• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
৫০ হাজার তরুণের কারিগরি প্রশিক্ষণ ও সাফল্য বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
বেসরকারি সংস্থা ইকো-সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইএসডিও) মাধ্যমে দেশের ২১টি জেলার পঞ্চাশ হাজার তরুণের কারিগরি প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানে সাফল্য বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।  সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে গত আট বছরে ইএসডিও’র মাধ্যমে দেশের ২১টি জেলার পঞ্চাশ হাজার তরুণ-তরুণীকে কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান এবং প্রশিক্ষণ শেষে দেশে এবং দেশের বাইরে কর্মসংস্থানের তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইএসডিও’র নির্বাহী পরিচালক ড. শহীদ উজ জামান। অনুষ্ঠানে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক (গ্রেড-১) মো. সাইদুর রহমান, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খান, ফাপাড’র মহাপরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব জালাল আহমেদ, আইএলও’র সিনিয়র সোশালিষ্ট, স্কিলস অ্যান্ড এসএমই গুলজান ডাল্লাকোটি, কেয়ার বাংলাদেশের পরিচালক (গবেষণা) ড. মেহেরুন ইসলাম, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)’র অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জসীম উদ্দিন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বক্তব্য রাখেন।  এছাড়াও, সেমিনারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যুরোর মহাপরিচালক মিজানুর রহমান, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালকসহ সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।  সভায় বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক মুক্তিতে কারিগরি শিক্ষার তাৎপর্য, তরুণদের শোভন কর্মসংস্থানের গুরুত্ব তুলে ধরা হয় এবং ইএসডিও’র কারিগরি শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের মডেলটি সম্প্রসারণে সরকার ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাসমূহের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪১

বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের নারীদের সাফল্য অনুকরণীয় : রাষ্ট্রপতি
বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের নারীদের সাফল্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্ব, সুদূরপ্রসারী চিন্তা ও যথার্থ নীতি বাস্তবায়নের ফলে অর্থনৈতিক, সামাজিক, প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন খাতে অভাবনীয় সমৃদ্ধি, উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের নারীদের সাফল্যও আজ অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।  রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানে নারীর সার্বিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে এবং নারী-পুরুষের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা, চিকিৎসা, নিরাপত্তা ইত্যাদি ক্ষেত্রে নারীর অগ্রগতি ও উন্নয়নে বলিষ্ঠ অবস্থান তৈরি করেছেন।  রাষ্ট্রপতি বলেন, নারীর উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসমূহকেও নানাবিধ উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য-‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’ যথার্থ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে আরও বলেন, বাংলাদেশে নারীদের সমঅধিকার, সমসুযোগ ও সুষ্ঠু বিকাশের লক্ষ্যে সরকার উন্নয়ন পরিকল্পনার নীতি, কর্মকৌশল হিসাবে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১ প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করেছে। পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন ২০১০, পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা বিধিমালা ২০১৩, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭, যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮, ডিএনএ আইন ২০১৪ এবং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৩-২০২৫ প্রণয়ন করা হয়েছে যা বাংলাদেশে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে মাইলফলক হয়ে থাকবে।  
০৮ মার্চ ২০২৪, ০৩:২৬

