• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যেকোনো মূল্যে সিন্ডিকেট সভা চান বিএসএমএমইউ উপাচার্য
বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত সহকারী ডা. রাসেল আহমেদ ও শিপনসহ কয়েকজনকে মারধর করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া ও উপাচার্যের শেষ সিন্ডিকেট মিটিংকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) থমথমে পরিবেশ বিরাজ করেছে।  এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। তবে যেকোনো মূল্যে শেষ সিন্ডিকেট মিটিং করে এডহকে নিয়োগ দেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করে যেতে চান বিদায়ী উপাচার্য। রোববার (২৪ মার্চ) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দায়িত্বরত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আজ বিদায়ী উপাচার্যের শেষ সিন্ডিকেট মিটিং হওয়ার কথা। এটিকে কেন্দ্র করে যেন কোনোরকম অস্বাভাবিক পরিস্থিতি রোধে সকাল থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোনো মূল্যে শেষ সিন্ডিকেট মিটিংটি সম্পন্ন করে যেতে চান উপাচার্য। জানা গেছে, ডা. মিল্টন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এবার উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ সিন্ডিকেট মিটিং করতে চান বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন সেন্টার হলে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল কথা বলেননি। এর আগে শনিবার (২৩ মার্চ) উপাচার্যের শেষ মেয়াদে এডহকে নিয়োগ দেওয়া ব্যক্তিদের চাকরি স্থায়ীকরণ বন্ধ ও নিয়োগ বাণিজ্যের প্রতিবাদে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে আওয়ামী লীগপন্থি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সংগঠনের শিক্ষকরা। এ সময় ওই চিকিৎসকদের বের করে দেওয়া হয়।  
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:১০

সন্দ্বীপে রাতের আঁধারে কাটা হচ্ছে খাসজমির মাটি 
সন্দ্বীপের রাতের আঁধারে খাসজমির মাটি কেটে বিক্রি করছে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। সন্দ্বীপ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাত ১০ টার পর থেকে ভোর পর্যন্ত আইন অমান্য করে এস্কেভেটর দিয়ে বেড়িবাঁধ এর বাহির থেকে ও ফসলি জমির থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। উপজেলার প্রতিটি এলাকায় সিন্ডিকেট করে মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। পরিবেশ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় একাধিক চক্র দেদারছে রাতে মাটি কেটে বিক্রি করলেও তেমন কোনো আইনি পদক্ষেপ নেই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের। স্থানীয় প্রশাসন মাঝে মধ্যে দু’য়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করলেও তা আমলে নিচ্ছেন না মাটি ব্যবসায়ীরা। এসব অভিযান আর জরিমানা তার গায়ে মাখছে না। এতে চুনোপুঁটিরা আইনের আওতায় আসলেও অধিকাংশ মাটিখেকো রাঘববোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। গত ১৮ মার্চ উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি) সৈয়দ মুরাদ ইসলাম অবৈধ মাটি কাটার দায়ে ২টি ট্রাক জব্দ করে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন বলে জানান।  তিনি বলেন, অবৈধ মাটি কাটা বন্ধে অভিযান পরিচালনা করে ট্রাক মালিকদের জরিমানার আওতায় আনা হচ্ছে। তবুও থামছে না মাটি কাটা।  ২০-৩০ ফুট গভীর করে মাটি কাটার ফলে ধীরে ধীরে ফসলি জমি পুকুরে পরিণত হচ্ছে। সন্দ্বীপের বিভিন্নপ্রান্তে  এভাবে লাগামহীন মাটিকাটা হলে পুনরায় ভাঙ্গন শুরু হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিবেশ ও মানবতাবাদী আইজীবী অ্যাডভোকেট আকবর মাহমুদ বাবর বলেন, মৃত্তিকার (মাটি) এভাবে ক্ষতি করা মারাত্নক ধরনের অপরাধ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সন্দ্বীপের প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।  উপজেলার রহমতপুর, মগধরা, আজিমপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের সরকারি খাস জমি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি  মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। মাটি ব্যবসায়ীরা রাতের সময়কে উত্তম সময় হিসেবে বেছে নিয়েছে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর ৬ (খ) ধারা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, সরকারি বা আধাসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি ও পাহাড়, ফসলি জমি এবং টিলা কর্তন বা বিলুপ্ত করা নিষিদ্ধ থাকলেও মাটিখোকে সিন্ডিকেটরা তা মানছে না। এ বিষয়ে সন্দ্বীপ অধিকার আন্দোলনের সভাপতি হাসানুজ্জামান সন্দ্বীপি বলেন, বালিমহাল ও মাটিব্যবস্থাপনা আইন অতিক্রম করে দিনে রাতে মাটিকাটছে একটি চক্র। কাঁচা-রাস্তাগুলো ধ্বংস করে ও রোজাদারদের ঘুম হারাম করার পরও কেউ যেন দেখার নেই। উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মাটিকাটা বন্ধে আমরা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। অধিকাংশ এলাকায় প্রকাশ্যে রাতে ও দিনে দেদারছে মাটি মাটলেও রহস্যজনক কারণে ওইসব স্থানে কোনো অভিযান পরিচালনা করা হয় না। জনস্রোতি আছে মাটি ব্যবসায়ীরা এসব করছেন প্রশাসনকে ম্যানেজ করে।   এ বিষয়ে সন্দ্বীপ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন পিপিএম বলেন, মাটি কাটার জন্য এখন আর কেউ বলে কয়ে কাটে না। আমরা যতটুকু পারছি ব্যবস্থা নিচ্ছি।  এ ব্যাপারে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিগ্যান চাকমা বলেন, সরকারি খাসজমির মাটি কাটা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। তবে ব্যক্তি নিজের জমিতে থেকে কী পরিমাণ মাটি কেটে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবে সেটা আইনে পরিষ্কারভাবে বলা আছে। কিন্তু কোনো অবস্থায়ও সে মাটি বিক্রি করা যাবে না। তিনি সদ্য যোগদান করেছেন উল্লেখ করে বলেন, সার্বিক বিষয়ে জেনে তিনি সরকারি খাসজমি ও বেড়িবাঁধের বাইরের জমি থেকে মাটি কাটা ও বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবেন।
২২ মার্চ ২০২৪, ১২:২৮

সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে ৮৩ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি
বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে এবার বেসরকারিভাবে ৮৩ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৪৯ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ৩৪ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছেন খাদ্য সচিব মো: ইসমাইল হোসেন।  প্রথম পর্যায়ে ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে এই আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকেও এমন অনুমোদন দেওয়া হবে। খাদ্য সচিব জানান, দেশে প্রতিদিন চালের চাহিদা এক লাখ মেট্রিক টন। মূলত বাজার সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রণের জন্য চাল আমদানির এই কৌশল নেওয়া হয়েছে। ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে হঠাৎ করে চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে ইসমাইল হোসেন বলেন, আমনের মৌসুম শেষ এবং বোরো চাষ শুরু হবে। মাঝে এক থেকে দেড় মাসের একটি গ্যাপে চালের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করতে পারে চালকল মালিক ও মজুতদাররা। তাই আমদানির এই অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এদিকে চাল আমদানির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান হোছাইনী স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, অনুমোদন পাওয়া আমদানিকারকদের ২৫ এপ্রিলের মধ্যে চাল দেশে বাজারজাত করতে হবে। আমদানি করা চাল পুনরায় প্যাকেটজাত না করে বিক্রি করতে হবে মূল বস্তাতে করেই।   
২১ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৮

‘আমদানি করা পণ্য কয়েকজন ব্যবসায়ীর হাতে জিম্মি’
আমদানি করা পণ্য কয়েকজন সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীর হাতে জিম্মি বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেন, তাদের হাত থেকে সিন্ডিকেট মুক্ত করতে না পারলে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে না। শুক্রবার (১৫ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।  ইউনুছ আহমাদ বলেন, দেশে সব কিছুতেই হরিলুট লেগেছে। যেখানে হাত দেবেন, হাত পুড়ে যাবে। দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে জনজীবন দুর্বিষহ অবস্থা। সাধারণ মানুষের আহাজাড়িতে বাতাস ভারি হয়ে উঠছে। সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যর্থ সরকার। তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দক্ষ এবং দুর্নীতিমুক্তভাবে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে আমদানি ও সুনির্দিষ্ট দামে বিক্রি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি সর্বজনীন রেশন ব্যবস্থা ও সারা দেশে ন্যায্যমূল্যের দোকান দিতে হবে।  ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, চলমান একদলীয় শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন করা ছাড়া এসব লুটেরাদের পরাস্ত করা যাবে না। এ জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন দরকার।  এ সময় দেশের পাচার করা টাকা ফেরত আনা ও খেলাপি ঋণ আদায়ে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান ইউনুছ আহমাদ।
১৫ মার্চ ২০২৪, ২২:১৫

