• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে হুট করে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন চারজন। এ ঘটনার প্রতিবাদ এবং সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা। এটির আয়োজক ছিল টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান অ্যাসোসিয়েশন। মানববন্ধনে বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নবনির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রব, বাচসাসের সভাপতি রাজু আলীম ও সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিনেতা জয় চৌধুরী, শিবা শানু ও আলেকজান্ডার বো-কে সমিতির সদস্যপদ বাতিলসহ অন্যান্য শাস্তি নেওয়ার দাবি করেন। বক্তরা বলেন, সাংবাদিকরা নানা ক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদেরকে আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন? এদিকে ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। দশজনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে রাহাত সাইফুল, লিমন আহমেদ, আহমেদ তাওকীর, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানা শাহ, রুবেল, রত্না।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৩

শিল্পী সমিতিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম সাংবাদিকদের
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)। এদিন এফডিসিতে অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে শেষ হওয়ার পরেই সাংবাদিকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় শিল্পীরা। এতে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয় এফডিসিতে।   এদিকে সহকর্মীদের মারধরের ঘটনায় শিল্পী সমিতিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিকরা। এই সময়ের ভেতরে কোনো সমাধান না এলে শিল্পী সমিতির সব ধরনের সংবাদ প্রচার থেকে সাংবাদিকরা বিরত থাকবেন বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।  এর আগে মঙ্গলবার রাতে শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর জানান, সংবাদকর্মীরা যে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন, সেটা মেনে নিয়েছেন তারা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে এই আল্টিমেটামটি কার্যকর হয়েছে। একইসঙ্গে আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে শিল্পী সমিতি।      পাশাপাশি হামলার শিকার সাংবাদিকদের চিকিৎসার সব দায়িত্ব নিয়েছে শিল্পী সমিতি। হামলার ঘটনায় যে কর্মীদের যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানান মিশা।   জানা গেছে, নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ শেষে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা সানুর সঙ্গে ইউটিউবারদের কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সাংবাদিকেরা হাজির হলে তাদের সঙ্গেও বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। মূলত চিত্রনায়িকা ময়ূরীর মেয়ের সাক্ষাৎকার চাওয়াতেই মারামারির সূত্রপাত ঘটেছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলের পক্ষ থেকে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব এই ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকারও করেছে সংগঠনটি। প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই জানান, এই হামলার মূল হোতা খল অভিনেতা শিবা শানু। এরপর জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো হামলা চালান। হামলার একপর্যায়ে পুরো এফডিসির ফাইট ডিরেক্টরেরাও হামলায় অংশ নেন। এ ঘটনায় দৈনিক খবরের কাগজের বিনোদন প্রতিবেদক মিঠুন আল মামুন ও তার ক্যামেরাম্যানসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২২

এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, যা বললেন মিশা-ডিপজল
