• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
প্রমাণ মুছতে সিসি ক্যামেরা নষ্ট করে অস্ত্রের মুখে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৯
রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের মজিদ বেয়ারা এলাকার একটি আলিশান ডুপ্লেক্স বাড়ির নিচতলার জানালার গ্রিল কেটে পাঁচ থেকে ছয়জন ডাকাত ডুকে পড়ে ভেতরে। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয় বাড়ির মালিক, তার স্ত্রী এবং দুই শিশু সন্তানকে। ডাকাতি করে নেওয়া হয় নগদ টাকাসহ মূল্যবান সামগ্রী। প্রমাণ মুছতে আগেই নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে সিসি ক্যামেরা। ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, গত ৯ অক্টোবর রাত ৩টা ৪৮ মিনিটে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকার একটি বাড়িতে হানা দেয় ডাকাতরা। প্রথমেই তারা ওই বাসায় থাকা প্রতিটি কক্ষের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। বাসার লোকজনকে একে একে অস্ত্রের মুখে করে জিম্মি। নারীদের আটকে রাখা হয় আলাদা কক্ষে। রাত সাড়ে ৪টার মধ্যেই ডাকাত দলটি লুট করে নেয় বাড়িতে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান সামগ্রী। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৯ সদস্যকে গত শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি)  গ্রেপ্তার করা হয়। এই চক্রটি ডাকাতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল জানিয়ে পুলিশ বলেছে, ডুপ্লেক্স বাড়ি টার্গেট করে ডাকাতির আগে তারা বেশ কয়েক দিন রেকি করেছে।  ঢাকার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ডাকাতরা কেউ ফেরিওয়ালা সেজে, কেউ বাড়িগুলো সুন্দর বলে পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতেন। এই ফাঁকেই তারা খুঁজে নিতেন, কীভাবে কোন পথে বাসায় প্রবেশের সুযোগ আছে।   তিনি বলেন, রাজধানীর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে অনেকেই বাগানবাড়ি টাইপের অট্টালিকা তৈরি করছেন। মাঝে মাঝে সেখানে গিয়ে তারা অবস্থান করেন। আবার অনেকেই স্থায়ীভাবে সেখানে অবস্থান করেন। কিন্তু আমরা দেখেছি যে অনেকেই অনেক টাকা খরচ করে বাড়িগুলো বানিয়েছেন। কিন্তু সেখানে নিরাপত্তার বিষয়টি যেমন সিটি ক্যামেরা বা পাহারাদার রাখার মতো অনেক বিষয়ে তাদের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে।  তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতির মামলা আছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২২

দূষণ রোধে খালের পাড়ে বসানো হবে সিসি ক্যামেরা
খালের পাড়ে ময়লা ফেলা রোধে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর মিরপুরে খাল পরিদর্শন শেষে এ ঘোষণা দেন তিনি। এ সময় খাল দূষণকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমরা খালগুলো পরিষ্কার করার পর আর কেউ ময়লা ফেলতে পারবেন না। খালের পাড়ে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দেব। খালে ময়লা ফেললেই নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা। দখলদাররা নিজ দায়িত্বে খাল দখলমুক্ত করে দেবেন। আমরা যখন উচ্ছেদ অভিযান শুরু করব, তখন কিন্তু আর সময় পাবেন না। আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা পর্যায়ক্রমে একের পর এক অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি। এর আগে আমরা লাউতলা খাল ও রামচন্দ্রপুর খাল উদ্ধার করেছি। দীর্ঘ ৪০ বছর পর সূতিভোলা খাল উদ্ধার করেছি। গত সপ্তাহে মোহাম্মদপুরে জাকের ডেইরি ফার্মের অবৈধ দখল থেকে ডিএনসিসির জমি উদ্ধার করেছি। নগরের অন্যান্য খালগুলো যেভাবে সংস্কার করা হয়েছে, এখানেও তাই করা হবে। তিনি বলেন, ঢাকার যেসব খাল এভাবে দখল করা হয়েছিল, সবগুলোই কিন্তু ধীরে ধীরে আমরা উদ্ধার করেছি। খাল উদ্ধারের পর খালের পাশে ওয়াকওয়ে করা হবে, সাইকেল লেন করা হবে। স্থায়ীভাবে এসবের সমাধান করা হবে। এলাকাবাসীর উদ্দেশে এরপর মেয়র বলেন, খাল পরিষ্কার থাকলে রোগ-বালাই কম হবে। মশার প্রজনন কমে যাবে। দুর্গন্ধ থাকবে না। আপনারাই ভালো থাকবেন। উন্নত দেশে খাল সামনে রেখে বাড়ি নির্মাণ করা হয়। আর আমাদের দেশের উল্টো চিত্র। আমাদের দেশে সবাই খাল পেছনে রেখে বাড়ি নির্মাণ করি। পরে বাড়ির পেছনে খালকে ময়লার ভাগাড় হিসেবে ব্যবহার করি। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে পরিদর্শনে এসে দেখলাম খালে অনেক বাঁশের সাঁকো, বিদ্যুতের সংযোগ ও সুয়ারেজের সংযোগ। সবাইকে অনুরোধ করছি এগুলো দ্রুত সরিয়ে নেবেন, না হলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ সময় ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, চার নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জামাল মোস্তফা, অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান, তিন নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ুন রশিদ জনি উপস্থিত ছিলেন।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:০৭

