• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সাংবাদিকতা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা : আরেফিন সিদ্দিক
সাংবাদিকতা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি বলেন, সাংবাদিকতার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সত্যকে ধারণ করে মিথ্যার সঙ্গে লড়াই করা। সত্য নিয়ে কাজ করলে ঝুঁকি বেশি থাকে। শনিবার (৯ মার্চ) বিকেলে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা প্রোগ্রামের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে তিনি এসব কথা বলেন। আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সাংবাদিকের অন্যতম কাজ বস্তুনিষ্ঠতা। এজন্য সত্যের সঙ্গে যোগাযোগ দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে প্রতিবেদকের যোগাযোগ যত ভালো তার প্রতিবেদন তত উন্নততর এবং বস্তুনিষ্ঠ হয়। এ ছাড়া তার লেখা সংবাদ দর্শক, পাঠক ও শ্রোতার কাছে ততটা গুরুত্ব বহন করে। তাই শিক্ষার্থীদের এসব বিষয় মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠানে পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, সাংবাদিকদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা থাকতে হবে। এতে সহজে সত্য উদঘাটন করতে পারবে। বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের গুজব প্রতিরোধে ফ্যাক্ট চেকের পাশাপাশি মোবাইল সাংবাদিকতার জ্ঞান আহরণ করা উচিত। পাশাপাশি শব্দ ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করা আবশ্যক। তা না হলে পাঠক, দর্শক ও শ্রোতা উপযোগী প্রতিবেদন তৈরি দুরূহ হয়ে পড়বে।  পিআইবির পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান এনামুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের আরও বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক মানস ঘোষ, পিআইবির পরিচালক মো. জাকির হোসেন, পিআইবির সহকারী অধ্যাপক ও মাস্টার্স প্রোগ্রামের সমন্বয়কারী পঙ্কজ কর্মকার ও প্রভাষক লাজিনা আক্তার জ্যাসলিন প্রমুখ।
০৯ মার্চ ২০২৪, ২০:৫৮

সাংবাদিকতা করা হলো না তুষার হালদারের : পরিবারে চলছে মাতম
সাংবাদিকতা করা হলো না তুষার হালদারের। রাজধানীর বেইলি রোডে সাততলা ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সদ্য স্নাতক শেষ করা ঝালকাঠির সন্তান তুষার হালদারের মৃত্যু হয়েছে। নিহত তুষার হালদার ‘স্টার টেক’ নামের একটি আইটি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। আগে তিনি ‘দ্য রিপোর্ট’ অনলাইনে ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করতেন। শুক্রবার (১ মার্চ) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে ছেলের মরদেহ নিয়ে ঝালকাঠি আসেন তার বাবা দীনেশ হালদার। তুষার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় থাকতেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের তালগাছিয়া গ্রামে।  তুষারের স্বজনরা জানান, বন্ধুদের সঙ্গে কনভোকেশন নিয়ে নানান পরিকল্পনা ছিলো তার। বাবা-মাকেও কনভোকেশনে নেওয়ার জন্য টাকা জমা দিয়েছিলেন তুষার। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তুষার হালদার গ্রামের বাড়িতে চলছে মাতম।   শৌলজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপন জানান, তুষার ছিল তার বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান এবং খুবই মেধাবী। সাংবাদিকতা পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করার জন্য ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক করেছে সে। লেখাপড়ার জন্য সে ঢাকায় থাকতো। তার এ অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৫