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)। এদিন এফডিসিতে অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে শেষ হওয়ার পরেই সাংবাদিকদের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়ায় শিল্পীরা। রীতিমতো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে সাংবাদিক-শিল্পীদের মধ্যে। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে দুঃখ প্রকাশ করে শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলের পক্ষ থেকে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে।  এ প্রসঙ্গে ডিপজল বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা দেখছি। এটা খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি যেভাবে দেখা দরকার তা আমরা দেখছি।   মিশা-ডিপজলের পাঠানো এই চিঠিতে জানানো হয়, ‘অনাহূত এক পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির কতিপয় নির্বাচিত সদস্য ও সাধারণ সদস্যদের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় বেশ কজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন, যা আমাদের ব্যথিত করেছে। আমরা এ ঘটনার জন্য সব গণমাধ্যমের সাংবাদিক ভাইবোনদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।  এরই মধ্যে শিল্পী সমিতির নেতা ও সাংবাদিক নেতাদের যৌথ আলোচনায় প্রযোজক আরশাদ আদনানকে প্রধান উপদেষ্টা করে ১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’    জানা গেছে, নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ শেষে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা সানুর সঙ্গে ইউটিউবারদের কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। একটা পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কথা–কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাংবাদিকেরা হাজির হলে তাদের সঙ্গেও বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।   মূলত চিত্রনায়িকা ময়ূরীর মেয়ের সাক্ষাৎকার চাওয়াতেই মারামারির সূত্রপাত ঘটেছে বলে জানান জয় চৌধুরী। তিনি বলেন, শপথ শেষে ছিল আমরা সবাই তখন কার্যকরী পরিষদের মিটিং করছি। এ মুহূর্তে ময়ূরী আপু তার মেয়েকে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু তিনি ভেতরে ঢুকতে পারছিলেন না বাইরে লোকজনের জন্য। এমন সময় দুই-তিনজন ইউটিউবার, তারা ময়ূরী আপুর মেয়ের হাত ধরে টান দিয়ে বলছেন— ‘তুমি একটা ইন্টারভিউ দিয়ে যাও’। বারবার তারা এই আবদার করছিলেন। এতে ময়ূরী আপু রেগে গিয়ে বলেন— ‘ও তো সেলিব্রিটি না, ও ইন্টারভিউ দিয়ে কী করবেন?’ এরপরেই আসলে শুরু হয় মারামারির ঘটনা।   প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই জানান, এই হামলার মূল হোতা খল অভিনেতা শিবা শানু। এর পর জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো হামলা চালান। হামলার একপর্যায়ে পুরো এফডিসির ফাইট ডিরেক্টরেরাও হামলায় অংশ নেন। এ ঘটনায় দৈনিক খবরের কাগজের বিনোদন প্রতিবেদক মিঠুন আল মামুন ও তার ক্যামেরাম্যানসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।   
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৬

সাঁথিয়ায় সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকদের বাধা, ক্যামেরা ভাঙচুর
পাবনার সাঁথিয়ায় বাড়িঘর ভাঙচুরের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক। এ সময় সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও ক্যামেরা-লোগো ছিনিয়ে নিয়ে ভাঙচুর করে হামলাকারীরা।  বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকালে উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন- রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের মৃত একেন আলী সরদারের ছেলে নাসির সরদার (৪২) ও হেলাল সরদার (৪৫)।  এই ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের পক্ষে সাঁথিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মানিক মিয়া রানা বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে রাঙ্গামাটি গ্রামে তৈয়ব আলীর বাড়িঘর ভাঙচুরের সংবাদ সংগ্রহ করতে যান সাঁথিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক কালবেলার সাঁথিয়া প্রতিনিধি মানিক মিয়া রানাসহ কয়েকজন সাংবাদিক। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন প্রতিদিনের সংবাদের পাবনা জেলা প্রতিনিধি খালেকুজ্জামান পান্নু, আরটিভির পাবনা উত্তর প্রতিনিধি তাইজুল ইসলাম, মোহনা টিভির পাবনা পূর্ব প্রতিনিধি ইকবাল হোসেন, আনন্দ টিভির সাঁথিয়া প্রতিনিধি মনোয়ার পারভেজ মানিক এবং চ্যানেল এস ও মানবকন্ঠের সাঁথিয়া প্রতিনিধি এম জে সুলভ। ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাঙচুরকৃত ঘরবাড়ির ছবি তোলার সময় উল্লেখিত সাংবাদিকদের বাধা দিয়ে তাদের উদ্দেশ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন দুই ভাই নাসির ও হেলাল। তারা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি বলে দাবি ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের। একপর্যায়ে আরটিভির প্রতিনিধি তাইজুল ইসলাম ভিডিও ধারণ করতে গেলে তার হাতে থাকা ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় এবং আনন্দ টিভির সাঁথিয়া প্রতিনিধি মনোয়ার পারভেজ মানিকের লোগো (বুম) ভাঙচুর করে পুকুরে ফেলে দেয় অভিযুক্তরা। এ ঘটনা তাৎক্ষনিক মুঠোফোনে পুলিশকে অবগত করেন ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ঘটনাস্থল থেকে নাসির ও হেলাল নামের দু'জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এই ঘটনায় সাঁথিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মানিক মিয়া রানা বাদী হয়ে দুপুরে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।  সাঁথিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মানিক মিয়া রানা বলেন, ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। সেইসঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় সাংবাদিকরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে। সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দু'জনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৩

সিন্ডিকেটকারীদের ধরিয়ে দিতে সাংবাদিকদের আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর 
সিন্ডিকেটকারীদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ। সোমবার (১১ মার্চ) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে এ আহ্বান জানান তিনি। সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী এদিন বলেন, যারা সিন্ডিকেট করছে তাদের ধরিয়ে দিন এবং তাদের বিরুদ্ধে নিউজ করুন। কোথাও সিন্ডিকেটের খবর পেলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের অফিসাররা সেখানে গিয়ে হাজির হবে। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।  রোজায় পণ্য সরবরাহের ঘাটতি নেই জানিয়ে এরপর বলেন, মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কোনওভাবেই তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাণিজ্য, কৃষি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই দায়িত্ব পালন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। এছাড়া প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় বর্জনের জন্য ভোক্তা সাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেন, ক্রেতার আচরণও অনেক সময় পণ্যের হঠাৎ দাম বাড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এখন আমার প্রয়োজন ২ লিটার তেল, বাজারে গিয়ে একবারে ১০ লিটার কিনলে তাতে অনেক সময় হঠাৎ করে দাম বাড়াতে পারে। এই আচরণেরও পরিবর্তন প্রয়োজন। এর আগে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আবাসিক প্রতিনিধি ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ডমিনিকো স্কালপেল্লির নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল, ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই ও বেলারুশের পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী ইভগেনি শেস্তাকভ পৃথক বৈঠক করেছেন কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে।  এসব বৈঠকে কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং কৃষি গবেষণা জোরদার ও প্রযুক্তি বিনিময় প্রভৃতি বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।   
১১ মার্চ ২০২৪, ২০:৪৯

পেশাদার সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন দরকার : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, পেশাদার সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন ও নিয়ম-নীতি দরকার। রোববার (১০ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ দপ্তর কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রদূতের সাথে আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফ্রান্সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং মূল ধারার গণমাধ্যমে অপতথ্যের বিস্তার কিভাবে মোকাবিলা করা হয় সেটা