জনগণ সিন্ডিকেট করে ফেললে কোথায় যাবে মজুতদাররা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশে কোনো সংকট না থাকলেও অসাধু মজুতদাররা বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। একই সঙ্গে তিনি মজুতদারদের হুঁশিয়ার করেন, এখন যেমন করে জনগণকে তারা জিম্মি করছে, ঠিক তেমনিভাবে জনগণও যদি তাদের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট করে ফেলেন, তবে তারা কোথায় যাবেন।  সোমবার (১১ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় বাজারে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, অন্যান্য দেশে দেখা যায় কোনো উৎসব এলে সেখানে পণ্যের মূল্য কমিয়ে দেওয়া। অথচ আমাদের দেশে উল্টো। কিছু মজুতদার আছে তারা কৃত্রিম সংকট তৈরি করেন। আমাদের দেশে ব্যবসায়ীদের বড় একটা অংশ এ কাজ করে। কোনো একটা উৎসব এলে, একটা উপলক্ষ্য পেলে, মানুষের প্রয়োজনীয়তা বাড়লে অসৎ মনোবৃত্তি নিয়ে তারা পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দেয়।  পেঁয়াজের উদাহরণ টেনে হাছান মাহমুদ বলেন, এখন পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই। বেশির ভাগ পণ্যেরই সংকট নেই। এরপরও কোনো কোনো পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এরপরই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, সরকার এ ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক। আমাদের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী কাজ করছেন। সরকারের অন্যান্য বিভাগও কাজ করছে। অসাধু ব্যবসায়ী, অসাধু মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর সরকার।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা জনগণকে অনুরোধ জানাব, এ ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা করার জন্য। এখন যেমন অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট হয়, জনগণ যখন তাদের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট করে ফেলবে তখন তারা কোথায় যাবে সেটা হচ্ছে প্রশ্ন। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আমাদের সরকার সচেষ্ট রয়েছে।  
১১ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪০

সিন্ডিকেট ধ্বংসের প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেছেন কৃষিমন্ত্রী
সিন্ডিকেট ধ্বংসের প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করে কাজ শুরু করেছি বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালায় যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, সিন্ডিকেট বলতে কিছু থাকলে তা কীভাবে ধ্বংস করা যায়, তার জন্য প্রক্রিয়া কী, সেটা উদ্ভাবন করে ইতোমধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি। এ ছাড়া ঐক্যবদ্ধভাবে যাতে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেজন্যও আমরা কাজ করছি। তিনি বলেন, হাটবাজারে যারা মজুতদারি করেন তাদের অনুরোধ করবো, তারা যেন এই হারাম ব্যবসা না করেন। আল্লাহর রসুলও বলেছেন, তেজারতি করো কিন্তু কেউ হারাম তেজারতি করবে না। আমি অনুরোধ করি রমজান মাসে যাতে আমরা সুন্দরভাবে সিয়াম সাধনা করতে পারি সেজন্য সবাই সহযোগিতা করবেন। মন্ত্রী ব্রি’র বিজ্ঞানীদের বলেন, আপনারা আরও বেশি করে গবেষণা করেন যাতে উৎপাদন আরও বেশি হয়। আমাদের বিজ্ঞানীদের যে মেধা আছে, তারা আরও এগিয়ে যাবেন। আমাদের বিজ্ঞানীরা দিন দিন যা আবিষ্কার করে যাচ্ছেন তা থেকে বোঝা যায় আমাদের বিজ্ঞানীদের কাছে এখন কোনো আবিষ্কারই অসম্ভব নয়। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির শতকরা ৮০ ভাগ নির্ভর করে কৃষির ওপর, এ জন্য কৃষিকে সেভাবে সাজিয়ে তুলতে পারলে অভাব কাটবে, দারিদ্র বিমোচন হবে। নিজেকে চাষি পরিচয় দিয়ে মন্ত্রী বলেন, চাষাবাদ করলে যে ফল পাওয়া যায় বা উৎপাদন পাওয়া যায় এর চেয়ে বেশি আনন্দ কিছু হতে পারে না।  এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ে সচিব ওয়াহিদা আক্তার, ব্রি’র মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৪

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট উচ্ছেদ ও সরকারি ব্যয় কমাতে হবে (ভিডিও)
বাজারে বর্তমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানার লক্ষ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে টাকাকে আরও মূল্যবান করতে নীতি সুদ হার ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮ শতাংশ নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।  তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষিত মুদ্রানীতি মূল্যস্ফীতি কমাতে তেমন অবদান রাখবে না বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, বাজারে কার্যকরভাবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে একচেটিয়া বাজার ব্যবস্থা ও সিন্ডিকেট উচ্ছেদের পাশাপাশি সরকারি ব্যয় কমাতে হবে। নীতি সুদ হার মাত্র ২৫ পয়েন্ট বৃদ্ধি করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কি সম্ভব? এই প্রশ্নের জবাবে অর্থনীতিবিদ সায়েম আমীর ফয়সাল বলেন, আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার তারা কম করে হলেও ১০০ বেসিস পয়েন্ট প্রতিমাসে বৃদ্ধি করেছিল। এখন আপনি যদি প্রশ্ন করেন যে, বাংলাদেশের সঙ্গে আসলে ২৫ পয়েন্ট বাস্তবসম্মত হবে কি না? তাহলে আমি মনে করি তা গ্রহণযোগ্য কোনো পরিবর্তন আনবে না। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, টাকার মান নিয়ন্ত্রয়ণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যতই পলিসি নিক; সরকারি ব্যয় কাটছাঁট আর সিন্ডিকেট নির্মূল করা না গেলে, তা কোনো কাজেই আসবে না। অর্থনীতিবিদ ড. আবু আহমেদ বলেন, সরকারি ব্যয় কাটছাঁট করতে হবে। বাজার ব্যবস্থাপনা যদি কিছু লোকের হাতে চলে যায় এবং তারা যদি সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এসব মুদ্রানীতি কোনো কাজে আসবে না। এদিকে আইএমএফের ক্রলিং পেগ নীতি মেনে ডলারের বিনিময় হার আরও বাজারভিত্তিক করার ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্লেষকরা। আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিত এবং মুদ্রানীতির কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যে স্বস্তির পাশাপাশি অর্থনীতিতেও ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ সায়েম আমীর ফয়সাল বলেন, যতোই আমরা পলিসি ঘোষণা করি না কেন, যদি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমাদের কঠোর পদক্ষেপ না থাকে তাহলে আকাঙ্ক্ষার জায়গায় পৌঁছাতে পারব না।
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৪

