• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নেতৃত্ব পরিবর্তনে ইসিতে চিঠি দিয়ে সাড়া পেল না রওশনপন্থীরা
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিব পরিবর্তনে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছে রওশন এরশাদপন্থীরা। তবে এতে সাড়া দেয়নি ইসি। শনিবার (৯ মার্চ) ইসির উপসচিব মো. মাহবুবুল আলম শাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে তাদের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী না-হওয়ায় রওশনপন্থীদের আবেদন ইসিতে নামঞ্জুর হয়েছে। এর আগে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিব পরিবর্তনে গত ৪ মার্চ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর চিঠি দেয় রওশন এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ। চিঠিতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং একাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের গুলশানের বাসায় দলটির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের জরুরি বর্ধিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে তাদের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সভায় সবার দাবির প্রেক্ষিতে জাতীয় পার্টির গঠনতান্ত্রিক ক্ষমতাবলে রওশন এরশাদ পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করেছেন এবং কাজী মামুনুর রশীদকে অন্তর্বর্তী (পরবর্তী সম্মেলন না হওয়া পর্যন্ত) মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এদিকে শনিবার ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় কাউন্সিল করেন রওশন এরশাদপন্থীরা। কাউন্সিলে রওশন এরশাদকে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে আগামী ৩ বছরের জন্য নির্বাচিত করা হয়। কাউন্সিলে আগামী তিন বছরের জন্য জাতীয় পার্টির মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন কাজী ফিরোজ রশীদ। সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা নির্বাচিত। এ ছাড়া পাঁচজন কো-চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। কো-চেয়ারম্যানরা হলেন- শাহিদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, সাদ এরশাদ, গোলাম সারওয়ার মিলন, সুনীল শুভ রায়। সুনীল শুভ রায় জাতীয় পার্টির মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করবেন। জাতীয় পার্টির দুই শীর্ষ নেতা রওশন এরশাদ ও জিএম কাদেরের দ্বন্দ্ব অনেক পুরোনো। তবে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ায় শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর ক্ষুব্ধ হন রওশনপন্থীরা। অন্যদিকে, ছেলে সাদ এরশাদকে রংপুরে মনোনয়ন না দেওয়ায় রওশন এরশাদ নির্বাচন থেকে বিরত থাকেন। এর জেরে নতুন করে জাপায় দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এখন শেষে পর্যন্ত দলটি দুই ভাগ হয়ে গেল।
০৯ মার্চ ২০২৪, ২২:০৭

নেট জগতে সাড়া ফেলেছে শিল্পী বিশ্বাসের গান
পাল্টে গেছে যুগ, বদলে গেছে প্রেক্ষাপট। একটা সময় মানুষ রেডিও কিংবা টেলিভিশনে গান শুনত। আর বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ইউটিউব। সম্প্রতি শিল্পী বিশ্বাস তার নিচের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেছেন নতুন গান ‘রাগ কইরো না মনের মানুষ’। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেশ সাড়া ফেলছে ভালোবাসার মানুষের রাগ-অভিমান ভাঙানোর এই গান। গানের ভিডিওতে মডেল হিসেবে রয়েছেন নাফিসা নুসরাত প্রনমি ও জেরি। গানটি প্রকাশের পর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এর জনপ্রিয়তা। সম্প্রতি ৫৫ মিলিয়ন ভিউ ছাড়িয়েছে গানটি। অর্ধ মিলিয়ন ভিউ উপলক্ষে ১ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি রেস্তোরায় জমকালো অনুষ্ঠানের আয়জোন করা হয়। এ সময় আনন্দের মুহূর্ত ও গানের সাফল্য নিয়ে কথা বলেন গানের কণ্ঠশিল্পী শিল্পী বিশ্বাস। শিল্পী বিশ্বাস বলেন, এত মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউস নিজস্ব চ্যানেলে আমি আশাও করতে পারিনি। যেখানেই যাচ্ছি 'রাগ করোনা মনের মানুষ’ গানটি করতে হচ্ছে। আমার মেয়ে এ ইউটিউব চ্যানেলটি খুলে দিয়েছিল। হঠাৎ এভাবে সাপোর্ট পাবো জানা ছিলো না। কিন্তু গানটি দর্শকের মন ছুয়েছে এটায় বিশাল ব্যাপার। নিজেদের সাবলিল অভিনয়ের মধ্য দিয়ে গানটিকে আরো বেশি প্রানবন্ত করে তুলেছেন মডেল প্রনমি ও জেরি। মডেল প্রনমি বলেন, গানটি শুনছে এবং মানুষ ভালোবাসা দিচ্ছে। এ ব্যাপারটি অসংখ্য বড় একটি অনুভূতি যা বলে প্রকাশ করার মত নয়। আমার প্রথম গান কালাচাঁন সেই ভিডিওটি প্রথম পছন্দ করেছিল। দ্বিতীয়টি হল 'রাগ করোনা মনের মানুষ' এই গানটিও সবার পছন্দ করেছে। পরপর দুটি গানই এত সুন্দর করে গ্রহণ করেছে, যা আমার আশা ছিল না। আর দ্বিতীয়ত গানটি ৫৫ মিলিয়নের অধিক ভিউ হয়েছে এজন্য আমি অত্যন্ত খুশি। মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ হওয়ায় জেরি জানান, ২০২৪ সালে এই গানটি আমার জন্য সবচেয়ে বড় অউটপুট এবং এচিভমেন্ট। আমরা কিন্তু অনেক ধরনের মজার গান করতে পারি, টিকটক বানাতে পারি, রিলস বানিয়ে ছাড়তে পারি। কিন্তু এই গানটি কোন প্রস্তুতি ছাড়াই এত সাপোর্ট পাবো ধারণা করতে পারিনি। সামনে আরো ভালো ভালো কাজ করার ইচ্ছা আছে, শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে দেওয়ার ইচ্ছা আছে।  গানটি লিখেছেন কাব্যিক পলাশ।
০২ মার্চ ২০২৪, ২০:১৭

বইমেলায় সাড়া জাগিয়েছে ‘নদী পেরোলেই সাততারা’
এবার একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে নন্দিত নাট্যকার শফিকুর রহমান শান্তনু এর নতুন উপন্যাস ‘নদী পেরোলেই সাততারা’। উপন্যাসটি প্রকাশের সাথে সাথেই পাঠক মহলে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে।  এদিকে মেলার ২৫ তম দিনে নিঃশেষ হয়েছে বইটির প্রথম মুদ্রণ। নাট্যকার শফিকুর রহমান শান্তনু বলেন, একজন লেখকের জন্য এটা খুবই আনন্দের যে, পাঠক তার বইটি গ্রহণ করছে। আমার সৌভাগ্য, গত কয়েক বছরে আমার অল্পসংখ্যক নিয়মিত পাঠক তৈরি হয়েছে। তাদের মাধ্যমেই অন্যরা বইটির ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করছে। আমি দেখেছি, যারা সত্যিকারের পাঠক তারা যাচাই করে কয়েক পাতা পড়ে যদি সন্তুষ্ট হয় তবেই বই কেনে। এবার মেলায় ৫/৬ দিন যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। প্রচুর অচেনা পাঠকের সাথে পরিচয় হয়েছে। তারা আগের বই নিয়ে মতামত জানিয়েছেন। আমাকে আবেগে ভাসিয়েছেন। নদী পেরোলেই সাততারা বইটি প্রকাশ করেছে ঝুমঝুমি প্রকাশন, স্টল ৭১-৭১। বইয়ের গল্প প্রসঙ্গে লেখক বলেন, প্রেম ও পারিবাহিক আবহের এই উপন্যাসে উঠে এসেছে সমকালীন বাংলাদেশ ও সমাজবাস্তবতা। প্রসঙ্গত, শফিকুর রহমান শান্তনু’র হরর থ্রিলার গবলিন, রোমান্টিক থ্রিলার কেউ কেউ পুরনো হয় না বিগত বছরগুলোতে রকমারি বেস্টসেলারে জায়গা করে নিয়েছিল। উপন্যাস লেখার পাশাপাশি বর্তমানে নাটক নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন শান্তনু। ধারাবাহিক নাটক ঘরের শত্রু বিভীষন, নীল ঘুর্নি সহ ইদের বেশ কিছু বিশেষ নাটকের শুটিং ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।    
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০১

পাবনায় সাড়া ফেলেছে রঙিন ফুলকপি
