• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করবেন রাষ্ট্রপতি
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে জাতীয় ঈদগাহে সর্বস্তরের মুসল্লিদের সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, রাষ্ট্রপতি তার পরিবারের সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সকাল সাড়ে ৮টায় মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের প্রধান ঈদের নামাজে অংশ নেবেন। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করা সম্ভব না হলে রাষ্ট্রপতি সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। সকাল ৮টা ২০ মিনিটে জাতীয় ঈদগাহে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাবেন প্রধান বিচারপতি, ধর্মমন্ত্রী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র এবং সংশ্লিষ্ট পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। নামাজ শেষে রাষ্ট্রপ্রধান ঈদগাহে মুসল্লিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। এদিকে জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের নামাজের প্রধান জামাতে ৩৫ হাজার মুসল্লির অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। মেয়র তাপস বলেন, জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। এই জামাতে নারীদের নামাজের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। গত দুই বছরের মতো ঢাকাবাসীকে আমরা আমন্ত্রণ জানাতে চাই, পরিবার-পরিজন নিয়ে এই জামাতে অংশগ্রহণ করার জন্য এবং ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার জন্য। তিনি বলেন, এখানে ৩৫ হাজার মুসল্লির জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এজন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা আশা করছি কোনো ধরনের বৃষ্টিপাত হবে না। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আমরা সে ধরনের তথ্য পেয়েছি। কালবৈশাখী ঝড় অথবা প্রবল বৃষ্টিপাত হলেও এখানে যেন সুষ্ঠুভাবে জামাত অনুষ্ঠিত করা যায়, সেই ব্যবস্থা আমরা করেছি। পুরোটা অংশ আমরা ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। যেন পানি পড়তে না পারে এবং কোনো দুর্ভোগ না হয়।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫১

অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধীরা আমাদের পরিবার ও সমাজেরই অংশ : রাষ্ট্রপতি
অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা আমাদের পরিবার ও সমাজেরই অংশ বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিসএ্যাবিলিটি (এনডিডি) বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের যথাযথ পুনর্বাসনে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর মানসিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ জীবন গঠনের পথ আরও প্রসারিত হবে- এটাই সকলের প্রত্যাশা। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় এ বছরও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ উদযাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সাহাবুদ্দিন বলেন, এ উপলক্ষে আমি দেশের সকল অটিজম ও এনডিডি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তি, তাদের পরিবার এবং অটিজম নিয়ে কর্মরত ব্যক্তি ও সংগঠনসূহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।  দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সচেতনতা-স্বীকৃতি-মূল্যায়ন: শুধু বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’ যথাযথ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলেও জানান রাষ্ট্রপ্রধান।  তিনি বলেন, অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা আমাদের পরিবার ও সমাজেরই অংশ। সরকার প্রতিবন্ধী ও এনডিডি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অত্যন্ত আন্তরিক। অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমন্বিত উন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে সরকার ইতোমধ্যে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষা আইন, ২০১৩’, ‘নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন, ২০১৩’, ‘বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন, ২০১৮’ এবং ‘প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা, ২০১৯’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছে। প্রতিবন্ধিতার ধরণ ও মাত্রা অনুযায়ী চিকিৎসা ও থেরাপি সেবা প্রদানের পাশাপাশি পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। অটিস্টিক ব্যক্তিদের কাউন্সেলিং ও থেরাপি সেবা প্রদানের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় ইতোমধ্যে অটিজম রিসোর্স সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে উল্লেখ করে সাহাবুদ্দিন বলেন, এছাড়া অটিজম ও এনডিডি সেবা কেন্দ্র চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এবং অন্যান্য এনডিডি শিশু ও ব্যক্তিগণের জীবনমান উন্নত করতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।   তিনি বলেন, অটিজম ও এনডিডি শিশু ও ব্যক্তিদের জীবনব্যাপী সেবা ও ভালোবাসার প্রয়োজন হয়। তাই অটিজমসহ অন্যান্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে কাউন্সেলিং ও রেফারেল সেবা এবং সহায়ক উপকরণ ও সহায়ক প্রযুক্তি প্রদান করে আন্তর্জাতিক মানের সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্রপতি ১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করেন। সূত্র : বাসস  
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১১

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়মিত নজরদারির আহ্বান রাষ্ট্রপতির
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাতকরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত নজরদারি এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শুক্রবার (০২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান তিনি। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২৪’ উদযাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য-‘স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও সমৃদ্ধি চাই; নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নেই’ যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে। কারণ, জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবারের আসলেই কোনো বিকল্প নেই। নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়; তেমনি অনিরাপদ খাবার গ্রহণের কারণে দেহে নানাবিধ মরণব্যাধি বাসা বাঁধে। মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, জনস্বাস্থ্য ও খাদ্যের পুষ্টিমানের গুরুত্ব অনুধাবন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সংবিধানে জনগণের পুষ্টির স্তর উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতি সাধনকে রাষ্ট্রের অন্যতম প্রাথমিক কর্তব্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও নিরাপদ খাদ্যের জন্য প্রয়োজন খাদ্য উৎপাদনে নিরাপদ প্রযুক্তি ও নিরাপদ খাদ্য উপকরণ ব্যবহার নিশ্চিত করা। এজন্য সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সমন্বয়ে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম আরও বেগবান করা জরুরি। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এ বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার একটি অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে সকলের জন্য পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ। সে অনুযায়ী সরকার জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে নিরাপদ খাদ্যের প্রাপ্তি, চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নসহ ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এসব কর্মসূচির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন জনস্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জনে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। মেধা ও মননে একটি উৎকর্ষ ও কর্মক্ষম জাতি গঠনে সকলের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করাই হবে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসে আমাদের সবার অঙ্গীকার। পরিশেষে ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন রাষ্ট্রপতি।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২৮

