• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিসিবির সিদ্ধান্তে একমত সুজন
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) থেকে মোস্তাফিজুর রহমানকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নেওয়া সিদ্ধান্তকে সঠিক মনে করছেন আবাহনী লিমিটেডের প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। তার (সুজন) মতে, দেশ সবার আগে। এবারের আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলছেন দ্য ফিজ। এখন অবধি ৫ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন তিনি। প্রাথমিকভাবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাকে এনওসি দেওয়া হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে একদিন বাড়িয়ে পহেলা মে চেন্নাইয়ের ম্যাচে তাকে খেলার অনুমতি দিয়েছে বিসিবি। এরপর ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে দেশে ফিরবেন কাটার মাস্টার। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মিরপুর শেরে-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে আবাহনীর ম্যাচ শেষে সুজনের দাবি, ‘আমি মনে করি, দিন শেষে দেশকেই এগিয়ে রাখতে হবে।’ সুজনের ভাষ্য, ‘সে (মোস্তাফিজ) যদি পুরো আইপিএল খেলতো, তাহলে আমি খুশি হতাম। জাতীয় দলের সিরিজ না থাকলে কোনো সমস্যা হতো না। এখন অনেকেই যুক্তি দেবে আইপিএল খেলছে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। কিন্তু আপনাকে বুঝতে হবে, আমাদের কাছে মোস্তাফিজের মতো ১০-১২ জন খেলোয়াড় নেই। বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হবে।’ আবাহনী লিমিটেডের প্রধান কোচের মতে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পরিবর্তে আইপিএলে নিজ দেশের খেলোয়াড়দের খেলার অনুমতি দেওয়াটা বিশ্বের অন্যান্য দেশের বোর্ডের জন্য স্বাভাবিকই। তবে দ্য ফিজকে আইপিএল থেকে ফেরানোর ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। এর আগে, বুধবার বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছিলেন, আইপিএল খেলে এখন আর শেখার কিছু নেই ফিজের। জালালের বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন সুজন বলেন, তিনি (জালাল ইউনুস) হয়তো ক্লান্তির বিষয়টি বুঝাতে চেয়েছেন। সুজনের ভাষ্য, ‘আপনি সব জায়গা থেকে শিখতে পারেন। আমার মনে হয়, তিনি (জালাল) হয়তো এটা বোঝাতে চাননি। সম্ভবত তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন, অনেক বছর ধরে খেলছেন ফিজ। তানজিম হাসান সাকিবের মতো তরুণ পেসার নন। ইতোমধ্যেই বিশ্ব ক্রিকেটে সে অনেক বড় নাম, সম্ভবত তেমনটাই বোঝাতে চেয়েছিলেন তিনি। আর এ কারণেই ফিজের কাছ থেকে শিখতে পারেন ভারতের তরুণ পেসাররা।’
১২ ঘণ্টা আগে

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল গঠন নিয়ে যা জানালেন সুজন
চলতি বছরের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আমেরিকার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর অনুষ্ঠিত হবে। ক্রিকেট বিশ্বকাপের এ ফরমেটে ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ২০টি দল অংশগ্রহণ করবে এ আসরে। তাই এরই মধ্যে বিশ্বকাপের পরিকল্পনা শুরু করেছে বাংলাদেশ দল।  রোববার (১৪ এপ্রিল) বিসিবির পরিচালক ও ঢাকা আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন বাংলাদেশের বিশ্বকাপের দল গঠন নিয়ে কথা বলেছেন।  তিনি বলেন, যারা বিশ্বকাপে খেলবে। যাদের সিলেক্টর, কোচ, অধিনায়ক ও ম্যানেজমেন্ট বিশ্বাস করবে তাদের আসলে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে শুরু করা উচিত। কারণ হাতে তো বেশি সময় নেই, এরকম না যে দুইটা ম্যাচ এ খেললো, দুইটা ম্যাচ ও খেললো, আবার দুজনেই ফেইল করলো।  