• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
ইহকাল ও পরকালের সার্বিক কল্যাণের জন্য যে দোয়া পড়বেন
দোয়া ছাড়া ইবাদত অসম্পূর্ণ থাকে। যে কোনো সময় যে কোনো দোয়া পড়া যায়। আল্লাহর সাহায্য পেতে হলে তার কাছে ক্ষমা চাওয়া, ধরনা দেয়া কিংবা দোয়া করার বিকল্প নেই। এ সাহায্য পাওয়ার সর্বোত্তম উপায় ও পদ্ধতি হচ্ছে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণে দোয়া করা। রসুল (সা.) বলেছেন: দোয়া ইবাদতের সারাংশ; আর আল্লাহ তার প্রেরিত ধর্মগ্রন্থ কোরআন-এ বলেছেন: তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। যারা আমার এবাদতে অহংকার করে তারা সত্বরই জাহান্নামে দাখিল হবে, এবং লাঞ্ছিত হবে। – সূরা আল-মু'মিন, আয়াত ৬০[২] মুসলমানরা মনের সকল চাওয়া তাদের প্রভুর নিকট তুলে ধরে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়ে থাকে। যদি সে তাড়াহুড়া না করে আর বলে যে, আমি দোয়া করলাম, কিন্তু আমার দোয়া তো কবুল হলো না। (বাখারি, হাদিস : ৬৩৪০) হাদিসে এসেছে-হজরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, কোনো ব্যক্তি (আল্লাহর কাছে) কোনো কিছু প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাআলা তাকে তা দান করেন। অথবা তদানুযায়ী তার থেকে কোনো অমঙ্গল প্রতিহত করেন। যতক্ষণ না সে কোনো পাপাচারে লিপ্ত হয় বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য দোয়া করে।’ (তিরমিজি) রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যদি কেউ চায় যে বিপদের সময় তার দোয়া কবুল হোক, তাহলে সে যেন সুখের দিনগুলোতে বেশি বেশি দোয়া করে’ (তিরমিজি, হাদিস নম্বর ৩৩৮২) মুহাম্মদ ইবন হুমায়দ রাযী ও সাঈদ ইবন ইয়াকুব (রহঃ) ...... সালমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: দোয়া ছাড়া আর কিছুই তকদীর রদ করতে পারে না আর নেক আমল ছাড়া আর কিছুই বয়সে বৃদ্ধি ঘটায় না। (হাসান, সহিহাহ ১৫৪, তিরমিজী হাদিস নম্বর: ২১৩৯) জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রসুল সা. আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন। এমনকি ছোট থেকে ছোট বিষয়েরও দোয়া শিখিয়েছেন। আউজু বিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম।  [অর্থ: বিতাড়িত শয়তানের হাত থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।]  বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।  [অর্থ: পরম করুনাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি।]  সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আযীম;  [অর্থ: আল্লাহ্‌র প্রশংসাসহকারে তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করছি। মহান আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি।]  রাব্বানা আ’তিনা ফিদ্দুনিয়া হাছানাতাঁও ওয়াফিল আখিরাতি হাছানাতাঁও ওয়াক্বিনা আজাবান্নার।  [অর্থ: হে আল্লাহ্ তুমি আমাকে ইহকালীন যাবতীয় সুখ-শান্তি ও পরকালীন যাবতীয় সুখ-শান্তি প্রদান কর। আর দোজখের আগুন থেকে আমাকে রক্ষা কর।]  মাতা-পিতার জন্য সন্তানের দোয়াঃ রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বাঈয়ানী সাগিরা। (সূরা বণী ইসরাইল, আয়াতঃ ২৩-২৫)।  [অর্থ: হে আল্লাহ্ আমার মাতা-পিতার প্রতি আপনি সেই ভাবে সদয় হউন, তাঁরা শৈশবে আমাকে যেমন স্নেহ-মমতা দিয়ে লালন-পালন করেছেন।]  ঈমানের সাথে মৃত্যু বরণ করার দোয়াঃ রাব্বানা লা’তুযিগ কুলুবানা বা’দা ইয হাদাইতানা ওয়া হাবলানা মিল্লাদুনকা রাহমাতান, ইন্নাকা আনতাল ওয়াহাব। (সুরা আল ইমরান, আয়াত: ০৮)।  [অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা, সরলপথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে বক্র করে দিওনা এবং তুমি আমাদের প্রতি করুনা কর, তুমিই মহান দাতা।]  ভুল করে ফেললে ক্ষমা চাওয়ার দোয়াঃ রাব্বাবা যালামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফির্লানা ওয়াতার হামনা লানা কুনান্না মিনাল খা’সিরিন।  [অর্থ: হে আল্লাহ্, আমি আমার নিজের উপর জুলুম করে ফেলেছি। এখন তুমি যদি ক্ষমা ও রহম না কর, তাহলে আমি ধ্বংস হয়ে যাব।]  গুনাহ্ মাফের দোয়া: রাব্বানা ফাগফিরলানা যুনুবানা ওয়া কাফফির আন্না সাইয়্যিআতিনা ওয়া তাওয়াফ্ফানা মায়াল আবরার। (সূরা আল ইমরান, আয়াত: ১৯৩)।  [অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের গুনাহসমূহ মাফ করে দাও, আমাদের থেকে সকল মন্দ দূর করে দাও এবং আমাদের নেক লোকদের সাহচার্য দান কর।]  