• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ইসরায়েল–ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টে বিল পাস
ইসরায়েল ও ইউক্রেনকে সামরিক ও মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের প্রতিনিধি পরিষদে বিল পাস হয়েছে।  স্থানীয় সময় শনিবার (২০ এপ্রিল) ভোটাভুটির পর এসব বিলে অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। ভোটাভুটিতে বিলটির পক্ষে ভোট পড়েছে ৩১১টি। বিপক্ষে ১১২ ভোট পড়েছে। ইউক্রেনের জন্য পাস হওয়া বিলটিতে দেশটিকে ৬১ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলের জন্য পাস হওয়া বিলটিতে দেশটিকে ২৬ দশমিক ৪ ডলারের সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর আওতায় ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো, মানবিক কার্যক্রমে সহায়তা করবে জো বাইডেন প্রশাসন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ সহায়তা প্রস্তাব নিয়ে চাপের মধ্য ছিলেন। এখন প্রতিনিধি পরিষদে বিল পাসের ঘটনায় বাইডেনের বড় বিজয় হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকদের অনেকে। বিল দুটি বাস্তবায়নে এখন মার্কিন সিনেটের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। শিগগিরই তা সিনেটে তোলা হবে। সেখানে বিল দুটি পাস করার জন্য সিনেটরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাইডেন। এর পরই বাইডেন বিলে সই করবেন। এর ফলে তা আইনে পরিণত হবে। তখন ইসরায়েল ও ইউক্রেনকে সামরিক ও মানবিক সহায়তা দিতে বাইডেন প্রশাসনের সামনে আর কোনো বাধা থাকবে না। এদিকে শনিবার (২০ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টে পাস হওয়া বিদেশী সহায়তা প্যাকেজের মধ্যে আরও রয়েছে-তাইওয়ানসহ এশিয়া-প্যাসিফিকের মিত্রদের জন্য "কমিউনিস্ট চীনের বিরুদ্ধে" অর্থায়নে ৮  দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার। সূত্র : বিবিসি
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৮

ইসরায়েলকে সহায়তা প্রসঙ্গে যা জানাল সৌদি আরব
ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে ইসরায়েলকে রক্ষায় সৌদি আরব কাজ করেছে। এমনটাই দাবি করেছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কেএএন নিউজ। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে সৌদি আরবের একাধিক সূত্র। সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, সৌদি আরবের সরকারি একটি ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে একদিন আগে ওই খবর প্রকাশ করে ইসরায়েলের সংবাদ মাধ্যম। খবরে বলা হয়, ইরানের আক্রমণ থেকে ইসরায়েলকে রক্ষার জন্য প্রতিরক্ষা জোটে অংশ নিয়েছে সৌদি আরব। তবে এই তথ্য অস্বীকার করেছে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সূত্রগুলো। কেএএন নিউজ জানায়, সৌদি আরব মনে করে, গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে ইরান এই সংঘাতে ফায়দা তোলার পরিকল্পনা করছে এবং সম্প্রতি যে হামলা তেহরান পরিচালনা করেছে, তা সেই পরিকল্পনার অংশ। আর সৌদির একাধিক সূত্র জানায়, ইরানের হামলা ঠেকাতে সৌদির অংশগ্রহণ সম্পর্কে যে ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, আসলে সৌদি আরবের এমন কোনো সরকারি ওয়েবসাইটই নেই। উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে আইআরজিসির দুই শীর্ষ কর্মকর্তাসহ প্রাণ হারান ইরানের সাতজন সামরিক কর্মকর্তা। সেই হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ‘ট্রু প্রোমিজ’ নামে অভিযানের আওতায় এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইসরায়েলের অপরাধের শাস্তি দিতেই এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে আইআরজিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আর ইসরায়েলের দাবি, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র গুলো ইসরাইলের আকাশসীমায় পৌঁছানোর আগেই ভূপাতিত করা হয়েছে। ৯৯ শতাংশ হামলাই প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ইরান বলছে,হামলায় ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমান ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে। ইরান এই হামলার পর আপাতত ইসরায়েলে আর আক্রমণ চালাবে না বলে বিশ্ব নেতাদের জানিয়ে দিয়েছে। একইসঙ্গে ইরানের স্বার্থের ওপর নতুন করে কোনো ধরনের আগ্রাসন চালানো হলে তাৎক্ষণিকভাবে তার কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলে হুঙ্কার দিয়েছে তেহরান। সূত্র : আল-আরাবিয়া, আরব নিউজ, রয়টার্স
