• ঢাকা বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রাইমা সেনকে হত্যার হুমকি
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাইমা সেন। অভিনেত্রীর আরও একটি পরিচয় হচ্ছে তিনি কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের নাতনি। আগামী ৬ এপ্রিল সুচিত্রা সেনের জন্মদিন। কিন্তু তার আগেই হত্যার হুমকি পেলেন রাইমা। লাগাতার হত্যার হুমকি পাওয়ায় চিন্তায় পড়ে গেছেন পরিবারের সদস্যরা।   জানা গেছে, একটি হিন্দি সিনেমাকে কেন্দ্র করে হত্যার হুমকি পাচ্ছেন রাইমা। বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে কথা বলেছেন তিনি।  এ প্রসঙ্গে রাইমা জানান, ‘১৯৪৬ ক্যালকাটা কিলিংস’র প্রেক্ষাপটে নির্মিত সিনেমা ‘মা কালী’। এই হিন্দি সিনেমার পোস্টার প্রকাশ্যে আসার পরই নানানভাবে হুমকি পাচ্ছেন তিনি। অভিনেত্রী বলেন, আমাকে হিন্দি ও বাংলা, দুই ভাষাতেই লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যে ভাষায় আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, সেটা মুখে প্রকাশ কিংবা ছাপার অযোগ্য। রাইমা আরও বলেন, বর্তমানে মুম্বাইতে আছি আমি। তাই অনেকে আমাকে এটাও বলেছেন— কলকাতাতেই তো থাকতে হবে, কীভাবে থাকবেন দেখব! অনেকে আবার বলেছেন, সুচিত্রা সেনের নাতনি হয়ে কীভাবে এটা করলেন? সবকিছু মিলিয়ে আমার পরিবার আমাকে নিয়ে ভীষণ চিন্তায় পড়ে গেছে।  এ সময় দুঃখ প্রকাশ করে অভিনেত্রী বলেন, সিনেমা না দেখে শুধু অনুমানের ওপর নির্ভর করে কাউকে হত্যার হুমকি দেওয়াটা সত্যি অবাক করে আমাকে। গেল বছর ‘ভ্যাকসিন ওয়ার’ সিনেমার কারণেও বিভিন্নভাবে ট্রলের শিকার হয়েছিলাম। তবে সিনেমা মুক্তির পর কারও নেতিবাচক মন্তব্য আর পাইনি।  তাই ‘১৯৪৬ ক্যালকাটা কিলিংস’ সিনেমার টিজার আর ট্রেলার প্রকাশের সময়টুকু অপেক্ষা করছি। টিজার আর ট্রেলার দেখার পরও তাদের ধারণা পাল্টে যাবে। আর যদি এরপরও অকারণে লাগাতার হত্যার হুমকি পাই তবে পুলিশের কাছে এফআইআর করা ছাড়া কোনো উপায় দেখছি না।   সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস   
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫১

স্মরণে মহানায়িকা সুচিত্রা সেন 
  রমা দাশগুপ্ত বা সুচিত্রা সেন। যে নামেই তাকে ডাকুন না কেন বাংলা ছবির সর্বকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় মহানায়িকা তিনিই। তার সঙ্গে তুলনা করা যায় না কারও। বাংলা সিনেমাকে তিনি নিয়ে গিয়েছিলেন এক অনন্য উচ্চতায়। আজ এই মহানায়িকার দশম মৃত্যুবার্ষিকী। মৃত্যুবার্ষিকীতে আরটিভি অনলাইনের পক্ষ থেকে অভিনেত্রীর প্রতি রইলো অপরিমেয় শ্রদ্ধা। ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল পাবনা জেলা সদরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত ছিলেন পাবনা পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও মা ইন্দিরা দেবী ছিলেন গৃহবধূ। তিনি ছিলেন পরিবারের পঞ্চম সন্তান ও তৃতীয় কন্যা। তার আরেকটি পরিচয় হলো, তিনি ছিলেন কবি রজনীকান্ত সেনের নাতনী।   