• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
মুরগির পচা মাংস সংরক্ষণ, হোটেল সিলগালা
বগুড়ায় রুচিতা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে মুরগির পচা মাংস রাখায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। সেইসঙ্গে হোটেলটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। শুক্রবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের নবাববাড়ী সড়কে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন বগুড়া ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল ইসলাম রিজভী। এসময় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা মো. রাসেল উপস্থিত ছিলেন। ইফতেখারুল ইসলাম রিজভী জানান, দুপুরে রুচিতা হোটেল থেকে মিলন চন্দ্র মোহন্ত নামের এক কর্মচারী ৩০ কেজি ব্রয়লার মুরগির মাংস নিয়ে ফতেহ আলী বাজারে প্রক্রিয়াজাত করতে যান। এ সময় বাজারের লোকজন মুরগিগুলো মরা ও পচা বলে অভিযোগ করে প্রশাসনকে খবর দেন। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, মুরগিগুলো মরা ও পচা যা খাওয়ার অযোগ্য। তিনি আরও জানান, এ অপরাধে রুচিতা হোটেলকে দুই লাখ টাকা জরিমানা ও একইসঙ্গে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।  
১৬ মার্চ ২০২৪, ১০:৩৭

ঝিনাইদহে ১২ গরুর মৃত্যুর পর অবৈধ সীসা কারখানা সিলগালা
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার চারাতলা নামক স্থানে অবৈধ সীসা কারখানার বিষক্রিয়ায় বুধবার আরও তিনটি গরুর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া একই মালিকের আরও ৫টি গরু অসুস্থ হওয়ার পর তড়িঘড়ি করে কসাইদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় ১০-১২টি গরু মারা গেছে। পরে পরিবেশ অধিদপ্তর খবর পেয়ে বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে অবৈধ সীসা কারখানা সিলগালাসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন হরিণাকুন্ডুর এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিরুপমা রায়। অভিযানের সময় ঝিনাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুন্তাছির রহমান উপস্থিত ছিলেন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর ধরে চারাতলা বাজারের পাশে পায়রাডাঙ্গা গ্রামের ডালিম মন্ডলের জমি ভাড়া নিয়ে এই অবৈধ কারখানা পরিচালনা করে আসছিলেন গাইবান্ধার মশিয়ার রহমান। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পুরানো ব্যাটারি সংগ্রহ করে সীসা তৈরি করতেন তিনি। এই কারখানা থেকে তীব্র ঝাঝালো এসিডের গন্ধে এলাকার পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দেয়। এ দিকে শিতলী গ্রামের আলো জোয়ারদার অভিযোগ করেন, বুধবার ওই কারখানার পাশে তার ৮টি গরু ঘাস খাচ্ছিল। বিষক্রিয়ায় তার গরুর পাল অসুস্থ হয়ে পড়ে। বাড়ি আনার পর ৩টি গরু মারা যায়। বাকি ৫টি গরু তড়িঘড়ি করে স্থানীয় ইবাদত কসাইয়ের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। পায়রাডাঙ্গা গ্রামের মকলেছুর রহমান জানান, এর আগে ভালকী গ্রামের খেলাফৎ ও পায়রাডাঙ্গা গ্রামের কলিম উদ্দীনসহ একাধিক কৃষকের ১০-১২টি গরু মারা গেছে। এসব গরুর দাম প্রায় ১৫ লাখ টাকা হবে। এ অবৈধ সীসা কারখানা উচ্ছেদের জন্য এলাকাবাসী বহুবার হরিণাকুন্ডু উপজেলা প্রশাসন ও ঝিনাাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তরকে জানালেও তারা অদৃশ্য কারণে বন্ধ করেনি। অবশেষে বিভিন্ন সময় ১০-১২টি গরুর মৃত্যুর পর বুধবার ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কারখানাটি সিলগালা করা হয়। এ বিষয়ে কারখানার পরিচালক মশিয়ার রহমান জানান, ‘তিনি ঘাটে ঘাটে টাকা দিয়ে এই কারখখানা চালিয়ে আসছিলেন। আমার টাকা সবার পকেটে আছে। তিনি দাবি করেন ৪০ জায়গায় তিনি মাসিক টাকা দিয়ে এ ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন।’ বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুন্তাছির রহমান জানান, আমার লোকবল নেই। একটা অভিযান পরিচালনা করতে প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ। কিন্তু অফিসের কোন বরাদ্দ নেই। তিনি বলেন, বুধবার ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে অবৈধ সীসা কারখানা সিলগালাসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
১৪ মার্চ ২০২৪, ০১:০৭