নিয়ে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সাথে কথা হয়েছে। ফ্রান্সে বেশ কিছু আইন আছে, নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা এ বিষয়গুলো দেখভাল করে। রাষ্ট্রদূত এমনও বলেছেন যে, কোন ব্যক্তি যদি ফ্রান্সের মধ্যে ফ্রান্সের সরকারের বিপক্ষে কোন অপতথ্য প্রচার করে এবং সে ক্ষেত্রে তার পেছনে যদি কোন বিদেশি শক্তিও থাকে তাদেরকে রীতিমতো জেরা করার জন্য নিয়ে আসা হয়। এখানে তারা কোন ছাড় দেয় না। তাদের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান আছে যারা অপতথ্য খুঁজে বের করে সরকারের কাছে পেশ করে। তিনি বলেন, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, রেগুলেশন যেমন গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ব্যাহত করতে পারে, আবার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংরক্ষণের জন্য নিয়ম-নীতি দরকার। আমিও এ বিষয়ে একমত। পেশাদার সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন ও নিয়ম-নীতি দরকার। আইনের প্রয়োগ বা অপপ্রয়োগ হচ্ছে কিনা সেটি হচ্ছে বিষয়। কিন্তু নিয়ম-নীতির বাইরে পৃথিবীর কোন দেশ নেই। সব দেশে আইন আছে। অপতথ্যের ব্যাপারে কারও কোন ছাড় নেই।   প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ইউরোপ বা পাশ্চাত্যের দেশগুলো বা আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশসমূহ কিভাবে এই অপতথ্যকে মোকাবিলা করে সে অভিজ্ঞতা জানা ও বোঝা এবং আমাদের এখানে কাজে লাগানোর বিষয়গুলো নিয়ে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সাথে আলাপ হয়েছে। এ সময় সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সরকারের প্রতি এবং মানুষের প্রতি ফ্রান্সের আস্থা আছে এবং তারা গভীরভাবে বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের সাথে কাজ করতে চায় বলে রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন। অপতথ্য মোকাবিলার ক্ষেত্রে ফ্রান্স বাংলাদেশের সাথে কাজ করবে। ফ্রান্সের সরকারি ভর্তুকিতে চলা টেলিভিশন চ্যানেল ফ্রান্স টুয়েন্টিফোরের সাথে বাংলাদেশ টেলিভিশনের যৌথ সহযোগিতার বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের সাথে আলাপ হয়েছে বলে এ সময় জানান প্রতিমন্ত্রী। ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)-এর সাম্প্রতিক ধর্মঘট ডাকার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী কোয়াবের সদস্যদের এ ধরনের ধর্মঘট ডাকা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি কোয়াব নেতৃবৃন্দের সাথে বসেছি, কথা বলেছি। তারা তাদের সমস্যার বিষয়গুলো তুলে ধরেছে। তখন আমি তাদের একটি বিষয় পরিষ্কারভাবে বলেছি, আইনের বাইরে গিয়ে কেউ কিছু করতে পারবেনা। ওটিটি প্লাটফর্ম সবগুলো চ্যানেলকে প্যাকেজ করে যা করছে এটা বেআইনি। এগুলো দেখার জন্য আমি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছি। ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে কোয়াব, অ্যাটকো, আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন এবং ডিটিএস থেকে দুজন করে প্রতিনিধি পাঠাতে চিঠি দেওয়া হয়েছে । তাদের নিয়ে কোলাবরেশন সেল তৈরি করা হয়েছে। শিগগিরই তাদের নিয়ে সভা করা হবে। সেখান থেকে সবগুলো সমস্যা সমাধানের পথে আমরা এগুবো।  মন্ত্রণালয় এ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছে। সেজন্য মাঝপথে এসে এ ধরনের ধর্মঘটে যাওয়া ঠিক হবে না। আইনের মধ্যে থেকে সকল সমস্যার সমাধান করা হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শেরপুরের নকলা উপজেলার একজন সাংবাদিককে সাজা দেওয়ার ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই বিষয়ে দুই ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে। একটি হচ্ছে তথ্য চাওয়ার অপরাধে তাকে সাজা প্রদান করা হয়েছে, অপরটি হচ্ছে অসদাচরণের দায়ে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। দুটি তথ্য পরস্পর বিরোধী। কোনটি সত্য সেটি এখনো নিশ্চিত হতে পারছি না। আমি চাই এটার একটা তদন্ত হোক এবং তদন্ত করে সত্যটা বের হোক। সে উদ্যোগ ইতোমধ্যে তথ্য কমিশন নিয়েছে। আমি প্রধান তথ্য কমিশনারের সাথে কথা বলেছি। তারা বিস্তারিত তদন্ত করবে এবং তদন্তের পরে যেটা সঠিক সেভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আইনের প্রয়োগ মানেই ক্ষমতার অপব্যবহার এটা আমি মনে করি না। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে অপব্যবহারের সুযোগও থাকে। দুটোই আছে। কাজেই পুরো বিষয়টি না জেনে কোন উপসংহারে যাওয়া ঠিক হবে না। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত করতে চাই বিষয়টি আমি পর্যবেক্ষণ করছি, তদন্ত সাপেক্ষে যেন সঠিক তথ্য বের হয়। বাংলাদেশের সাংবাদিক,শিল্পী বা সাহিত্যিক যেই হোক কেউ যেন কোন কারণে ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে ভিকটিম না হয়, এটা আমরা নিশ্চিত করব।
