• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
জিম্মি জাহাজে সামরিক অভিযান চায় না মালিকপক্ষ
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামের জাহাজটিতে কোনো ধরনের সামরিক অভিযান চায় না মালিকপক্ষ। সোমবার (২৫ মার্চ) জাহাজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (কেএসআরএম) মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, জাহাজের নাবিকদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ চলছে। তারা ভালো আছেন। নাবিকদের অক্ষত অবস্থায় মুক্ত করে আনা আমাদের লক্ষ্য। এ বিষয়ে জলদস্যুদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে।  মিজানুল ইসলাম বলেন, জিম্মি জাহাজে সোমালি পুলিশ কিংবা ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেভাল ফোর্সসহ যেসব সামরিক অভিযানের কথা সামনে আসছে, এগুলো আমরা জানি না। তবে আমাদের বার্তা স্পষ্ট হলো, আমরা কোনো ধরনের সামরিক অভিযানের পক্ষে নই। সামরিক অভিযান চালিয়ে আমরা আমাদের নাবিকদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে চাই না। সরকারের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক মাধ্যমে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’। দস্যুদের কাছে জিম্মি হয় ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে দুই দফা স্থান পরিবর্তন করে জাহাজটিকে সবশেষ সোমালিয়ার গদভজিরান উপকূলের কাছে নোঙর করে রাখা হয়েছে। জাহাজসহ নাবিকদের উদ্ধারে নানানভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার ও জাহাজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠানটি।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৭:১৩

রমজানে সামরিক অভিযান বন্ধ রাখতে পারে ইসরায়েল
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ইসরায়েল পবিত্র রমজান মাসে সামরিক অভিযান বন্ধ রাখতে পারে। যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি বন্দিবিনিময়ও হতে পারে। বাইডেন আগেই জানিয়েছিলেন, আগামী সোমবারের মধ্যে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হতে পারে। আগামী ১০ মার্চ থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। আমেরিকার ব্রডকাস্টার এনবিসি-কে বাইডেন বলেছেন, রমজান আসছে। ইসরায়েল এই সময় সামরিক অভিযান বন্ধ করতে পারে। সেই সময় পণবন্দিদের মুক্ত করার কাজও চলবে। যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যে যে আলোচনা চলছে, তাতে ছয় সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আছে। সেই সঙ্গে হামাস ও ইসরায়েল দুই পক্ষই কিছু বন্দিকে মুক্তি দেবে। হামাসকে জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ-সহ কয়েকটি দেশ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, হামাসকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবের মধ্যে আছে, ৪০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি হবে। হামাস যদি একজন বন্দিকে মুক্তি দেয়, তাহলে ইসরায়েল ১০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। তাছাড়া বলা হয়েছে, গাজায় ক্ষতিগ্রস্ত হাসপাতাল ও বেকারি মেরামত করে দেয়া হবে। দরকার হলে আবার নির্মাণ করে দেয়া হবে। প্রতিদিন সেখানে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে পাঁচশটি ট্রাক ঢুকবে। কাতারের বক্তব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে বাইডেনের মন্তব্যের কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে চায়নি কাতার। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেছেন, এখনো পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি ও বন্দিদের মুক্তি দেয়া নিয়ে কোনো মতৈক্য হয়নি। তিনি জানিয়েছেন, মতৈক্যের জন্য কাতার চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্যারিসে একটা খসড়া চুক্তি তৈরি হয়েছে। ইসরায়েল ও হামাস যাতে এই চুক্তি মেনে নেয়, তার চেষ্টা চলছে। কিন্তু কবে যুদ্ধবিরতি হবে, তা নিয়ে কোনোরকম জল্পনা করতে কাতার রাজি নয়। তবে কাতার যুদ্ধবিরতি নিয়ে আশাবাদী। দুর্ভিক্ষের মুখে গাজা ভূখণ্ডের চারভাগের মধ্যে একভাগ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে আছেন বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদে জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বলেছেন, গাজায় পাঁচ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে আছেন। দুই বছরের নিচে ছয়জন বাচ্চার মধ্যে একজন সেখানে ভয়ংকর অপুষ্টিতে ভুগছে। বস্তুত এই ভূখণ্ডের ২৩ লাখ মানুষ উপযুক্ত পরিমাণ খাবার পাচ্ছেন না। যদি যুদ্ধবিরতি হয়, তাহলে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম দ্রুত সেখানে গিয়ে মানুষের হাতে খাবার তুলে দেয়ার চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছে। তবে বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ অনিবার্য বলে জাতিসংঘের মত।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৫

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ১৩ বিদেশি সামরিক কর্মকর্তার শ্রদ্ধা
বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাসে কর্মরত ১১টি দেশের ১৩ জন সামরিক কর্মকর্তা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।  প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল হামিদুল হকের নেতৃত্বে রোববার (৪ জানুয়ারি) সকালে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তারা। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তারা সাভার সেনানিবাস (৯ম পদাতিক ডিভিশন) পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে তারা সাভারস্থ বাইপাইল এলাকায় অবস্থিত 4A ইয়ার্ণ ডায়িং লিমিটেড নামক একটি পরিবেশবান্ধব গার্মেন্টস শিল্প কারখানাও পরিদর্শন করেন।  বিদেশি সামরিক কূটনীতিকগণ এ সময় ফ্যাক্টরির উন্নততর ব্যবস্থাপনা, আধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত পরিবেশবান্ধব যন্ত্রপাতির ব্যবহার, শ্রমিকদের মজুরি ও তাদের কল্যাণে গৃহীত বিবিধ পদক্ষেপ, উৎপাদন প্রক্রিয়ায় উৎকর্ষতা, মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক, বিদেশে পণ্য রপ্তানিসহ টেকসই উৎপাদন নীতির প্রশংসা করেন। পরবর্তীতে পরিদর্শন শেষে তারা ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করেন। ১৩ জন সামরিক কর্মকর্তা হলেন- অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধি লে.কর্নেল জন ডেম্পসি, চায়নার প্রতিনিধি সিনিয়র কর্নেল ডু জিংসেন, ভারতের প্রতিনিধি ব্রিগেডিয়ার মানমিত সিং সাবারওয়াল, ইন্দোনেশিয়ার প্রতিনিধি কর্নেল আজওয়ান আবদি, মিয়ানমারের প্রতিনিধি ব্রিগেডিয়ার সো ন্যুয়েত, নেপালের প্রতিনিধি ব্রিগেডিয়ার রোশান শামসের রানা, প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধি কর্নেল মাহমুদ সারাওনাহ, রাশিয়ার প্রতিনিধি কর্নেল সারগেই ভিক্টরোভিচ নেয়দেনভ্ ও লে.কর্নেল আলেক্সি ইয়্যুরিভিচ তেরেকভ, তুর্কির প্রতিনিধি কর্নেল এরদাল শাহীন, যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধি লে. কর্নেল জন ক্র্যাফোর্ড ম্যাকলিলান স্কর্ট, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি লে.কর্নেল মাইকেল এরিক দ্যিমেশেই ও মেজর ইয়ান লিওনার্দ।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫০