কোয়ান্টাম ফিজিক্সে অভূতপূর্ব সাফল্য পেলেন বাংলাদেশি গবেষক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা দীর্ঘ ১৫ বছর গবেষণার পর কোয়ান্টাম ফিজিক্সের কঠিন এক সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হয়েছেন। আর এই গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন একজন বাংলাদেশি গবেষক। তার নাম এম জাহিদ হাসান। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নেচার ফিজিক্স জার্নালে প্রকাশিত সংখ্যায় এই তথ্য জানানো হয়।  এম জাহিদ হাসান ইতিমধ্যেই কোয়ান্টাম ফিজিক্স গবেষক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তুলেছেন। তিনি প্রিন্সটনের ল্যাবরেটরি ফর টপোলজিক্যাল কোয়ান্টাম ম্যাটার অ্যান্ড অ্যাডভান্সড স্পেক্ট্রোস্কোপির নেতৃত্ব দেন। এ ছাড়া জাহিদ হাসান ক্যালিফোর্নিয়ার লরেন্স বার্ক্লে ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির একজন ভিজিটিং ফ্যাকাল্টি সায়েন্টিস্ট এবং কোয়ান্টাম ফেনোমেনা ইন টপোলজিক্যাল ম্যাটেরিয়ালস ক্ষেত্রে তার গবেষণার জন্য বেটি অ্যান্ড গর্ডন মুর ফাউন্ডেশন থেকে ইপিআইকিউএস-মুর ইনভেস্টিগেটর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বিসমাথ ব্রোমাইড নামের মাত্র কয়েক ন্যানোমিটার প্রশস্ত একটি বস্তু ব্যবহার করেন এবং কোয়ান্টাম কোহেরেন্স নামের একটি ঘটনা পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হন আগের তুলনায় বেশি তাপমাত্রায়।  কোয়ান্টাম কোহেরেন্স হলো- কোয়ান্টাম মেকানিক্সের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। কোয়ান্টাম মেকানিক্সের অন্যান্য ধারণাগুলো হলো- সুপারপজিশন ও এনট্যাংগলমেন্ট। এগুলো বুঝতে হলে কোয়ান্টাম কোহেরেন্স জরুরি। কিন্তু কোয়ান্টার কোহেরেন্স পর্যবেক্ষণ করতে খুবই কম তাপমাত্রা (প্রায় পরম শূন্য) প্রয়োজন হতো। কিন্তু প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির এই গবেষণায় সাফল্য প্রমাণ করে যে, এর চেয়ে বেশি তাপমাত্রাতেও কোয়ান্টার কোহেরেন্স পর্যবেক্ষণ সম্ভব।  বিসমাথ ব্রোমাইড ছিল এই গবেষণার তুরুপের তাস। বেশি দূরত্বে ও বেশি তাপমাত্রায় কোয়ান্টাম কোহেরেন্স ধরে রাখতে তা সক্ষম। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা অতীতের এক পরীক্ষায় বিসমাথ ব্রোমাইড তৈরি করেছিলেন। কিন্তু এই প্রথম করা হলো কোয়ান্টাম কোহেরেন্স পর্যবেক্ষণে এর কার্যকারিতা পরীক্ষা।  গবেষণাটির সাফল্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা তা ভবিষ্যতে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে এমন বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম তৈরিতে কাজে আসতে পারে। এ ছাড়া কোয়ান্টাম ফিজিক্স গবেষণা আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যও এর গুরুত্ব অপরিসীম। এক সময়ে সাধারণ ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোর বদলে ইলেকট্রনের কোয়ান্টাম বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে এমন ডিভাইস সর্বজনীনভাবে ব্যবহার হবে, ফলে বিশাল পরিমাণে বিদ্যুৎ খরচ কমে আসবে বলে আশা গবেষকদের।
০২ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫৮

অর্ধশতাব্দী পর চন্দ্রাভিযানে সাফল্য এলো যুক্তরাষ্ট্রের
অ্যাপোলো মিশনের সাফল্যের ৫০ বছর পর আবারও চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণে সক্ষম হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের চন্দ্রযান। তবে এবার এ অভিযান পরিচালনা করেছে ইনটুইটিভ মেশিন নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।  স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করে মহাকাশযান ‘অডিসিয়াস’। বাণিজ্যিক মহাকাশযানের মাধ্যমে পরিচালিত এই চন্দ্রাভিযানে অর্থায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা। ‘ইনটুইটিভ মেশিন’ ও নাসা যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।  হাউস্টনভিত্তিক মহাকাশ গবেষণা কোম্পানি ইনটুইটিভ মেশিনের এ অভিযানের নাম ছিল ‘আইএম-১’ । প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী স্টিভ আন্টেমুস বলেন, এ চন্দ্রযানকে অভিযানের জন্য প্রস্তুত করতে অনেক নির্ঘুম রাত পার করেছি আমরা। চন্দ্রযানের যে অংশটি চাঁদের পৃষ্ঠে যাবে, সেই ল্যান্ডারের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অডিসিয়াস’। মহাকবি হোমারের ‘দ্য ওডিসি’ মহাকাব্যের নায়কের নামানুসারে দেওয়া হয়েছে এই নাম।  সম্প্রতি আরেকটি কোম্পানি চাঁদে অভিযানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। অ্যাস্ট্রোবায়োটিক টেকনোলজির তৈরি চন্দ্রযানটি ১০ দিন মহাশূন্যে ঘোরাঘুরির পর প্রশান্ত মহাসাগরে পড়ে। ১৯৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপোলো-১১ চন্দ্রযান প্রথমবারের মতো মানুষ নিয়ে চাঁদে অবতরণ করে। এরপর ১৯৭২ সালে নাসা চাঁদে অ্যাপোলো ১৭ মিশন পরিচালনা করে।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৩২