১০ মার্চ ২০২৪, ১৮:৪৯

সাংবাদিকদের বিপদে ফেলতে পারে সাইবার আইনের ৫টি ধারা : বিচারপতি শেখ আরিফ
সাইবার নিরাপত্তা আইনের পাঁচটি ধারা সাংবাদিকদের বিপদে ফেলতে পারে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে ল' রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত এক কর্মশালায় এ কথা জানান তিনি। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ বলেন, 'সাইবার নিরাপত্তা আইনের পাঁচটি ধারা মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে সাংবাদিকতায়। এগুলো হলো ধারা ২২, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৮।' তিনি বলেন, '১৯৯১ সাল থেকেই দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে প্রচণ্ড ইনটলারেন্স দেখেছি আমরা। কোনও ধরনের সমালোচনা হলেই গ্রেপ্তার-নির্যাতন ছাড়া আর কোনো পন্থা তাদের হাতে আছে বলে তারা মনে করেন না। এক্ষেত্রে বিরোধী রাজনৈতিক দলকে দমন করতে গিয়ে দেখা যায় সাংবাদিকরাও এর ভিকটিম হয়ে যেতে পারেন।' তবে, সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আপনারা সঠিকভাবে সংবাদ লিখেন, কারও কিছু করার থাকবে না। করলে আদালত তো আছেই।' কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৪২

সাংবাদিকদের চাকরি নিয়ে নতুন নির্দেশনা আসছে
সরকার গণমাধ্যমকর্মীদের চাকরির নিরাপত্তা নিয়ে শিগগিরই নতুন নির্দেশনা জারি করবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা জানান। তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান তার কর্মীদের বিনা নোটিশে কিংবা হুট করে চাকরিচ্যুত করতে পারবে না। একইভাবে গণমাধ্যমকর্মীরাও প্রতিষ্ঠানকে সময় না দিয়ে যেকোনো সময় হুট করে চাকরি ছাড়তে পারবে না। এ বিষয়ে খুব শিগগিরই তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা জারি করা হবে।   এসময় ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদ ও বিভিন্ন তথ্য প্রচারিত হচ্ছে। এসব বিষয় জবাবদিহিতার আনতে নীতিমালা গঠনের দাবি জানান সাংবাদিকরা। মোহাম্মদ আরাফাত তাদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে। তবে তিনি এও বলেন, অপতথ্য রোধ করতে গিয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় যেন ব্যাঘাত না ঘটে, সেদিকে সরকারের সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৫

সমমনা বিনোদন সাংবাদিকদের হাঁস-পিঠার আয়োজনে স্মৃতির ঝাঁপি
পিঠা উৎসব হয়ে উঠে আড্ডার টেবিল। শোবিজের একাল-সেকাল নিয়ে মেতে উঠেন সবাই। উপস্থিত সকলের বক্তব্য হয়ে উঠে যেন প্রামাণ্যচিত্র। চোখের সামনে ভেসে ওঠে স্মৃতিকাতর চলমান সব ছবি। হ্যাঁ, পাঠক সমমনা বিনোদন সাংবাদিকদের  আয়োজনে হাঁস-রুটি-পিঠা উৎসব ছাপিয়ে স্মৃতিপটের ঝাঁপি যেন উপচে পড়ে অতিথিদের স্মৃতিচারণায়। গত ৩১ জানুয়ারি রাজধানীর নিসচা সম্মেলন কক্ষে বসেছিল সমমনা বিনোদন সাংবাদিকদের এমন আয়োজন। এতে সাংবাদিক, অভিনেতা, সংগীতজ্ঞ, হল মালিকরা উপস্থিত ছিলেন। উৎসব উদ্বোধন করেন বরেণ্য অভিনেতা ও নিসচার চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। এ সময়  অন্যান্যদের মধ্যে বরেণ্য সাংবাদিক ইমরুল শাহেদ, সাবেক সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী, প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, উপদেষ্টা রোকনুজ্জামান ইউনুস রুবেল, ভার্সেটাইল অভিনেতা আশীষ খন্দকার, সিনিয়র সাংবাদিক লিটন এরশাদ এবং কামরুল হাসান দর্পণ মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন। নব্বই দশকের খ্যাতিমান সাংবাদিক দুলাল খানের সঞ্চালনায় আয়োজনটি হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত। আয়োজনে সূচনা বক্তব্য দেন উৎসব পরিচালক আহমেদ তেপান্তর। তিনি চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে ভবিষ্যতেও বিনোদন সাংবাদিকদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও সুদৃঢ় করতে এমন আয়োজনে সকলকে পাশে থাকার আহ্বান জানান। ইমরুল শাহেদ, লিটন এরশাদ ও কামরুল হাসান দর্পণ তাদের আলোচনায় সময়ের বিবেচনায় বিনোদন সাংবাদিকদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে এগিয়ে নিতে উৎসব পরিচালক আহমেদ তেপান্তর ধন্যবাদ জানান। প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক চলচ্চিত্রের উন্নতির স্বার্থে বিনোদন সাংবাদিকদের আয়োজনকে ইতিবাচক মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি ইলিয়াস কাঞ্চনকে ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে হল বাঁচাতে তার ভূমিকার প্রশংসা করে ভবিষ্যতেও সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। ফরমান আলী তার বক্তব্যে বিনোদন সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার উপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশীয় সিনেমার প্রসারে বিনোদন সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা প্রযোজক ও দেশের কৃষ্টিকে রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা নিতে পারে। এজন্য তাদের বন্ধন মজবুত হওয়া প্রয়োজন। অনুষ্ঠানের আগত অতিথিদের মধ্যে বাচসাস এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাহাত সাইফুল, সিনিয়র সাংবাদিক আবুল কালাম, নিথর মাহবুব বক্তব্য দেন। সঞ্চালক দুলাল খান এসময় অধুনালুপ্ত চিত্রালীর সিনিয়র সাংবাদিক সঞ্জীব কুমার দাসকে সবার মাঝে পরিচয় করিয়ে দেন। এক পর্যায়ে তিনি সত্তরের দশকের বাংলা সিনেমার শক্তিমান কৌতুক অভিনেতা খান জয়নুলের ছোট ছেলে রাশেদ খান টোটোকে সবার মাঝে পরিচয় করিয়ে দেন। এ সময় সিনিয়রদের মধ্যে ‘খান জয়নুলে'র নাম ধরে স্মৃতিকাতর হতে দেখা যায়। অনুষ্ঠানে টোটো বিনোদন সাংবাদিকদের কাছে তাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানের শেষ দিকে উপস্থিত হন কিংবদন্তি সংগীতজ্ঞ শেখ সাদী খান। উপস্থিত সকলেই তাকে দাঁড়িয়ে সম্মান জানান। অনুষ্ঠানের শেষপ্রান্তে ইলিয়াস কাঞ্চন তার উদ্বোধনী বক্তব্যে সঞ্চালক সাংবাদিক দুলাল খানের বুদ্ধিদীপ্ত সঞ্চালনার প্রশংসা করেন। কাঞ্চন বলেন, এটা সমমনা বিনোদন সাংবাদিকদের দ্বিতীয়বারের আয়োজন। এমন আয়োজনে থাকতে পেরে আমি গর্বিত। কারণ এখানে আজ অনেক অদেখা মানুষদের সমাগম বলে দিচ্ছে বাংলা সিনেমার গর্বিতদের তারা স্মরণ করতে চায়। এ সময় তিনি বিনোদন সাংবাদিকদের কাছে আরও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাও প্রত্যাশা করেন। হাঁস-রুটি-পিঠার আপ্যায়নে শেষ হয় সমমনা বিনোদন সাংবাদিকদের দ্বিতীয়বারের আয়োজন। অন্যান্যদের মধ্যে এদিন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কাহিনীকার সুদীপ্ত সাইদ খান, স্বপ্নের ঠিকানার কর্ণধার রাশেদ খান, কণ্ঠশিল্পী মোমিন বিশ্বাস, সিনিয়র সাংবাদিক হামি মোহাম্মদ জসীম, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর বিপ্লব, মোস্তফা মতিহার, রনজু সরকার, নিশা মাহমুদা, আসিফ আলম, আহমেদ জামান শিমুল, লিটন মাহমুদ, সেলিম শাকিবসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।  
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:০৬

তিন দিনের প্রশিক্ষণ শেষে পিআইবিতে বিনোদন সাংবাদিকদের সনদপত্র প্রদান
প্রেস ইনস্টিটিউ বাংলাদেশ- পিআইবিতে বিনোদন সাংবাদিকদের তিন দিনব্যাপী রিপোর্টিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার  ( ১লা ফেব্রুয়ারি)  বিকালে প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের সনদপত্র প্রদান করা হয়। সনদপত্র প্রদান করেন পিআইবির মহাপরিচালক এবং সভাপ্রধান জাফর ওয়াজেদ। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (এফডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন বলেন, পূর্বে সিনেমা অর্থাৎ চলচ্চিত্রই ছিল একমাত্র বিনোদনের ক্ষেত্র। কিন্তু বর্তমানে বিনোদনের জন্য আরও অন্য মাধ্যম বা ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। বিনোদন সংবাদিকদের প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করা বাঞ্চনীয়। এছাড়া তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে মাঠপর্যায়ে অর্থাৎ প্রাইমারি সোর্সের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়