বিসিবির পরিচালক বলেন, তখন পাঁচ নাম্বার ম্যাচে কাকে নিয়ে খেলবেন আসলে। আপনি কনফিডেন্স নষ্ট করলেন দুইটা ছেলের। ওরকম না করে, একটা ছেলেকেই চারটা ম্যাচেই খেলান। যদি দুই ম্যাচে ফেইলও করে, তারপরও সুযোগ থাকবে তৃতীয়-চতুর্থ ম্যাচের রান করে কনফিডেন্স বিল্ডআপ করার। ঈদের ছুটি শেষে সোমবার (১৫ এপ্রিল) থেকে মাঠে গড়াচ্ছে ডিপিএল। এদিন মুখোমুখি হবে আবাহনী-প্রাইম ব্যাংক।  সুজন বলেন, বিপিএলে যখন সালাউদ্দিনের মুখোমুখি হই, তখন আমার কাছে মনে হয় যে আমি মনে হয় ওর কাছাকাছিও না। এটা তো একটা টিমের ওপর ডিপেন্ড করে। আমি যখন ঢাকা টিম নিয়ে খেলি, তারপরও আমি কুমিল্লাকে হারিয়েছিলাম। ঐ সময় মনে হয় যে একটা পার্থক্য থাকে। কিন্তু প্রিমিয়ার লিগে এসে আমরা কাছাকাছি। সালাউদ্দিনের কোচিংয়ের ধরণ একরকম আমার একরকম। ও যে বাংলাদেশের অনত্যম সেরা কোচ এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। বিপিএলে ওর টিম অনেক স্ট্রং থাকে তাই কথা বলার মতো সুযোগই থাকে না কিন্তু প্রিমিয়ার লিগে গত কয়েক বছরে ও আমার সাথে পেরে উঠছে না।  
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৩

বিসিবি সভাপতির কাছে যে অনুরোধ করলেন সুজন
কয়েক দিন আগেই বিশ্বকাপ ব্যর্থতার রিপোর্টকে কেন্দ্র করে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল খালেদ মাহমুদ সুজনকে। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পিছনে তার হস্তক্ষেপকে দায়ী করা হয়েছে বলে জানানো হয়। এবার সেই রাগ উগড়ে দিলেন সুজন। বিভিন্ন সময়ে দল পরিচালক হয়ে দায়িত্ব পালন করলেও জাতীয় দলের সঙ্গে আর কাজ করতে চান না বলে জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে বিসিবি সভাপতিকে বিশেষ অনুরোধও করেছেন, তাকে যেনো আর কোনে দায়িত্বে না রাখা হয়। বিসিবি বস অনুরোধ করলেও জাতীয় দলের সঙ্গে আর কাজ করবেন না বলেও মন্তব্য করেন আবাহনী কোচ। তিনি বলেন, আমি এখন আর ২৮-২৯ বছরের বালক না। আমার সম্মানটা এখন আমাকে রাখতে হবে। পাপন ভাইকে আগের মতোই সম্মান করি। কিন্তু আমি বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করি পাপন ভাইকে যেন উনি আমাকে আর এ বিষয়ে কোন কাজ করতে না বলেন। হাথুরুসিংহের প্রসঙ্গে সুজন বলেন, আমি তো ক্রিকেট পছন্দ করি। এতগুলো ট্যুর করার পর আমার কাজটা যদি পরিবর্তন হয়ে যায় তাহলে আমাকে ওই দায়িত্বে রাখার কোন মানে হয় না। আমি তো বাংলাদেশ দলের সঙ্গে ঘুরতে যাই না।  ‘আমি বিদেশ অনেক ঘুরেছি, বিদেশ ঘুরার কোনো ইচ্ছাই নাই আমার। হাথুরুসিংহে বিশ্বের সেরা কোচ হতে পারে সেটা আমার কাছে কোন মূল্য রাখে না। আমার বাংলাদেশে অনেক সম্মান আছে, ক্রিকেটাররা আমাকে অনেক সম্মান করে।’ বিসিবি সভাপতির প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শন করে সুজন আরও বলেন, পাপন ভাই আমার অধিনায়ক। উনি আমাকে যখন বলে যে ফাইন লেগে ফিল্ডিং করতে আমি করবো।  ‘কিন্তু আমি মনে করি উনি আর আমাকে বলবেন না ফাইন লেগে ফিল্ডিং করতে। আমি মনে করি আমি কোন সমাধান না এখন আর। এত বড় বড় কোচরা আসছে যারা হাইলি পেইড, তাদের মধ্যে আমার না যাওয়াটাই ভালো।’        
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৫

বিশ্বকাপ ব্যর্থতার তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে যা জানালেন সুজন
ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল বিসিবি। দীর্ঘ তদন্ত শেষে কমিটি ইতোমধ্যে রিপোর্ট জমা দিলেও প্রকাশ করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তবে সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি গণমাধ্যম বিসিবির সূত্রের বরাত দিয়ে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নিয়ে চঞ্চালকর তথ্য প্রকাশ করেছে। গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তামিম ইকবালের বিশ্বকাপ না খেলার পেছনে দায়ী হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। টাইগার কোচ চাননি বিশ্বকাপ দলে থাকুক তামিম। এ কারণে বিশ্বকাপ শুরুর আগে বিতর্ক তৈরি হয়। যার জেরে বিশ্বকাপ দল থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন তামিম। বুধবার (৬ মার্চ) বিসিবির তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয় বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন কাছে। তিনি বলেন, তদন্ত রিপোর্ট তো বিসিবি প্রকাশ করেনি। কোথা থেকে গণমাধ্যমে খবর এসেছে? বিসিবি নিশ্চয়ই দেবে (প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ)।  ‘আমি জানি না তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে কি না। যারা তদন্ত করেছেন তারা তো প্রেসিডেন্টকে রিপোর্ট দিয়েছেন। উনি যদি মনে করেন প্রকাশ করা উচিত তারপর বোঝা যাবে কী সত্যি কী মিথ্যা।' তামিম ইকবালের বিশ্বকাপ দলের থাকার পিছনে সেই সময় দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে অনেকেই দায়ী করেছিলেন। কারণ, সাকিব-তামিম দ্বন্দ্বের জন্য সবাই এমনই ভেবেছিল। কিন্তু তদন্ত কমিটির রিপোর্টে উঠে এসেছে তার উল্টোটা। সাকিব আল হাসান নয় তামিমের দলে না থাকার কারণ হাথুরুসিংহে। গত বছর আফগানিস্তান সিরিজ থেকে হুট করে অবসর নেওয়ার পরই তামিমকে বিশ্বকাপ দলে না নেওয়ার পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন টাইগার কোচ। যা বাস্তবে রূপে নানা নাটকীয়তার সৃষ্টি করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তামিমকে বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ দিতে সক্ষম হন হাথুরুসিংহে। তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে সুজন আরও বলেন, তবে আমার মনে হয় রিপোর্ট যেটাই এসেছে জনসম্মুখে প্রকাশ করা উচিত। প্রকাশ করলে ভালো। যদি আমাদের কোনো সমস্যা থাকে সমাধান হবে। যদি বোর্ড মনে করে প্রকাশ করা যাবে না, আমরা নিজেরাই সমাধান করব বোর্ড থেকে। সেটাও হতে পারে।  ‘এটা বিসিবির ব্যাপার, প্রেসিডেন্ট স্যারের ব্যাপার। কারও কারণে ম্যাচ হেরে যায়, এটা আমি বিশ্বাস করি না। ক্রিকেট টিম গেম। একজনের জন্য কিছু হয় বিশ্বাস করি না। পরিকল্পনায় ভুল থাকতে পারে। এটা ভিন্ন ইস্যু।'
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৭

লিপুকে প্রধান নির্বাচক করায় বিস্মিত সুজন
দেশের ক্রিকেটে ওতপ্রোতভাবে জড়িত খালেদ মাহমুদ সুজন। অনেক দিন জাতীয় দল মাতিয়েছেন। এরপর ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট কাজেও যোগ দিয়েছেন। কোচিং পেশাতেও যুক্ত তিনি। সব কিছু ছাপিয়ে ক্রিকেট বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশন্স ভাইস চেয়ারম্যানের পদেও আছেন তিনি। গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও প্রধান নির্বাচকের পদে সম্ভাব্য ব্যক্তিদের নাম-ই জানতেন না সুজন। বিসিবি থেকেও নাকি তাকে কিছুই জানানো হয়নি দাবি সুজনের। তাই নিজের পদে থাকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। প্রধান নির্বাচক হিসেবে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নিয়োগ নিয়ে বিস্মিত ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের এই ভাইস চেয়ারম্যান। সুজনের ভাষ্য, আমি তো ক্লিয়ার করলাম আমি জানি না কিছু। আমি ক্রিকেট অপারেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান আমি জানিই না, ক্রিকেট অপারেশন্স সিলেক্টর নিচ্ছে, কে হচ্ছে। খুবই অবাক করার মতো। আমার এই পজিশনে থাকার প্রয়োজন কি সেটাও জানি না আসলে। তবে অভিজ্ঞ এই ক্রীড়াব্যক্তিকে প্রধান নির্বাচক হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট সুজন। তার মন্তব্য, লিপু ভাইয়ের অনেক ক্রিকেট মেধা। আমাদের অনেক সিনিয়র। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অনেকদিন ধরে দেখছেন। জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন, আবাহনীর অধিনায়ক ছিলেন। উনাকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না। উনি আসাতে ভালো হতে পারে। নির্বাচক হতে পারেন বা এমন কিছু আমি আগে শুনিনি। খুবই চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত এসেছে বিসিবি থেকে লিপুর পক্ষে সাফাই গেয়ে সুজনের মন্তব্য, ক্রিকেট যিনি খেলেছেন, তার ক্রিকেটজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তোলা তো অস্বাভাবিক। অধিনায়কত্ব করেছেন, এত বছর ধরে ক্রিকেটের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মাঝখানে বড় গ্যাপ আছে। টিভিতে আমরা সবাই কথা বলতেই পারি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে কী হচ্ছে, প্রিমিয়ার লিগ বা বয়সভিত্তিক ক্রিকেট… তবে আমার মনে হয় না এটা উনার জন্য খুব একটা কঠিন হবে। মানিয়ে নিতে বেশি সময় লাগবে না। সুজন যোগ করেন, উনার ক্রিকেট মেধা, বিচক্ষণতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না, দ্বিমত থাকতে পারে না। তবে আমার জন্য খুবই সারপ্রাইজিং ছিল। আমি নামটা শুনিনি। বাতাসে অনেক নামই ভাসছিল, গুঞ্জন ছিল। আমার জন্য অবাক করা কারণ আমি ক্রিকেট অপারেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান অথচ আমি জানিই না। এটা আমার খুব অবাক লাগল।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫১

প্রধান নির্বাচক হিসেবে যাকে চেয়েছিলেন সুজন
নানান সমালোচনা আর বিতর্কের পর প্রধান নির্বাচক হিসেবে মিনহাজুল আবেদীন নান্নু অধ্যায় শেষ হয়েছে। জায়গা হারিয়েছেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনও। নতুন প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। তবে বিষয়টি নিয়ে ভিন্ন দাবি ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজনের। বিসিবির গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার পরও বিষয়টি নাকি তিনি জানতেনই না। এমনকি বোর্ডও তাকে কিছুই জানায়নি। তাই নিজের পদে থাকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সুজন আশা করেছিলেন, হাবিবুল বাশার সুমনই প্রধান নির্বাচক হবেন।  তার ভাষ্যমতে, হ্যাঁ, আমি আশা করেছিলাম সুমনই হবে। কেন হয়নি, যারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বা সিদ্ধান্তের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন, তারাই বলতে পারবেন। আমি অবশ্যই মনে করি সুমন যোগ্য ছিল। সুজন যোগ করেন, ও (সুমন) বাংলাদেশের সফল ক্যাপ্টেন ছিল, সফল ক্রিকেটার ছিল। এতো বছর দলের সঙ্গে কাজ করেছে। আমি আশা করেছিলাম, নান্নু ভাইকে না রাখা হলে ও-ই প্রধান নির্বাচক হবে। যে সিদ্ধান্ত বোর্ড দিয়েছে, আমাদের সম্মান জানাতে হবে। এদিকে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা জানিয়েছে, বোর্ডের অন্য কোনো ভূমিকায় বাশারদের কাজে লাগানো হবে। এ বিষয়ে সুজনের মন্তব্য, কোথায় লাগানো যেতে পারে, এটা এখনই বলা যাবে