শেখ হাসিনাকে মিশরের প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
টানা চতুর্থ মেয়াদে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। এ সময় বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম জনগণের অব্যাহত সফলতা, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন তিনি। রোববার (১৪ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো এক পত্রে তিনি এ অভিনন্দন জানান। পত্রে আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি বলেন, সম্প্রতি আপনার দেশে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করায় আমি আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনি নতুন মেয়াদে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন। এই উচ্চপদে আপনার পুনঃনির্বাচন হচ্ছে আপনার দেশের আরো অগ্রগতি অর্জনে আপনার সক্ষম নেতৃত্বের প্রতি আপনার জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিফলন। তিনি আরও বলেন, আমি আনন্দের সাথে স্বীকার করছি মিশর ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্ক বজায় রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক স্বার্থে আগামী বছরগুলোতে বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। আপনার মঙ্গল কামনা করে পাঠানো আমার আন্তরিক শুভেচ্ছাবার্তা আপনি অনুগ্রহ করে গ্রহণ করুন, অভিনন্দন পুনর্ব্যক্ত করে যোগ করেন আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:২১

নাশকতা এড়াতে সিসি ক্যামেরার আওতায় আসছে রেল
নিরাপদ হিসেবে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাহন ট্রেন। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে হরতাল-অবরোধে নিরাপদ এই বাহন ঘিরেই ঘটে গেছে একের পর এক নাশকতা। বগি লাইনচ্যুত হওয়ার পাশাপাশি অগ্নিসংযোগে জীবন্ত দগ্ধ হয়েছেন বেশ কয়েকজন যাত্রী। এ ধরনের নাশকতা এড়াতে রেলকে তাই এবার ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে রেলওয়ে পুলিশ। প্রথম পর্যায়ে আন্তনগর ট্রেন, এবং পরবর্তী  সময়ে বাকি ট্রেনগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ। রেলওয়ে পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি ট্রেনের সামনে-পেছনে এবং গুরুত্বপূর্ণ সব স্থানে থাকছে সিসি ক্যামেরা। প্রথমে যাত্রীদের কাছে যেসব ট্রেনের চাহিদা বেশি সেসব আন্তনগর ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। সে অনুযায়ী ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটই প্রাধান্য পাচ্ছে প্রাথমিক অবস্থায়।  রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, গত ১৬ নভেম্বর রাতে টাঙ্গাইল স্টেশনে টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের কোচে আগুন দেয় দূর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় ট্রেনটির দুটি কোচ পুড়ে যায়। দুদিন যেতে না যেতেই ১৯ নভেম্বর আরেকটি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে জামালপুরের সরিষাবাড়ী স্টেশনে যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনে। এ ঘটনায় ট্রেনটির দুটি কোচ পুরোপুরি পুড়ে যায়; ক্ষতিগ্রস্ত হয় আরও একটি কোচ। ৭২ ঘণ্টার ব্যবধানে সিলেট রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি কোচে আগুন ধরিয়ে দেয় দূর্বৃত্তরা।  এরপর ১৩ ডিসেম্বর রেলওয়ের ভাওয়াল গাজীপুর এবং রাজেন্দ্রপুর সেকশনে ২০ ফুট রেললাইন কেটে ফেলা হয়। কেটে ফেলা ওই রেললাইনে দুর্ঘটনায় পড়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন। ট্রেনের ইঞ্জিন এবং ছয়টি কোচ লাইন থেকে ছিটকে পড়লে প্রাণ যায় এক যাত্রীর। আহত হন অনেকে। ১৯ ডিসেম্বর ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় আবারও নাশকতার শিকার হয় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস।সেদিন দূর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে জীবন্ত দগ্ধ হয় মা ও শিশু সন্তানসহ চার জন। আহত হয় আরও ৮ জন। সর্বশেষ ৫ জানুয়ারি রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। এ আগুনে দগ্ধ হয়ে চার যাত্রীর মৃত্যু হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুদিন আগে এই ঘটনা নাড়া দেয় দেশবাসীসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে। নড়েচড়ে বসেছে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, হরতাল-অবরোধে সরকারি বাহন ট্রেনকে ঘিরে নাশকতার ঘটনা ঘটছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি মানুষের জানমালেরও ক্ষতি হচ্ছে। নাশকতা এড়াতে রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ চলছে। প্রথমে কয়েকটি ট্রেনে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব ট্রেন এর আওতায় আনা হবে। তিনি আরও বলেন, সিসি ক্যামেরা থাকলে নাশকতার পাশাপাশি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপও রোধ করা যাবে। কেউ নাশকতা কিংবা পাথর নিক্ষেপের মতো ঘটনা ঘটালে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা সহজ হবে। প্রথম পর্যায়ে সিসিটিভি মনিটরিং করা হবে রেলওয়ে পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে। চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শহিদুল ইসলাম বলেন, গত ১০ জানুয়ারি থেকে ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশিতা, মহানগর প্রভাতী ও সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি ট্রেনে ১২টি করে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি ট্রেনগুলোকেও  ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, হাওর এক্সপ্রেস নামে দুটি ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি ট্রেনগুলোতে সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে। আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, শুধু ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে তা নয়, পাশাপাশি যেসব স্টেশনে আগে থেকে সিসি ক্যামেরা নেই সেখানেও লাগানো হচ্ছে। বিশেষ করে, ঢাকার রেলওয়ে স্টেশনগুলো পুরোপুরি সিসি ক্যামেরার আওতায় আসছে। যেকোনও নাশকতা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে এটি। কেউ নাশকতা করার চেষ্টা করলে তাকে চিহ্নিত করা সহজ হবে।   
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়