• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে যে আলু
পুষ্টিগুণে ভরপুর মিষ্টি আলু খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। এই আলুর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ম্যাংগানিজ মেলে উপকারী মিষ্টি আলু থেকে। স্টার্চি এই সবজি ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। মিষ্টি আলু শীতকালসহ সারা বছরই পাওয়া যায়। দেখতে আলুর মতো হলেও রঙে ও স্বাদে ভিন্ন এটি। অন্যদিকে এতে ফ্যাটের পরিমাণ একেবারেই কম। চলুন জেনে নেওয়া যাক মিষ্টি আলু খেলে কী কী উপকার মিলে- মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণ বিটা ক্যারোটিন আছে, যা আমাদের দেহে ভিটামিন এ-তে পরিণত হয়। এই ভিটামিন চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে বিটা ক্যারোটিনের অভাবে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। বিশেষ করে শিশু এবং প্রসূতিদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা যায়।  মিষ্টি আলুতে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।   এতে কোনও ধরনের চর্বিজাতীয় পদার্থ নেই। আঁশজাতীয় মিষ্টি আলু খেলে ক্ষুধা লাগে না সহজে। ডায়েট চার্টে তাই এটি রাখতে পারেন সহজেই। গর্ভবতী মায়ের জন্য মিষ্টি আলু খুবই উপকারী। এটি গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি সহায়ক। প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে মিষ্টি আলুতে। পটাসিয়াম হার্টের রোগ থেকে দূরে রাখে। পাশাপাশি মাংসপেশির যত্ন নেয়। মিষ্টি আলুতে থাকা ফাইবার ব্লাড সুগার ও কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।  ত্বক ও চুল ভালো রাখতে চাইলে নিয়মিত খান মিষ্টি আলু।  মিষ্টি আলুতে ক্যারোটিনয়েডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা পেট, কিডনি এবং স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।  হৃদযন্ত্র ও স্নায়ুর সুস্থতা বজায় রাখে মিষ্টি আলু। কলার চাইতেও বেশি পটাসিয়াম পাওয়া যায় মিষ্টি আলু থেকে। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা খেতে পারেন এই আলু। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৩

হাসপাতালে জরুরি বিভাগে সাহায্য করবে এআই
হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিভাগে নানা জরুরি কারণে রোগীর ভিড় দেখা যায়৷ কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সব রোগীর দ্রুত চিকিৎসা সম্ভব হয় না৷ এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে সিদ্ধান্তের প্রক্রিয়া দ্রুত ও নিরাপদ করার উদ্যোগ চলছে৷ হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিভাগে শুক্রবার বিকালের পরিচিত দৃশ্য৷ ডাক্তারের চেম্বার বন্ধ হলেই সেখানে রোগীদের ভিড় বাড়তে থাকে৷ ফলে ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মীরাও বাড়তি চাপের মুখে পড়েন৷ জরুরি ডাক্তার হিসেবে টোবিয়াস স্ট্রাপাৎসাস এক গবেষণা প্রকল্প শুরু করেছেন, যার আওতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্রুত ও নিরাপদ সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ তিনি বলেন, বেশিরভাগ রোগীকেই অ্যাম্বুলেন্সে করে এখানে নিয়ে আসা হয়৷ যেভাবেই রোগীরা আসেন না কেন, তাদের চিকিৎসার প্রয়োজন কতটা জরুরি, যত দ্রুত সম্ভব সেটা নির্ণয় করাই আমাদের কাজ৷ অর্থাৎ কোন রোগী কত সময় ধরে