• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সাগরে ভাসতে থাকা ২৭ জেলেকে উদ্ধার করে ফেরত দিল ভারতীয় কোস্টগার্ড
ইঞ্জিন বিকল হয়ে বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় সীমানায় ভাসতে থাকা ২৭ জেলেকে উদ্ধার করছে ভারতীয় কোস্টগার্ড।  বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকালে তাদের বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করেছে। শুক্রবার দুপুরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের কুতুবদিয়া হতে ‘এফভি সাগর-২ নামক একটি ফিশিং বোট ২৭ জন জেলেসহ মাছ ধরার জন্য সমুদ্রে যায়। বৃহস্পতিবার আনুমানিক দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে হঠাৎ বোটটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায় এবং স্রোতে ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করে। বিষয়টি ভারতীয় কোস্ট গার্ড জাহাজ আইসিজিএস আমোঘ এর দৃষ্টিগোচর হলে তারা দ্রুত জেলেসহ বোটটিকে উদ্ধার করে এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে অবহিত করে।  পরবর্তীতে উভয় দেশের দ্বিপাক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমারেখায় ভারতীয় কোস্ট গার্ড জাহাজ আইসিজিএস আমোঘ ২৭ জন জেলেসহ বোটটিকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের নিকট হস্তান্তর করে। তিনি আরও বলেন, ৫ এপ্রিল ভোর ৫ টায় মোংলা ফেয়ারওয়ে বয়ার নিকটবর্তী স্থানে উক্ত জেলেদের বোটসহ মালিকপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়।  
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০৮

৪ দিন সাগরে ভাসতে থাকা ১২ জেলে উদ্ধার
ইঞ্জিন বিকল হয়ে বঙ্গোপসাগরে চারদিন ধ‌রে ভাসতে থাকা ১২ জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিলে শনিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় তাদের উদ্ধার করা হয়। কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের (মোংলা সদর দপ্তর) মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মুনতাসীর ইবনে মহসীন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। উদ্ধারকৃত জেলেরা হ‌লেন মাঝি মাসুম মৌলভী, আব্দুর রহিম, নিজাম উদ্দিন, মো. হানিফা, মো. আমিন, মেহেদী হাসান, মোশারফ হো‌সেন, রুস্তম খলিফা, মেহেদী হাসান, মো. শাহজাহান, অলিউল ইসলাম ও জালাল উদ্দীন। তা‌দের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলায়। লেফটেন্যান্ট মুনতাসীর বলেন, গত ১৫ মার্চ বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলা থেকে ‘এফ বি হানিফ মুন্সি’ নামক একটি ফিশিং বোট মাছ ধরার উদ্দেশে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন। পরবর্তীতে ১৯ মার্চ তাদের বোটের ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেলে সাগরে ভাসতে থাকেন। এরপর ওই বোটের মাঝি মাসুম মৌলভী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে সাহায্য চান। পরে মোবাইল নম্বর ট্র্যাকিং করে কোস্টগার্ডের দুবলা এবং কচিখালী স্টেশনের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করেন। উদ্ধার করা ১২ জেলেকে খাবার পানি ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। তাদেরকে রোববার (২৪ মার্চ) নিজ বাড়িতে পাঠানো হবে বলেও জানান মুনতাসীর।
২৩ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৮

সাগরে নিখোঁজ যুবকের মরদেহ মিলল সৈকতে
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সমুদ্র সৈকত থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৮ মার্চ) বিকেলে ফৌজদারহাট সমুদ্র উপকূলের কিং শিপ ইয়ার্ডের পাশ থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত ইলিয়াস (২৭) নামের যুবক বরগুনার বামনা উপজেলার বড় তালেশ্বর এলাকার খালেকের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, সোমবার বিকেলে ফৌজদারহাট উপজেলার সমুদ্র উপকূলে অজ্ঞাতনামা যুবকের মরদেহ দেখে স্থানীয়রা নৌ পুলিশকে খবর দেয়। পরে নৌ পুলিশ ও গাউছিয়া কমিটির মানবিক টিমের সহায়তায় উদ্ধার করা হয় মরদেহটি। তার পকেটে একটি আইডি কার্ড পাওয়া গেছে। নিহতের পরিবার জানায়, ১৫ দিন আগে আমার ভাই নাগরীর স্টিলমিল এলাকায় সমুদ্র উপকূলে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কুমিরা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করি। গাউছিয়া কমিটির মানবিক দলের সদস্যরা আমাদের মরদেহ উদ্ধারে সহায়তা করেছে। তিনি আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫৮

