• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সহিংসতা কম হয়েছে : মার্কিন দুই সংস্থা
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পূর্ববর্তী নির্বাচনগুলোর তুলনায় সহিংসতা কম হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংস্থা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) এবং ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)-এর টেকনিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট মিশন (টিএএম)। রোববার (১৭ মার্চ) জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে, চলাকালীন ও পরে সম্ভাব্য নির্বাচনী সহিংসতা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশে প্রেরণ করা মার্কিন দুই সংস্থা তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মিশন সদস্যরা অবগত হয়েছেন যে, ২০২৪ সালের নির্বাচনের সময়কাল, প্রচারের সময়কাল, নির্বাচনের দিনসহ অন্যান্য সময়ে, পূর্ববর্তী নির্বাচন চক্রের তুলনায় শারীরিক এবং অনলাইন সহিংসতা কম হয়েছে। এটি হয়েছে প্রাথমিকভাবে দেশব্যাপী কার্যকর নির্বাচনী প্রতিযোগিতার অনুপস্থিতির কারণে এবং দেশের নিরাপত্তায় সরকারের বাড়তি নজর দেওয়ায়। তার পরও জানুয়ারির নির্বাচনের গুণগত মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। যেসব ঘটনার কারণে (এমন হয়েছে) তা হলো রাষ্ট্র, শাসক দল এবং বিরোধীদের সহিংসতা, সেই সঙ্গে একটি প্রাক-নির্বাচন পরিবেশ দ্বারা চিহ্নিত করা হয় শূন্য-সমষ্টির রাজনীতি, রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সহিংসতা, নাগরিক স্বাধীনতার সংকোচন, এবং বাক স্বাধীনতা ও সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতার অবনতি।’ মিশনটি একটি যৌথ প্রাক-নির্বাচনী মূল্যায়ন মিশন (পিইএএম) অনুসরণ করে যা এনডিআই এবং আইআরআই গত ৮ থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত পরিচালনা করেছিল।  এ প্রতিবেদনে বিভিন্ন ধরনের নির্বাচনী সহিংসতার বিষয়ভিত্তিক বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে নির্বাচনে সহিংসতার ঝুঁকি প্রশমন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আইআরআই ও এনডিআইয়ের তুলনামূলক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, সরকারের নির্বাহী ও আইন বিভাগ, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য অংশীজনদের কাছে সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এনডিআইয়ের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক মনপ্রীত সিং আনন্দ বলেন, ‘প্রতিবেদনটি বাংলাদেশের ভবিষ্যতে আরও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য একটি মূল্যবান রোডম্যাপ হিসেবে অবদান রাখবে। অহিংস রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দল, সরকার এবং নাগরিক সমাজসহ সামাজিক-রাজনৈতিক পরিমণ্ডল জুড়ে নেতাদের নির্বাচনী রাজনীতির নিয়ম, অনুশীলন এবং নিয়মগুলো সংস্কার করার প্রয়োজন রয়েছে।’ আইআরআইয়ের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরিচালক জোহানা কাও বলেন, ‘নির্বাচনে সহিংসতা নাগরিকদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে একটি প্রধান প্রতিবন্ধক। বাংলাদেশের নির্বাচনকে পুরোপুরি অংশগ্রহণমূলক করতে হলে সব পক্ষকে অহিংস রাজনীতিকে প্রাধান্য দিতে হবে।’ বাংলাদেশে অবস্থানকালে টিএএম-এর স্বীকৃত পাঁচজন দীর্ঘমেয়াদের বিশ্লেষক নির্বাচন ও সরকারি কর্মকর্তা, নিরাপত্তা কর্মী, রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে রাজনৈতিক দলের নেতা, সাংবাদিক, নাগরিক সমাজের সংগঠনসহ যুবক, নারী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পাশাপাশি স্বীকৃত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক মিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন। পিইএএম-এর পর্যবেক্ষণে কারিগরি মূল্যায়নের কাঠামো ও পরিধি সম্পর্কে অবহিত করা হয়, যা বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এবং ২০০৫ সালে জাতিসংঘে অনুমোদিত আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণের নীতিমালার ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল। উল্লেখ্য, আইআরআই এবং এনডিআই হলো নির্দলীয় বেসরকারি সংস্থা যা বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং অনুশীলনকে সমর্থন ও শক্তিশালী করে। ইনস্টিটিউটগুলো গত ৩০ বছরে ৫০টিরও বেশি দেশে সম্মিলিতভাবে ২০০টিরও বেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৭

বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকে সহিংসতা পরিহারের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের 
বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকে সহিংসতা পরিহারের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সব সহিংসতার ঘটনা স্বচ্ছভাবে তদন্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে সরকারের প্রতি।   বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে এ আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই ব্রিফিংয়ের তার বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। আরও পড়ুন : এখনও নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে পাঁয়তারা চলছে : ওবায়দুল কাদের   বাংলাদেশ প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেছেন, 'বিরোধীদলের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে যেভাবে জেলে আটকে রাখা হয়েছে তা নিয়ে এখনও আমরা উদ্বিগ্ন। অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের মতো নির্বাচন নিয়ে আমাদের মন্তব্য হচ্ছে- এই নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু হয়নি।' বিএনপির নির্বাচন বর্জনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, সব দল এতে অংশ না নেওয়ায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। এছাড়া নির্বাচনের সময় এবং নির্বাচনের কয়েক মাস আগে থেকে সহিংসতার নিন্দা করছি আমরা। মিলার এরপর বলেন, আমরা এখন সহিংসতার ঘটনাগুলোর বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করছি। একইসঙ্গে সহিংসতা পরিহার করার জন্য সেখানকার সব দলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:২২

বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ক্ষতিকর : জয়
পরিবহনের অগ্নিসংযোগ ও ট্রেন লাইনচ্যুত করে বিএনপি-জামায়াতের সৃষ্ট সহিংসতা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের নেতৃত্ব দেওয়া সজীব ওয়াজেদ জয়। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) এক্স-এ (সাবেক টুইটার) এক স্ট্যাটাসে তিনি এই কথা বলেন।     সংবাদমাধ্যমের খবরের বরাত দিয়ে সজীব ওয়াজেদ বলেন, গত ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতায় চারশোর বেশি ক্রুড বোমা সরবরাহ করেছেন মুকিত ওরফে মাওলানা।  নির্বাচন বানচাল ও ভোটারদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করতে দলটি এসব কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিচ্ছে। অগ্নিসংযোগ, রেললাইন উপড়ে ফেলা বিএনপির তথাকথিত গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য বলেও উল্লেখ করেন সজীব ওয়াজেদ। গত ২০ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ককটেল বিস্ফোরণের নেপথ্যের কারিগর হিসেবে আটক হয়েছেন মুকিত ওরফে মাওলানা। তাকে কারা এ হামলা করতে বলেছিল সেসব তিনি জানিয়েছেন।  যদিও এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নিজেদের কর্মীরা জড়িত নয় বলে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির নেতারা। বিশ্ববাসীকে ধোঁকা দিতে বিএনপি নেতা রিজভী এক টুইটে দাবি করেন, এসব সহিংসতায় তাদের দলের নেতাকর্মী জড়িত নয়। সজীব ওয়াজেদ লিখেন, বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী ও অন্যরা বিশ্বকে বোকা বানাতে প্রতিদিন অস্বীকারের নাটক মঞ্চস্থ করছেন।  রিজভী বাসে হামলায় বিএনপি জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলেও সংবাদমাধ্যমে রিজভীর নেতৃত্বে ৩০ জনেরও কম নেতাকর্মীর মিছিল থেকে চলন্ত বাসে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায়।  রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও মানবাধিকার কর্মীরা রিজভীর মিথ্যাচারের নিন্দা জানিয়েছেন। How BNP Senior Leaders Hired Professional Bomb Makers to Inflict Violence and Intimidate Voters What the world should know about @bdbnp78 @BJI_Official combine efforts in undermining pre-polls climate. This video includes some evidences published in several #Bangladeshi… pic.twitter.com/MCegXGhdaQ— Sajeeb Wazed (@sajeebwazed) December 31, 2023   নিজের ভেরিফাইড এক্স অ্যাকাউন্টে ভিডিও পোস্ট করে সজীব ওয়াজেদ লিখেন, মুকিতকে কারা নিয়োগ করেছে, তার সঙ্গে কাদের সখ্যতা সেটি এখানে দেখা গেছে। বিএনপি নেতৃত্বের মিথ্যাচারেরও প্রমাণ এটি। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশের জন্য এই সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডকে ক্ষতিকর মনে করবে কি না বলেও প্রশ্ন রাখেন তিনি। এর আগে, ঢাকায় বিস্ফোরক দ্রব্যসহ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দুই কর্মী আটক হলে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের কোনো প্রতিক্রিয়া না আসায় প্রশ্ন তুলেছিলেন সজীব ওয়াজেদ।  রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও মানবাধিকার কর্মীরা বিএনপির নেতৃত্বের ঘুষ, দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদ প্রশ্রয় দেওয়া এবং রাজনৈতিক বিরোধী নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা করা দলের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়