ডাক্তারের জন্য অপেক্ষা করবেন, সেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়৷ অ্যাম্বুলেন্সে থাকতেই রোগীর স্বাস্থ্য সম্পর্কে অনেক তথ্য সংগ্রহ করা হয়৷ মিশায়েল ব্যোকেলস বলেন, যেমন রোগীর অবস্থা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায়৷ তারপর তার অতীতের রোগ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হয়৷ মানুষটি সজ্ঞানে কথা বলছেন কিনা, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ৷ অন্য কেউ ফার্স্ট এড দিয়েছেন কিনা, তাও জানতে হয়৷ এই সব তথ্য এখনই সরাসরি ডিজিটাল পদ্ধতিতে হাসপাতালে পাঠানো হয়৷ এবার এআই সেই তথ্য মূল্যায়ন করবে৷ ফলে কোনো রোগীর কত দ্রুত ডাক্তার দেখানো উচিত, সেই অনুমান করতে সহায়তা পাওয়া যাবে৷ টোবিয়াস স্ট্রাপাৎসাস জানালেন, বাস্তবে সম্ভবত এই সিস্টেম অ্যাম্বুলেন্স থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করে জানাবে, সে ক্ষেত্রে রেড ফ্ল্যাগ বা জরুরি সংকেত পাওয়া গেছে৷ তাই সেই রোগীকে অগ্রাধিকার দিতে হবে৷ এমারজেন্সি বিভাগে আসা রোগীদের অগ্রাধিকারের প্রশ্নে স্বাস্থ্য কর্মীরা সবার আগে লক্ষণগুলি নথিভুক্ত করেন৷ রোগীর সমস্যা অনুযায়ী রং ধার্য করা হয়৷ লাল রংয়ের অর্থ, অবিলম্বে ডাক্তারের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন৷ কমলার অর্থ দশ মিনিটের মধ্যে সেটা করতে হবে, হলুদের ক্ষেত্রে সেটা ৩০ মিনিট৷ এআই সেই মূল্যায়নের পাশাপাশি সম্ভবত কিছু অতিরিক্ত তথ্য দেবে৷ যেমন অ্যাম্বুলেন্সে যদি রোগীর কোনো নতুন লক্ষণ ধরা পড়ে৷ স্ট্রাপাৎসাস মনে করেন, কার্ডিয়াক অ্যারিদমিয়াস হয়তো এক ভালো উদাহরণ৷ হৃদযন্ত্রের এই ক্ষণিকের সমস্যা হয়তো পরে আর হুবহু শনাক্ত করা সম্ভব নয়৷ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স হয়তো ভবিষ্যতে এমন জরুরি অবস্থার আরো ভালো মূল্যায়ন করতে সাহায্য করবে৷ তবে এর অর্থ এই নয়, যে সেই দায়িত্ব প্রযুক্তির হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে৷ স্বাস্থ্য খাতে ডিজিটালাইজেশনের বিশেষজ্ঞ হিসেবে মাক্সিমিলিয়ান ভাইস এমনটা মনে করেন৷ তার মতে, কারণ এআই-এর ক্ষমতারও সীমা রয়েছে৷ আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলি বটে, কিন্তু আমার মতে বুদ্ধিমত্তা শব্দটি এ ক্ষেত্রে কিছুটা অতিরঞ্জিত৷  আমাদের কাছে শক্তিশালী কিছু যন্ত্র আছে, যা প্যাটার্ন চিহ্নিত করতে পারে৷ তবে এখনো পর্যন্ত কার্যকারণ সম্পর্কে যন্ত্রের কোনো ধারণা নেই৷ তাছাড়া কোনো রকম সিদ্ধান্ত এবং অবশ্যই নৈতিকতার ধারেকাছে পৌঁছয়নি৷ বর্তমান প্রকল্পেও পরিকল্পিত এআই প্রণালী স্বাস্থ্য কর্মীদের শুধু সহায়তা করবে৷ টোবিয়াস স্ট্রাপাৎসাস বলেন, শেষ পর্যন্ত বেডের ধারে স্বাস্থ্যকর্মী দাঁড়িয়ে থাকবে৷ তিনি যদি বলেন, রোগীর ক্ষেত্রে কোনো দুশ্চিন্তার কারণ খুঁজে না পাওয়া গেলেও মনে খটকা রয়েছে, তখনও সেই রোগীকে লাল বা কমলা পর্যায়েই রাখা হবে৷ ঠিক কোন তথ্যের ভিত্তিতে এআই সত্যি কার্যকর ভাবে সহায়তা করতে পারে, বর্তমানে সে বিষয়ে দরকষাকষি চলছে৷ কয়েক বছর পরেই সেই প্রণালী বড় আকারে কাজে লাগানো যাবে৷
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০২

কম পানিতে কমলালেবু চাষে সাহায্য করছে এআই