স্বামী-স্ত্রী-সন্তানদের জন্য দোয়া: রাব্বানা হাবলানা মিন আযওয়াজিনা ওয়া যুররিইয়াতিনা কুররাতা আইইনিও ওয়াজ আলনা লিল মুত্তাক্বিনা ইমামা। (আল ফুরকান, আ৭৪)।  [অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদিগকে আমাদের স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিগণ হতে নয়নের তৃপ্তি দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানাও।]  ঈমান ঠিক রাখার আমল: ইয়া মুক্বাল্লিবাল কুলুবি ছাব্বিত ক্বালবি আলা দ্বীনিকা।  [অর্থঃ হে মনের গতি পরিবর্তনকারী, আমার মনকে সত্য দ্বীনের উপর স্থিত কর।]  সন্তানদের প্রতি মাতা-পিতার দোয়া ও মাতা-পিতার জন্য সন্তানদের দোয়া: রাব্বিজ আলনী মুতিমাছ ছালাতি ওয়ামিন জুররি ইয়াতি, রাব্বানা ওয়াতাকাব্বাল দুয়া, রাব্বানাগ ফিরলি ওয়ালি ওয়ালি দাইয়া ওয়ালিল মু’মিনিনা ইয়াওয়া ইয়াকুমুল হিসাব। (সূরা ইব্রাহিম, আয়াতঃ ৪০-৪১)। [অর্থ: হে আমার পালনকর্তা, আমাকে নামাজ কায়েমকারী বানাও আর আমার সন্তানদের মধ্য থেকেও। হে আল্লাহ্ আমার দোয়া কবুল করে নাও। হে আল্লাহ্ আমাকে ও আমার মাতা- পিতাকে আর সকল ঈমানদার লোকদের সেদিন ক্ষমা করে দিও, যেদিন হিসাব কার্যকর হবে।]  নেক সন্তানদের জন্য দোয়া: রাব্বি হাবলি মিনাস সালেহীন। [অর্থ: হে আমার পালনকর্তা, আমাকে নেককার সৎ-কর্মশীল সন্তান দান কর।]  অবাধ্য সন্তান বাধ্য করার দোয়া: ওয়াছলিহলি ফী যুররিইয়াতি, ইন্নি তুবতু ইলাইকা, ওয়া ইন্নি মিনাল মুসলিমীন। (সূরা আহকাফ, আয়াত: ১৫)। [অর্থ: আমার জন্য আমার সন্তানদের মধ্যে প্রীতি দান কর, অবশ্যই আমি তোমারই দিকে ফিরিতেছি এবং অবশ্যই আমি মুসলমানদের অন্তর্ভূক্ত।]  সকল মুসলমানদের জন্য দোয়া: আল্লাহুম্মাগ ফিরলী ওয়ালিল মু’মিনিনা ওয়াল মু’মিনাতি, ওয়াল মুসলিমিনা ওয়াল মুসলিমাতি। [অর্থ: হে আল্লাহ্ তুমি আমার ও সমস্ত মু’মিন নর-নারীর এবং সমস্ত মুসলমান পুরুষ ও স্ত্রীলোকের পাপ সমূহ মোচন করে দাও।]  কাফেরদের বিরুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার দোয়া: রাব্বানাগ ফিরলানা যুনুবানা ওয়া ইসরাফানা ফী আমরিনা ওয়া ছাব্বিত আক্কদামানা ওয়ানছুরনা আলাল কাওমিল ক্বাফিরীন।(সূরা আল ইমরান, আয়াত: ১৪৭) [অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের গুনাহ এবং কোন কাজের সীমা লঙ্ঘনকে তুমি ক্ষমা কর, আমাদের ঈমান দৃঢ় রাখ এবং কাফেরদের বিরুদ্ধে আমাদের বিজয়ী কর।]  ক্ষমা ও রহমতের দোয়া: রাব্বিগ ফির ওয়ারহাম ওয়া আনতা খাইরুর রাহিমীন।  [অর্থ: হে আল্লাহ্, আমাকে ক্ষমা করে দাও, আর আমার প্রতি রহম কর, তুমিই তো উত্তম দয়ালু।]
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২৮

‘বিশ্ব ইজতেমার নিরাপত্তায় সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন’
আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে এবং নিরাপদে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে আগামী ২-৪ ফেব্রুয়ারি ও ৯-১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ দুই পর্বে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্বকালে এ কথা জানান তিনি। আইজিপি বলেন, আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে নিরাপদে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এ সময় দুই পর্বে অনুষ্ঠেয় ইজতেমা সফলভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে উভয়পক্ষের আয়োজকদের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে সমন্বয়ের মাধ্যমে ইজতেমা আয়োজনের আহ্বান জানান তিনি। সভায় উপস্থিত তাবলীগের উভয়পক্ষের মুরুব্বিরা ইজতেমাকে কেন্দ্র করে গৃহীত সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। সভায় অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশনস) নাসিয়ান ওয়াজেদ ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এ সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা ট্রাফিক বিভাগ এবং গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) ইজতেমার নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। ইজতেমাস্থলের নিরাপত্তায় পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড, নৌ টহল, বিস্ফোরকদ্রব্য বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টিম দায়িত্ব পালন করবে। ইজতেমাস্থলের নিরাপত্তায় আকাশে র্যাবের হেলিকপ্টার টহল থাকবে।
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:২০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়