সুচিত্রা সেনই বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম অভিনেত্রী, যিনি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব থেকে পুরস্কৃত হয়েছিলেন। ‘সাত পাকে বাঁধা’ ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৬৩ সালে মস্কো চলচ্চিত্র উৎসব থেকে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান তিনি। ১৯৫৫ সালে প্রথম হিন্দি ছবি দেবদাসের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেন। ‘আন্ধি’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। ‘আন্ধি’ গুজরাটে মুক্তির পর ২০ সপ্তাহ নিষিদ্ধ ছিলো। ১৯৭৭ সালে জনতা পার্টি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর গুজরাটের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হয় ছবিটি। ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পদ্মশ্রী পান। ২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বাংলাবিভূষণ সম্মাননা দেওয়া হয় তাঁকে। হিন্দি ও বাংলা মিলিয়ে সর্বমোট ৬১ টি ছবিতে অভিনয় করে নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ১৯৭৮ সালে সুদীর্ঘ ২৫ বছর অভিনয়ের পর তিনি চলচ্চিত্র থেকে অবসরগ্রহণ করেন। ‌‘প্রণয় পাশা’ ছবিটি করার পর তিনি লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান। এরপর তিনি রামকৃষ্ণ মিশনের সেবায় ব্রতী হন। নিজেকে অন্তরালে রাখার সিদ্ধান্ত একান্তই তাঁর নিজের ছিল। এতটাই দৃঢ়তা ছিল সেই সিদ্ধান্তে যে, পরবর্তীতে তাকে দাদাসাহেব ফালকে সম্মাননা প্রদান করতে চেয়েছিল ভারত সরকার। কিন্তু চলচ্চিত্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ এ সম্মাননা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন সুচিত্রা সেন।  সম্মাননা নিতে কলকাতা থেকে দিল্লি যেতে চাননি বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি হন। অবশেষে সব কল্পনাকে হার মানিয়ে ১৭ জানুয়ারি ভারতীয় সময় সকাল ৮টা ২৫ মিনিট নাগাদ পৃথিবীর বাতাসে শেষবারের মতো নিশ্বাস নেন সুচিত্রা সেন, পাড়ি দেন অনন্তলোকে। পর্দার অভিনয়জীবনে নিজের যে চূড়ান্ত রোমান্টিক রূপটি গড়েছিলেন, স্বেচ্ছা-অন্তরালে সেই রূপটিই ধরে রেখেছিলেন শেষ জীবনেও। লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকেই বিদায় নিয়েছেন তিনি কিন্তু আমরা তাকে সেই মহানায়িকার জায়গাতেই রেখে দিবো চিরকাল।
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৯

১৭ জানুয়ারি : ইতিহাসে আজকের এই দিনে
আজ বুধবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৩। একনজরে দেখে  নেওয়া যাক  ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়। ঘটনাবলি: ১২৫৮ - মঙ্গোলরা বাগদাদ নগরী অধিকার করে ও ধ্বংসযজ্ঞে লিপ্ত হয়। ১৫৮৪ - বোহেমিয়া গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার গ্রহণ করে। ১৫৯৫ - ফ্রান্সের চতুর্দশ হেনরিক প্লেন যুদ্ধ ঘোষণা করেন। ১৬০৫ - ডন কুইক্সোট প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৮৪১ - বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত চূড়ার নাম মাউন্ট এভারেস্ট রাখা হয়েছিলো। ১৮৬৩ - ভার্জিনিয়াতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। ১৮৯৩ - হাওয়াই প্রজাতন্ত্র ঘোষিত হয়। ১৯২৩ - পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃর্পক্ষ অবৈধভাবে একজন বিপ্লবী বিক্ষককে গ্রেফতার প্রতিবাদে ছেই ইয়েন পেই পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ করেন। ১৯৪৫ - সোভিয়েত রাশিয়ার সৈন্য বাহিনী পোলান্ডের রাজধানী ওয়ারশকে জার্মান দখল থেকে মুক্ত করে। ইউরোপে যুদ্ধ শুরুর দিন থেকেই ওয়ারশতে যুদ্ধ আরম্ভ হয়। ১৯৪৫ - সোভিয়েত সেনারা অগ্রসর হলে জার্মান নাজি বাহিনী কুখ্যাত আউচভিচ কনসেনট্রেশন ক্যাম্প ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৪৬ - জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। ১৯৫৩ - ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মুনীর চৌধুরীর কবর নাটক রচনা শেষ হয়। ১৯৫৯ - সেনেগাল ও ফরাসি সুদান একীভূত হয়ে মালি ফেডারেল স্টেট গঠন করে। ১৯৬১ - কঙ্গোর জননায়ক প্যাট্রিস লুমুম্বা নিহত হন। ১৯৬৬ - স্পেনের কাছে ভূমধ্যসাগরের আকাশে মার্কিন বি-ফিফটি টু বম্বারের সাথে কেসি-ওয়ান থ্রি ফাইভ জেট ট্যাংকারের সংঘর্ষ হয়। ১৯৭০ - পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। ১৯৯১ - পঞ্চম হ্যারল্ড নরওয়ের রাজা হিসাবে অভিষিক্ত হন। ১৯৯১ - উপসাগরীয় যুদ্ধে অপারেশন ডেসার্ট হার্ট শুরু হয়। ইরাক এদিন ৮টি স্কাড ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে নিক্ষেপ করে। ১৯৯৫ - জাপানের ওসাকা কোবে অঞ্চলে ভূমিকম্পে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি লোকের প্রাণহানি ঘটে ও বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়। ২০০৮ - ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ফ্লাইট ৩৮ লন্ডন হিথ্রো বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পড়ে যাতে প্রথম কোন বোয়িং ৭৭৭ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায় কোন প্রাণহানি ছাড়াই। জন্ম: ১৫০৪ - পোপ চতুর্থ পায়াস জন্মগ্রহন করেন। ১৭০৬ - মার্কিন বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাংকলিন জন্মগ্রহন করেন। ১৮৬০ - রাশিয়ার বিশ্বখ্যাত গল্প লেখক অন্তোন চেখভ জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৬৩ - রুশ অভিনেতা, নাট্যকার ও পরিচালক কনস্তানতিন স্তানিস্লাভস্কি জন্মগ্রহন করেন। ১৯১৩ - রাডার যন্ত্রের পুরোধা স্যার এ্যাডওয়ার্ড ফেনিশি জন্মগ্রহন করেন। ১৯৩৩ - প্রিন্স সদরউদ্দিন আগা খান জন্মগ্রহন করেন। ১৯৪২ - বিখ্যাত মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী যুক্তরাষ্ট্রে কেনটুকি অঙ্গরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৫ - ভারতীয় কবি, গীতিকার জাভেদ আখতার জন্মগ্রহন করেন। ১৯৬২ - কানাডীয় বংশোদ্ভুত মার্কিন অভিনেতা জিম ক্যারি জন্মগ্রহন করেন। মৃত্যু: ১৫৯৮ - রাশিয়ার জার প্রথম ফিয়োডরের মৃত্যু হয়। ১৮৯১ - মার্কিন ইতিহাসের জনক জর্জ ব্যানক্রাফ্টের মৃত্যু হয়। ১৯৭৬ - ইতালীয় চলচ্চিত্র পরিচালক ও লেখক লুকিনো ভিসকেন্তির মৃত্যু হয়। ১৯৭৮ - শিক্ষাবিদ ও জাতীয়তাবাদী তাত্ত্বিক মুজাফফর আহমদ চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেন। ২০১৪ - বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী মহানায়িকা সুচিত্রা সেন কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। ২০১৫ - স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গীতিকার গোবিন্দ হালদারের মৃত্যু হয়।
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়