সাকিবের ব্যাটিং সাফল্য নিয়ে মুখ খুললেন কোচ সোহেল
চলমান বিপিএলে প্রথম পাঁচ ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরতে পারেনি সাকিব আল হাসান। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজের চেনা রূপে ফিরেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। রংপুর রাইডার্সের হয়ে নিজেদের শেষ চার ম্যাচে ১৯৬ রান করেছেন এই টাইগার অলরাউন্ডার। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৩৯ বলে ৬১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন তিনি। এরপর সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের ব্যাটিং সাফল্য নিয়ে কথা বলেছেন রংপুরের কোচ সোহেল ইসলাম।    তিনি বলেন, সাকিবের পারফরম্যান্স তো আপনারা সবাই দেখছেন। আলাদা করে কিছু বলার নেই। ফিরে আশার লড়াইয়ের সময় আমরা সবাই মিলে সাহায্য করেছি। দল মালিকরাও ব্যাক করেছে। সাথে যারা কোচিং স্টাফ প্লেয়ার ছিল সবাই ছিল।' চোখের সঙ্গে ফিটনেসেরও সমস্যা ছিল সাকিবের এমনটা জানিয়েছেন রংপুরের কোচ। তিনি বলেন, শুধু যে চোখের সমস্যা ছিল তা না ফিটনেস লেভেলেও আপ টু দ্য মার্ক ছিল না। এটার জন্য আসলে সময় দরকার ছিল। আমরা সেই সময়টা বের করার চেষ্টা করেছি। সে যেন আসলে ওই সময়টা মানসিকভাবে ডাউন না হয়ে যায়।  আমরা জানতাম সাকিব যদি ফিট হয়ে যায় তাহলে পারফরম্যান্সের যে পুরনো ঝলকটা আছে, সেটা সে দেখাতে পারবে। সাকিব ছাড়াও ব্যাটিং ও বোলিংয়ে আলো ছড়াচ্ছেন আরেক অলরাউন্ডার শেখ মাহেদী। এই তরুণ ক্রিকেটারকে নিয়ে সোহেল বলেন, তাকে যখন যেখানে নামানো হচ্ছে তার সেই দায়িত্ব বেশ ভালোভাবে পালন করছে। মেহেদী তো আমি বলব না যে শুধু বোলার। ব্যাটিংয়েও তার পারফরম্যান্সটা ভালো। দলে এখন জায়গা আছে তাকে উপরে খেলানোর। এটা অবশ্যই দলের জন্য ভালো।’
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৯

সাফল্য ধরে রাখতে ইরানের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে ইমরানুর-রাকিবরা
ইরানের তেহেরানে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১১তম এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়শিপ। আসরটিতে অংশ নিতে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের তত্ববধায়নে সাত সদস্যের একটি দল  ইরানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় ফ্লাই ডুবাই এয়াওয়েজে ইরানের উদ্দেশ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঢাকা ত্যাগ করেছে ইমরানুর-রকিবুলরা। সাত জনের মধ্য পাঁচ জনই অ্যাথলেট এবং বাকি দুইজন এডভোকেট আব্দুর রকিব (মন্টু), টিম লিডার কাম এশিয়ান মিটিং ডেলিগেট এবং মোঃ জামাল হোসেন অফিসিয়াল হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন।   পাঁচ জন অ্যাথলেটেসের মধ্যে ইমরানুর রহমান-৬০মিঃ স্প্রিন্ট, রাকিবুল হাসান- ৬০ মিটার স্প্রিন্ট,  মোহাম্মদ জহির রায়হান- ৪০০ মিটার স্প্রিন্ট, মাহফুজুর রহমান- হাইজাম্প এবং শিরিন আক্তার- ৬০মিটার স্প্রিন্টে অংশগ্রহণ করবেন। এর আগে ১০তম এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়শিপে অংশ নিয়ে  ৬০মি. প্রেস্টিজিয়াস ইভেন্টে বাংলাদেশের ইতিহাস গড়ে স্বর্ণজয় করেন ইমরানুর রহমান।  গত বছরের ন্যায় স্বর্ণের ধারাবাহিতা ধরে রাখতে এবারও স্বর্ণজয়ের আশায় ঢাকা ত্যাগ করেছেন ইমরানুর রহমান। তার সাফল্য ধরে রাখার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। এই দলে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য অ্যাথলেটগণও দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন এই সফর যেন সাফল্য মন্ডিত হয়।  
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৮

জলদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযানে সাফল্য পেল ভারতীয় নৌবাহিনী