আশুলিয়ায় ২ হাসপাতাল সিলগালা
সাভারের আশুলিয়ায় বিভিন্ন অনিয়ম ও নিবন্ধন না থাকায় দুইটি বেসরকারি হাসপাতাল সিলগালা করা হয়েছে। রোববার (১০ মার্চ) দুপুরে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় নিবন্ধন না থাকায় সাভারের আশুলিয়ার পলাশবাড়ি মহল্লায় অবস্থিত সোহেল স্কয়ার হাসপাতাল ও একই এলাকার তাবিল মেডিকেল হসপিটাল সিলগালা করা হয়েছে। এ বিষয়ে ডা. সাইদুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে অনিবন্ধিত হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সাভারের আশুলিয়ায় দুইটি হাসপাতালে অভিযান চালাই। এদের মধ্যে সোহেল স্কয়ার হাসপাতালের কোনো নিবন্ধন নেই। তারা উপজেলা প্রশাসনকে দেখে ভেতরে রোগী রেখে বাইরে থেকে হাসপাতালে তালা দেয়। পরে ভবন মালিকের সহায়তায় তালা ভেঙে হাসপাতালে প্রবেশ করা হয়েছে। অন্যদিকে তাবিল মেডিকেল হসপিটালের নিবন্ধন না থাকায় হাসপাতাল সিলগালা করা হয়েছে।
১০ মার্চ ২০২৪, ২০:১০

খিলগাঁওয়ে আবাসিক ভবনে রেস্তোরাঁ, পুরো ভবন সিলগালা
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে আবাসিক ভবনে রেস্তোরাঁ করায় একটি সাত তলা ভবনের পুরোটা সিলগালা করে দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় খিলগাঁওয়ে অভিযান চলাকালে ভবনটির খোঁজ মেলে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। অভিযানের শুরুতে খিলগাঁওয়ের শহীদ বাকী সড়কের ‘সি’ ব্লকের ৫৬৬/এ ভবনের দ্বিতীয় তলায় শর্মা কিং রেস্তোরাঁয় অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে এ সময় রেস্তোরাঁর মালিক বা ব্যবস্থাপক ছিলেন না। তাদের মোবাইলে কল দিয়েও পাওয়া যায়ণী। এছাড়া রেস্তোরাঁর কর্মীরাও কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। দুপুর ১২টায় এই রেস্তোরাঁ থেকে বের হয়ে একই ভবনের তৃতীয় তলায় পাস্তা ক্লাব নামে আরেকটি রেস্তোরাঁয় ঢোকেন আদালত অভিযানে অংশগ্রহণকারীরা। এই রেস্তোরাঁয়ও মালিককে পাননি ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ভবনের সামনে অগ্নিপ্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন ২০০৩ অনুযায়ী ‘এই ভবনটি অগ্নিনিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যাধিক ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ লেখা একটি ব্যানার টানিয়ে দেয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধিরা। পরে সাততলা এ ভবনটি সিলগালা করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সরেজমিনে এই ভবনের প্রতিটি তলায় একটি করে রেস্টুরেন্ট দেখা গেছে। নিচতলায় ছিল একটি গার্মেন্টসের শো-রুম। আর পার্কিংয়ের জায়গায় একটি রেস্টুরেন্টে নির্মাণকাজ চলতে দেখা গেছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অগ্নিঝুঁকি থাকায় ভবনটি আপাতত বন্ধ থাকবে। ভবন মালিক এবং সংশ্লিষ্ট রেস্তোরাঁর মালিকরা সঠিক কাগজপত্র দেখাতে পারলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে অভিযানের আগাম খবর পেয়ে খিলগাঁও এলাকার অধিকাংশ রেস্তোরাঁ এদিন সকাল থেকেই খোলেনি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা জানান, খিলগাঁওয়ে গড়ে ৯০ শতাংশ রেস্তোরাঁ আবাসিক বাসাবাড়িতে গড়ে উঠেছে। ফলে এলাকাটি আবাসিক এলাকার বৈশিষ্ট্য হারিয়েছে, যা রাজউকের আইন অনুযায়ী অবৈধ। এদিন এই সড়কের অন্যান্য রেস্তোরাঁও বন্ধ দেখা যায়। এসব বন্ধ রেস্তোরাঁ যেসব ভবনে অবস্থিত সেগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। প্রসঙ্গত, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামে একটি ভবনে আগুন লেগে ৪৬ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই অনিরাপদ ভবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। 
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩২