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ধাক্কায় স্পেনের দক্ষিণে কমলালেবু চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ পানির অভাব সত্ত্বেও গাছের সুরক্ষায় এবার আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে৷ একগুচ্ছ পদক্ষেপের মাধ্যমে সার্বিক সমাধানসূত্রের আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ স্পেনের কর্দোবা ও সেভিয়া শহরের মাঝে কমলালেবুর বাগিচা রোদের তাপে পুড়ে, শুকিয়ে গেছে৷ আগের বছরের মতো প্রায় ১৬ লাখ টনের ফসল যে এবার পাওয়া যাবে না, চাষিদের কাছে তা এখনই স্পষ্ট হয়ে গেছে৷ খোসে ফার্নান্দেস দে এরেদিয়া প্লান্টেশনের দিকে চলেছেন৷ সেখানে আর কোনো পানি আসছে না৷ তিনি বলেন, বীজ বপন করে গাছগুলি বড় করেছি৷ এখন সেগুলির এমন অবস্থা দেখে খুব খারাপ লাগছে৷ ১৪ বছরে এমন অবস্থা কখনো দেখিনি৷ এখানে কিছু জায়গায় একেবারেই কোনো কমলালেবু ফলেনি, অন্য জায়গায় কয়েকটি ফল দেখা যাচ্ছে৷ তবে কমলার আকার খুবই ছোট, কয়েকটি এমনকি রস বার করারও উপযুক্ত নয়৷ গাছগুলি পুরোপুরি ফুলেফেঁপে ওঠার কথা৷ কিন্তু সেটা ঘটেনি৷ গাছগুলি দেখাশোনার জন্য হাজার হাজার পরিবারের পানির প্রয়োজন৷ কিন্তু জলাধার প্রায় শুকনা৷ মাত্র দশ শতাংশের মতো পানি অবশিষ্ট রয়েছে৷ বিশেষজ্ঞরা কমপক্ষে পরের বারের খরার জন্য প্রস্তুতি নেবার চেষ্টা চালাচ্ছেন৷ কর্দোবা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী এমিলিও কামাচো মনে করেন, আমাদের পানির সরবরাহে উন্নতি ঘটাতে হবে৷ অর্থাৎ পানি ধরে রাখার আরো পথ খুঁজতে হবে৷ সেইসঙ্গে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে পানির ব্যবহার আদর্শ করে তুলতে হবে৷ সেই লক্ষ্যে বিশেষ সেন্সরের প্রয়োজন৷ সেই পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে সেভিয়ার উত্তরে এক ফিনকা বা খামারে মাটির আর্দ্রতা পরিমাপ করা হচ্ছে৷ সেইসঙ্গে গাছের ব্যাসও মাপা হচ্ছে৷ গাছ কুঁকড়ে গেলে বোঝা যায় পানির প্রয়োজন৷ ফিনকা ন্যাচারাল গ্রিনের সমন্বয়ক খেসুস মার্তিনেস বলেন, এই প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অন্যান্য খেতের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি দক্ষতা বাড়ানো সম্ভব হয়েছে৷ কোন গাছের কখন, কতটা পানি প্রয়োজন আমরা তা জানতে পারছি৷ জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কা সামলে কৃষিকাজ করতে হলে সেই জ্ঞান থাকা অত্যন্ত জরুরি৷ তবে স্পেনের দক্ষিণে কৃষিকাজ টিকিয়ে রাখার জন্য সেটাই যথেষ্ট হবে না৷ স্পেনের ডাব্লিউডাব্লিউএফ শাখার প্রতিনিধি ফেলিপে ফুয়েন্তেলসাস মনে করেন, আমাদের সেচ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ বন্ধ করতে হবে, আরো ভালোভাবে পানির ব্যবহার করতে হবে৷ তাছাড়া সেচ ছাড়া চাষ করা যায়, এমন গাছের চাষ বাড়াতে হবে৷ সবাই মিলে একটা সমাধানসূত্র পেতে আমাদের নানা রকম পদক্ষেপ নেবার চেষ্টা করে দেখতে হবে৷ আরো কম পানি দিয়ে সেচ ব্যবস্থাও একটা সমাধানসূত্র হতে পারে৷ মালাগা শহরে টিইউপিএল অ্যাগ্রো নামের এক স্টার্টআপ কোম্পানি সেই লক্ষ্যে এক সফটওয়্যার তৈরি করছে৷ এ ক্ষেত্রেও সেন্সরের মাধ্যমে পাওয়া তথ্য ব্যবহার করা হচ্ছে৷ তবে সেই তথ্যের বিশ্লেষণই আসল বিষয়৷ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে সেটা করা হচ্ছে৷ প্রকল্পের প্রধান আন্তোনিও মানুয়েল আদ্রিয়ান বলেন, এআই এই প্রকল্পের আত্মা৷ সেন্সর, প্রযুক্তি সে সব আগেই আছে৷ কিন্তু এআই-এর প্রয়োগ এই প্রকল্পের মাত্রা বাড়াতে আমাদের সাহায্য করবে৷ এর মাধ্যমে আমরা আরো ফল ভালো রাখতে