না। ওদের ক্রিকেট মেধা নিয়ে আমরা অনেকভাবে কাজ করতে পারি। হয়ত অন্য কোনো ম্যানেজেরিয়াল পোস্টে কিংবা আমি জানি না…। গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নিয়োগ সম্পর্কে বিসিবির এই পরিচালকের মন্তব্য, আমি তো ক্লিয়ার করলাম আমি জানি না কিছু। আমি ক্রিকেট অপারেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান আমি জানিই না, ক্রিকেট অপারেশন্স সিলেক্টর নিচ্ছে, কে হচ্ছে। খুবই অবাক করার মতো। আমার এই পজিশনে থাকার প্রয়োজন কি, সেটাও জানি না আসলে। সুজন যোগ করেন, লিপু ভাইয়ের অনেক ক্রিকেট মেধা। আমাদের অনেক সিনিয়র। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অনেকদিন ধরে দেখছেন। জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন, আবাহনীর অধিনায়ক ছিলেন। উনাকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না। উনি আসাতে ভালো হতে পারে। নির্বাচক হতে পারেন বা এমন কিছু আমি আগে শুনিনি। খুবই চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত এসেছে বিসিবি থেকে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৫

তাসকিনের খেলতে না চাওয়া ‘ব্যক্তিগত ব্যাপার’, বলছেন সুজন
কাঁধের ইনজুরিতে বেশ ভালোভাবেই ভুগচ্ছেন তাসকিন আহমেদ। যে কারণে ক্রিকেটের রাজকীয় ফরম্যাট টেস্ট থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে চাচ্ছেন জাতীয় দলের নির্ভরযোগ্য এই পেসার। গত শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের প্রধান জালাল ইউনুস। এমনকি আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজে তাসকিনকে স্কোয়াডে রাখা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এবার তাসকিনের টেস্ট না খেলতে চাওয়ার বিষয়ে রোববার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দুর্দান্ত ঢাকার কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। সুজনের ভাষ্য, এটা তাসকিনের ব্যক্তিগত ব্যাপার। ও সিদ্ধান্ত নেবে। ওর তো বয়সও হচ্ছে। এখন তো ২৫-২৬ বছর বয়স না। কতটুকু পারবে, চিন্তা করতে হবে। এ বছর অনেক টেস্ট আছে। আমি মনে করি ওকে সাবধানে ব্যবহার করাই ভালো হবে।  তিনি যোগ করেন, যেখানে প্রয়োজন নেই বা নতুন একটা ছেলেকে পরীক্ষা করতে পারি, সেখানে তাসকিনকে না খেলানোই ভালো। আমরা যাতে ফিট তাসকিনকে পাই, তাহলে বাংলাদেশের জন্য অনেক ম্যাচ জেতা সহজ হবে। এদিকে চলতি বিপিএলেই চোটে পড়েছিলেন এই পেসার। চোট কাটিয়ে মাঠেও ফিরেছেন তিনি। তাসকিনের প্রত্যাবর্তনে খুশি সুজন। তার (সুজন) ভাষ্যমতে, তাসকিন ব্রিলিয়ান্ট। আস্তে আস্তে উন্নতি করছে। যথেষ্ট কাজ করেছে, আমিও ওর সঙ্গে কাজ করেছি। বোলিংয়ে এখনও শতভাগ ছন্দ পায়নি। প্রতিটি ম্যাচেই ভালো বল করছে; তবে এখনও কাজ করার জায়গা আছে। এটা সে-ও জানে এবং অনেক কঠোর পরিশ্রম করছে। বলব না ও ফিট না। তবে ও যতটা করছে, খারাপ না। আমি জানি তাসকিন দারুণভাবে প্রত্যাবর্তন করবে।  উল্লেখ্য, তিনটি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে এবং দুই টেস্ট খেলতে আগামী ১ মার্চ বাংলাদেশে পা রাখবে লঙ্কানরা। লঙ্কানদের এই সফরে ৪, ৬ ও ৯ মার্চ সংক্ষিপ্ত সংস্করণের সিরিজে মুখোমুখি হবে দুই দল। সবগুলো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। টি-টোয়েন্টি শেষে ওয়ানডে খেলতে চট্টগ্রামে পাড়ি জমাবে দুই দল। তিন দিনের বিরতি দিয়ে চট্টগ্রামে ৫০ ওভারের লড়াইয়ে নামবে দুই দল। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে মাঠে গড়াবে ১৩ মার্চ। এরপর ১৫ ও ১৮ মার্চ হবে শেষ দুই ওয়ানডে। এ ছাড়া সিলেট ও চট্টগ্রামে গড়াবে টেস্ট ম্যাচ দুটি।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪১