ইউক্রেনের ৬৫ যুদ্ধবন্দি নিয়ে রাশিয়ার সামরিক বিমান বিধ্বস্ত
ইউক্রেনের ৬৫ জন যুদ্ধবন্দি বহনকারী রাশিয়ার একটি সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বন্দিদের ইউক্রেনের সঙ্গে বিনিময়ের লক্ষ্যে সীমান্তবর্তী বেলগোরোদ অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা আরআইএ-নভোস্তি এ তথ্য জানিয়েছে। বার্তা সংস্থা জানায়, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর একটি আইএল-৭৬ বিমান পশ্চিম বেলগোরোদ অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটিতে আরোহী হিসেবে ৬৫ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দির সঙ্গে ছয়জন ক্রু এবং তিনজন এসকর্ট ছিলেন। এ ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে রাশিয়ার মিলিটারি স্পেস ফোর্সের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। বেলগোরোদের কাছাকাছি ব্লিঝনো গ্রামে বুধবার একটি ইউক্রেনীয় ড্রোন দেখা গিয়েছে। এ ছাড়া সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে নিজের টেলিগ্রাম চ্যানেলের মাধ্যমে সতর্কতা জারি করেন ওই অঞ্চলের গভর্নর ব্যাচেস্লাভ গ্ল্যাডকভ। পরে তিনি কোরোচানস্কি জেলায় গুরুতর জরুরি অবস্থার কথাও জানান। তবে এসব বিষয়ে বিস্তারিত কোনোকিছু জানানো হয়নি। ইউক্রেনের সঙ্গে সীমান্তবর্তী একটি অঞ্চল রাশিয়ার বেলগোরোদ। ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনী অঞ্চলটিতে প্রায়ই গুলিবর্ষণ করে থাকে। এর ফলে সেখানে ‘সন্ত্রাসী হামলার’ উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে বলে আশঙ্কা করে থাকে রাশিয়া। এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, স্থানীয় সময় বুধবার সকাল ১১টার দিকে ইয়াবলোনোভো গ্রামে একটি বিমান আছড়ে পড়ছে। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে একটি বিস্ফোরণের শব্দ হয়।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:২৯

৯০ হাজার সেনা নিয়ে ন্যাটোর বিশাল সামরিক মহড়া
সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটো। আগামী সপ্তাহ থেকে এই বড় মহড়া শুরু হবে বলে জানা গেছে। মাসব্যাপী এই মহড়ায় অংশ নেবে অন্তত ৯০ হাজার সেনা। সামরিক জোটের শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল ক্রিস ক্যাভোলি এই তথ্য জানিয়েছেন স্নায়ু যুদ্ধের পর এটাই সবচেয়ে বড় মহড়া। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ক্যাভেলি বলেন, আঞ্চলিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই মহড়া পরিচালনা করা হবে। মূলত এটি সামরিক পরিকল্পনা, যার মাধ্যমে  যে কোনো হামলা মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়া হবে। আরও পড়ুন : ‘অন্যদের সজাগ করলেও নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি হুমায়ুন’   ন্যাটো তাদের ঘোষণায় সরাসরি রাশিয়ার নাম উল্লেখ করেনি। তবে তাদের নথিতে মস্কোকে সরাসরি হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নেটো জানায়, ডেস্ট্রেয়ার মহড়ায় অংশ নেবে ৫০ টির বেশি বিমানবাহী রণতরী থেকে। অংশ নেবে ৮০ টির বেশি জঙ্গি বিমান, হেলিকপ্টার ও ড্রোন ও অন্তত ১১০০ যুদ্ধযান। যার মধ্যে থাকবে ১৩৩টি ট্যাংক। পাশাপাশি পদাতিক বাহিনীর লড়াইয়ের ৫৩৩টি যুদ্ধযান থাকছে এই মহড়ায়। নেটো কমান্ডার ক্যাভোলি আরও বলেন, নেটোর