• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
'চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রতি বছর দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে ৫০০ কোটি ডলার'
চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে প্রতি বছর দেশ থেকে ৫০০ কোটি ডলার বিদেশে চলে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ‘পিএইচএ গ্লোবাল সামিট-২০২৪’ এর আহবায়ক ও পিএইচএ ট্রাস্টি ডা. বাশার এম আতিকুজ্জামান। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ‘পিএইচএ গ্লোবাল সামিট-২০২৪’ এর মূল পর্বের সমাপনী দিনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।  প্রসঙ্গত, এই প্রথমবারের দেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে পিএইচএ গ্লোবাল সামিট ২০২৪। এ ধরনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুধু বাংলাদেশে নয়; দক্ষিণ এশিয়াতেই এই প্রথম। দুই হাজারের বেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, গবেষক, শিক্ষাবিদ ও মেডিক্যাল শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন ৯ দিনের এই সম্মেলনে। সংবাদ সম্মেলনে ডা. বাশার এম আতিকুজ্জামান বলেছেন, ‘চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে বছরে ৫০০ কোটি ডলারের মতো দেশের বাইরে চলে যায়। আমাদের অন্যতম দায়িত্ব হলো টেকনোলজির উন্নয়ন, ডাক্তারদের প্রশিক্ষণ ও নতুন সার্ভিস লাইন শুরুর মাধ্যমে এই অপচয়টা রোধ করা। স্বাস্থ্য সেবার যে বিষয়গুলো দেশে হচ্ছে না, যেসব কারণে রোগীদের দেশের বাইরে যেতে হচ্ছে, সেগুলো যাতে দেশে করা যায় আমরা সেই দিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা চাচ্ছি নির্দিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তৈরি করতে, যাতে তারা দেশের মানুষের জন্য কাজে আসতে পারেন।’  তিনি বলেন, আমাদের (পিএইচএ) কাজ হলো নলেজ এবং টেকনোলজি ট্রান্সফার করা, একজন আরেকজনের কাছ থেকে শেখা, এবং বিশ্বায়নের যুগে একজন আরেকজনকে সাহায্য করা।  সামিটের প্রাপ্তি সম্পর্কে আহ্বায়ক বলেন, আমি মনে করি, আমাদের যে লক্ষ্য, তার চেয়ে বেশি মাত্রায় এই সামিট সফল হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ছিলো এক হাজার ডাক্তারকে যুক্ত করা। সেখানে দুই হাজার ডাক্তার যুক্ত হয়েছেন। আমরা একটা কালচারাল চেঞ্জ আনতে চাচ্ছি। আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু আমাদের স্বপ্ন অনেক বড়। সেই স্বপ্নের জন্য কাজ করতে চাই। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন প্ল্যানেটারি হেলথ একাডেমিয়া (পিএইচএ) এর চেয়ারপারসন ও ট্রাস্টি ডা. তাসবিরুল ইসলাম, পিএইচএ ট্রাস্টি ডা. নাসের খান, ডা. মো. জাকের উল্লাহ, ডা. চৌধুরী এইচ আহসান, ডা. শাকিল ফরিদ, ওমর শরীফ প্রমুখ। প্ল্যানেটারি হেলথ একাডেমিয়া (পিএইচএ) এর চেয়ারপারসন ও ট্রাস্টি ডা. তাসবিরুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের সম্মেলন বাংলাদেশ কেন, দক্ষিণ এশিয়াতেও হয়নি। আমাদের এই কনফারেন্সের আগে ঢাকার বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে ১৬টা কোর্স করিয়েছি। আমার ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে ২৩ ফেব্রুয়ারি পযর্ন্ত এসব কোর্স করিয়েছি। ২৬ এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি আবার সামিট পরবর্তী দুই দিনের কোর্স করানো হবে। তিনি বলেন, ভারত, মালয়েশিয়া ও শ্রীলঙ্কা থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এখানে কোর্স করতে এসেছেন। এই তিন দেশে কোর্সটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন করেও যারা আসতে পারেননি না তারা ভার্চুয়ালি কোর্সটি করেছেন। এই কোর্সটি বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় এচিভমেন্ট। যারা এসেছিলেন তারা বাংলাদেশে আতিথেয়তায় মুগ্ধ। আমরা প্রতিবছরই এরকম কনফারেন্সের আয়োজন করব। এছাড়া মাঝে মাঝে ঢাকার বাইরে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ করাব। নভেম্বরে আমরা চট্টগ্রামে একদিনের প্রশিক্ষণ আয়োজন করব। খুলনাতে এবং বরিশালেও আমাদের প্রশিক্ষণ আয়োজন করার পরিকল্পনা আছে। আমরা চাচ্ছি বিকেন্দ্রীকরণ করতে।  পিএইচএ ট্রাস্টি ডা. নাসের খান বলেন, ‘আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই। আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশের অনেক নামকরা প্রফেসর যুক্ত আছেন। তাদের পরামর্শ নিয়েই আমরা প্রতিটা পদক্ষেপ নিই। হেলথ কেয়ারে যারা যুক্ত আছেন নার্স-টেকনিশিয়ান বা যেকোনো পর্যায়ের কর্মকর্তারা, তাদের ট্রেনিং ও জ্ঞান আমরা অন্তর্ভুক্ত করতে চাই। আমরা শুধু বিদেশি নলেজ এদেশে নিয়ে আসব তা নয়, বাংলাদেশি ডাক্তারদের অগ্রগতিও আমরা বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে চাই।’ 
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:৩৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়