• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে ২ কৃষকের মৃত্যু 
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের মধুরাপুর ও কুলঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহতরা হলেন উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের মধুরাপুর গ্রামের মৃত উকিল আলীর ছেলে মালেক নুর (৪৫) আব্দুন নুর কুলঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা।  পৃথক বজ্রপাতে নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুলঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান একরাম হোসেন ও ভাটিপাড়া ইউপি সদস্য এমদাদ চৌধুরী মিন্টু।  নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চার সন্তানের জনক নিহত মালেক নুর হাওরে পাকা ধান মাড়াই করার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। মাগরিবের নামাজের পর হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে বিকট শব্দে বজ্রপাত শুরু হয়। এ সময় বজ্রপাতের আঘাতে নিহত মালেক নুর মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎক মালেক নুরকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রায় একই সময়ে কুলঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের আব্দুন নুর হাওর থেকে বাড়িতে ফেরার পথে বজ্রপাতের কবলে পরে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।  এ বিষয়ে দিরাই থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বজ্রপাতে নিহতের খবর পেয়েছি।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২০

সুনামগঞ্জে ইউএনওসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা 
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে নির্ধারিত বরাদ্দের চেয়ে দ্বিগুণ বানিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধের আদালতে মামলা করেছে হাওর বাঁচাও আন্দোলন।  মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে জেলার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন ‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’ এর সদস্য জেবেল মিয়া।  এ মামলায় অন্যান্য আসামিরা হলেন দিরাই উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী এটিএম মোনায়েম হোসেন, উপজেলার বাঁধের কাজের ২৭নং পিআইসির সভাপতি মো. জগলু মিয়া ও ২৮নং পিআইসির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।  মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, হাওরের বোরো ধান রক্ষায় সরকার প্রতিবছর অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। এ বছরও দিরাই উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরের জলডোপ বাঁধের কাজের জন্য ২৭নং পিআইসিতে ১৫ লাখ ১৮ হাজার ৩৪৪ টাকা ও ২৮ নং পিআইসিতে ১৪ লাখ ৮ হাজার ৭৯৬ টাকা বরাদ্দ দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দিরাই উপজেলা কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এটিএম মোনায়েম হোসেন এ দুটি বাঁধের মধ্যে ২৭নং পিআইসির বরাদ্দের টাকা ৩১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ও ২৮নং পিআইসির বরাদ্দের টাকা ৩৭ লাখ ৯৬ হাজার টাকা করে দেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে মামলা হামলাসহ প্রাণনাশেরও হুমকি প্রদর্শন করে আসছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া পিআইসির নীতিমালা না মেনেই যাদের বাঁধের পাশে জমি নেইতাদের দিয়ে বাঁধের কাজ করানোসহ এখন পর্যন্ত বাঁধের কাজ শেষ না করার বিষয়টিও মামলায় উল্লেখ করেন বাদী।  এ ঘটনায় মামলার বাদী জেবেল মিয়া বলেন, দিরাইয়ে দুটি ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে টাকা ইউএনও, পাউবোর এসও মিলে বরাদ্দ দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। যেখানে ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রথমে দেওয়া হয়েছিলো সেখানে তারা ৩১ লাখ ৭১ হাজার এবং আরেকটিতে ১৪ লাখের জায়গায় ৩৭ লাখ টাকা করে টাকা আত্মসাতের পাঁয়তারা করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও পিআইসির লোকেরা। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে প্রাণনাশের পর্যন্ত হুমকি প্রদর্শন করছেন সংশ্লিষ্টরা। আমি আজকে মামলা করেছি আশা করি ন্যায় বিচার পাব। আমরা কৃষকের স্বার্থে কাজ করা সংগঠন কৃষকের ওপর নির্যাতন জুলুম এবং তার স্বপ্নে ফসল নিয়ে কাউকে খেলার সুযোগ দেব না।  এ ব্যাপারে জানতে দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকারকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৬