সাগরে মাছ ধরার ট্রলারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২ 
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মাছ ধরার ট্রলারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আগুনে দুই জেলে দগ্ধ হয়েছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্থানীয় ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার গঙ্গামতি-সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় সাগরে থাকা অন্য ট্রলার এসে তাদের উদ্ধার করে। আহতরা হলেন- ট্রলার মাঝি সাহেব আলী ও মো. মামুন। তাদের উদ্ধার করে বর্তমানে কলাপাড়া হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে ওই ট্রলার মালিক। ট্রলার মালিক মো. ইছা গাজি বলেন, ট্রলারটি আজ সকালে আটজন জেলে নিয়ে সাগরে যাচ্ছিল। সাগরের এক কিলোমিটার পথ যাওয়ার পরেই হঠাৎ আগুন লেগে যায়। মূলত এ সময় ট্রলারে রান্নার কাজ চলছিল। আগুন দেখে প্রথমে সবাই নেভানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই ট্রলারে বিস্ফোরণ ঘটে এবং ট্রলারের ওপরের অংশ উড়ে যায়। এ সময় ইছা গাজি ও মামুন দগ্ধ হন। বাকিরা সাগরে ঝাঁপিয়ে পরেন। আনুমানিক ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন ট্রলার মালিক। উপজেলার ধুলাস্বার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফেজ আব্দুর রহিম বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি এবং সেখানে গিয়েছি। বিস্ফোরণের সময় বিকট শব্দে পুরো এলাকা কেপে উঠেছিল। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয় মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় দুর্ঘটনাটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণজনিত কারণে। 
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৪

সাগরে ভাসল সবচেয়ে বড় প্রমোদতরী
যাত্রা শুরু করেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রমোদতরী ‘আইকন অব দ্য সিজ’। প্রথম যাত্রায় এতে যে–সংখ্যক যাত্রী উঠেছেন, তা ছোটখাটো একটি শহরের জনসংখ্যার সমান। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সূর্যাস্তের আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যের মায়ামি বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে জাহাজটি। টাইটানিকের চেয়েও বড় এই প্রমোদতরী যেন সাগরের অন্তহীন নীলের মাঝে আস্ত এক মায়া নগরী। এতে আছে বিনোদনের এক অনন্য জগত। খবর দ্য ইকোনমিক টাইমসের ‘আইকন অব দ্য সিজ’-এর দৈর্ঘ্য ৩৬৫ মিটার (১,১৯৭ ফুট)। মোট ওজন ২৫০,৮০০ টন। এই ক্রুজ জাহাজে ২০টি ডেক রয়েছে, রয়েছে ৭টি সুইমিং পুল, ৬টি ওয়াটার স্লাইড।  এ ছাড়াও জাহাজটির সবচেয়ে ওপরের ডেকে আছে ৪০টির বেশি বার, রেস্তোঁরা, লাউঞ্জ এবং বিনোদোনস্থল। বিশাল এই তরীতে থাকতে পারবেন ৭ হাজার ৬০০ জন যাত্রী। ২,৩৫০ জন ক্রুর আলাদাভাবে থাকার বন্দোবস্ত রয়েছে।  রয়্যাল ক্যারিবিয়ান গ্রুপের মালিকানাধীন এই প্রমোদতরীর সামনের দিকে আছে 'অ্যাকোয়াডোম'। সেখানে দেখা যাবে জলপ্রপাত। আরও আছে পাঁচ ডেক উঁচু ও খোলা সেন্ট্রাল পার্ক। তাতে আছে এক সাঁতারুর ভাস্কর্য এবং প্রচুর গাছপালা।  'থ্রিল আইল্যান্ড'-নামে বিশালাকার ওয়াটার পার্কও আছে এ প্রমোদতরীতে। 'সার্ফসাইড' নামে একটি পারিবারিক এলাকা আছে। সরাসরি সমুদ্রের দৃশ্য দেখার জন্য আছে 'রয়্যাল প্রমেনেড'। 'দ্য হাইডওয়ে'তে ইনফিনিটি পুলও রয়েছে। এরপরও যদি যাত্রীর একঘেয়ে লাগে, তাহলে তারা হারিয়ে যেতে পারেন সুরের জগতে। প্রমোদতরীটিতে আছেন ৫০ জন সংগীতশিল্পী ও কমেডিয়ান। আছে অর্কেস্ট্রার আয়োজনও। ‘আইকন অব দ্য সিজ’ ২০০০ ফুট (৩৬৫ মিটার) দীর্ঘ। এটি তৈরিতে খরচ পড়েছে ২০০ কোটি ডলার। এটিতে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল। নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, প্রমোদতরীটি পরিবেশবান্ধব তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসে (এলএনজি) চলবে।  যদিও বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করেন, এলএনজি ব্যবস্থা ব্যবহারের কারণে প্রচুর পরিমাণে মিথেন গ্যাস লিক হয়ে পরিবেশ মিশে যেতে পারে। রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল প্রমোদতরীটিতে বেতারতরঙ্গ ব্যবস্থায় পরিচালিত পাইরোলাইসিস প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হচ্ছে। এ প্রযুক্তির সাহায্যে বর্জ্যকে জ্বালানি গ্যাসে পরিণত করা হয়। জাহাজে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে রিভার্স অসমোসিস ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। গত মঙ্গলবার আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি প্রমোদতরীটির উদ্বোধন করেন।  গতকাল প্রথম যাত্রার টিকিটগুলো সব আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। কোম্পানি বলেছে, টিকিটের জন্য নজিরবিহীন চাহিদা দেখা গেছে। এক সপ্তাহ ধরে ক্যারিবীয় সাগরে ঘুরে বেড়ানোর পর মায়ামিতে ফিরে আসবে প্রমোদতরীটি। ‘আইকন অব দ্য সিজ’ বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রমোদতরীর খেতাব পাওয়ার আগে এ খেতাব যে জাহাজের ছিল সেটিও রয়েল ক্যারিবিয়ানেরই তৈরি। সেটির নাম ‘ওয়ান্ডার অব দ্য সিজ’। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রমোদতরীর খেতাব পাওয়ার আগে এ খেতাব যে জাহাজের ছিল, সেটিও রয়েল ক্যারিবিয়ানেরই তৈরি। সেটির নাম ‘ওয়ান্ডার অব দ্য সিজ’।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪০

