• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভালোবাসার ফাল্গুনে সাজসজ্জা
পাতা ঝরার দিন শেষ। বসন্তকে বরণ করতে প্রকৃতি সাজতে শুরু করেছে নতুন সৌন্দর্যের ডালি নিয়ে। প্রকৃতির মতো মানুষের মনে দোলা দেয় ফাগুন। ভালোবাসা আর বসন্তের ছোঁয়ায় একাকার মনের কোণ নিজেকেও রাঙাতে চায় নতুন রূপে। বসন্তদিনে কবি-মন যেমন উদ্বেল, তেমনি পহেলা ফাল্গুনকে বরণ করে নিতে বাঙালিও সাজে বাসন্তী সাজে। নারীরা খোঁপায় জারবেরা, গোলাপ বা গাঁদা গুঁজে হলুদ, লাল বা বাসন্তী রঙের শাড়ি পরে দল বেঁধে ভিড় জমায় শহরের প্রাণকেন্দ্রগুলোতে। তাদের সঙ্গে মিলিত হয় পরিবারের পুরুষ বা শিশু সদস্যটি। প্রেমিক, বন্ধু, পরিবার-পরিজন নিয়ে চলে আড্ডা। গান-কবিতায় নেচে ওঠে পুরো শহর। চলুন জেনে নিন উৎসবের দিনটিতে সাজগোজ নিয়ে কিছু ধারণা- পোশাক: বাঙালি নারীর কাছে উৎসব মানেই শাড়ি, আর ছেলেদের হলো পাঞ্জাবি। বেশ কয়েক বছর ধরে পহেলা ফাল্গুনের দিনটিতে পোশাকে হলুদ বা বাসন্তী রংকেই প্রাধান্য দেওয়া হতো। তবে এখন এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সবুজ, মেজেন্টা, গোলাপি, সাদা, চাপা সাদা, পেস্ট, নীল ইত্যাদি হালকা রং। বসন্তের সঙ্গে যখন ভালোবাসার দিনটি মিলে গেছে তাই পোশাকের রঙ্গে ভিন্নতা নিয়ে আসতেই পারেন। আর বাঙালির প্রাণের এই উৎসবের দিনে শাড়ি ছাড়াও আপনার পছন্দ মতন যে কোনটিতেই হয়ে উঠতে পারেন অপরূপা। ফাল্গুনের পরিচ্ছদ: পোশাকতো গেল, এবার আসা যাক পরিচ্ছদে। পোশাকে-পরিচ্ছদে মিল রাখতে শাড়ির সঙ্গে চাই হাত ভর্তি রিনিঝিনি রেশমি কাঁচের চুড়ি। কপালে ভোর বেলার লাল সূর্যের মতো লাল রঙা টিপ আর খোপায় গাঁদার ফুল। গোলাপ, গাঁদার সঙ্গে জারবেরাও এখন শোভা পায় কানের পাশেই। খোপা না করলে, খোলা চুলে বা এক বেনুনীতে খারাপ লাগবে নাহ। চাইলে ফুলের বেণিতেও সাজিয়ে নিতে পারেন আপনার প্রিয় চুলকে।  ফুলের বেণি- লম্বা চুল বাঁধতে যেমন লাগে দীর্ঘ সময়, তেমনি প্রয়োজন ধৈর্য। তাই, চুল লম্বা হলে আর উৎসবের দিন কোনো ধরনের ঝুটঝামেলায় যেতে না চাইলে সামনের দিকে সুবিধামতো সিঁথি করে পেছনে সহজে একটি বেণি করে নিন। শাড়ি হলুদ বলে যে শুধু হলুদ ফুলই মানাবে, বিষয়টি কিন্তু মোটেও সে রকম নয়। লম্বা বেণিতে একে একে নানা আকার ও রঙের ফুল, যেমন ছোট-বড় চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা, তারাফুল ইত্যাদি লাগিয়ে নিতে পারেন। শাড়ি কিংবা সালোয়ার–কামিজ, সবকিছুর সঙ্গেই বেশ মানিয়ে যাবে চুলের এ সাজ।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়