• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
উৎপাদনে ফিরেছে চাঁদপুর কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র
আবারও উৎপাদনে ফিরেছে চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র।  মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় উৎপাদনের মাধ্যমে প্রাণ ফিরেছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির। এর আগে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রায় ১৪ মাস বন্ধ ছিল ‍উৎপাদন। এরই মধ্যে কয়েক দফায় মেরামত করেও তা চালু করা সম্ভব হয়নি। একপর্যায়ে গ্যাস সরবরাহের যন্ত্রাংশে ত্রুটি ধরা পড়ে। উৎপাদন না হওয়ায় বন্ধ থাকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যুৎকেন্দ্রের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আকতারুজ্জামান। তিনি জানান, ২০২২ সালে ৬ ডিসেম্বর রক্ষাণাবেক্ষণ কাজের জন্য বন্ধ হয়ে যায় দুটি ইউনিট। একটি ৫০ মেগাওয়াট, আরেকটি ১০০ মেগাওয়াট। এখন ১০০ মেগাওয়াট কেন্দ্রটি চালু করা হয়েছে। গ্যাস বুস্টার বিকল হওয়ায় কিছুটা বিলম্ব হয়। বর্তমানে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। গ্যাস সরবরাহ ঠিক থাকলে ৮০ থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হয়ে উঠবে। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করে চায়না চেংদা ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড। ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরুর পর ২০১৩ সালের ২০ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৩ মার্চ ২০২৪, ১০:২১

বাগেরহাটের কাঠের সাইকেল যাচ্ছে বিদেশে
বাগেরহাটে কাঠ দিয়ে তৈরি হচ্ছে সাইকেল। চাকা থেকে শুরু করে এই সাইকেলের পুরো কাঠামোই কাঠের তৈরি। দেখে খেলনা মনে হলেও উন্নত বিশ্বে এই সাইকেলের চাহিদা অনেক বেশি। বাগেরহাটের বিসিক শিল্প নগরীতে তৈরি হলেও এই সাইকেলটি বাংলাদেশের কোনো বাজারে বিক্রি হয় না। সাইকেল গুলো তৈরি হয় শুধুই ইউরোপের জন্য। এতে দেখা দিয়েছে নতুন সম্ভাবনা।  বিসিক শিল্প নগরীতে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় ভাবে সংগ্রহ করা হয় বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ। সংগৃহীত কাঠ প্রথমে সিদ্ধ করে আন্তর্জাতিক মানের ট্রিটমেন্ট করা হয়। সেই কাঠ দিয়ে নিপুণ হাতে বেবি ব্যালেন্স বাইক নামে এই সাইকেলটি তৈরি করেন প্রায় একশ জন শ্রমিক। এদের কেউ চাকা তৈরিতে অভিজ্ঞ, কেউ তৈরি করেন সাইকেলের হ্যান্ডেল, ফ্রেম বা অন্যান্য অংশ। সবশেষে রং ও পলিস মিশিয়ে তৈরি করা হয় একটি আকর্ষণীয় সাইকেল। এভাবে প্রতিদিন তৈরি করা হয় অন্তত অর্ধশত সাইকেল। যা চলে যায় গ্রীস ও বেলজিয়ামসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে।  এই সাইকেল তৈরি ও রপ্তানির উদ্যোক্তা বাগেরহাট বিসিক শিল্প নগরীর ন্যাচারাল ফাইবার নামের একটি প্রতিষ্ঠান। শুধু এই বাইসাইকেল নয় কাঠ দিয়ে তারা তৈরি করছে সান বেড, হোটেল বেড ও কুকুর বিড়ালের খেলনা, হাতির ঘরের খুঁটিস পরিবেশবান্ধব আরও বেশ কিছু আকর্ষণীয় ফার্নিচার। যার ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে বিশ্বের বাজারে। সম্প্রতি বিদেশী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এই কারখানাটি পরিদর্শন করেন। এসব পণ্যের গুনগত মানে সন্তোষ প্রকাশ করেন। আমদানি ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কোকো মার্টের প্রতিষ্ঠাতা পল ইফমোরফিডিস বলেন, এসব পণ্যের বিশ্বের বাজারে ভালই চাহিদা রয়েছে। তারা এই প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরবরাহ করেন। ক্রমেই তাদের আমদানির পরিমাণ বাড়ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সাইকেলের তৈরি নারী শ্রমিক তন্নি আক্তার জানান, তিনি এর আগে অন্য কাজ করতেন। বর্তমানে ন্যাচারাল ফাইবারে কাঠের সাইকেলে পলিসের কাজ করেন। তিনিসহ আরও ৩-৪ জন এখানে পলিসের কাজ করে। এই সাইকেল বিদেশ যায়।  শ্রমিক আমির হামজা বলেন, সারাদিন আনন্দের সঙ্গে তিনি এখানে কাজ করেন। সর্বোপরি তার হাতে তৈরি সাইকেল বিদেশ যায় এটা ভাবতে ভালই লাগে। সাইকেল তৈরির সুপারভাইজার আব্বাস আলী জানান, স্থানীয় ভাবে সংগৃহীত কাঠ আন্তর্জাতিক মানের ট্রিটমেন্ট করে সাইকেলের ১১টি অংশ (পার্টস) তৈরি করা হয়। পরে এটি একেক জন একেক অংশ সেটিং করেন। পরে এটি পলিস করা হয়। প্রত্যেক শ্রমিক আলাদা আলাদা কাজ করে থাকেন। ন্যাচারাল ফাইবারের ম্যানেজার আয়াস মাহমুদ রাসেল বলেন, গেল ছয় মাসে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রায় ২০ হাজার সাইকেল রপ্তানি করা হয়েছে। সাইকেলের চাহিদা ক্রমেই বেড়ে চলেছে তাই তাদের অন্য ফ্যাক্টরিতেও এই সাইকেলের কারখানা সম্প্রসারিত করবেন। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখেই সাইকেল তৈরি করা হয়। ন্যাচারাল ফাইবারের প্রোপ্রাইটর মোস্তাফিজ আহম্মেদ বলেন, আগে তারা নারকেল পণ্য নিয়ে কাজ করতেন। নানা কারণে নারকেল এখন আগের মত পাওয়া যায় না। তাই ব্যবসা পরিবর্তন করে এসব পণ্য রপ্তানি করেন। বিশ্বের বাজারে তাদের তৈরি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও রপ্তানিতে নানান জটিলতা রয়েছে। কাঠের তৈরি সাইকেলসহ এসব পণ্য ব্যাপক ভাবে রপ্তানি করা হলে একদিকে যেমন আসবে বৈদেশিক মুদ্রা অপরদিকে সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান এমনটাই মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৫