সুনামগঞ্জে সড়কে ৩ হাজার গাছ কাটার প্রতিবাদে মানববন্ধন
সুনামগঞ্জ-সাচনাবাজার (জামালগঞ্জ) সড়কের ১৯ কিলোমিটার জুড়ে প্রায় তিন হাজার গাছ কাটার উদ্যোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে।  রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে সচেতন সুনামগঞ্জবাসীর ব্যানারে ওই সড়কের টুকের বাজার পয়েন্টে এ মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা সড়কের গাছ না কাটার দাবি জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রায় বক্তব্যে গাছ লাগানোর কথা বলেন। আর এরা (বনবিভাগ) তিন হাজার গাছ কাটতে ফন্দি করছে। কোনো কারণ ছাড়াই কেবল সামাজিক বনায়নের দোহাই দিয়ে বনবিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এই উদ্যোগ নিয়েছেন। এই সড়কের গাছগুলো রক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে উপকারভোগীদের সরকার থেকে ভুর্তকি দিতে হবে। তবুও গাছ কাটা যাবে না।  জেলা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার, হাওর বাঁচাও আন্দোলনের জেলা কমিটির সভাপতি ইয়াকুব বখত, জেলা সিপিবির সভাপতি অ্যাড. এনাম আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মাহবুবুল হাসান তালুকদার, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খলিল রহমান, সমাজকর্মী ওবায়দুল হক, স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ ফুজায়ের কিবরিয়া প্রমুখ। বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ-সাচনা (জামালগঞ্জ) সড়কে ২০ বছর আগে প্রায় ২০ হাজার গাছ লাগানো হয়েছিল। সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে এই গাছ রোপন করা হয়। এখন মেয়াদ শেষ হওয়ায় এসব গাছ কাটতে বনবিভাগ দরপত্র আহ্বান করেছে। এ জন্য প্রতিটি গাছের বাকল কেটে লাল কালিতে নাম্বার দেওয়া হয়েছে। অবশ্য বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, সামাজিক বনায়ন বিধিমালা-২০০৪ অনুযায়ী গাছ বিক্রির টাকা উপকারভোগী ৫৫ ভাগ, বন অধিদপ্তর ১০ভাগ, ভূমির মালিক হিসেবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ২০ ভাগ, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ৫ ভাগ পাবে। বাকি ১০ভাগ টাকা রাখা হবে আবার বনায়নের জন্য। বনবিভাগের সুনামগঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মোহাম্মদ নাজমুল আলম বলেন, এই সড়কসহ বেশ কিছু জায়গার গাছ কাটার বিষয়ে দরপত্র আহবান করা হয়েছে। আগামী তিন এপ্রিল দরপত্র খোলার তারিখ। তবে গাছ কাটার বন্ধের দাবির বিষয়টি বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নজরে এসেছে। এখন আলোচনা সাপেক্ষ পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৮:১৭

সুনামগঞ্জে চলছে মাংস ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতি 
সরকার নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রিতে অপরাগতা জানিয়ে সুনামগঞ্জে দ্বিতীয়বারের মতো চলছে মাংস ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতি।  রোববার (৩১ মার্চ) অনির্দিষ্টকালের জন্য গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ করে কর্মসূচি পালন করছেন সুনামগঞ্জ শহর ও শহরতলীর ব্যবসায়ীরা। টানা দুই দিন ধরে মাংস বিক্রি বন্ধ থাকায় রমজানে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ভোক্তারা। ব্যবসায়ীরা জানান, স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। বাজারে গরুর দাম বেশি হওয়ায় নির্ধারিত মূল্য মাংস বিক্রি করে শ্রমিক ব্যয়, দোকান খরচ, পরিবহনসহ যাবতীয় খরচ মিটিয়ে মুনাফা পাচ্ছেন না তারা। তাই নির্ধারিত মূল্য বৃদ্ধি না করা হলে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত সুনামগঞ্জে মাংস বিক্রি বন্ধ রাখতে অনড় বাজারের ব্যবসায়ীরা।  মাংস বাজার সমবায় সমিতির সভাপতি রাশেদ আলী বলেন, দ্বিতীয় দিনের মতো আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এই দামে মাংস বিক্রি করলে আমাদের লস হচ্ছে। লস দিয়ে মাংস বিক্রি সম্ভব না। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে ৫০ টাকা বৃদ্ধির দাবি করেছি আমরা কিন্তু তিনি মানেননি। তাই মানুষের কষ্ট হলেও আমাদের করার কিছু নাই। এদিকে বাজারের আকস্মিকভাবে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ থাকায় পোল্ট্রি মুরগি সহ সবধরনের মাছের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ভোক্তারা সিরাজুল ইসলাম পলাশ নামের এক ভোক্তা বলেন, মাংস ব্যবসায়িরা নিজেদের খেয়ালখুশি মতো দাম বাড়াতে চান। তারা সরকারের মূল্য মানেননা। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে একযুগে মাংস বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। মানুষ সমস্যা রয়েছে। এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়িরা মাছ মাংসের দাম বৃদ্ধি করে দিয়েছে। মানুষ কোথায় যাবে? এই সমস্যার একটি সমাধান প্রয়োজন। অপরদিকে মাংস ব্যবসায়িদের দাবি অযৌক্তিক জানিয়ে নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রি করতে ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী।  
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৮