আঞ্চলিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মহড়া চলবে। রাশিয়ার হামলার জবাব কীভাবে দেওয়া হবে তা নিয়ে নেটো কয়েকদশক ধরে যে প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা তৈরি করেছে তারই মহড়া এটি। নেটো বলেছে, ‘স্টিডফাস্ট ডিফেন্ডার ২০২৪’ ইউরোপের প্রতিরক্ষাকে জোরদার করতে উত্তর আমেরিকা এবং জোটের অন্যান্য অংশ থেকে দ্রুত সেনাবাহিনী মোতায়েনে নেটোর সক্ষমতা প্রদর্শনেরই মহড়া। আরও পড়ুন : স্বার্থের জন্য নির্বাচনের আগে ইস্যু তৈরি করেছিল আমেরিকা : ড. মোমেন   নেটোর হিসাবমতে, একই ধরনের মহড়া ‘রিফরজার’ সর্বশেষ চালানো হয়েছিল ১৯৮৮ সালে স্নায়ুযুদ্ধের সময়। তাতে অংশ নিয়েছিল ১,২৫,০০০ সেনা এবং ২০১৮ সালে ট্রাইডেন্ট জাঙ্কচার মহড়ায় অংশ নিয়েছিল ৫০ হাজার সেনা। এবারের মহড়ায় নেটো সদস্যদেশগুলোর সেনাদের পাশাপাশি সুইডেন থেকেও সেনারা অংশ নেবে। খুব শিগগিরই নেটো জোটে যোগ দিচ্ছে সুইডেন। এদিকে ইরানের সামরিক বাহিনী দেশটির দক্ষিণপশ্চিম, দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে বিশেষ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সেনাবাহিনীর এয়ার ডিফেন্স ফোর্স, ইসলামিক রেভলিউশন গার্ডস কর্পস এর এরোস্পেস ফোর্স, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর অংশগ্রহণে শুরু হয়েছে এই মহড়া।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩

সামরিক শক্তিতে তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ
২০২৪ সালে বৈশ্বিক সামরিক শক্তি সূচকে তিন ধাপ এগিয়ে বিশ্বের ১৪৫টি দেশের মধ্যে ৩৭ নম্বরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে এ সূচকে ৪০তম স্থানে ছিল বাংলাদেশ। আর এ সূচকে প্রতিবারের মতো এবারও শীর্ষ দেশ নির্বাচিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।  সম্প্রতি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার (জিএফপি) তাদের ওয়েবসাইটে এ সূচক প্রকাশ করেছে। বিশ্বের ১৪৫ টি দেশের সামরিক সরঞ্জাম, প্রতিরক্ষা বাজেট, সৈন্য সংখ্যাসহ বিভিন্ন ধরনের ৬০টির বেশি মাপকাঠির ওপর ভিত্তি করে ‘২০২৪ মিলিটারি স্ট্রেন্থ র‍্যাংকিং’ নামের সূচকটি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে জিএফপি। চলতি মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত দেশগুলোর সামরিক সক্ষমতাকে এই সূচকের ভিত্তি হিসেবে নিয়ে প্রকাশ করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি। প্রকাশিত সূচকে সামরিক শক্তিমত্তা বিচারে দেশগুলোর স্কোর নির্ধারণ করে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে ৩৭তম বলা হয়েছে। আর ঢাকার স্কোর ০ দশমিক ৫৪১৯। গত বছর ছিল ০ দশমিক ৫৮৭১। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে ১ লাখ ৬৩ হাজার, নৌবাহিনীতে ২৫ হাজার ১০০ জন, আর বিমান বাহিনীর ১৭ হাজার ৪০০ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে তিনশো ২০টি ট্যাংক এবং ১৩ হাজার ১০০টি সামরিক যান আছে। সেই সঙ্গে মাল্টিপল লঞ্চ রকেট প্রোজেক্টর যান আছে ৭১টি, সেল্ফ প্রোপেলড আর্টিলারি গান আছে ২৭টি। বরাবরের মত এবার জিএফপি সূচকে শীর্ষে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় রাশিয়া, তৃতীয় চীন, চতুর্থ ভারত, পঞ্চম দক্ষিণ কোরিয়া, ষষ্ঠ যুক্তরাজ্য, সপ্তম জাপান, অষ্টম তুরস্ক, নবম পাকিস্তান এবং দশম স্থানে ইতালি রয়েছে। জিএফপি সূচকে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ চতুর্থ অবস্থানে আছে। বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে ভারত, পাকিস্তান ও মিয়ানমার।
