• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
সার্জারি সম্পন্ন, রেডিওথেরাপি দেওয়া হবে সাবিনা ইয়াসমিনকে
সময়টা ২০০৭ সাল, দুরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন বাংলা গানের পাখি সাবিনা ইয়াসমিন। সকলের সহযোগিতায় ক্যানসার জয় করে গানে নিয়মিত হয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি হঠাৎ করেই আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন সাবিনা ইয়াসমিন। চিকিৎসা নিচ্ছেন সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালের ন্যাশনাল ক্যানসার সেন্টারে। অনেক দিন ধরেই শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন ৬৯ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি গায়িকা। শিল্পীর ঘনিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গুরুতর অসুস্থ সাবিনা ইয়াসমিন। নতুন করে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। উন্নত চিকিৎসা চলছে সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালের ন্যাশনাল ক্যানসার সেন্টারে। এরই মধ্যে একটি সার্জারি সম্পন্ন হয়েছে। খুব দ্রুতই দেওয়া হবে রেডিওথেরাপিও। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে গানের ভুবনে বিচরণ করছেন সাবিনা ইয়াসমিন। বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র রুনা লায়লা ছাড়া তার সমকক্ষ হয়ে আর কেউ এত লম্বা সময় ধরে আধিপত্য বজায় রাখতে পারেননি। মরমী শিল্পী আব্দুল আলীম থেকে শুরু করে একালের উঠতি গায়কদের সঙ্গেও তিনি একের পর এক গান গেয়েছেন। সুযোগ পেয়েছেন উপমহাদেশের বরেণ্য সুরকার আর ডি বর্মণের সুরে গান গাওয়ার। উপমহাদেশের বিখ্যাত দুই কণ্ঠশিল্পী কিশোর কুমার ও মান্না দে’র সঙ্গেও গান গেয়েছেন সাবিনা ইয়াসমীন। খ্যাতিমান এই গায়িকা তার মায়াবী কণ্ঠ দিয়ে বাংলা সংগীতকে যেমন সমৃদ্ধ করেছেন, পুরস্কারও পেয়েছেন দুহাত ভরে। সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেয় একুশে পদক। ১৯৯৬ সালে পান স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার। সেরা কণ্ঠশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছেন রেকর্ড ১৪ বার। বাচসাস পুরস্কার পেয়েছেন ছয়টি। জহির রায়হান চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন দুবার। ১৯৮৪ সালে বিশ্ব উন্নয়ন সংসদ থেকে সংগীতের ওপর লাভ করেন ডক্টরেট ডিগ্রি। এ ছাড়া ১৯৯০ সালে শেরে বাংলা স্মৃতি পদক, ১৯৯১ সালে বিএফজেএ পুরস্কার ও উত্তম কুমার পুরস্কার, ১৯৯২ সালে অ্যাস্ট্রোলজি পুরস্কার এবং একই বছর নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে পান ‘বেস্ট সিঙ্গার’ পুরস্কার। ২০১৭ সালে দশম স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-দ্য ডেইলি স্টার জীবনের জয়গান উৎসব থেকে পান আজীবন সম্মাননা। সাবিনা ইয়াসমিন শেষ প্লেব্যাক করেছেন প্রয়াত চিত্রনায়িকা ও নির্মাতা কবরী পরিচালিত ‘এই তুমি সেই তুমি’ ছবির ‘দুটি চোখে ছিল কিছু নীরব কথা’ শিরোনামের একটি গানে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে গানটিতে কণ্ঠ দেন তিনি। এ ছাড়া কবরীর ‘এই তুমি সেই তুমি’ ছবির চারটি গানে সুরও দেন সাবিনা ইয়াসমীন। এর মাধ্যমে ক্যারিয়ারে প্রথমবার তিনি সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১০