সুনামগঞ্জে অনির্দিষ্টকাল মাংস ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতি 
সরকার নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রি করতে না পারায় সুনামগঞ্জের অনির্দিষ্টকালের জন্য গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে মাংস বাজার সমবায় সমিতি। শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল থেকে সুনামগঞ্জ শহর ও শহরতলীর সকল কসাইখানায় গরু মাংস বিক্রি বন্ধ করে কর্মবিরতি পালন করেন মাংস ব্যবসায়িরা। ব্যবসায়িরা জানান, স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। বাজারে গরুর দাম বেশি হওয়ায় নির্ধারিত মূল্য মাংস বিক্রি করে শ্রমিক ব্যায়, দোকান খরচ, পরিবহনসহ যাবতীয় খরচ মিটিয়ব মুনাফা পাচ্ছেননা তারা। তাই নির্ধারিত মূল্য বৃদ্ধি না করা হলে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত মাংস বিক্রি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।  মাংস বাজার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান বলেন, সরকার প্রতিকেজি মাংস ৭০০ টাকায় বিক্রি করার জন্য মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। বাজারে গরুর দাম বেশি। এই দামে মাংস বিক্রি করলে আমাদের মুনাফা থাকে না গরু প্রতি ৫-১০ হাজার ঘাটতি পড়ে। এভাবে ব্যবসা করা যায় না। কেজি প্রতি ৫০ টাকা বাড়ানো না হলে আমারা কেউই মাংস বিক্রি করবো না।  এদিকে মাংস ব্যবসায়িদের এমন কর্মবিরতি পালনে বিপাকে পড়েছে সাধারণ ক্রেতারা। অনেকে মাংসবাজারে এসে মাংস না পেয়ে খালি হাতে ফিরেছেন। ব্যবসায়িদের এমন আকস্মিক সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। শহরের আরফিন নগরের বেনু মিয়া বলেন, আমি বাজারে মাংস কেনার জন্যে আসছিলাম। এসে দেখি হঠাৎ মাংস বিক্রি বন্ধ। বাসায় মেহমান আসবে। এখন কি করবো বুঝতে পারছি না। পোল্ট্রি মোরগ কেনা ছাড়া উপায় নাই। অপরদিকে মাংস ব্যবসায়িদের দাবির বিষয়টি দ্রুতই নিষ্পত্তি করে বাজার স্বাভাবিক করার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী   
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৯:২০

সুনামগঞ্জে বরযাত্রীর গাড়ি উল্টে নিহত ১, আহত ১৫
সুনামগঞ্জের দিরাই মদনপুর সড়কে বরযাত্রীবাহি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ১ নিহত ও ১৫ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (৪ মার্চ) রাত ৮টার দিকে শান্তিগঞ্জ উপজেলার গাগলী নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় নিহত রাহুল সরকার (১৫) হবিগঞ্জ জেলার ভুষন সরকারের ছেলে বলে জানা যায়। তাৎক্ষণিক মুহূর্তে আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।   দুর্ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোক্তাদির হোসেন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ থেকে বরসহ অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে দিরাই উপজেলা আসছিলো বাসটি। দিরাই মদনপুর সড়কের গাগলী এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি উল্টে যাত্রীসহ খাদের কিনারে পড়ে যায়। এ সময় যাত্রীদের অধিকাংশই অক্ষত অবস্থায় বের হয়ে আসলেও দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অন্তত ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানান স্থানীয়রা। একপর্যায়ে ফায়ারসার্ভিসকে খবর দিলে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করেন উদ্ধারকর্মীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় রাহুল সরকার নামে এক কিশোরকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।  সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, রাতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ১০-১৫ জন হাসপাতালে আসেন। এদের মধ্যে রাহুল নামের কিশোর মারা যান। বাকি আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে৷ অনেকেই এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। শান্তিগঞ্জ থানার ওসি মোক্তাদির হোসেন বলেন, হবিগঞ্জ থেকে আসা বরযাত্রীসহ বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে একজন মারা গেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়েছে। 
০৫ মার্চ ২০২৪, ০১:১৮