পারবো৷ বিশেষ করে প্রত্যেক চাষিদের নির্দিষ্ট প্রয়োজন মেটাতে ভিন্নভাবে সাহায্য করতে পারবো৷ সাফল্য অবশ্য কিছুটা প্রচার বা যোগাযোগের উপরও নির্ভর করছে৷ সেটা যত সহজ হবে, ততই ভালো৷ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে চাষিরা তথ্য ও পরামর্শ পাচ্ছেন৷ প্রয়োজনে তারাও প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন৷ আদ্রিয়ানের মতে, আমাদের ধারণা, আভোকাডো, কমলালেবু, জলপাই ও আঙুরের ক্ষেত্রেও ২০ থেকে ৪০ শতাংশ পানি সাশ্রয় করা সম্ভব৷ এখন যে খরা চলছে, এআই-এর মাধ্যমেও তা এড়ানো সম্ভব নয়৷ তা সত্ত্বেও এই প্রযুক্তি কম পানি নিয়ে আরো বেশি সময় কাজে লাগাতে সাহায্য করবে৷
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:২০

ভাইরাল সেই তরুণীর কাছে সাহায্য চাইলেন ভুবন বাদ্যকর
কাঁচা বাদাম গানের গায়ক ভুবন বাদ্যকর। এই একটি গান দিয়েই মুহূর্তের মধ্যে বিশ্বজুড়ে ভাইরাল হয়েছিলেন তিনি। শুধু তিনিই নন, ভুবনের এই ‘কাঁচা বাদাম’ গানে ভিডিও, রিলস বানিয়েছেন টলিউড-বলিউডের নায়ক-নায়িকারাও। এমনকি অনেক টিকটকারও ভিডিও বানিয়ে লাখ টাকা উপার্জন করেছেন।   এদিকে কাঁচা বাদাম গেয়ে জনপ্রিয়তা পেলেও ক্যারিয়ার গড়তে পারেননি ভুবন। শুরুতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গানের জন্য ডাক পড়লেও এখন কাজ পান না তিনি। ফলে অর্থকষ্টে দিন পার করতে হচ্ছে এই গায়কের। বলা যায়, পুরোপুরি নিঃস্ব তিনি। তাই ভুবনের লেখা গানে ভাইরাল এক তরুণীর কাছে সহায়তা চাইলেন এই গায়ক। এ প্রসঙ্গে ভুবন জানান, তিনি এখন কার্যত নিঃস্ব। ব্যাংকে যা টাকা ছিল সেটা প্রায় শেষ। এখন আর কেউ তাকে সেভাবে ডাকেন না। ফলে আয়-রোজগারও নেই। এমন অবস্থায় তিনি সাহায্য চেয়েছেন অঞ্জলি আরোরার কাছে।      ভুবনের ‘কাঁচা বাদাম’ গানেই রিল বানিয়েই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান অঞ্জলি। এমনকি বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত সঞ্চালিত রিয়্যালিটি শো ‘লক আপে’—ও হাজির হয়েছিলেন এই সোশ্যাল তারকা।    জানা গেছে, ভুবনের ‘কাঁচা বাদাম’ গানে নেচে ভাইরাল কোটি টাকার বাড়ি এবং নিজের গাড়িও কিনে ফেলেছেন অঞ্জলি। ভক্তদের ভাষ্যমতে, ‘কাঁচা বাদাম’ গানে নেচেই পরিচিতি পেয়েছেন অঞ্জলি। এরপর তিনি অনেক রিল বানিয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তবে শুরুটা ভুবন বাদ্যকরের গানেই। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে ভুবন বলেন, শুনেছি অঞ্জলি নামের একজন আমার গানে রিলস বানিয়ে জনপ্রিয়তার পাশাপাশি নাকি গাড়ি-বাড়িও করেছেন। তিনি তো আমার গানে রিলস বানিয়েই জনপ্রিয় হয়েছেন। কিন্তু আমি কিছুই করতে পারলাম না। তাই ওই অভিনেত্রীর সাহায্য চাই। বাড়ি বানাতে শুরু করেছিলাম, শেষ করে উঠতে পারিনি। এখন আর বাদামও পাওয়া যাচ্ছে না যে বিক্রি করব। আমার ছেলে কাজ করে, সেটা দিয়েই কোনোরকম সংসার চালাচ্ছি। তবে অঞ্জলির কাছে কেন সাহায্য চান? এই প্রশ্নের জবাবে ভুবব বলেন, গানটা তো আমিই লিখেছিলাম। সুর দিয়েছিলাম, গেয়েছিলাম। সেই গানে রিলস বানিয়ে অনেকে লাখ লাখ টাকা কামিয়েছেন। আর আমার আজ এতো করুণ অবস্থা। তাই অঞ্জলির কাছে সাহায্য চাই। যেন উনি আমাকে সঠিক পথ দেখাতে পারেন। রিলস উনি বানিয়েছেন। কিন্তু গান তো আমারই। আমারও তো কিছু প্রাপ্য আছে।  সূত্র : আজতাক 
০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়