ঠোঁট সার্জারি নিয়ে মুখ খুললেন আয়েশা টাকিয়া (ভিডিও)
দীর্ঘদিন ধরেই পর্দার বাইরে রয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী আয়েশা টাকিয়া। বেশ কয়েকটি সিনেমায় কাজ করে দর্শকদের নজর কেড়েছেন তিনি। মাঝে ঠোঁট সার্জারি করে তোপের মুখে পড়েন এই অভিনেত্রী। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।   শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দীর্ঘদিন পর মুম্বাইয়ের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় ধরা পড়লেন আয়েশা। এসময় অভিনেত্রীর সঙ্গে ছিল তার ছেলে এবং এক বন্ধু।  এদিন আয়েশা পড়েছিলেন গাঢ় নীল স্যুট। অভিনেত্রীর ছেলে মিকাইলের পরনে ছিল  সবুজ শার্ট, কালো প্যান্ট। বেশ হাস্যোজ্জ্বলভাবেই ক্যামেরায় ধরা দিয়েছেন তারা। সর্বশেষ ২০১১ সালে ‘মোড’ সিনেমায় দেখা গেছে আয়েশাকে। এরপরেই মূলত চলচ্চিত্র থেকে বিরতি নেন তিনি। তবে কিছু বছর আগে আয়েশার বদলে যাওয়া চেহারা নিয়ে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। রীতিমতো ট্রলের মুখে পড়েছিলেন এই অভিনেত্রী।   অস্বাভাবিক ফোলা ঠোঁট দেখে অনেকেরই ধারণা করেন— আয়েশা হয়তো ঠোঁটে ফিলার করিয়েছেন। যদিও সব অস্বীকার করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, সার্জারি করিয়েছি এটা একেবারেই ফালতু কথা। ছবিগুলি বিকৃত করা হয়েছিল।    তিনি আরও বলেছিলেন, আমি গোয়ায় ছুটি কাটাচ্ছিলাম যখন এই ছবিগুলি ভাইরাল হয়েছিল এবং এটি খুব হাস্যকর। কারণ যারা আমাকে ব্যক্তিগতভাবে দেখেছেন তারা জানবেন যে মোটেও ঘটনা তেমন নয়। কিন্তু সেলিব্রিটিদের এই সমস্ত কিছুর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।  প্রসঙ্গত, মডেলিং দিয়ে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন আয়েশা। পরে ফাল্গুনী পাঠকের ‘মেরি চুনার উড় উড় যায়ে’ গানের মাধ্যমে প্রথম জনপ্রিয়তা পান এই অভিনেত্রী। ‘টারজান: দ্য ওয়ান্ডার কার’ দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। পরে ‘ওয়ান্টেড’, ‘সালাম-এ-ইশক’ ‘দিল মাঙ্গে মোরে’, ‘নো স্মোকিং’, ‘পাঠশালা’র মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।     
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২০

যে অস্ত্রোপচারে বিফল ভারত, তাই করে দেখিয়েছে বাংলাদেশ 
ভুটানের তরুণী কারমা দেমা (২৩)। ক্যানসারে নাকে পচন ধরেছিল তার। ভারতের বিখ্যাত টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে দুবার অস্ত্রোপচার করেও সুফল পাননি। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ নাক ফিরে পেলেন বাংলাদেশে এসে। সম্প্রতি তার নাক রিকনস্ট্রাকশন সার্জারি সফল হয়েছে। এর পুরো কৃতিত্ব শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের। বর্তমানে ভালো আছেন কারমা। শিগগিরিই ফিরে যাবেন নিজ দেশে। জানা গেছে, কয়েক বছর আগে নাকের গহ্বরে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন কারমা। ভারতের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসায় ক্যানসারমুক্ত হলেও রেডিওথেরাপিজনিত জটিলতায় নাক নষ্ট হয়ে যায় তার। পরে সেখানে দুই দফা অপারেশন করেও নাক পুনর্গঠনে ব্যর্থ হন চিকিৎসকেরা। পরবর্তীতে কারমা বাংলাদেশে এসে চিকিৎসা করানোর সিদ্ধান্ত নেন। এতে করে মেডিকেল ভিসায় বাংলাদেশে চিকিৎসা নিতে আসা প্রথম বিদেশি রোগীর তালিকায় নাম লেখান তিনি। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কারমার নাকের গঠন এখন অনেকটা ভালো হয়েছে। তিন থেকে ৬ মাস পর তার আরেকটি ছোট সার্জারি করা হবে। কামরা দেমার বড় ভাই কারমা ফুঁনথো গণমাধ্যমকে বলেন, আমার বোন এখন অনেক ভালো। দ্বিতীয় ধাপের একটি ছোট অপারেশন বাকি আছে। ভুটান ও বাংলাদেশ সরকারের কোলাবরেশনে চিকিৎসা হচ্ছে। আমাদের কোনো খরচ দিতে হচ্ছে না। বাংলাদেশের চিকিৎসা ও সার্ভিসে আমরা খুব খুশি। এর আগে ২০২০ সাল থেকে ভারতে দেড় বছরের মত চিকিৎসা হয়েছিলো তার। গত ৯ জানুয়ারি শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে সার্জনদের তিনটি টিম যৌথভাবে প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে নাক রিকনস্ট্রাকশন সার্জারি করে কারমা দেমার। পুরো সার্জারির তত্ত্বাবধানে ছিলেন বার্ন ইনস্টিটিউটের তৎকালীন প্রধান সমন্বয়ক ও বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। কারমা দেমা বর্তমানে বার্ন ইনস্টিটিউটের ১৩-তলায় অবস্থিত একটি কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে এসে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। তিনটি অপারেশন টিমের একটির প্রধান শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারির সহযোগী অধ্যাপক ডা হাসিব রহমান বলেন, আমরা কারমার নাকের এখন একটা স্ট্রাকচার দাঁড় করিয়েছি। তার নাকে আমরা সফট টিস্যু লাগিয়েছি। এরপর আরেকটা অপারেশন লাগবে। তবে সেটি আগের মত তেমন বড় সার্জারি না। কারমা দেমার বুকের পাঁজরের তরুণাস্থি ও হাতের চামড়ার টিস্যু দিয়ে ফ্রি ফ্ল্যাট করে মাইক্রোসার্জারির মাধ্যমে অপারেশন সম্পন্ন করা হয়। এটি একটি জটিল অপারেশন।  তিনি আরও বলেন, ভারতে কারমার দুইটা অপারেশন করা হয়েছিলো। তবে যেকোন কারণে সেগুলো সফল হয়নি। যেভাবে বাংলাদেশে কারমা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ভুটান সরকার যৌথভাবে গত বছরের সেপ্টেম্বরে থিম্পুতে বাংলাদেশি চিকিৎসকদের মাধ্যমে একটি প্লাস্টিক সার্জারি ক্যাম্পের আয়োজন করেছিল। সেখানে ডা. সামন্ত লাল সেন ১৪ সদস্যের এই চিকিৎসক দলের নেতৃত্বে ছিলেন। তিনি বার্ন ইনস্টিটিউটগুলোর জাতীয় সমন্বয়কের দায়িত্বও পালন করছিলেন। সাত দিনব্যাপী এই ক্যাম্পে ১৬টি জটিল অস্ত্রোপচার হয়েছিল। ওই ক্যাম্পে নাকের চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন কারমা।  ডা. হাসিব রহমান বলেন, ভুটানে নেই প্লাস্টিক সার্জারি ডিপার্টমেন্ট। তাই সেখানে কারমার সার্জারির ব্যবস্থা ছিল না। পরে চিকিৎসার জন্য আমরা তাকে বাংলাদেশে আসতে বলি। এরপরে দুই দেশের সরকারের সহযোগিতায় কারমা দেমা ও তার এক ভাই গত ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশে চিকিৎসার জন্য আসেন।  
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়