বইমেলায় হাসান শান্তনুর গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিষয়ক চারটি বই
সাংবাদিক ও গণমাধ্যম গবেষক হাসান শান্তনুর লেখা চারটি বই অমর একুশের বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে। বইগুলো হচ্ছে- 'সৎ সাংবাদিকতার একাল সেকাল' (আবিষ্কার প্রকাশনী), 'গণমাধ্যম নিপীড়ন ১৯৭২-২০১২' (বিভাস প্রকাশনী), '৪৩ বছরে গণমাধ্যমের অর্জন-বিসর্জন’ (প্লাটফর্ম প্রকাশন) এবং ‘সাংবাদিক বঙ্গবন্ধু’ (প্রকৃতি প্রকাশনী)।  হাসান শান্তনু একজন ব্যতিক্রমী লেখক। তিনি গবেষণার মাধ্যমে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের অনালোচিত বিষয় পাঠকের সামনে হাজির করেন। তাঁর চিন্তা-ভাবনা অনেক গভীর। উপস্থাপনায় তিনি দক্ষ কথাকারের মতো। বইগুলোতে লেখক তুলে ধরেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা। বঙ্গবন্ধু একসময় সাংবাদিকতা করতেন, ছিলেন ‘প্রতিনিধি’, প্রকাশক। ‘মিল্লাত’ পত্রিকার ‘ব্যতিক্রমি বিক্রেতা’ মুজিব পরে হয়ে ওঠেন রাষ্ট্রের স্থপতি। তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক সাংবাদিকতার জীবন নিয়ে একমাত্র বইটি এখনো পর্যন্ত হাসান শান্তনুই লিখেছেন। বিদেশি আধিপত্যবাদ বিস্তারে ও গুজব প্রচারে বিশেষ গোষ্ঠী কীভাবে বাংলাদেশের সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকে ব্যবহার করছে, প্রকৃত সততার সঙ্গে সাংবাদিকতা করা কোন কোন পরিস্থিতিতে দু:সহ হয়ে উঠে, এর পেছনের মূল কারণগুলো কী কী, একসময় এই দেশের সৎ সাাংবাদিকতার স্বরূপ কী ছিল, বর্তমান পরিস্থিতিতে এর চর্চা কোন পর্যায়ে আছে, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর যেভাবে নষ্ট সাংবাদিকতা শুরু হয়, সাংবাদিকরা যে কারণে দাবার ঘুঁটি, পাঁচ দশকে দুই ধারার সাংবাদিকতা এবং আত্মশুদ্ধিহীন সাংবাদিকতা ইত্যাদি উঠে এসেছে তাঁর লেখায়। দলীয় সাংবাদিকতা কোন কোন পর্যায়ে দেশপ্রেমের সাংবাদিকতা হয়ে উঠে, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ধারাটির আলো কেন নিভু নিভু, পুলিশ সাংবাদিকতা করতে পারে কী না- এসব বিষয় লেখক বইয়ে তুলে ধরেছেন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দরকারি হিসেবে হাসান শান্তনুর লেখা বই পড়েন। সাংবাদিকতা পেশায় আসতে আগ্রহী, তাদের জন্য অবশ্যই দরকারি বইগুলো।  
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:০৬

মানারাতে সাংবাদিকতা বিভাগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বিদায় অনুষ্ঠান
মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (এমআইইউ) জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।  শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে জমকালো আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুলিয়া ক্যাম্পাসের সেমিনার হলে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।  জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান মো. মামুন উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান।  এ ছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন ও ফার্মেসি বিভাগের প্রধান ড. নারগিস সুলতানা চৌধুরী, স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজের ডিন ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ এবং এমআইইউ’র রেজিস্ট্রার ড. মো. মোয়াজ্জম হোসেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইন বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, ইইই বিভাগের প্রধান কে. এম. আকতারুজ্জামান, সেন্টার ফর জেনারেল এডুকেশনের পরিচালক ড. মোহাম্মাদ আবুল কালাম আজাদ, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রফিকুজ্জামান, রেহানা সুলতানা প্রমুখ।  অনুষ্ঠানে আব্দুছ ছবুর খান সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের অভিনন্দন ও বিদায়ীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও সফলতা কামনা করে বলেন, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের গুণগত শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য কাজ করছে। সুতরাং আজ যারা এখান থেকে পাস করে বের হয়ে যাচ্ছ, তারা পেশাগত জীবনে ‘ইয়েলো’ বা হলুদ সাংবাদিকতা পরিহার করে নিজেদের বিবেক ও দেশের স্বার্থকে প্রধান্য দেবেন বলে আমি আশা করি।  অনুষ্ঠান শেষে বিদায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা ক্রেস্ট প্রদান করা হয় ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠান উপলক্ষে রঙ-বেরঙয়ের ব্যানার, ফেস্টুন ও কারুকাজে সাজানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুলিয়া ক্যাম্পাস।  এ ছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বিদায় অনুষ্ঠান উপলক্ষে নতুন ও পুরাতন ছাত্র-ছাত্রীদের মিলনমেলায় পরিণত হয় জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়