উৎপাদন বৃদ্ধি ও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে গুরুত্ব দেওয়া হবে : কৃষিমন্ত্রী 
ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নতুন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি। কৃষকদের উন্নতির জন্য সাধ্যের মধ্যে যা যা করার, তা করা হবে বলেও জানান তিনি।  কৃষিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর প্রথম দিন রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।  মন্ত্রী বলেন, কৃষিতে তো উৎপাদনটাই হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা যদি উৎপাদন না করতে পারি তাহলে বাজার কীভাবে দখল করব, মূল্য কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করব, কীভাবে ডিমান্ড অ্যান্ড সাপ্লাই চেইনকে কার্যকর করব। সেজন্য, সকল সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফসলের উৎপাদন আরো বৃদ্ধি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি ইঞ্চি জমিকে আবাদের আওতায় আনতে কাজ করব। সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সিন্ডিকেট সব জায়গায় থাকে। তাদের কীভাবে ক্র্যাশ করতে হবে, সেটার পদ্ধতি বের করতে হবে। কাউকে গলা টিপে মারার সুযোগ নেই আমাদের। কর্মের মাধ্যমে এগুলোকে কন্ট্রোল করতে হবে। সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বারোপ করা হবে। সিন্ডিকেট অবশ্যই দুর্বল হয়ে যাবে।  তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষকবান্ধব সরকার। কৃষক ও কৃষির আরো উন্নতির জন্য যা প্রয়োজন, আমাদের ক্ষমতার মধ্যে যা আছে তা করব। মন্ত্রী বলেন, কৃষি একটি বড় মন্ত্রণালয়। এখানে কাজের পরিধিও বেশি। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, উদ্যোক্তারা সবাই মিলে যদি কাজ করি, এ শক্তি কিন্তু বড় শক্তি, এর রেজাল্টও কিন্তু আমরা পাব। কৃষিক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জও আমরা মোকাবেলা করতে সক্ষম হবো। ফসলের উৎপাদন আরো বৃদ্ধিতে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার জন্য কর্মকর্তাদের এসময় নির্দেশ দেন মন্ত্রী।  কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রণালয়ের সকল স্তরের কর্মকর্তারা ও মন্ত্রণালয়ের অধীন ১৮টি সংস্থার প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।  
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:১৬

বাজারে কোনো সিন্ডিকেট থাকতে পারবে না : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু) বলেছেন, বাজারে কোনো সিন্ডিকেট থাকতে পারবে না।  যারা কৃত্রিম সংকট তৈরি করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। মজুতদারদের শক্ত হাতে দমন করা হবে। তবে স্বচ্ছভাবে যারা ব্যবসা করবে তাদের সহযোগিতা করা হবে। রোববার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স হলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা কোনো গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষায় কাজ করব না, জনগণের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করব।  বড় বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ করার যথেষ্ট টুলস আমাদের রয়েছে। ভোক্তা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাজার মনিটরিং বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, মানিকগঞ্জের ফুলকপি যেন একই দিন রাতে গৃহিণীর হাতে আসতে পারে, সেটার নিশ্চয়তাই হবে ম্যাজিক। এ ছাড়া সঠিক সরবরাহ মূল নির্ধারণ করতে হবে। আহসানুল ইসলাম বলেন, আমরা স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে স্মার্ট বাজার সিস্টেম করতে চাই। সরবরাহের সময়টা কমিয়ে আনতে চাই। বাণিজ্য, অর্থ, কৃষি, খাদ্য ও শিল্প মন্ত্রণায়ের সমন্বয়ে আমরা কাজ করব। আমরা কমোডিটি এক্সচেঞ্জ স্থাপন করে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করব। আগামী জুন মাসে সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন এটা অনুমোদন দেবে বলে আশা করছি।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়