• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মিউনিখ সম্মেলনে সকল প্রকার যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছি : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে আমি উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করি। বক্তব্যে সকল প্রকার যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করার জোর আহ্বান জানিয়েছি। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবনে এক তিনি সংবাদ সম্মেলন এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বক্তব্যের শুরুতে আমি গাজা ও বিশ্বের অন্যান্যপ্রান্তে চলমান যুদ্ধবিগ্রহ, অবৈধ দখলদারিত্ব এবং নিরস্ত্র মানুষের বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের অমানবিক হত্যার কবল থেকে মুক্ত করে সকল প্রকার যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করার জোর আহ্বান জানিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘অর্থনীতির নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার বিরূপ প্রভাব যুদ্ধ ক্ষেত্রের চেয়েও বহুদূর পর্যন্ত অনুভূত হওয়ায় এ বিষয়ে আমি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করি। অস্ত্র প্রতিযোগিতার সমাপ্তি ঘটিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় রসদ ও অর্থায়ন সহজলভ্য এবং কার্যকর করার জন্য সকলকে অনুরোধ করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানবতার অস্তিত্বের সংকটকালে ক্ষুদ্রস্বার্থ যে শুধু অনর্থই বয়ে আনে এগুলোর বাস্তবতা আমি সকলের সামনে তুলে ধরি। আর তাই জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা, ঝুঁকি এবং তা মোকাবিলায় অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।’ এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দিতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ছাড়েন। মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের সভাপতির আমন্ত্রণে সেখানে যান তিনি। জার্মানিতে অবস্থানকালে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন শেখ হাসিনা। পাশাপাশি তিনি বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। তাদের মধ্যে ছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি এবং ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন। এ ছাড়াও সফরে জার্মানিতে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটি নাগরিক সংবর্ধনায়ও অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফর শেষে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তিনি দেশে ফিরে আসেন।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২৭

ট্রেন দুর্ঘটনা রোধ করবে ক্ষুদে বিজ্ঞানী জিহাদের ট্রেন সিকিউরিটি সিস্টেম
সম্প্রতি ঢাকার গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসে ট্রেনে আগুনে নারী ও শিশুসহ চারজন নিহতের ঘটনা নাড়া দেয় পুরো দেশকে। এ ছাড়া হরতাল-অবরোধে ট্রেনে আগুন, ট্রেনের স্লিপার খুলে নেওয়া এবং অরক্ষিত রেলক্রসিং এ দুর্ঘটনা নতুন কিছু নয়। এসব দুর্ঘটনা রোধে ‘ট্রেন সিকিউরিটি সিস্টেম’ আবিষ্কার করে সাঁড়া ফেলেছেন চুয়াডাঙ্গার ফার্স্ট মাল্টিমিডিয়া মডেল স্কুলের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান জিহাদ। তার আবিষ্কৃত ইংরেজি-বাংলায় কথা বলা এআই বেইজড আর্টিফিসিয়াল রোবটও বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে।  মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ ও বিজ্ঞান মেলায় ফার্স্ট মাল্টিমিডিয়া মডেল স্কুলের স্টলে ‘ট্রেন সিকিউরিটি সিস্টেম’ এবং এআই বেইজড আর্টিফিসিয়াল রোবট প্রদর্শন করেন জাহিদ।  ‘ট্রেন সিকিউরিটি সিস্টেম’ সম্পর্কে এই শিক্ষার্থী বলেন, বর্তমানে হরতাল-অবরোধে ট্রেনে আগুন দেওয়া, ট্রেনের স্লিপার খুলে নেওয়া ও অরক্ষিত রেলক্রসিং এর কারণে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। যদি কোনো দুর্গম জায়গায় ট্রেনে আগুন লাগে তাহলে সেই মুহূর্তে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছানো সম্ভব হয় না। ফলে যদি তাৎক্ষণিক আগুন না নেভানো যায় তাহলে পুরো ট্রেনে আগুন লেগে যাবে। এই সিস্টেম আগুন লাগা প্রতিরোধ করবে। ট্রেনের প্রতিটি বগিতে একটি করে ওয়াশরুম থাকে এবং ওয়াশরুমে পানির ব্যবস্থা থাকে। এই পানিকে কাজে লাগিয়ে ট্রেনে লাগা আগুন নেভানো সম্ভব। ট্রেনের কোনো বগিতে যখনই আগুন লাগবে সেই মুহূর্তে ফায়ার ডিটেকশন সেন্সর এক্টিভেট হয়ে যাবে এবং পুরো ট্রেনে পানি ছড়িয়ে গিয়ে আগুন নিভে যাবে। সাথে সাথে ট্রেনে অ্যালার্ম বেঁজে উঠবে এবং ট্রেন থেমে যাবে। এতে শত শত মানুষের প্রাণ ও কোটি কোটি টাকার সম্পদ বাঁচবে।  অরক্ষিত রেলক্রসিং : দেশে ট্রেন লাইন অনেক সময় গ্রামের ভেতর দিয়ে কিংবা বাজারের ভিতর দিয়ে যায়। অসচেতনতার কারণে দুর্ঘটনা সম্মুখীন হয় মানুষ। এই সিস্টেমে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা কিংবা বাজারের ভিতর যে রেল লাইন রয়েছে তার ৫০০ মিটার পরপর পোলের ব্যবস্থা আছে। যেখানে ট্রেন আসার ৫০০ মিটার আগে থেকেই সেই পোলগুলোতে অ্যালার্ম বেঁজে উঠবে। ফলে মানুষ সতর্ক হয়ে যাবে এবং দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাবে। জিহাদ জানান, হরতাল-অবরোধের সময় ট্রেনের স্লিপার খুলে নিয়ে নাশকতার ঘটনা ঘটছে। এই সিস্টেমে ট্রেনের স্লিপার খুলে নেওয়া মাত্রই ট্রেন চালক সংকেত পাবেন এবং ট্রেন অটোমেটিক থেমে যাবে। যতক্ষণ পর্যন্ত ট্রেন লাইন ঠিক না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো ট্রেন চলবে না। ফলে ট্রেন দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। আমরা যদি এই তিনটি বিষয়ে আমলে নিয়ে এই সিস্টেমটাকে বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে বাংলাদেশের ট্রেন যাত্রা ৯০ ভাগ নিরাপদ ও সুরক্ষিত হবে। ক্ষুদের বিজ্ঞানী জাহিদ হাসান জিহাদের এআই বেইজড আর্টিফিসিয়াল রোবট মেলার দর্শনার্থীদের বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:৩৬

বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা ধার করে চলছে ইসলামী ব্যাংক 
তারল্য সংকটে থাকা সাত ব্যাংককে ধার দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। এরমধ্যে পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক রয়েছে। তাদেরকে ২২ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে তথ্য পাওয়া গেছে। সূত্র জানায়, লেন্ডার অব দ্য লাস্ট রিসোর্ট-এর একটি বিষয় রয়েছে। সে হিসেবে সাত ব্যাংককে এই টাকা ধার দেওয়া হয়েছে। এর আগেও এই ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নিয়মিত সব তফসিলি ব্যাংককে ধার দিয়ে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক কোম্পানি অ্যাক্টের ক্ষমতাবলে সিকিউরিটিজের পাশাপাশি ডিমান্ড প্রমিজরি নোটের মাধ্যমে টাকা ধার নেয় সংকটে থাকা দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। তবে শঙ্কার কথা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার নেওয়া সাত ব্যাংকের মধ্যে পাঁচটিই ইসলামী ব্যাংক। এই পাঁচটি ব্যাংক হচ্ছে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংক। বাকি দুটি বেসরকারি তফসিলি ব্যাংক হচ্ছে- পদ্মা ব্যাংক এবং ন্যাশনাল ব্যাংক। নীতিমালা অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা ধার নিতে হলে ব্যাংকগুলোকে বিল, বন্ড জমা রাখতে হয়। তবে এই সাত ব্যাংকের কাছে ব্যবহারযোগ্য বিল-বন্ডও নেই যে তারা জমা রাখবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন সময় দেওয়া তথ্য অনুসারে, পাঁচ শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকের কারেন্ট অ্যাকাউন্টে দীর্ঘদিন ধরে ঘাটতি রয়েছে। ফলে প্রতিশ্রুতিপত্র (ডিমান্ড প্রমিজারি নোট) দিয়ে টাকা ধার করেছে সংকটে থাকা কয়েকটি ব্যাংক। এর মাধ্যমে যেকোনো উপায়ে ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ব্যাংকগুলো।
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৪৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়