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:১১

ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র
পার্লামেন্টে কংগ্রেস অনুমোদন না দেওয়ায় ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা প্রবাহ স্থগিত হয়ে গেছে। যদি এই ইস্যুতে ভবিষ্যতে কংগ্রেস তার অবস্থান বদলায় তবেই আবার তা প্রদান করা সম্ভব হবে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা জন কিরবি। তিনি বলেন, আমরা সহায়তা প্যাকেজ সংক্রান্ত সর্বশেষ যে বিলটি কংগ্রেসে পাঠিয়েছিলাম, তা অনুমোদিত হয়নি। এ জন্য আপাতত ইউক্রেনে আমাদের সামরিক সহায়তা স্থগিত রয়েছে। কংগ্রেস যদি ভবিষ্যতে অবস্থান পরিবর্তন করে, ফের তা শুরু হবে। মিত্র দেশগুলো সামরিক সহায়তা পাঠাতে ১০ হাজার কোটি ডলার চেয়ে কংগ্রেসে গত ডিসেম্বরে একটি বিল পাঠায় বাইডেন প্রশাসন। বিলটির মধ্যে ইউক্রেনের জন্য বরাদ্দ ছিল ৬ হাজার কোটি ডলার। কিন্তু সেই বিলটি আটকে দিয়েছে কংগ্রেস। পরে বাইডেন অবশ্য ডিসেম্বরের শেষ দিকে কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে নিজের প্রেসিডেন্সিয়াল ক্ষমতা ব্যবহার করে ইউক্রেনে ২৫ কোটি ডলারের একটি সহায়তা প্যাকেজ পাঠিয়েছিলেন। তবে এ জন্য তাকে কংগ্রেসে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে স্বাক্ষরিত মিনস্ক চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ইউক্রেনের তদবিরের জেরে কয়েক বছর ধরে চলে টানাপোড়েন। এরপর ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাতে রুশ বাহিনীকে নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। তারপর থেকে চলছে যুদ্ধ। ‍ যুদ্ধে ইউক্রেন বর্তমানে বেশ চাপে রয়েছে। যদিও যুদ্ধের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটোর অস্ত্র ও অর্থ সহায়তায় সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল ইউক্রেন। ইতোমধ্যে দেশটির প্রায় এক চতুর্থাংশ ভূখণ্ড রাশিয়া দখল করে নিয়েছে। এই যুদ্ধের শুরু থেকে ইউক্রেনকে এ পর্যন্ত একহাজার কোটি ডলারেরও বেশি অস্ত্র এবং অর্থ সহায়তা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র : আরটি নিউজ
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:০৬

মার্কিন সামরিক মিশন বন্ধের ঘোষণা ইরাকের
মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক সামরিক জোটের মিশন বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে ইরাক।  শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ইরাকে আন্তর্জাতিক জোট বাহিনীর উপস্থিতি স্থায়ীভাবে শেষ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকার দ্বিপাক্ষিক কমিটির বৈঠক শুরুর তারিখ ঠিক করছে। বর্তমানে ইরাকে ২ হাজার ৫০০ এবং সিরিয়ায় ৯০০ মার্কিন সেনা অবস্থান করছে। ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পুনরুত্থান ঠেকাতে স্থানীয় সেনাবাহিনীকে পরামর্শ এবং সহায়তার অজুহাতে মার্কিন সেনারা সেখানে অবস্থান করছে। গাজায় ইসরায়েলের হামলাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা হামলার জেরে ইরাক ও সিরিয়ার মার্কিন ঘাটিগুলোতে হামলা চালায় বেশ কিছু মিলিশিয়া গোষ্ঠী। পরে মার্কিন বাহিনীর পক্ষ থেকেও হামলা করা হয়। প্রসঙ্গত, ইরাকের রাজধানী বাগদাদে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় একজন মিলিশিয়া নেতা নিহত হন। এরপর দেশটিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এর প্রেক্ষিতেই আসলে মিশনের ব্যাপারে সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়