দুর্দান্ত ঢাকার লক্ষ্য জানালেন কোচ সুজন
আর মাত্র পাঁচ দিন পর মাঠে গড়াবে বিপিএলের দশম আসরের। এর মধ্যেই দলগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে অনুশীলন শুরু করেছে। মিরপুরে অনুশীলন শুরু করেছে দুর্দান্ত ঢাকা। তাদের এক মাত্র লক্ষ্য প্লেঅফ। মন্তব্য করেছেন দুর্দান্ত ঢাকা হেড কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। রোববার (১৪ জানুয়ারি) মিরপুরে অনুশীলন করেছে দুর্দান্ত ঢাকা। অনুশীলনের ফাঁকে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুজন বলেছেন দলের প্রধান লক্ষ্য। সুজন বলেন, যখনই কেউ দল গড়ে, সে দল তার লক্ষ্য নিয়ে গড়ে। চ্যাম্পিয়ন তো সবসময়ই টার্গেট থাকে। যদি আমি বস্তবতা চিন্তা করি, তাহলে আমাদের যে শক্তি আছে অবশ্যই প্রথম ধাপটা হচ্ছে নক আউট পর্বে যাওয়া। প্রথম চারের মধ্যে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। এটাই প্রথম লক্ষ্য, চ্যাম্পিয়ন তো ভাগ্য লাগে নক আউটে গিয়ে ভালো খেলেও প্রথম ম্যাচে হেরে যান তাহলে আউট। প্রথম লক্ষ্য সেমিফাইনাল স্টেজে যাওয়া। দলের নাম দুর্দান্ত ঢাকা হলেও কাগজে কলমে আসরের সব থেকে দুর্বল দল তারা। কারণ, দলে বড় ক্রিকেটারের নাম নেই। আর এই বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন কোচ সুজন। তিনি বলেন, অবশ্যই, আমার কাছে এটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। যেহেতু আমাদের দলে বড় নাম নেই, কাগজে কলমে সবাই ৬/৭ নম্বর দলই বলবে হয়তোবা। সে হিসেব আই ডোন্ট মাইন্ড, এরকম একটা দল নিয়েই কাজ করাটা বেশি আনন্দের। আমাদের চ্যালেঞ্জটা বেশি থাকবে।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:০২

আ.লীগ প্রার্থীদের ৯৩ শতাংশই কোটিপতি : সুজন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন আওয়ামী লীগের এমন প্রার্থীদের ৯২ দশমিক ৮৩ শতাংশই কোটিপতি। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এসব তথ্য তুলে ধরে। আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করে সংগঠনটি আরও জানায়, আওয়ামী লীগের ২৬৫ প্রার্থীর বার্ষিক গড় আয় ২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। গড় সম্পদমূল্য সাড়ে ২৮ কোটি টাকার বেশি। দলটির প্রার্থীদের ১৭০ জনই পেশায় ব্যবসায়ী।  প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া ১ হাজার ৯৪৫ জনের মোট বার্ষিক আয় ১ হাজার ১১৪ কোটি টাকা। মোট সম্পদমূল্য ১৩ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি আয় ও সম্পদ আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের। এরপর আয় ও সম্পদ বেশি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে সুজন জানায়, এবারের প্রার্থীদের মধ্যে স্নাতকোত্তর পাস ৩২ দশমিক ৪৯ শতাংশ। স্নাতক পাস প্রার্থী ২৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ। প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের মধ্যে ৯ দশমিক ৫১ শতাংশের বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা আছে। সংবাদ সম্মেলনে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ক্ষমতার সঙ্গে জাদুরকাঠি জড়িত। ২০০৮ সাল থেকে দেখা যাচ্ছে, যে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ছিল, সেখানে প্রার্থীদের মধ্যে আয়বৈষম্য কম ছিল। একতরফা নির্বাচনে এই বৈষম্য বেড়ে যায়। কারণ, এসব নির্বাচনে যেনতেন প্রার্থী দিলেও জিততে সমস্যা হয় না।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়