নতুন সংসদ শুরু মঙ্গলবার, ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী এমপিদের নিয়ে প্রথম সংসদ অধিবেশন বসতে যাচ্ছে আগামীকাল মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি)। প্রথম অধিবেশনের আগে রেওয়াজ অনুযায়ী ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সংসদ সচিবালয় জানায়, সোমবার (২৯ জানুয়ারি) একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে অধিবেশনের মাধ্যমে দ্বাদশ সংসদের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ২২৩টি আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। অন্যদিকে, মাত্র ১১টি আসন নিয়ে সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে জাতীয় পার্টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ৬২ জন আওয়ামী লীগের পাশেই থাকবে বলে জানা গেছে।  মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে এই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের উপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে। ইতোমধ্যে অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। অধিবেশনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল এবং মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। আসন সংখ্যা কম হলেও সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। দলটির সঙ্গে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা। উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৯৯টি আসনের ফলাফলে ২২৩টিতে জয় পায় আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও কল্যাণ পার্টি একটি করে আসন পেয়েছে। আর ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরপর ৯ জানুয়ারি নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরদিন ১০ জানুয়ারি শপথ নেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। একদিন পর ১১ জানুয়ারি শপথ নেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। এর মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। আর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পঞ্চম মেয়াদে সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নেন।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:০৭

বঙ্গভবনে ফিরলেন রাষ্ট্রপতি
চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে নিজ জেলা পাবনা থেকে বঙ্গভবনে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।‌  শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে তিনি বঙ্গভবনে ফেরেন বলে জানা গেছে। এর আগে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনার সার্কিট হাউসে গার্ড অব অনার গ্রহণ শেষে হেলিকপ্টারে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন তিনি। এসময় পাবনার জেলা প্রশাসক মুহা. আসাদুজ্জামান এবং পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সি রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানান। পাবনার জেলা প্রশাসক মুহা. আসাদুজ্জামান বলেন, চার দিনের সফর শেষ করে রাষ্ট্রপতি ঢাকায় চলে গেছেন। তার পাবনা সফর ফলপ্রসূ হয়েছে। সব পোগ্রাম শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে, গত মঙ্গলবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে পাবনার ঈশ্বরদী বিমানবন্দর পৌঁছান রাষ্ট্রপতি। সেখান থেকে সড়কপথে পাবনা সার্কিট হাউসে উপস্থিত হয়ে বিকেল ৩ টায় রাষ্ট্রপতি গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন। ওই দিনই সন্ধ্যায় পাবনা সার্কিট হাউস থেকে রাষ্ট্রপতি পাবনা ডায়াবেটিকস সমিতিতে যান। পরে প্যারাডাইস সুইটস ঘুরে রাতে যান স্মৃতিবিজড়িত প্রিয় সংগঠন পাবনা প্রেস ক্লাবে। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি গাড়িতে করে ফেরেন সার্কিট হাউসে।  পর দিন বুধবার সকাল ১১টার দিকে পাবনা সদরে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর দুপুরে শহরের দিলালপুরে শ্বশুর বাড়িতে আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খান তিনি। রাতে শহরে বন্ধু ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি। এ সময় তিনি পাবনায় শেখ কামাল হাইটেক পার্ক নির্মাণের কথা জানান। পর দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে রূপকথা ইকো রিসোর্টে পিঠা উৎসবে যোগ দেন রাষ্ট্রপতি।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৮