সুনামগঞ্জে পানিতে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নবীনগরে পানিতে ডুবে ওবায়দুল হক (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।  শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ ঘটনা ঘটে।  ওবায়দুল নবীন নগর এলাকার ফারুক মিয়ার ছেলে।  স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে নবীনগর বক্ষব্যাধী হাসপাতাল এলাকায় ফুটবল খেলছিলেন ওবায়দুল হকসহ এলাকার কিছু তরুণ। এক পর্যায়ে সুরমা নদীতে ফুটবল পড়ে গেলে ফুটবল খুঁজে আনতে গিয়ে সুরমা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন ওবায়দুল হক। অনেক খোঁজাখুঁজি করে সন্ধান পাওয়া না গেলে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়  স্থানীয়রা।  ডুবরিদলের চেষ্টায় নিখোঁজ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জানান, ছেলেটি আমার প্রতিবেশী। সে সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। সে সাঁতার জানতো না। সকালে ঘটনাস্থলের পাশেই ফুটবল খেলছিল। এ সময় নদীতে ফুটবলে পড়ে যায়। ফুটবল আনতে গিয়ে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়। পরে নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. খালেদ চৌধুরী।  
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:১২

সুনামগঞ্জে সংবাদপত্র হকার্সদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ
সুনামগঞ্জের সংবাদপত্র হকার্সদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটি। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ায়রি) সন্ধ্যায় সংগঠনের কার্যালয়ে সংবাদপত্রের তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। সংগঠনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান পীরের সভাপতিত্বে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র নাদের বখত।   সাধারণ সম্পাদক এমরানুল হক চৌধুরীর সঞ্চালনায় এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম আব্দুল্লাহ বিন রশীদ, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, সহসভাপতি বাসস প্রতিনিধি আল হেলাল, সিনিয়র সাংবাদিক জসীম উদ্দিন, মাসুম হেলাল, সেলিম আহমদ তালুকদার, শহীদনূর আহমেদ প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক জুনু চৌধুরী, মাসুক মিয়া, শাজাহান চৌধুরী, হাসান চৌধুরী, আব্দুস সালাম, একে কুদরত পাশা, শামসুল মিছবাহ, আমিনুল হক, দেওয়ান তাছাদ্দুক রাজা ইমন, সমাজকর্মী নুরুল হাসান আতাহের, নজরুল ইসলাম, কর্ণ বাবু দাস, ফুয়াদ মনি প্রমুখ।  
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪৯

সুনামগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত ১
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় শওকত আলী (৬৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের ধলুয়া গ্রামের নিহত শওকত আলী ও তৈয়ব আলীর লোকজনের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  আহতরা হলেন- ইলিয়াস মিয়া (২০), ফরহাদ (২২), তাজু মিয়া (৫০), সায়েক মিয়া (১৬), জয়মুন্নুর (৩৫), ফিরুজ আলী (৪০), মতিন মিয়া (৩০), সিদ্দিক আহমেদ (৭০), আলী হোসেন (৩৫), মিজানুর রহমান (২৪), আল আমীন (৩৩), ফয়েজ (৩০)।  এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রামের তৈয়ব আলী, মনির উদ্দিন ও ওসমান গনির সাথে একই গ্রামের নিহত শওকত আকবর, ইউসুফ আলী ও আনোয়ার হোসেনের লোকজনের মধ্যে গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা মোকদ্দমা চলছে।  নির্বাচনের পরদিন উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।  দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে, এরই ধারাবাহিকতায় আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে মারামারির ঘটনা ঘটে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আসমিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:৩৫

সুনামগঞ্জে বাসচাপায় প্রাণ গেল পথচারীর
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে বাসের ধাক্কায় আব্দুন নূর (৫৫) নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন৷  সোমবার (১৫ জানুয়ারি) উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের সিলেট-দিরাই আঞ্চলিক মহাসড়কের গাগলী এলাকায় এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহত আব্দুন নূর গাগলী গ্রামের মৃত আফিজ মিয়ার ছেলে৷ স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সিলেট থেকে দিরাইয়ের উদ্দেশ্যে ছুটে আসা একটি বেপরোয়া গতির যাত্রীবাহী বাস গাগলী এলাকায় এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা পথচারী আব্দুন নূরকে ধাক্কা দেয়। এতে বাস ও গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ঘটনাস্থলেই পিষ্ট হয়ে মারা যান ওই পথচারী। এরপর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন বলেন, বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় এক পথচারী নিহত হয়েছেন৷ আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি৷ ঘাতক বাসটি আটক করা হয়েছে। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:২২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়