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৪

ইসরায়েলকে সহায়তা করায় উত্তাল জর্ডান
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ৩০০টির বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান কিন্তু সেগুলো ইসরায়েলে পৌঁছানোর আগে অনেকগুলো ভূপাতিত করে জর্ডান। আর এতেই সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে দেশটির জনগণ। তবে জর্ডান সরকার জানিয়েছে, আত্মরক্ষার জন্য এটি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ডয়েচে ভেলে। সরায়েলের পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে জর্ডানও ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ভূপাতিত করার দায়িত্ব নিলেও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে জর্ডান সরকার জানিয়েছে আত্মরক্ষার জন্য এটি করা হয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়, কারণ এগুলো আমাদের জনগণ ও জনবহুল এলাকার জন্য হুমকিস্বরূপ ছিল। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জর্ডানের নাগরিকরা তাদের সরকারের এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছেন। জর্ডানের রানিসহ প্রতি পাঁচজনের একজন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত। হুসেইন নামে দেশটির একজন রাজনৈতিক অ্যাক্টিভিস্ট বলেন, জর্ডান যেভাবে ইসরায়েলকে রক্ষা করেছে তাতে আমি খুবই বিরক্ত। বিপদের আশঙ্কা থাকায় তিনি তার পুরো নাম উল্লেখ করতে চাননি। এখানকার অনেকেই এটা মেনে নিচ্ছে না। আমরা ইরানকে সমর্থন করি না এবং গাজায় এখন যা ঘটছে তার পেছনে ইরানের বড় ভূমিকা আছে বলে মনে করি৷ কিন্তু গাজায় ইসরায়েলের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে এমন যে-কোনো পদক্ষেপের সঙ্গে আমরা আছি। মারিয়াম নামে আম্মানের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বলেন, জর্ডানে ইরানের জনপ্রিয়তা নেই। কিন্তু আমি ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র জর্ডানের বাধা দেওয়া ও অনিচ্ছাকৃতভাবে এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া প্রত্যাখ্যান করি। আম্মানের সামরিক বিশ্লেষক মাহমুদ রিদাসাদ ডিডাব্লিউকে বলেন, সপ্তাহান্তে যে ঘটনা ঘটেছে তাকে ‘কখনও ইসরায়েলকে রক্ষার জন্য করা হয়েছে তেমনটা বলা যাবে না, বরং জর্ডানের সার্বভৌমত্ব এবং আকাশসীমা রক্ষার জন্য করা হয়েছে'৷ কারণ, ড্রোন বা মিসাইল কোথায় পড়বে তা জানা যায় না বলে মন্তব্য করেন তিনি৷ এদিকে জর্ডান সহায়তা করেছে বলে ইসরায়েলের গণমাধ্যমে খুশির খবর প্রকাশ সম্পর্কে রিদাসাদ বলেন, এটা ইসরায়েলের প্রোপাগান্ডা ছাড়া কিছু নয়। ব্রাসেলসভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ফিলিস্তিন বিষয়ক বিশ্লেষক তাহানি মুস্তফা ডিডাব্লিউকে জানান, সপ্তাহান্তের ঘটনা নিয়ে জর্ডানের নাগরিকেরা বিভক্ত৷কারণ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সঙ্গে জর্ডানের অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্পর্ক নিয়ে মানুষ বিস্তারিত জানে না, কারণ এসব বিষয় নিয়ে এখানে বেশি লেখা হয় না। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও জর্ডানের মধ্যে একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সই হয়েছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে জর্ডানের সংসদের অনুমোদন নেওয়া হয়নি বলে সমালোচনা রয়েছে। এই চুক্তির আওতায় মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্য, পরিবহন ও বিমান বাধা ছাড়াই জর্ডানে ঢুকতে ও ঘুরে বেড়াতে পারবে৷ গাজা নিয়ে আম্মানে বিক্ষোভ শুরুর পর অনেকে জর্ডান থেকে মার্কিনিদের তাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলতে শুরু করেন বলে ডিডাব্লিউকে জানান মুস্তফা। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আম্মানে ইসরায়েলের দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়ে কয়েক হাজার স্থানীয় মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। তারা ১৯৯৪ সালে ইসরায়েল ও জর্ডানের মধ্যে সই হওয়া শান্তি চুক্তি বাতিলেরও আহ্বান জানান।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪৫

ঘানি টেনে তেল বের করা সেই দুদু মিয়া পেলেন গরু সহায়তা
বগুড়া সারিয়াকান্দির ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের ছাইহাটা গ্রামের বৃদ্ধ দুদু মিয়াকে (৬২) গরু সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেলে এ সহায়তা প্রদান করেছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা কর্নেল জগলুল আহসান।  তিনি এ উপজেলার নারচী ইউনিয়নের বাঁশগাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। দুদু মিয়া ও তার স্ত্রী হালিমা বেগম দীর্ঘ ৯ বছর ধরে নিজেদের কাঁধে জোয়াল নিয়ে তেলের ঘানি টেনে সরিষা থেকে তেল বের করে অনেক কষ্টে সংসার চালাতেন। এ বিষয়ে গত ১৪ মার্চ আরটিভিতে সরাসরি ভিডিও চিত্র প্রকাশ করা হয়। দুদু মিয়ার আগে ছিল গোয়ালভরা গরু এবং বসতভিটাসহ বেশ কিছু কৃষিজমি। বেশ কয়েকবছর আগে তিনি বাঙালি নদী ভাঙনের শিকার হন। সামান্য জমি কিনে ছাইহাটা গ্রামে বসবাস শুরু করেন। গত কয়েকবছর আগে তার একমাত্র নাতনির দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসার জন্য তিনি তার এ ভিটেমাটিও বিক্রি করেন। বিক্রি করেন তার তেলের ঘানি টানা সবগুলো গরু। পরে তিনি নিজেই গরুর বদলে তেলের ঘানির জোয়াল কাঁধে নেন। সারাদিন যা তেল পান তা বাজার বা গ্রামে বিক্রি করে চলতো তার সংসার। এ কাজে তার স্ত্রী হালিমা বেগম তাকে সহযোগিতা করতেন। তিনিও কাঁধে জোয়াল নিয়ে তেলের ঘানি টানতেন। এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সংবাদে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা কর্নেল জগলুল আহসান তাকে একটি গরু কিনে দিয়েছেন এবং তেলের ঘানিটি মেরামত করতে নগদ অর্থ প্রদান করেছেন। বৃদ্ধ দুদু মিয়া বলেন, ‘গরুডা পায়া হামি খুবই খুশি হছি। আল্লাহ যেন কর্নেল সাহেবের ভালোই করেন। আজ থেকে হামার ঘার থেকে জোয়াল নামল। হামার চির ভোগান্তির অবসান হলো। আর হামার নিজের কাঁধে জোয়াল টানা নাগবি নে।’ অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা কর্নেল জগলুল আহসান বলেন, বৃদ্ধ দুদু মিয়াকে এ সহযোগিতা প্রদান করতে পারায় আমিও খুবই খুশি। এতে তার চির কষ্টের অবসান হয়েছে। বেশ কয়েকবছর ধরেই আমি গ্রামের অসহায় মানুষদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।
২০ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫৫

মাটিরাঙ্গায় সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিশেষ মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। শনিবার (১৬ মার্চ) মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে উপজেলার পলাশপুর মহিলা এতিমখানায় এতিমদের মাঝে ইফতার সামগ্রী, দুস্থ ও অসহায় ৬০ পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।  এ ছাড়াও স্থানীয় মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেলাধুলাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম প্রদান করা হয়। মানবিক সহযোগিতা কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাটিরাঙ্গা জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. কামরুল হাসান, জোন উপ-অধিনায়ক মেজর মো. মুরাদ হোসাইন। এ বিষয়ে জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. কামরুল হাসান বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের মানুষের কল্যাণে সর্বাবস্থায় কাজ করে যাচ্ছে। সকল পরিস্থিতিতে বিভিন্ন মানবেতর চাহিদা পূরণের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পাশে আছে। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৭

রোহিঙ্গাদের জন্য ৭৩ কোটি টাকা সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাজ্য