রঙিন ফুলকপি চাষ করে পাবনায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন ঈশ্বরদী উপজেলার কৃষক সফিকুল ইসলাম ও ফিরোজা খাতুন দম্পতি। রঙ্গিন এ ফুলকপি সাড়া ফেলছে এলকার সাধারণ মানুষ ও কৃষকদের মাঝে। তাদের উৎপাদিত রঙিন ফুলকপিতে পাবনা-ঈশ্বরদী শহর এমনকি জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে সবজির দোকান ছেয়ে গেছে। জানা যায়, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের কৃষিবিদদের সহযোগিতায় পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়ার চরমিরকামারী মাথালপাড়া গ্রামের কৃষক সফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ফিরোজা খাতুন রঙিন ফুলকপি চাষ করেন। সংস্থার কৃষি অফিসারদের সহযোগিতায় ঢাকার বীজ ভান্ডারে থেকে বীজ সংগ্রহ করেন।   কৃষক সফিকুল জানান, রঙিন ফুলকপি আবাদে বিঘা প্রতি খরচ হয় ৫০ হাজার টাকা। তবে ফুলকপি পাওয়া যায় প্রায় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার। স্বল্প সময়ে, কম খরচে লাভের পরিমাণ খুব বেশি। এই রঙিন ফুলকপির স্বাদ সাদা কপির চাইতে ভালো। বাজারে চাহিদা ও দামও অনেক বেশি। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি সাদা ফুলকপি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হলেও রঙিন ফুল কপি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে। কৃষক সফিকুল আরও জানান, তারা স্বামী স্ত্রী মিলে এবারই প্রথম এই নতুন জাতের রঙিন ফুলকপি আবাদ করে তিনি বেশ লাভবান হচ্ছেন। তাছাড়া প্রচুর মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে কপি দেখার জন্য ভিঁড় করেন। বেশ ভালোই লাগে। জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের কৃষিবিদ আব্দুল মজিদ সম্রাট জানান, তাদের সংস্থার পক্ষ থেকে কৃষক সফিকুল ইসলামকে সব সময়ই পরামর্শ ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিয়ে আসছেন। এতে একদিকে তার আর্থিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। সেই সাথে তার পরিবারের পুষ্টি চাহিদাও পূরণ হচ্ছে। ভবিষ্যতে তার যে কোনো সহযোগিতা লাগলে পাশে থাকবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরও বলেন, এগুলো জাপানি জাতের ফুল কপি। আমাদের দেশে মাত্র দুই বছর আগে আবাদ শুরু হয়। পাবনাতে সাধারণ সাদা কপিই চাষ হয়, এবারই প্রথম এই রঙিন কপি চাষ করা হয়েছে। আগামীতে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এমন রঙিন কপি আবাদ করে এখানকার কৃষক আরো বেশি লাভবান হবেন বলে আশা করছেন তারা। এদিকে জেলার সবজির বাজারে ক্রেতারা আসার সঙ্গে সঙ্গেই আকৃষ্ট হচ্ছেন রঙিন এই ফুলকপি দেখে। প্রথমবার এমন ফুলকপি কিনে হাসিমুখে বাড়ি ফিরছেন ক্রেতারা।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:১৯

প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সাড়া দিয়েছে হামাস
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির নতুন একটি প্রস্তাবিত চুক্তিতে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। গোষ্ঠীটির এক জ্যেষ্ঠ নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের প্রস্তাবিত এই চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।  বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। বিবিসিকে হামাসের ওই নেতা বলেন, (গাজায়) নতুন একটি যুদ্ধবিরতির খসড়া প্রস্তুত হয়েছে এবং আমরা তাতে সাড়া দিয়েছি। তবে হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে গাজা পুনর্গঠনসংক্রান্ত কয়েকটি ধারা বা শর্তও যেন সেখানে সংযুক্ত করা হয়। সূত্রের বরাতে কেবল এটুকু জানা গেছে যে, চুক্তিতে ৬ মাসের যুদ্ধবিরতি এবং আরও বেশি সংখ্যক জিম্মি-বন্দি বিনিময় প্রস্তাব করা হয়েছে। ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়পক্ষই বলেছে যে তারা হামাসের জবাব পর্যালোচনা করছে। হামাসের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, প্রস্তাবিত চুক্তির কাঠামোর বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে সংগঠনটি। তবে গাজার পুনর্গঠন, অধিবাসীদের বাড়িতে ফিরে আসা এবং বাস্তুচ্যুতদের বিষয়ে বিভিন্ন ধারা সংশোধনের জন্য প্রস্তাব রেখেছে তারা। এ ছাড়া আহতদের চিকিৎসা এবং তাদের বাড়িতে ফিরে আসা বা দেশের বাইরের হাসপাতালে পাঠানোর বিষয়েও চুক্তির ধারা পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছে হামাস। সপ্তাহখানেক আগে হামাসের কাছে এই প্রস্তাব পাঠানো হয়। তবে চুক্তির কিছু বিষয় অনিশ্চিত ও পরিষ্কার না থাকায় হামাস মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) নাগাদ এতে সাড়া দেয়নি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য সফরে রয়েছেন। বিবিসিকে তিনি জানিয়েছেন, হামাসের প্রতিক্রিয়ার প্রসঙ্গে ইসরায়েলের অবস্থান জানতে বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রটির সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। হামাসের শীর্ষ নেতা ও রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়াসহ গোষ্ঠীটির বেশ কয়েক জন শীর্ষ পর্যায়ের নেতা কাতারে বসবাস করেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানি এক বার্তায় বলেছেন, ‘এক সপ্তাহ আগে হামাসের কাছে চুক্তির খসড়া পাঠানো হয়েছিল। হামাস নেতারা আমাদের জানিয়েছেন যে চুক্তির ব্যাপারে তারা ইতিবাচক। আমরা আশা করছি শিগগিরই একটি সফল যুদ্ধবিরতি চুক্তি আমরা উপহার দিতে পারব।’ গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যার পাশাপাশি ২৪০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে ধরেও নিয়ে যায়। অভূতপূর্ব সেই হামলার পর সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। চার মাস ধরে চলমান সেই অভিযানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন ২৭ হাজারেরও বেশি মানুষ, আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৬৮ হাজার। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর গোলায় বাড়িঘর হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন আরও লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, ও মিসরের নিরলস চেষ্টায় গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭ দিনের অস্থায়ী বিরতি চুক্তি হয়েছিল হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে। সেই ৭ দিনে নিজেদের কব্জায় থাকায় জিম্মিদের মধ্যে ১০৮ জনকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। পাল্টায় ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে দেড়শ’রও বেশি মানুষকে মুক্তি দিয়েছিল ইসরায়েলও। হিসেব অনুযায়ী, হামাসের কব্জায় এখনও ১৩২ জন জিম্মি রয়েছে। তাদের ফিরে পেতে ইসরায়েলে ব্যাপক বিক্ষোভ-আন্দোলন শুরু করেছেন জিম্মিদের স্বজনরা। ইসরায়েলের সাধারণ জনগণের একাংশও যোগ দিয়েছেন এসব কর্মসূচীতে। সূত্র : বিবিসি
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৫

সাড়া ফেলছে ফারহান-পায়েলের ‘শুধু তোমার জন্য’ (ভিডিও)
এই সময়ের আলোচিত জুটি মুশফিক আর ফারহান ও কেয়া পায়েল। অল্প সময়েই নিজেদের অভিনয় নৈপুণ্যে দর্শকহৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।  এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি নাটকে জুটি বেঁধে কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তারা। এবার শাহ মোহাম্মদ রাকিবের ‘শুধু তোমার জন্য’ নাটকে কাজ করে ব্যাপক সাড়া ফেলছেন ফারহান-কেয়া।  