এবার সুলতান’স ডাইন রেস্তোরাঁ সিলগালা
রাজধানীর বেইলি রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে সুলতান’স ডাইন রেস্তোরাঁ সিলগালা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। কাগজপত্র দেখাতে না পারায় মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে রেস্তোরাঁটি সিলগালা করেন রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেন। সুলতান’স ডাইনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, তাদের সব কাগজপত্র রয়েছে। তবে, তাৎক্ষণিক কাগজপত্র দেখাতে না পারায় আপাতত রেস্তোরাঁটি সিলগালা করা হয়েছে। অন্যদিকে কাগজপত্র দেখাতে পারলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রাজউকের কর্মকর্তারা। এর আগে, এদিন সকালে বেইলি রোডের বন্ধ থাকা আরেক রেস্টুরেন্ট ‘নবাবী ভোজ’ সিলগালা করে দেওয়া হয়। অভিযানের শুরুতে রেস্টুরেন্টটি বন্ধ পাওয়া যায়। রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ একটি নোটিশে জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে সংগঠিত ভয়াবহ দুর্ঘটনা আমলে নিয়ে যথাযথভাবে জরুরিভিত্তিতে সঠিকভাবে সংস্কারের কাজ চালু থাকায় সাময়িক সময়ের জন্য রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকিবে। এজন্য সবার নিকট আমরা দুঃখিত। রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেন বলেন, রাজউক নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। শুধু রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে না। যেখানে সমস্যা বা কোনো ব্যাত্যয় পাওয়া যাচ্ছে, সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ৮ জন শিশু। ভয়াবহ এই ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। অভিযানে নামে রাজউকসহ বিভিন্ন সংস্থা।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩৯

বেইলি রোডের নবাবী ভোজ সিলগালা
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) বেইলি রোডের নবাবী ভোজ রেস্তোরাঁয় ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করে রেস্তোরাঁটি সিলগালা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বেলা ১১টার পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেন হাওলাদারের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।  জানা গেছে, এদিন অভিযানের শুরুতে রেস্টুরেন্টটি বন্ধ পাওয়া যায়। রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ একটি নোটিশে জানায়, গ্রাহকদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সাম্প্রতিক সময়ে সংগঠিত ভয়াবহ দুর্ঘটনা আমলে নিয়ে যথাযথভাবে জরুরিভিত্তিতে সঠিকভাবে সংস্কারের কাজ চালু থাকায় সাময়িক সময়ের জন্য রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকিবে। এজন্য সবার নিকট আমরা দুঃখিত। প্রসঙ্গত, রাজধানীর বেইলি রোডের ওই ভবনে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে আগুন লাগে। এতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ৮ জন শিশু। ওই ভবনের প্রায় প্রতিটি ফ্লোরে রেস্টুরেন্ট ছিল। এতে বিশেষজ্ঞরা রাজধানীর বিভিন্ন ভবনে রেস্তোরাঁ তৈরি নিয়ে উদ্বেগ জানান। তারপরই বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।  এদিকে সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীতে অভিযান পরিচালনা করে বেশকিছু রেস্তোরাঁ সিলগালা, ১৬ জনকে আটক এবং ৯ লাখ টাকা জরিমানা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও পুলিশ। 
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৪

লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ, ধামরাইয়ে হাসপাতাল সিলগালা
লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ঢাকার ধামরাইয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতাল সিলগালা করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।  সোমবার (৪ মার্চ ) দুপুরে অভিযান চালিয়ে মুনমুন চক্ষু হাসপাতাল ও ফ্যাকো সেন্টারটি সিলগালা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে ধামরাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, ধামরাই পৌর এলাকার ইসলামপুর মহল্লার মুনমুন চক্ষু হাসপাতাল ও ফ্যাকো সেন্টার এবং হেলথ এইড ডিজিটাল অ্যান্ড ডায়াগস্টিক সেন্টারে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এদের মধ্যে মুনমুন চক্ষু হাসপাতাল ও ফ্যাকো সেন্টারের ২০২০ সাল পর্যন্ত লাইসেন্স নবায়ন করা ছিল। এরপর আর লাইসেন্স নবায়ন না করায় হাসপাতালটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।    এছাড়া হেলথ এইড ডিজিটাল অ্যান্ড ডায়াগস্টিক সেন্টারে সেবার মূল্য তালিকা, অপারেশন পরিচালনাকারী টেকনোলজিস্টদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং পরিচালিত ডায়াগস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স না থাকায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর রিফফাত আরা উপস্থিত ছিলেন।
০৪ মার্চ ২০২৪, ২২:৪৫

অভিযানের খবরে ভবনের সব রেস্টুরেন্ট বন্ধ, কেয়ারি ক্রিসেন্ট সিলগালা
অভিযানের খবরে নোটিশ টানিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ধানমন্ডির কেয়ারি ক্রিসেন্ট ভবনের সব রেস্টুরেন্ট। এরপরই ভবনটি সিলগালা করে দেয় অভিযানে আসা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের একটি দল। সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে ভবনটিতে অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় ভবনটি থেকে তিনজনকে পুলিশ হেফাজতেও নেওয়া হয়েছে। এর আগে, ওই ভবনে অভিযান চালানো হবে এমন খবরে নোটিশ টানিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় সেখানে থাকা সব রেস্টুরেন্ট। ভবনের মূল গেটের সামনে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় নোটিশ। সেখানে লেখা রয়েছে- সকল চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এবং খাবার হোটেল বন্ধ থাকিবে। শুধুমাত্র দ্বিতীয় তলার মার্কেট এবং নিচ তলার দোকানগুলো খোলা থাকবে। আদেশক্রমে কর্তৃপক্ষ। অভিযানের সময় ভবনটির দ্বিতীয় তলা থেকে সব রেস্টুরেন্টে তালা লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায়। নেই কোনো মানুষজন। কথা বলার জন্য ভবন সংশ্লিষ্টদের ডাকা হলেও তারা কেউ আসেননি। পরে বাধ্য হয়ে সিঁড়ি দিয়ে উপরে ওঠে অভিযানিক দল। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম। পরে ভবনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। এর আগে, সোমবার দুপুরে নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণের অভিযোগে রাজউকের অভিযানে ধানমন্ডির টুইন পিক টাওয়ারের ১২টি রেস্তোরাঁ সিলগালা করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও একটি রেস্তোরাঁকে জরিমানা করা হয়েছে।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩২