আরব সাগরে সোমালিয়ার পূর্ব উপকূলে জলদস্যুদের হাত থেকে আরও একটি অপহৃত জাহাজ ছিনিয়ে আনল ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আইএনএস সুমিত্রা।  উদ্ধার করা হয়েছে ১৯ জন পাক নাবিককে। টুইটে নৌবাহিনী জানিয়েছে, জলদস্যুদের বিরুদ্ধে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে এটা ভারতীয় যুদ্ধজাহাজের দ্বিতীয় সফল অভিযান।  নৌবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, ইরানি পতাকাবাহী মাছ ধরার ভেসেল আল নাঈমি সোমবার রাতে অপহরণ করে জলদস্যুরা। ১১ জন জলদস্যুসহ এআই নইমি নামে একটি জাহাজ মাছ ধরার ভেসেলটি অপহরণ করে। অভিযান চালিয়ে অবশেষে ভেসেলটি জলদস্যুদের হাত থেকে ছিনিয়ে এনেছে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ আইএনএস সুমিত্রা।  ভেসেলটিতে ১৯ জন নাবিক ছিলেন। সবাই-ই পাকিস্তানের নাগরিক। তাদেরও উদ্ধার করা হয়েছে।  হামলাকারী জাহাজের ১১ জন জলদস্যুকে আটক করা হয়েছে।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৯

বিদেশের সঙ্গে সরকারের ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধিতে সাফল্যের ইঙ্গিত
বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সফলভাবে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে নবনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকার। পররাষ্ট্রনীতি অনুযায়ী সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব গাঢ় করতে সরকার উদ্যোগী। তবে শুরুটা হচ্ছে এশিয় প্রতিবেশীদেরকে দিয়েই। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ভাইস মিনিস্টার পদমর্যাদার কর্মকর্তা সুন হাইয়ানের ঢাকা সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সাক্ষাতও হয়েছে। মেগাডেভেলপমেন্ট পার্টনার এবং স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশের অগ্রগতির পথ মসৃণ করতে চীনের আরও সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের আমন্ত্রণে ৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আগামী ফেব্রুয়ারিতে মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ উগান্ডাতে ন্যাম ও সাউথ সামিটে যোগ দিয়েছেন। এর আগে নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরপরই বিভিন্ন দেশ দ্রুততার সঙ্গে নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানাতে থাকে বিভিন্ন দেশ। আওয়ামী লীগ সরকারের নতুন মেয়াদে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে আরো বেশি গতিশীলতা আসবে, বলে আশা প্রকাশ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ১৫ জানুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি বলেন, এ সম্পর্ক দুই দেশের উন্নয়ন অংশীদারিত্বে আরো জোরালো ভূমিকা রাখতে পারবে।  নির্বাচনে আবারও বিজয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানায় ভারত, চীন, মিশর, আলজেরিয়া, ইতালি, রাশিয়া, ইউরোপিয় ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ, জাতিসংঘ, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, মিসর, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ব্রাজিল, লুক্সেমবার্গ, জাপান এবং ইউএনডিপিসহ আরও অনেক দেশ ও সংস্থা। তবে সবার নজর কাড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। বাণিজ্য সম্প্রসারণ কীভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র কাজ করবে বলে জানা তিনি। ১৭ জানুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতের পর তিনি জানান, দুই পক্ষের জন্যই জরুরি জলবায়ু পরিবর্তন, বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। শেখ হাসিনাকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার অভিনন্দন জানানোও রাজনীতিতে বেশ আলোচিত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ এই মিত্র দেশটির প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছা বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং পারস্পরিক ও আন্তর্জাতিক স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেন। ১৮ জানুয়ারি গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। গ্লোবাল গেটওয়ে সুবিধার আওতায় পরিবেশ, সুশাসন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, পরিবহনসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ বিদ্যমান যে সুবিধা পাচ্ছে তা আগামী দিনে আরও জোরদার হবে বলে জানিয়েছেন ইইউ রাষ্ট্রদূত। তিনি বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস সুবিধা দেওয়ারও অঙ্গীকার করেন। ইউরোপিয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো অভিনন্দন বার্তায় জানান, ইউরোপিয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের সঙ্গে টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন ও অন্যান্য সব অভিন্ন স্বার্থের বিষয়ে একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এসব দেশের মধ্যে ভারত, রাশিয়া, চীন, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশসহ অনেক দেশকে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগ থেকেই নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার অবস্থান ছিল অসহযোগিতামূলক। আর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, জাপানসহ আরও কয়েকটি সম্পদশালী দেশ মধ্যপন্থি অবস্থান নিয়েছিল। ভবিষ্যতে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরকার এসব বিবেচনায় নিতে পারে। তবে বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক দর্শনের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণকারী দেশগুলো সম্পদশালী ও ক্ষমতাশালী। এটাও আওয়ামী লীগ সরকারকে বিবেচনায় রাখতে হবে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।  তবে ভূরাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ এখন এশিয়ায় তথা পৃথিবীতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠতা ঐতিহাসিক। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক গুরুত্ব রাখে। বাংলাদেশে বড় বিনিয়োগকারী রাশিয়া ও চীন, বড় রপ্তানি বাজার ইউরোপিয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য। বাংলাদেশের রেমিটেন্সের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বড় শ্রম বাজার ও জ্বালানির উৎস মধ্যপ্রাচ্য। জাপান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার। এসব দেশ যেহেতু বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী, তাই যত দ্রুত সম্ভব সম্পর্ক গাঢ় করে বাংলাদেশ সুযোগ কাজে লাগাবে নিশ্চয়ই।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪৮

নিটওয়্যার রপ্তানিতে চীনকে ছাড়িয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সাফল্য
লুক্সেমবার্গে অবস্থিত ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এর পরিসংখ্যান অফিস ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী ইইউ এর ২৭ সদস্য রাষ্ট্রসমূহ ২০২৩ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকে প্রায় ৩২ বিলিয়ন ডলারের নিটওয়্যার পণ্য আমদানি করেছে এবং মোট আমদানির মধ্যে বাংলাদেশ ৮.৩১ বিলিয়ন ডলারের নিট আইটেম সরবরাহ করেছে, যেখানে পোশাক পণ্যের বৃহত্তম রপ্তানিকারক চীন ৮.২৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে।  মূল্য ও আয়তন উভয় ক্ষেত্রেই প্রথমবারের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে নেতৃস্থানীয় নিটওয়্যার পোশাক রপ্তানিকারক হিসেবে বৈশ্বিক জায়ান্ট চীনকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ।  বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফারুক হাসান এর মতে গত দুই-তিন বছর ধরে বিশেষ দুটি কারণে ক্রেতাদেরকে পণ্যের দাম বেশি দিতে  হচ্ছে।  প্রথমত, ক্রেতারা কাঁচামালের অস্বাভাবিক দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য করতে বেশি দাম দিচ্ছেন এবং দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশ বেসিক টেক্সটাইল পণ্য এর পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য পরিমাণের ভ্যালু এডেড টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি করছে, উদাহরণ স্বরূপ, বাংলাদেশ এখন ৩০ থেকে ৩৫ ডলার পর্যন্ত মূল্যের গার্মেন্টস আইটেম রপ্তানি করে থাকে।  ভ্যালু এডেড টেক্সটাইল পণ্যগুলিতে বিনিয়োগ করা বাংলাদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি কৌশলগত পদক্ষেপ ছিল কারণ এই ধরনের পণ্য গুলিতে গুণমানের উন্নতি বা অনন্য বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা তাদের প্রতিযোগিতা থেকে আলাদা করে।  নিটওয়্যার রপ্তানিতে চীনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে এ দেশের বস্ত্র শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রিগুলো। প্রাথমিক টেক্সটাইল খাত বা প্রাইমারি টেক্সটাইল সেক্টরে (পিটিএস) প্রায় ১৮০০টি মিল রয়েছে এবং প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ রয়েছে যা পোশাক শিল্পের স্থানীয়ভাবে কাঁচামালের প্রধান সরবরাহকারী হিসেবে কাজ করছে, একটি শক্তিশালী ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রির কারণে বাংলাদেশী বস্ত্র উৎপাদনকারীরা নিটওয়্যার সেক্টরের জন্য প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কাঁচামাল সরবরাহ করতে পারে।  