আরটিভির এ নাটকটি এরই মধ্যে দর্শক সমাদৃত হয়েছে। বিশেষ করে প্রবাসীরা যেন এই নাটকে নিজেদের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন। রাকায়েত রাব্বির রচনা এবং রাজা রাজের গল্পে স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে দেখা গেছে ফারহান-কেয়াকে। নাটকে নিজেদের চরিত্রে প্রবাসীদের জীবনধারা ফুটিয়ে তুলেছেন এই জুটি। মূলত প্রবাসীদের জীবন নিয়ে নির্মিত হয়েছে নাটকটি। যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পরিবারের জন্য পরিশ্রম করেন বিদেশের মাটিতে। কিন্তু তবুও যেন পরিবারের মন পান না তারা। দিনের পর দিন দূরে থেকে কাজ করে যায় পরিবারের জন্য। বাবা-মা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তান কিংবা আত্মীয়স্বজনদের আবদার মেটাতে গিয়ে নিজের সব শখই যেন ভুলে যান প্রবাসীরা। তবুও পরিবারের মানুষদের মুখে হাসি ফোটাতে পারেন না তারা। সেই বাস্তবিকতাই তুলে ধরা হয়েছে নাটকটিতে।   নাটকের গল্পে দেখা যায়, সুমন বিদেশ থেকে বাড়ি আসবে এই আনন্দে সুমনের মা, ভাই-বোন সুমনের বউ সবাই অনেক ব্যস্ত। পাশাপাশি সুমনের বাড়ি ফেরায় পরিবারের সবাই ভীষণ খুশি। বিদেশ থেকে ফিরেই একে একে সবার সঙ্গে দেখা করে সুমন। আর তাকে কাছে পেয়েই পরিবারের সদস্যরা সুমনকে ঘিরে ধরে উপহারের জন্য। সবাইকে সবার উপহার বুঝিয়ে দেয় সুমন। তবে মামা আর বোনকে দেওয়া উপহার পছন্দ না হওয়ায় ভীষণ মন খারাপ হয় তাদের। কিছুদিন যাওয়ার পর সুমনের টাকা প্রায় শেষ হয়ে যায়। এমন সময় বিদেশ থেকে খবর আসে দুই দিনের মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে সুমনকে। আর এই কথা শুনে চিন্তায় পড়ে যায় সুমন। কারণ, তার সব টাকা শেষ হয়ে গেছে। এতো কম সময়ের মধ্যে টিকিটের জন্য টাকা ব্যবস্থা করবে কীভাবে। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকের গল্প। সুমন কি আদৌ পারবে বিদেশে ফিরে যেতে। নাটকের শেষটা দেখতে হলে চোখ রাখুন আরটিভি ড্রামা ইউটিউব চ্যানেলে। নাটকটি মুক্তির পর থেকেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে প্রবাসীদের মাঝে। ইতোমধ্যে ইউটিউবে ৮ মিলিয়নেরও বেশিবার দেখা হয়েছে ফারহান-পায়েলের ‘শুধু তোমারই জন্য’ নাটকটি।  শুধু তাই নয়, বর্তমানে ইউটিউবের ট্রেডিংয়েও দুই নম্বরে রয়েছে এটি। রীতিমতো ঝড় উঠেছে নাটকটির কমেন্টসবক্সে। একজন লিখেছেন, অসম্ভব সুন্দর একটা নাটক। প্রবাসীদের বাস্তব জীবনের কাহিনি। সত্যিই নাটকটা দেখে কান্না ধরে রাখতে পারিনি। আরেকজন লিখেছেন, এই নাটকটা প্রবাসীদের জীবনের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। প্রবাসীকে সম্মান দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ফারহান ভাইকে এবং সব টিমকে। একজন প্রবাসী লিখেছেন, আমিও একজন প্রবাসী। নাটকটা দেখে নিজের চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না। একমাত্র প্রবাসীরাই বোঝে পরিবারের সবাইকে রেখে দূরে থাকার কষ্টটা। আরেক নেটিজেন লিখেছেন, কিছু বলার ভাষা নাই, নাটকটা দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না। প্রবাসীর জীবনটা সত্যিই কষ্টের।  একজন নাটকপ্রেমী লিখেছেন, নাটকের সঙ্গে বাস্তবের অনেকটাই মিল আছে। খুব ভালো লাগলো নাটকটা। অনেক অনেক ধন্যবাদ পরিচালককে। আরেক নেটিজেন লিখেছেন, প্রবাসীদের কষ্ট একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কেউ বোঝে না। নাটকটা দেখে কান্না চলে এলো।    প্রসঙ্গত, গ্লো অ্যান্ড লাভলী নিবেদিত এবং ফারহান-কেয়া অভিনীত ‘শুধু তোমার জন্য’ নাটকটি বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) আরটিভির ড্রামা ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পায় নাটকটি।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৫১

এত সাড়া কোনো কাজ থেকে পাইনি : অমি