২০২৩ সালে সাগরে মারা গেছেন ৫৬৯ রোহিঙ্গা
মিয়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে ২০১৪ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে মারা গেছেন কিংবা নিখোঁজ হয়েছেন অন্তত সাড়ে ৪ হাজার রোহিঙ্গা। মূলত বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন রোহিঙ্গারা। এর মধ্যে কেবল ২০২৩ সালে সাগরে অন্তত ৫৬৯ রোহিঙ্গা মারা গেছেন যা ২০১৪ সালের পর সর্বোচ্চ।  বুধবার (২৪ জানুয়ারি) জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিতজাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে মিয়ানমার অথবা বাংলাদেশ থেকে পালাতে গিয়ে সমুদ্রে অন্তত ৫৬৯ জন রোহিঙ্গা মারা গেছে, যা ২০১৪ সালের পর সর্বোচ্চ। বিবৃতিতে সংস্থাটি রোহিঙ্গাদের রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বিগত ১০ বছরে বঙ্গোপসাগর বা আন্দামান সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে অথবা নিখোঁজ হয়েছে অন্তত সাড়ে ৪ হাজার রোহিঙ্গা। সংস্থাটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এর আগে এক বছরে সমুদ্রে সর্বোচ্চ পরিমাণ রোহিঙ্গা মারা গিয়েছিল ২০১৪ সালে। সে বছর মোট ৭৩০ জন রোহিঙ্গা প্রাণ হারিয়েছিল।  ইউএনএইচসিআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সমুদ্রপথ পাড়ি দিতে গিয়ে বেঁচে ফেরা ব্যক্তিরা লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাসহ নানা ধরনে অপব্যবহার ও শোষণের ভয়ংকর বিবরণ প্রকাশ করেছেন। সংস্থাটি জানিয়েছে, এসব রোহিঙ্গার বেশির ভাগই যাচ্ছে বাংলাদেশ থেকে এবং বাকিরা মিয়ানমার থেকে। সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করাদের মধ্যে ৬৬ শতাংশই নারী ও শিশু। ২০১৭ সালে মিয়ানমারে ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে লাখ লাখ রোহিঙ্গা। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যেসব রোহিঙ্গা অবশিষ্ট রয়েছেন তাদের ওপর বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বসবাস করছেন ক্যাম্পে। তিন বছর আগে মিয়নামারে অং সান সুচিকে হঠিয়ে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এরপরই শুরু হয় রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন। গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে এক হাজার পাঁচশ এর বেশি রোহিঙ্গা ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের উত্তর প্রান্তে কাঠের নৌকায় করে অবতরণ করে। এসময় সাগর সাধারণত শান্ত থাকে। তবে আগে ইন্দোনেশিয়ায় রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করা হলেও সম্প্রতি তৈরি হয়েছে জটিলতা। ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় মানুষ এখন আর রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে রাজি নয়। সেখানে রোহিঙ্গাবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সূত্র : আল-জাজিরা
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়