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রো‌হিঙ্গা‌ শরণার্থীদের জন্য অতি‌রিক্ত ৫ দশমিক ২ মি‌লিয়ন পাউন্ড (৭৩.২ কো‌টি টাকা) মানবিক সহায়তা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় রোহিঙ্গাদের জন্য ২০২৪ সালের জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানে (জেআরপি) এ সহায়তার ঘোষণা দেয় যুক্তরাজ্য। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশন।      বৈশ্বিক খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি), আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মাধ্যমে এ সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য ও রান্নার গ্যাস সরবরাহে নতুন এ অর্থ সহায়তা ব্যয় করা হবে বলে জানিয়েছে হাইকমিশন। ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেছেন, কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরের জন্য এ সহায়তার ঘোষণা দিতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। এর মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গাদের খাবার ও রান্নার গ্যাস সরবরাহ করা হবে। তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী ও আক্রান্ত স্থানীয় বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর পাশে সবসময় থাকবে যুক্তরাজ্য। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বাংলাদেশের চেষ্টাকে আমরা স্বাগত জানাই। এ সংকটের একটি স্থায়ী সমাধানেও আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। তবে এর আগ পর্যন্ত আমরা রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা করে যাবো। চলতি বছরের শেষ দিকে রোহিঙ্গাদের জন্য আরও অর্থ সহায়তা ঘোষণা করা হবে বলেও জানান সারাহ কুক। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সাল থে‌কে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং প্রতিবেশী সম্প্রদায়ের জন্য ৩৭৯ মিলিয়ন পাউন্ড মানবিক সহায়তা দিয়েছে।
১৪ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫০

চিকিৎসার জন্য টাকা পাবেন শিক্ষার্থীরা
প্রতি দুইমাস পরপর প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে অর্থ সহায়তা পাবেন দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীরা। মার্চ-এপ্রিল প্রান্তের আবেদন প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের উপবৃত্তি শাখার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন সোহাগের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ষষ্ঠ থেকে স্নাতক ও সমমান শ্রেণিতে অধ্যয়নরত দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত চিকিৎসাধীন অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে এককালীন আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। ‘দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত শিক্ষার্থীদের এককালীন আর্থিক অনুদান প্রদান নির্দেশক, ২০২০’ অনুসরণ করে এ অনুদান দেওয়া হবে। চিকিৎসার অনুদান পেতে শিক্ষার্থীকে এই লিংকে ঢুকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থী প্রতি দুই মাস অন্তর অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তবে একজন শিক্ষার্থী তার চিকিৎসা মেয়াদে একবারমাত্র অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। জানা গেছে, আগামী ৩০ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ষষ্ঠ থেকে স্নাতক ও সমমানের শিক্ষার্থীরা অনুদান পেতে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।  
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৯

জেলেদের খাদ্য সহায়তা বাড়ানোর দাবি সমাজকল্যাণমন্ত্রীর
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে বলতে হয়, জেলেদের মা ইলিশ ও জাটকা রক্ষায় যে সহায়তা দেওয়া হয় সেটি যেন আরও বাড়ানো হয়। এটি ১০ কেজি থেকে বাড়িয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা ৪০ কেজি করেছেন। আর যারা নিবন্ধিত জেলে আছেন, তাদের তুলনায় খাদ্য সহায়তা ১০ ভাগ কম আসে, কিন্তু এটি যেন সবার জন্যই আসে। সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মূলহেডে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে ১১ থেকে ১৭ মার্চ জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৪ উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জেলেদেরকে যে ধরনের উপকরণ দেওয়া হয়, আমি মনে করি এখন সময় এসেছে সেগুলোর উপযোগিতা বিচার বিশ্লেষণ করার। অর্থাৎ তাদেরকে সেলাই মেশিন, বকনা বাচুর দেওয়া হয় এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেগুলোর সাথে আর্থিক সহায়তা ও ঋণের ব্যবস্থাও করা যেতে পারে। মন্ত্রী বলেন, গত নির্বাচনকালীন আমি নদী উপকূলীয় ইউনিয়নগুলোতে যখন গিয়েছি, তখন মৎস্যজীবী