সাইকেল চালিয়ে শহীদ মিনারে আসছেন ভারতীয় ১০ নাগরিক
সাইকেল চালিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে এসেছেন ‘১০০ মাইলস’ নামের একটি সংগঠনের ১০ সদস্য।  শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। আগতরা জানান, বাঙালিরাই নিজের ভাষা রক্ষায় জীবন দিয়েছে। পৃথিবীতে এমন নজির আর কারও নেই। মায়ের ভাষা বাংলায় কথা বলি এটা সেই ভাষা শহীদদের অবদান। তাই ভাষার মাস উপলক্ষে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে ছুটে আসা। দলীয় প্রধান সরজিত রায় বলেন, ভাষার টানে বাংলায় এসেছি। ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবো। ভাষা দিবসের কর্মসূচি শেষে ২২ ফেব্রুয়ারি বেনাপোল বন্দর হয়ে আমরা ভারতে ফিরবো। বেনাপোল সরগম সংগীত একাডেমির সভাপতি মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম জানান, বাংলা ভাষার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের গৌরবের কারণে মাতৃভাষা দিবস আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বাংলা ভাষা যতদিন থাকবে বিশ্ব এ ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা ততদিন জানাবে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:১৬

বেপরোয়া ট্রাক্টরের চাপায় সাইকেল আরোহী নিহত
পঞ্চগড়ে ট্রাক্টরের চাপায় রফিকুল ইসলাম বাচ্চু (৫৫) নামের এক সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। তার বাড়ি জেলার সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘি ইউনিয়নের বন্দরপাড়া গ্রামে।  সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার গলেহা বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ট্রাক্টরসহ চালককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।  স্থানীয়রা জানায়, বিকেলে গলেহা বাজার থেকে বাজার করে বাইসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন বৃদ্ধ রফিকুল ইসলাম বাচ্চু। বাইসাইকেলে রওনা হওয়া মাত্রই পঞ্চগড় থেকে চাকলাগামী দ্রুত গতির বেপরোয়া একটি পাথরবাহী ট্রাক্টর তাকে ধাক্কা দিলে রাস্তার উপর পড়ে যান তিনি। এ সময় ট্রাক্টরের চাকা তার মাথার ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।  এ সময় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা ট্রাক্টরসহ চালক তরিকুল ইসলামকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তরিকুলের বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলা সাতমেরা ইউনিয়নের শতরংপাড়া এলাকায়।   এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর থানার উপপরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার বলেন, এ ঘটনায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ট্রাক্টরসহ চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়