দেশের নাট্যাঙ্গনে আলোচিত নাম কাজল আরেফিন অমি। এক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিক দিয়ে দর্শকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। শুধু ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নয়, নির্মাণ করেছেন একাধিক একক নাটক, ড্রামা সিরিজ ও ওয়েব সিরিজ। নতুন বছরের শুরুতে এই নির্মাতা দর্শকদের জন্য সমাজের এই সময়ের গল্পগুলো তুলে ধরে নিয়ে এসেছেন ওয়েব ফিল্ম ‘অসময়’। সম্প্রতি দেশের একটি ওটিটি মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছে এটি। সোশ্যাল মিডিয়া দেখা যাচ্ছে, সব শ্রেণির দর্শক ‘অসময়’ দেখে প্রশংসা করছেন। পাশাপাশি প্রতিবারের মতো এবারও নতুন এই কন্টেন্টি  মুক্তির পর থেকে সব শ্রেণির দর্শকদের প্রশংসায় ভাসছেন নির্মাতা অমি। ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-খ্যাত এই নির্মাতা আরটিভিকে বলেন, আমার জীবনে এতো দ্রুত এত সাড়া কোনো কাজ থেকে পাইনি। মুক্তির পর মানুষের যেভাবে ভালোবাসা পাচ্ছি, এমন সব মানুষ আমাকে ফোন করছেন যারা বাংলাদেশে বিভিন্ন সেক্টরে বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। আলহামদুল্লিলাহ! আমি আমার দর্শকদের কাছে কৃতজ্ঞ।  তারকা বহুল ওয়েব ফিল্ম ‘অসময়’ এ অভিনয় করেছেন তাসনিয়া ফারিণ, ইরেশ যাকের, শরাফ আহমেদ জীবন, রুনা খান, তারিক আনাম খান, ইন্তেখাব দিনার, মনিরা মিঠু, শাশ্বত দত্ত, সুমন পাটোয়ারী, শিমুল শর্মা, লামীমা লাম, ইশরাত জাহিন এবং বিশেষ চরিত্রে হাজির হয়েছেন জিয়াউল হক পলাশ।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩১

ভোটারদের সাড়া পাচ্ছি, ভালো কিছু হবে : ডলি সায়ন্তনী
ডলি সায়ন্তনী গানের জগতের মানুষ। তবে এখন গানের চেয়ে রাজনীতির মাঠেই বেশি সক্রিয় তিনি। রোববার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-২ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন বিএনএমের প্রার্থী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন এই গায়িকা। প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা আজ শেষ হয়েছে। অন্য সবার মতো আজ তিনিও গ্রামে গ্রামে ভোটারদের কাছে গিয়ে নোঙর প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এমনকি গানে গানে ভোটের মাঠ চষে বেড়িয়েছেন ডলি। নির্বাচনের শেষ দিনে গ্রামের বিভিন্ন এলাকা, পাড়া-মহল্লায় নিজের দলের লোকজন নিয়ে ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চেয়েছেন তিনি। নির্বাচনের শেষ দিন ভোটারদের কাছে গিয়ে ডলি বলেন, আপনারা নির্ভয়ে কেন্দ্রে গিয়ে নোঙর প্রতীকে ভোট দিয়ে আপনাদের পাশে থেকে কাজ করার সুযোগ করে দেবেন আমাকে। আপনারা ছাড়া নির্বাচনে জয়ী হতে পারব না। ভোটারদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গায়িকা বলেন, আগেই বলেছি আমি একজন শিল্পী। শিল্পীদের মনে প্যাচ নাই, যতটুকু পারব ততোটুকুই প্রতিশ্রুতি দেব। আপনাদের যে সমস্যাগুলো রয়েছে আমি সংসদে বলব। পাশাপাশি আপনাদের পাশে থেকে সেগুলো সংশোধন করা এবং সম্পন্ন করার চেষ্টা করব, ইনশাআল্লাহ। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী হয়ে আরটিভি নিউজকে ডলি বলেন, প্রচারণা শেষ। এখন বিভিন্ন কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঘুরছি। তাদের সঙ্গে কথা বলছি। মানুষের বেশ সাড়া পাচ্ছি । আশা করছি, ভোটের পর ভালো কিছুই হবে, ইনশাআল্লাহ। এর আগে ক্রেডিটকার্ড-সংক্রান্ত ঝামেলার কারণে ডলির মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন পাবনা জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মু. আসাদুজ্জামান। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানিতে ফের মনোনয়নপত্র ফিরে পান তিনি।  ওই সময় প্রার্থিতা ফিরে পেয়েই তাতক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডলি সায়ন্তনী জানিয়েছিলেন, আলহামদুলিল্লাহ। রায় পেয়েছি, আমি খুবই আনন্দিত।  এদিকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বিভিন্নভাবে হুমকি পেয়েছেন বলে অভিযোগ ডলির। তবে এসবে মোটেও ভীত নন বলে দাবি তার। শেষ পর্যন্ত মাঠে থেকে বিজয়ী হয়ে মানুষের জন্য কাজ করতে চান তিনি। 
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়