টুইন পিক টাওয়ারের ১২টি রেস্তোরাঁ সিলগালা
রাজধানীর ধানমন্ডির টুইন পিক টাওয়ারের ১২টি রেস্তোরাঁ সিলগালা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই ভবনের একটি রেস্তোরাঁকে জরিমানা ও একটি রেস্তোরাঁ ভেঙে ফেলা হয়েছে। নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণের অভিযোগে সোমবার (৪ মার্চ) অভিযান চালিয়ে রেস্তোরাঁগুলো সিলগালা করা হয় বলে জানিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজউক পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারোয়ার জানান, নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণের অভিযোগে রেস্তোরাঁগুলো সিলগালা করা হয়।  তিনি বলেন, ভবনটি মূলত ‘এফ’ ক্যাটাগরির। এটি অফিসের জন্য অনুমোদন দেওয়া হলেও সেখানে অবৈধভাবে প্রায় ১২ থেকে ১৫টির মতো রেস্টুরেন্ট ভাড়া দেওয়া হয়েছে। সেখানে ওষুধ ও কাপড়ের দোকানও পাওয়া গেছে। নিয়মের বাইরে গিয়ে যারা এসব করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হবে বলেও জানান তাজিনা সারোয়ার। এর আগে, এদিন বেলা ১১টার পর ভবনটিতে অভিযান শুরু করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারোয়ার। তবে এর আগেই ভবনের রেস্তোরাঁগুলো বন্ধ ছিল। এদিকে এই ভবন নিয়ে শুক্রবার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন ভবনের স্থপতি মুস্তাফা খালিদ পলাশ। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। শুক্রবার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে সকলের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘PLEASE DON’T USE THIS BUILDING FOR YOUR OWN SAFETY’ মুস্তাফা খালিদ লিখেছেন, প্রতিনিয়ত এই ভবনটি নিয়ে সত্যি উৎকণ্ঠায় থাকি। নকশা ও অনুমোদন বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে হলেও এর ব্যবহারে বড় রকমের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সার্বিকভাবে একে সমূহ অগ্নিঝুকিপূর্ণ রেস্তোরাঁ ভবনে রূপান্তর করা হয়েছে। স্থপতি হিসেবে শেষ যে ক্ষমতাটুকু রাজউক দিয়েছে অকুপেন্সি সার্টিফিকেটের জন্য- সেই রিপোর্ট স্বাক্ষর করার তোয়াক্কাও এখানে করা হয়নি। অকুপেন্সি সার্টিফিকেট না নিয়েই চলছে দেদার ব্যবসা। যেহেতু ভবনটি নির্দিষ্ট ব্যবহারের ব্যত্যয় করে ব্যবহার শুরু হয়েছে তাই স্থপতি হিসেবে রিপোর্ট ও এজবিল্ট ড্রইং প্রদান থেকে বিরত থেকে জমির মালিক ও ডেভেলপারকে বারবার লিখিত বার্তায় এ বিষয়ে সতর্ক করা হলেও কোনো ফলপ্রসূ অগ্রগতি হয়নি। অর্থের কাছে আমার আহাজারি বারবারই নিস্ফল হচ্ছে। ডেভেলপারকে জিজ্ঞেস করলে উত্তর আসে তাদের নাকি ফায়ার লাইসেন্স আছে। কি করে সম্ভব সেটা? কপি চাইলে নিরুত্তর। জমির মালিককে বললে উত্তর- ভাড়া হয় না তাই আর কি করা! তাদের এ-ও জানানো হয় যে, সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভবনের স্থপতি হিসেবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ করা হবে। তিনি আরও লিখেছেন, উদ্ভট সব যুক্তির বেড়াজালে একজন স্থপতি হিসেবে নিজেকে অসহায় না ভেবে গত মাসে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস বিভাগের স্টেশন মাস্টারকে এক বার্তায় এ বিষয়ে অবগত করলে তিনি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন বলে জানান। আমার ঘনিষ্ট ফায়ার ডিপার্টমেন্টের প্রাক্তন ডিজিকেও তার ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য অনুরোধ করলে তিনি সাধ্যমতো তা করবেন বলে জানান। আজ আবার স্টেশন মাস্টারকে বিস্তারিত তথ্য লিখলাম। দেখা যাক কি হয়। যতদূর জানি- এ ভবনের অগ্নিনিরাপত্তার অবস্থা ক্রমান্বয়ে ভয়াবহভাবে অবনমিত করা হয়েছে। ফায়ার ডোর খুলে ফেলা হয়েছে, ফায়ার স্টেয়ার স্টোররুম হয়েছে, যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার রাখা হয়েছে। একজন সচেতন স্থপতি তো বটেই একজন শহরবাসী হিসেবে আমাদের প্রত্যেকেরই দ্বায়ীত্ব দৃশ্যমান অশনিসংকেতের মোকাবিলা করা। উল্লেখ্য, রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ আগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন ভবন ও রেস্তোরাঁগুলোতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৪

ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সিলগালা করতে রাজউকে চিঠি
ঢাকা মহানগরীর যত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে সিলগালা করতে তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) চিঠি দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২ মার্চ) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) এ চিঠি দেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৬ জন নিহত ও অনেকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জানা গেছে, ভবনটির বাণিজ্যিক ব্যবহারের অনুমোদন ছিল না। ভবনের ভেতরে ওঠা-নামার সিঁড়ি নিয়ম অনুযায়ী তৈরি করা হয়নি। এমনকি ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করার নোটিশ দিলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি, যা চরমভাবে দায়িত্বের অবহেলা। চিঠিতে আরও বলা হয়, নিমতলীর এফআর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাসহ প্রায় প্রতি বছরই এ ধরনের অঘটন ঘটছে এবং প্রাণহানি হচ্ছে। তাই সেসব বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল তার সঠিক তথ্য তুলে ধরতে বলা হয়েছে। চিঠি পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় আইনি পদক্ষেপ নিতে হাইকোর্টের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হবে। চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, বন ও পরিবেশবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সচিবকে।
০২ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়