বাংলাদেশের নিটওয়্যার রপ্তানিতে এই অগ্রগতির জন্য পোশাক খাতে নিরাপত্তা এবং কমপ্লায়েন্সের ক্ষেত্রে এই সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ সমূহের কারণে বিশ্বজুড়ে আমাদের ভাবমূর্তি উন্নত হয়েছে।  তাছাড়া পরিবেশ বান্ধব টেক্সটাইল মিলসের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। যদিও অতীতে বিশেষ করে ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের পর কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যার কারণে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক তদন্তের সম্মুখীন হয়েছে এবং তারপর থেকে, দেশটি কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার মান উন্নত করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে।  অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশে এবং অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটির মতো উদ্যোগগুলি কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম এবং নিরাপত্তা মান মেনে চলা বিশ্বব্যাপী ক্রেতাদের আস্থা অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে।   এই শিল্পের সাথে জড়িত উৎপাদনকারী, সরকারী সংস্থা এবং বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) সহ সকল স্টেকহোল্ডাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এই সেক্টরের সার্বিক নিরাপত্তা উন্নতি করে যার  ফলে অনেক ক্রেতাই এখন বাংলাদেশে অর্ডার দিতে আগ্রহী।  এছাড়াও রাজনৈতিক স্থিতিশীল অবস্থার কারণে স্থানীয় বিনিয়োগকারীরা বছরের পর বছর ধরে এই খাতে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করে যা বাংলাদেশটির প্রচুর পরিমাণে পণ্য সরবরাহ করার ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।  সম্প্রতি ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, ইথিওপিয়া এবং কম্বোডিয়ার মতো অন্যান্য দেশ থেকে কাজের আদেশগুলি স্থানান্তরিত হয়েছে কারণ তারা প্রতিযোগিতামূলক দামে বড় পরিমাণের অর্ডার দিতে অক্ষম। অধিকন্তু, ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি অর্থনৈতিক সংঘাত চলছে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে শুল্ক এবং অন্যান্য বাণিজ্য বাধা স্থাপন শুরু করেছিলেন। এ বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে ক্রেতারা দিন দিন চীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। ক্রেতারা বাংলাদেশকে ২য় পছন্দ হিসেবে বেছে নিয়েছেন, তারা বাংলাদেশকে চীনের সেরা বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করে।  ২০২১ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশ ২৪ নভেম্বর, ২০২৬-এ স্বল্পোন্নত দেশগুলির (এলডিসি) গ্রুপ থেকে বের হয়ে  উন্নয়নশীল দেশ সমূহের কাতারে যোগদান করতে প্রস্তুত তখনই নতুন মজুরি কাঠামো, বৈশ্বিক সংকট, উচ্চতর ইউটিলিটি সার্ভিস খরচ, স্থানীয় রপ্তানিকারকদের জ্বালানি অনিশ্চয়তার মতো গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন এই দেশ।  এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নে নিটওয়্যার রপ্তানিতে মূল্য ও আয়তন উভয় ক্ষেত্রেই চীনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার ঘটনাটি অবশ্যই ভালো খবর। যদিও এটাই এই ধরনের প্রথম ঘটনা নয়, ২০১৪ সাল থেকে ইইউর জন্য ডেনিম সোর্সিংয়ে তুরস্ক ও পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিয়ে আসছে।  এইসব সম্ভব হয়েছে রপ্তানিকারকদের জ্বালানি এবং বন্দর, সড়ক ও মহাসড়কের মতো দুর্বল অবকাঠামোর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার কর্তৃক গৃহীত কর্ম পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন এর মাধ্যমে।  সাম্প্রতিক মন্দা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি হতাশাজনক পূর্বাভাস, বিশেষ করে পোশাক বাণিজ্যের জন্য একটি কঠিন সময় অপেক্ষা করছে যদিও বৈশ্বিক পোশাকের বাজারে বাংলাদেশ এখনও তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে ভালো করছে এবং বাংলাদেশের আরও অনেক অপার সম্ভাবনা রয়েছে যার জন্য স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশের কোনো বিকল্প নাই।   লেখক : সহকারী অধ্যাপক, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়