ভাইদের মূল দাবি ছিল আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি। আমি বলবো নিশ্চয়ই সকলে করেন না, কোন কোন নৌপুলিশ সদস্য আমাদের মৎস্যজীবী ভাইদেরকে হয়রানি করেন। আবার সব মৎস্যজীবীরাও যে ১৬ আনা আইন মানেন, তাও কিন্তু নয়। কারণ আমরা দেখছি গত ১১ দিনে যে পরিমাণ জেলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় আটক হয়েছেন, আপনারা যদি আইন মানতেন, তাহলে এই পরিস্থিতি হত না। আইন শৃংখলা বাহিনীত আপনাদের বাড়ি থেকে আটক করেনি, নদী থেকে আটক করেছেন। দীপু মনি বলেন, নদীতে এখন আপনাদের নামবার কথা নয়। আমরা যেমন আপনাদের দিকটা দেখব, সরকার যখন আপনার প্রয়োজনের দিকটা দেখবে, তেমনি আপনার ভবিষ্যতের স্বার্থে আইন ও নিয়ম মানতে হবে। সরকার যেসব নিয়ম বেধে দিয়েছেন সেগুলো মাথায় রাখতে হবে। মন্ত্রী বলেন, নিষেধাজ্ঞার আগেও চাঁদপুরের বাজারে জাটকা দেখেছেন অনেকে। নিষেধাজ্ঞার সময়গুলো কিন্তু গবেষণার ভিত্তিতে করা হয়। গবেষণা ছাড়া কিন্তু সরকারের মাথায় আসেনি ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা ধরা বন্ধ থাকবে। এটি দীর্ঘদিনের গবেষণার ফলাফল। কোন সময়ে আমাদের এই নদীতে জাটকার বিচরণ বেশি থাকে, সেই সময়ের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অনেক কিছুর পরিবর্তন এসেছে। গবেষকরাই বলতে পারবেন কি কারণে ফেব্রুয়ারির শুরুতে জাটকা পাওয়া যাচ্ছে। এই সময় যদি পরিবর্তন করা প্রয়োজন হয়, গবেষকরা বললে সরকার সেটিও করবে। যখন জাটকা ধরা নিষিদ্ধ নয়, কিন্তু জেলেরা মাছ ধরবে। সেখানে যদি জাটকা চলে আসে, তখন সেটি বিক্রি হয়, তা প্রতিরোধ করা প্রশাসনের পক্ষে সম্ভব নয়। এটিও আমাদের বুঝতে হবে এবং আইনের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। দীপু মনি বলেন, নিষিদ্ধ জাল ব্যবহারের ফলে মৎস্যজীবী ভাইদেরকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়, এই নিষিদ্ধ জাল যারা উৎপাদন করেন তাদের কয়জনকে ধরা হয় আমি জানতে চাই। আমার জেলে পল্লী ও ইলিশ গ্রামগুলোতে অভিযান চালানো হয়। আমি জানতে চাই মুন্সীগঞ্জ, নারায়নগঞ্জে এসব জালগুলো উৎপাদিত হয়, সেসব কারখানায় কতগুলো অভিযান চালানো হয়েছে, কতজন অবৈধ জাল উৎপাদনকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সাজা দেওয়া হয়েছে। আমাদের কিন্তু আসল গোড়ার জায়গাটা ধরতে হবে। নিষিদ্ধ জাল যদি উৎপাদনই না হয়, তাহলে এই জাল ব্যবহারও হবে না। উৎপাদন বন্ধ হলে ব্যবহার এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে। সুতরাং যার যেখানে সুযোগ রয়েছে সেখান থেকে এই জাল উৎপাদন বন্ধে কাজ করব। মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যে দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন, সেখানে তিনি বলেছেন মৎস্যই আমাদের একটি বড় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সম্পদ। আজকে তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাই হয়েছে। আমাদের মৎস্য এখন বড় রপ্তানি পণ্য। আমরা আশাকরি এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের আরও বড় সুযোগ রয়েছে।  দীপু মনি বলেন, আমাদের যে সমস্যা রয়েছে তার মধ্যে নদীর নাব্যতা নষ্ট হচ্ছে, নদী দূষণ হচ্ছে। এইগুলো দূর কতে হবে। নদীর নাব্যতা বজায় রাখার ব্যবস্থা করতে হবে, নদীর দূষণ বন্ধ করতে হবে। চাঁদপুর-শরীয়তপুর যে সেতুর প্রস্তাব, সেটি আমরা বিকল্প প্রস্তাব করেছি। সেখানে সেতু হলে আসলেই নদী বিপন্ন হবে। সম্ভব হলে সেখানে যেন ট্যানেল করা হয়। এই বিষয়টি আমরা প্রধানমন্ত্রী সমীপে আমরা তুলে ধরতে চাই। আজকে যিনি প্রধান অতিথি আছেন তিনিও যেন আমাদের পক্ষ সেই সুপারিশটি করেন। তিনি বলেন, ইলিশ আমাদের জাতীয় গর্ব। এই ইলিশের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখতে এবং উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে সকলের। জেলেরা অনকে সময় আমাকে বলেন আমরা যখন মাছ ধরা থেকে বিরত থাকি তখন খাব কি। আমার কথা হচ্ছে যারা কৃষক তারা তাদের ফসল উৎপাদনের জন্য ৩ মাস বা কম বেশি সময় নিতে হয়। তারপর ফলন হয়। এই সময়টা তার পূর্বে সঞ্চিত অর্থ ব্যয় করেন। জেলে ভাইদেরকে বছরের অন্য সময় উপার্জিত অর্থ সঞ্চয় করে রাখতে হবে বিপদের সময়ের জন্য। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন এবং জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহমান এমপি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য দেন-মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর। সম্মানিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারী, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি মো. শাহাদাত হোসেন শান্ত ও জেলা মৎস্যজীবী লীগ নেতা শাহ আলম মল্লিক। অনুষ্ঠান শেষে শহরের মোলহেড থেকে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিসহ সংশ্লিষ্টদের অশংগ্রহণে মেঘনা নদীতে নৌর‌্যালি বের হয়। র‌্যালিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ শত শত মৎস্যজীবী অংশগ্রহণ করেন।
১১ মার্চ ২০২৪, ২১:৩৭

অবৈধ চিকিৎসা ব্যবস্থা বন্ধে জনপ্রতিনিধিদের সহায়তা চান স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভুয়া চিকিৎসক ও অবৈধ চিকিৎসা বাণিজ্য বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনসহ সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের সহায়তা চান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানরা এ বিষয়গুলো নিজেরা পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিলে ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হবে। আমাদের পক্ষে সারাদেশের গ্রামে-গঞ্জে অভিযান চালানো সম্ভব না। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওসমানী মেডিকেলে আমি আগেও এসেছি। তবে আজকে এসেছি অন্য একটি দায়িত্ব নিয়ে। যা দেখলাম তাতে খানেও মাটিতে রোগী। সব হাসপাতালগুলোয় যে অবস্থা, ওসমানী হাসপাতালেও একই অবস্থা।  তিনি বলেন, গতকাল (বুধবার) সিলেট বিভাগের সব টিএইচএফপিও (উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা) ও সুপারিনটেনডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি। যেসব সমস্যা চিহ্নিত করতে পেরেছি, সেটি হচ্ছে জনবলের খুব অভাব। বিভিন্ন উপজেলায় আমরা যদি ঠিকমতো কনসালট্যান্ট দিতে পারি, তাহলে উপজেলা পর্যায়ে ভালো কাজ হবে। মাটিতে রোগী শুয়ে থাকবে না—এ লক্ষ্যেই কাজ শুরু করব। এক দিনে পারব না; পর্যায়ক্রমে এগুলোর সমস্ত সমাধান করার চেষ্টা করব। হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওসমানী মেডিকেল কলেজের সম্মেলনকক্ষে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সিলেটের সব মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এবং মেডিকেল কলেজের বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৭:০০

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পর্যাপ্ত অর্থ দেবে জাতিসংঘ 
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় চলমান অর্থবছরে দেশের ২৪টি মন্ত্রণালয়ের ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু এই অর্থ পর্যাপ্ত নয়, আরও অর্থায়ন প্রয়োজন। আর এ সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশকে পর্যাপ্ত অর্থ দিয়ে সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছে জাতিসংঘ। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পরীবাগে নিজ বাসভবনে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। এ সময় জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে জলবায়ু সংক্রান্ত ক্ষতির টাকা কীভাবে আনা যায় তা নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক কোঅর্ডিনেটর গোয়েন লুইসও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ কীভাবে আন্তর্জাতিক অর্থ সহায়তা পাবে তা নিয়ে পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তার। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলার উপায়, অভিযোজন ও প্রশমনে বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করবে জাতিসংঘ। বাংলাদেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, এডভোকেসি, বন্যা মোকাবিলা, কমিউনিটি এডাপটেশনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতিসংঘ বাংলাদেশের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক। বৈঠকে জীববৈচিত্র্য হ্রাস এবং প্লাস্টিক দূষণের মতো গুরুতর পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা নিয়েও আলোচনা হয়।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:০১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়