হেঁটে হেঁটে নিজ শহরের স্মৃতিবিজড়িত স্থান দেখলেন রাষ্ট্রপতি
হেঁটে হেঁটে নিজ শহরের স্মৃতিবিজড়িত স্থান দেখলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর হেঁটে হেঁটে শহরের স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন স্থানে ঘোরেন তিনি। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পাবনা সার্কিট হাউস থেকে রাষ্ট্রপতি তার অন্যতম আড্ডাস্থল পাবনা ডায়াবেটিকস সমিতিতে প্রবেশ করেন। সেখানে কয়েক মিনিট অতিবাহিত করার পর হেঁটে আসেন আরেক আড্ডাস্থল লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভান্ডারে। সেখান থেকে প্যারাডাইস সুইটস ঘুরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রবেশ করেন স্মৃতিবিজড়িত প্রিয় সংগঠন পাবনা প্রেসক্লাবে। বেশ কয়েক মিনিট সময় অতিবাহিত করে রাষ্ট্রপতির নির্ধারিত গাড়িতে করে ফেরেন সার্কিট হাউসে। এ সময় স্থানীয় বন্ধুবান্ধব ও নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে ছিলেন। এর আগে বিকেল ৩টার দিকে চার দিনের সফরে পাবনায় এসে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি। চার দিনের সফরে সোমবার আসার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে সফর বাতিল করা হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সফরের দ্বিতীয় দিন‌ মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর‌ ২টা ১০ মিনিটে রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী হেলিকপ্টার পাবনার ঈশ্বরদীর বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবির কুমার দাস। এরপর তাকে‌ বহনকারী গাড়িবহর সড়ক পথে পাবনা সার্কিট হাউসের উদ্দেশ্য রওনা দেয়। গাড়ি বহরটি বিকেলে ৩টায় সার্কিট হাউসে প্রবেশ করে। সেখানে রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। গার্ড অব অনার শেষে বিশ্রাম নেন তিনি। এরপর সন্ধ্যার দিকে প্রিয় স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলোতে ঘুরতে বের হন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:০৪

মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের অনুমোদন দিয়ে ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রীকে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের ২ দফা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) নিম্নলিখিত ব্যক্তিবর্গকে বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী পদে নিয়োগদান করেছেন।  মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া পূর্ণমন্ত্রীর তালিকায় রয়েছেন- আ. ক. ম মোজাম্মেল হক, ওবায়দুল কাদের, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, আসাদুজ্জামান খান, ডা. দীপু মনি, মো. তাজুল ইসলাম, মুহাম্মদ ফারুখ খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদ, আবদুস শহীদ, সাধন চন্দ্র মজুমদার, র আ ম ওবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী, আব্দুর রহমান, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, আবদুস সালাম, মহিবুল হাসান চৌধুরী, ফরহাদ হোসেন, ফরিদুল হক খান, জিল্লুল হাকিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, নাজমুল হাসান পাপন, ইয়াফেস ওসমান, ড. সামন্ত লাল সেন। প্রতিমন্ত্রীর তালিকায় রয়েছেন- বেগম সিমিন হোসেন রিমি, নসরুল হামিদ, জুনাইদ আহমেদ পলক, মো. আলী আরাফাত, মহিবুর রহমান, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাহিদ ফারুক, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, রুমানা আলী, শফিকুর রহমান চৌধুরী ও আহসানুল ইসলাম। গত ৭ জানুয়ারি ২৯৯ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগ ২২২টি, জাতীয় পার্টি ১১টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬১টি এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) একটি করে আসন পেয়েছে। একটি আসনে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি। এদিকে নতুন মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। বিদায়ী মন্ত্রিসভার ৩০ জন স্থান পাননি নতুন মন্ত্রিসভায়। আর প্রথমবারের মতো যুক্ত হচ্ছেন ১৪ জন। প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য ৩৭ জন।
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৩

নতুন মন্ত্রীদের আপ্যায়নে যা থাকছে
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে বঙ্গভবনে প্রায় এক হাজারেরও বেশি অতিথিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আপ্যায়নের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে। আর নতুন মন্ত্রীদের আপ্যায়নে সেখানে নানান খাবারের আয়োজন রাখা হয়েছে। খাবারের তালিকায় বরাবরের মতো এবারও আনা হয়েছে বৈচিত্র্য। নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বঙ্গভবনের দরবার হলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন নতুন মন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন। আরও পড়ুন : বিসিবি সভাপতি হতে পারবেন না সাকিব-মাশরাফী   খাবারের তালিকার বিষয়ে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, মাংস ও সবজিজাতীয় খাবারে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ফলেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাবার হিসেবে দেওয়া হবে মাটন শিক কাবাব, চিকেন শাশলিক, ভেটকি মাছের ফিশ ফিঙ্গার। এ ছাড়া বয়েল্ড ভেজিটেবলসের সঙ্গে দেওয়া হবে মাশরুম, পনির সমুচা ও স্পাই। তিনি বলেন, মিষ্টিমুখ করানোরও আয়োজন রয়েছে। পরিবেশন করা হবে পাটিসাপটা পিঠার পাশাপাশি মিষ্টি-বাকলাভা। এ ছাড়া কমলা, আপেল, আঙুর দিয়ে সাজানো ফলের ঝুড়িও থাকবে আপ্যায়নে। বঙ্গভবনের সবুজ লনে সাজানো শামিয়ানার নিচে চা আর কফিতে শেষ সময়ের আড্ডা জমবে। আরও পড়ুন : মন্ত্রীরা কে কোন মন্ত্রণালয় পাচ্ছেন?   গত ৭ জানুয়ারি ২৯৯ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগ ২২২টি, জাতীয় পার্টি ১১টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬১টি এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) একটি করে আসন পেয়েছে। একটি আসনে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি। এদিকে নতুন মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। বিদায়ী মন্ত্রিসভার ৩০ জন স্থান পাননি নতুন মন্ত্রিসভায়। আর প্রথমবারের মতো যুক্ত হচ্ছেন ১৪ জন। প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য ৩৭ জন।
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়