত্রে বা অন্তঃসত্ত্বা নারীর জীবন, শারীরিক বা মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে থাকলে গর্ভপাতের স্পষ্ট অনুমতি রয়েছে৷ কিন্তু বিদ্যমান আইনি কাঠামোটি প্রায় ৩০ বছরের পুরনো হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে এটি সমালোচিত হয়ে আসছে৷ জার্মানির বর্তমান জোট সরকারের তিন শরিক দল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটস (এসপিডি), গ্রিনস এবং ফ্রি ডেমোক্র্যাটস (এফডিপি) গর্ভপাতের আইনটিকে আরও শিথিল করতে চাচ্ছে৷ সোমবার (১৫ এপ্রিল) কমিশন তাদের সুপারিশ পেশ করে গর্ভপাতের উপর পুরোনো সাংবিধানিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে৷ এস. পি. ডি-র রাজনীতিবিদ কাটইয়া মাজট মনে করেন, এই সুপারিশ নেওয়া হলে অনির্দিষ্ট সময়ের আগে গর্ভপাত আর ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে না৷ তিনি বলেন, আমি মনে করি গর্ভপাত সম্পর্কিত বিধিমালা ফৌজদারি আইনের অন্তর্গত নয়। কারণ আমার দৃষ্টিতে এটি নারীদের কলঙ্কিত করে৷ ক্যাথলিক চার্চের উদ্বেগ ধর্মীয় গোষ্ঠী ও সংগঠনগুলো ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে৷ বার্লিনের ক্যাথলিক আর্চবিশপ হেইনার কখ ক্যাথলিক সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, তারা বিদ্যমান আইনটি বহাল রাখাতেই আগ্রহী৷ আর্চবিশপের মতে প্রচলিত আইনি কাঠামোটি মায়ের চাহিদা, উদ্বেগ এবং অনাগত সন্তানের সুরক্ষা সবগুলো বিষয়কেই গুরুত্ব দেয়৷ জার্মান ক্যাথলিকদের কেন্দ্রীয় কমিটি এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে৷ তারা মনে করেন এটি গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে ভ্রূণের সুরক্ষা নষ্ট করবে৷ অপরদিকে প্রো ফ্যামিলিয়া নামের একটি সংস্থা নতুন সুপারিশগুলোকে স্বাগত জানিয়েছে৷ রক্ষণশীল দলগুলো যথারীতি এর বিরোধিতা করেছে৷ জার্মানির বৃহত্তম বিরোধী দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নের (সিডিইউ) নেতা ফ্রেডরিখ মেরজ সমালোচনা করে বলেছেন এই ধরনের সংস্কারের মাধ্যমে সরকার দেশে একটি বড় সামাজিক দ্বন্দ্ব চালু করতে যাচ্ছে৷ ডানপন্থী জনপ্রিয় দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি)-ও এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে৷ অন্যদিকে সমাজতান্ত্রিক বাম দল সরকারকে সুপারিশগুলোকে একটি খসড়া আইনে পরিণত করে উপস্থাপনের আহ্বান জানিয়েছে৷ গর্ভপাতের ওপর বিজ্ঞাপনের নিষেধাজ্ঞা ইতিমধ্যেই প্রত্যাহার সরকার ইতিমধ্যে গর্ভপাত সম্পর্কিত অন্যান্য সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করা শুরু করেছে৷ প্রচলিত আইনের ২১৯ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে, গর্ভপাতের বিজ্ঞাপনের উপর নিষেধাজ্ঞাও ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে৷ সাইডওয়াক হ্যারাসমেন্ট নামে পরিচিত একটি নিষেধাজ্ঞা আইন হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পথে রয়েছে৷
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪০

সেই ইউএনও’র বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ
শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে তথ্য কমিশন। তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী তথ্য সরবরাহে সহযোগিতা না করে তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োগকে বাধাগ্রস্ত করায় এ সুপারিশ করে কমিশন। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) তথ্য কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে হয়, তথ্য সরবরাহে অসহযোগিতা এবং তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োগকে বাধাগ্রস্ত করায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। তথ্য কমিশনের প্রধান কমিশনার ড. আবদুল মালেক এবং তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক ও মাসুদা ভাট্টি তথ্য অধিকারের আইন অনুযায়ী শুনানি গ্রহণের পর এ নির্দেশ দেন। এদিন সকাল সোয়া ১০টায় সাদিয়া উম্মুল বানিন তথ্য কমিশনের কার্যালয়ে হাজির হন। বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্য কমিশনের কার্যালয়ে তার ব্যাখ্যা দেন তিনি। ব্যাখ্যা দেওয়া শেষে বেলা পৌনে ১টার সময় বেরিয়ে আসেন তিনি। এ সময় সাংবাদিকরা তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান এবং তার হাতে থাকা ফাইল দিয়ে মুখ আড়াল করে দ্রুত হেঁটে বাইরে অপেক্ষারত সিএনজিতে গিয়ে ওঠেন।  সিএনজিতে উঠে ইউএনও বানিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, যা বলার আমি তথ্য কমিশনকে বলেছি। আমি কোনো ক্ষমতার অপব্যবহার করিনি। তিনি (রানা) অপরাধ করেছিলেন বলে তাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ফাইল ধরে টানাটানি ও একজন নারীকে উত্ত্যক্ত করেছিলেন তিনি।  
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩৭

পুরস্কারের জন্য কোনো সুপারিশ করতে হয়নি: মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ১০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। শুক্রবার (১৫ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকায় আছেন বিশিষ্ট গীতিকবি লেখক, চলচ্চিত্র কাহিনীকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। পুরস্কারের তালিকায় নাম আছে শুনে বেশ আনন্দিত এ প্রবীণ গীতিকবি। সেইসঙ্গে জানিয়েছেন এ পুরস্কারের জন্য তিনি কোনো সুপারিশ করেননি। সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কিছুক্ষণ আগে টিভিতে স্ক্রল দেখে ফোন করে একজন জানালেন আমি স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছি। এরপর অনেকেই ফোন করে শুভকামনা জানাচ্ছেন। খবরটি পাওয়ার পর আমি আনন্দিত। তিনি আরও বলেন, এটুকু বলতে পারি, আমাকে কোনো সুপারিশ করতে হয়নি। কোনো আবেদন করতে হয়নি। আবেদন না করেও যে আমাকে এই মূল্যায়ন করা হয়েছে, তার জন্য আমি খুব খুশি। সরকার দায়িত্ববোধ থেকে আমাকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য ভেবেছেন, এজন্য আমি আনন্দিত। সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য এ পুরস্কার পেয়েছেন রফিকুজ্জামান। এছাড়া স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্ষেত্রে স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন কাজী আব্দুস সাত্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবু নঈম মো. নজিব উদ্দীন খাঁন (খুররম) (মরণোত্তর)। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্যাটাগরিতে ড. মোবারক আহমদ খান, চিকিৎসাবিদ্যায় ডা. হরিশংকর দাশ‌ স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। ক্রীড়া ক্ষেত্রে ফিরোজা খাতুন এ পুরস্কার পাচ্ছেন। সমাজসেবা/জনসেবা ক্ষেত্রে পুরস্কার পাচ্ছেন অরণ্য চিরান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ বাকী এবং এস এম আব্রাহাম লিংকন।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৮

এমপিদের বাসা ভাড়া বাড়ানোর সুপারিশ করল সংসদীয় কমিটি
সংসদ সদস্যদের বাসা ভাড়া বাড়ানোর জন্য সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও নাখালপাড়ার সংসদ সদস্য ভবনগুলোর ভাড়া বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে কমিটি। বুধবার (১৩ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংসদীয় কমিটির প্রথম বৈঠক। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী। বৈঠকে আরও অংশগ্রহণ করেন কমিটির সদস্য হুইপ ইকবালুর রহিম, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এ বি তাজুল ইসলাম, আশেক উল্লাহ রফিক, কাজী নাবিল আহমেদ, খাদিজাতুল আনোয়ার, এস. এম. শাহজাদা, সাজ্জাদুল হাসান ও এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান। বৈঠকে ন্যাম ভবনের জমি ব্যবহার করে দ্রুততম সময়ে আন্ডারপাস নির্মাণ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে কমিটি। এ লক্ষ্যে তিন সদস্যের একটি সাব কমিটি গঠন করা হয়, যেখানে সাজ্জাদুল হাসানকে আহ্বায়ক করে কাজী নাবিল আহমেদ ও এস.এম শাহজাদাকে সদস্য করা হয়।  এছাড়া, রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ে গাড়ির হাট না বসাতে এবং স্কুল কার্যক্রমের বাইরে কোনো অনুষ্ঠান হলে জাতীয় সংসদের নিরাপত্তা শাখার সুপারিশক্রমে করার জন্যও সুপারিশ করে কমিটি। বৈঠকে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, গণপূর্ত অধিদপ্তর, স্থাপত্য অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।  
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:০০

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ১০ সুপারিশ বিশেষজ্ঞদের 
দেশে দিন দিন বেড়েই চলছে নিত্যপণ্যের দাম। তাই দেশ চলমান লাগামহীন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা বা সমন্বয় মন্ত্রণালয় গঠন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় আলাদা ভোক্তা বিভাগ গঠন এবং অসাধু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ দশটি সুপারিশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।  রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার বেসরকারি দৈনিক আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব সুপারিশ করেন। বৈঠকে যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, গুটি কয়েক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের হাতে সাধারণ মানুষ জিম্মি। অসাধু সিন্ডিকেট বন্ধ করতে হবে।  কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, নিত্যপণ্যের বাজারে সমন্বয়ের ঘাটতি আছে।সমন্বয়ের জন্য পাশ্ববর্তী দেশে কনজ্যুমারস অ্যাফেয়ার্স ফুড অ্যান্ড পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন নামে মন্ত্রণালয় আছে।আমাদের দেশেও থাকা উচিত।বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি ডিভিশন থাকা উচিত। একটি হলো-ভোক্তাবিষয়ক আরেকটি বাণিজ্যবিষয়ক বিভাগ।  গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমদানি, রপ্তানি, উৎপাদন, চাহিদা ও মজুতসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সঠিক তথ্য দরকার।দেশে তথ্য-উপাত্তের বড় গরমিল আছে।এটি দূর করা জরুরি।যতদিন পর্যন্ত না এই তথ্যের গরমিল দূর করা যাবে ততদিন নীতিমালায় সামঞ্জস্য আনা যাবে না। ফলে নীতিনির্ধারণও সঠিক হবে না।  তিনি আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে যে সম্পর্ক আছে সেটিকে কাজে লাগিয়ে চুক্তি করা যেতে পারে। সেপার (কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট) মাধ্যমে এ চুক্তি হলে তারা হঠাৎ বাংলাদেশ পণ্য রপ্তানি বন্ধ বা দাম বেঁধে দিতে পারবে না। এছাড়া রাজস্বনীতি ও মুদ্রানীতির সমন্বয় ঘটাতে হবে। কমুডিটি এক্সচেঞ্জ চালু এবং ফিউচার্স মার্কেট চালু করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে হবে।  উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক এমকে মুজেরি বলেন, পণ্যের মূল্য শৃঙ্খল বা ভ্যালু চেইন রয়েছে। এই মূল্য শৃঙ্খল প্রতিযোগিতামূলক হতে হবে। তাহলে দুরভিসন্ধি থাকলেও কেউ তা বাস্তবায়ন করতে পারবে না। দেশে চালের মূল্য শৃঙ্খল প্রতিযোগিতামূলক নয়। এক্ষেত্রে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।  বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) রিসার্স ফেলো ড. বদরুন নেছা আহমেদ। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে অসাধু সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।চাঁদাবাজি বন্ধ এবং শুল্ক ছাড় দেওয়া যেতে পারে।  দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে অধিক পরিমাণে ভোগ্যপণ্য উৎপাদনে রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সরবরাহ এবং বণ্টনের সুব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার কথা বলেছেন বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ এমরান মাস্টার। তিনি বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাও নিশ্চিত এবং কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাড়াতে প্রয়োজনে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ জরুরি। ভোগ্যপণ্যের অপচয় বা নষ্ট রোধে আড়ত বা পাইকারি বাজারসমূহের পাশে কোল্ডস্টোরেজ স্থাপন করতে হবে। কোনো দ্রব্যের উৎপাদন-সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিলে বা ঘাটতির আশঙ্কা থাকলে অধিক পরিমাণ আমদানিতে উৎসাহিত করা উচিত।  বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, সততা ও সুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যারা ব্যবসা করতে চান তাদের সমস্যা নেই। যারা অন্য কিছু চিন্তা করে, তাদের বিরুদ্ধে ডাক, কুরিয়ার, সরাসরি বা যেকোনো মাধ্যমে আমাদের কাছে অভিযোগ করা যেতে পারে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম(টিটু)। 
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৭

জাবির ধর্ষণকাণ্ডে ইউজিসির আট সুপারিশ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা পরিদর্শনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এতে অভিযুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ ৮ সুপারিশ করা হয়েছে।   সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিলুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনের সুপারিশগুলো হলো- ১. গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ক্যাম্পাসে সংঘটিত ধর্ষণ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তদের ন্যূনতম সময়ের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।  ২. বিভিন্ন সময়ে যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।  ৩. জাবি একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, তাই হলের আসন সংখ্যার সমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা হওয়া বাঞ্ছনীয়।  ৪. বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য দিয়ে বহিরাগতদের প্রবেশের যে ৩টি রাস্তা রয়েছে তা বন্ধ করে বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করতে পারে।  ৫. ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত আলো ও সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা উচিৎ এবং প্রতিটি স্থান নজরদারীর আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন।  ৬. ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য শিক্ষার্থীদের অবশ্যই হলের নিয়ম-কানুন মেনে চলতে বাধ্য করতে হবে।  ৭. নিয়মিতভাবে শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের হলের সিট অবশ্যই বাতিল করে হলে অবস্থান নিষিদ্ধ করতে হবে।  ৮. বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থী ব্যতীত বহিরাগত কেউই হলের কক্ষে প্রবেশ এবং হলে অবস্থান কার্যকরভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। সুপারিশসমূহ অবিলম্বে বাস্তবায়ন করে কমিশনকে লিখিতভাবে অবহিত করার অনুরোধও জানানো হয়। এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম বলেন, সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা নেই বললেই চলে। জাবির আইনে যেগুলো মানা সম্ভব, সেগুলো আমরা অবশ্যই মানব। আর এ জন্য শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা প্রয়োজন। তবে বহিরাগতদের প্রবেশের বিকল্প রাস্তা তৈরিতো এতো সহজ নয়, আমরা গেট বন্ধ করতে পারি। আমরা এ বিষয়ে ইউজিসির সহযোগিতা চাইবো। তিনি বলেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। নিপীড়ক শিক্ষক হলেও তার কোন ছাড় নেই। নিয়মের বাইরে আমি কিছুই করবো না। নিয়মে যা শাস্তি হয়, তাই দেওয়া হবে।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৬

এসএসসি পরীক্ষা সামনে রেখে ডিএমপির যে ১৮ সুপারিশ
দুই কোটিরও বেশি মানুষের আবাস রাজধানী ঢাকায় কম সংখ্যক সড়কে অধিক সংখ্যক মানুষের যাতায়াতের নানা অসুবিধার মধ্যেই আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। অন্যান্য বারের মতো এবারও স্বাভাবিকভাবেই অন্যতম অগ্রাধিকার তৈরি হয়েছে পরীক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে সঠিক সময়ে কেন্দ্রে পৌঁছানো। আর এসব বিষয় মাথায় রেখেই পরীক্ষার্থীদের সঠিক সময়ে কেন্দ্রে পৌঁছাতে সহায়তা করতে বিশেষভাবে প্রস্তুত রয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে ডিএমপির ট্রাফিক পরিকল্পনা নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান জানান, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। এবার ঢাকা মহানগরীতে ১২২টি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবছর এসএসসি পরীক্ষায় উল্লেখযোগ্য ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে থাকে। এসএসসি পরীক্ষা আমাদের জন্য একটা উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট। এই পরীক্ষার সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদেরকে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করার চেষ্টা করে থাকি। তিনি আরও বলেন এর পাশাপাশি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে  ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের  পক্ষ থেকে বেশকিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- পরীক্ষার হলে রওনা দেওয়ার পূর্বে অবশ্যই প্রবেশপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং কলম সাথে নিন। পরীক্ষা শুরুর আগের দিন কেন্দ্রের অবস্থান ভালো করে জেনে নিন এবং আপনার বাসা থেকে কোন রুটে যেতে হবে তার পরিষ্কার ধারণা নিন। পরীক্ষা শুরুর পূর্বে কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার জন্য পরীক্ষার্থী/অভিভাবকগণকে সড়ক-মহাসড়কের যানজটের বিষয়টি মাথায় রেখে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে বাসা হতে বের হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। পরীক্ষা শুরুর নূন্যতম ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে হবে। যে সকল সড়ক পারাপারে রেল ক্রসিং আছে তা বিবেচনা করে বাসা হতে সময় নিয়ে রওনা দেওয়া জরুরি। আপনার বাসার বা পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশের সড়কে যদি কোন খোঁড়াখুঁড়ি/মেরামত কাজ চলে তবে তা বিবেচনায় নিয়ে সময়মত রওনা দিতে হবে। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকগণকে সাবধানতা অবলম্বন করে যানবাহনে চলাচলের অনুরোধ করা হলো।কোন অবস্থাতেই গণপরিবহনে ঝুলে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসা-যাওয়া করবেন না। যে সকল পরীক্ষার্থী মোটরসাইকেলে পরীক্ষা কেন্দ্রে গমন করবেন তারা অবশ্যই নিরাপত্তাজনিত কারণে হেলমেট পরিধান করবেন। পরীক্ষা কেন্দ্রে আগত পরীক্ষার্থীবৃন্দ যানজট বা কোন অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যার সম্মুখীন হলে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।  ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার থেকে বিরত থাকুন, প্রয়োজনে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করুন এবং পুলিশের সহায়তা নিন।রাস্তা পারাপারে জেব্রা ক্রসিং থাকলে ব্যবহার করুন। পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশে অযাচিত পার্কিং না করে অভিভাবক/পরীক্ষার্থীদের ব্যবহৃত যানবাহন পরীক্ষা কেন্দ্র হতে দূরবর্তী নিরাপদ স্থানে পার্কিং করার জন্য অনুরোধ করা হলো। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে গেলে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। ফলে অন্য পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরি হয়। তাই পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকগণকে কেন্দ্রের সামনে প্রধান গেটে ও রাস্তায় না দাঁড়িয়ে ফুটপাতে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হলো। পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে আড্ডা দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। গত একবছরে মেট্রোরেল, এলিভেডেট এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। এগুলো ব্যবহার করেও পরীক্ষা কেন্দ্রে দ্রুত পৌঁছানো যাবে। যে কোন জরুরি প্রয়োজনে ৯৯৯-এ ফোন করুন। তিনি পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশে হর্ন বাজিয়ে পরীক্ষার্থীদের বিরক্তির সৃষ্টি না করা এবং বেপরোয়া গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকতে নগরবাসীকে আহ্বান জানান। সেই সাথে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে সম্মানিত নাগরিকবৃন্দের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৪

‘আয়ানের মৃত্যুতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশ হাস্যকর, আইওয়াশ’
রাজধানীর ইউনাইটেড মেডিকেলে শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত রিপোর্টে করা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশগুলো হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।  সোমবার (২৯ জানুয়ারি) এ ঘটনায় রিট শুনানিতে হাইকোর্ট এই মন্তব্য করেন। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ শুনানি হয়। হাইকোর্ট বলেন, ইউনাইটেড মেডিকেলে আয়ানের মৃত্যুর তদন্ত রিপোর্টে করা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশগুলো হাস্যকর। এটা এক ধরনের আইওয়াশ। প্রতিবেদন পড়ে মনে হচ্ছে, রোগীর প্রতি চিকিৎসকদের দায়িত্বে অবহেলা ছিল। এ বিষয়ে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি আদেশ দেওয়া হবে বলে জানান হাইকোর্ট। এর আগে, গত ১৫ জানুয়ারি শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পরে আদালতের দেওয়া নির্ধারিত সময়ের ৩ দিন পর রোববার (২৫ জানুয়ারি) সকালে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে উপ-পরিচালক ডা. পরিমল কুমার পাল। গত ১৫ জানুয়ারি আয়ানের পরিবারকে কেন পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না এবং চিকিৎসকের লাইসেন্স কেন বাতিল হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। গত ৩১ ডিসেম্বর আয়ানকে ফুল অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে খতনা করায় সাতারকুল বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। অপারেশনের কয়েক ঘণ্টা পরও জ্ঞান না ফেরায় সেখান থেকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠানো হয় আয়ানকে। সেখানে সাত দিন পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখার পর গত ৭ জানুয়ারি আয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। পরে দুই চিকিৎসক অ্যানেস্থেসিয়া বিশেষজ্ঞ ডা. সাঈদ সাব্বির আহমেদ ও ডাক্তার তাসনুভা মাহজাবিনসহ প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন শিশুটির বাবা। এ ঘটনায় চিকিৎসকদের গাফিলতির অভিযোগ তদন্তে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২১

তেল, চিনি ও খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমানোর সুপারিশ
রমজান মাস সামনে রেখে ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুরের আমদানিতে শুল্ক কমানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) সুপারিশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি দ্রব্যমূল্য নিয়ে বাণিজ্যসহ পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের একটি যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সোমবার (২৩ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি পাঠিয়ে এনবিআরকে শুল্ক কমাতে বলা হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী বলেন, রোজা সামনে রেখে ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুরের শুল্ক কমাতে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে, শুল্ক হার কতটা কমানো হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে এনবিআর। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামী বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) এনবিআরের কর্মকর্তারা বৈঠকে বসবেন বলে জানা গেছে। চলতি বছরের ১১ মার্চ থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে। রমজান মাস এলেই দেশে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে। এবার রোজার মাস না আসতেই চিনি, সয়াবিন তেল, ছোলার দাম বেড়েছে। কয়েক মাস ধরেই এসব পণ্যের শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৫৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়