• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সামরিক সহযোগিতা বাড়াতে জাপান-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক
হোয়াইট হাউসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে স্বাগত জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনা হুমকি মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেয়া হতে পারে এ সাক্ষাতে৷ মঙ্গলবার রাতে হোয়াইট হাউসে জাপানের সরকারপ্রধানকে স্বাগত জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট৷ এর মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের যুক্তরাষ্ট্র সফর শুরু করলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা৷ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীন এবং উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে পাওয়া হুমকি মোকাবিলায় জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা করবেন দেশ দুটির দুই শীর্ষ নেতা৷ ধারণা করা হচ্ছে, ১৯৬০ সালের পর সামরিক খাতে এবারই ওয়াশিংটন ও টোকিওর মধ্যে বড় ধরনের অগ্রগতি দেখা যাবে৷ হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান জানিয়েছেন, এই দুই নেতা আমাদের সামরিক বাহিনীর সমন্বয় ও একীকরণের বিষয়ে নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়ানোর ঘোষণা দেবেন বলে আশা করছি৷ কিশিদার সফরে যা থাকছে স্ত্রী ইউকোকে নিয়েই যুক্তরাষ্ট্র সফরে এসেছেন কিশিদা৷ তাই হোয়াইট হাউসে তাদের স্বাগত জানানোর সময় প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে দেখা গেছে ফার্স্ট লেডি জিলকেও৷ বুধবার রাষ্ট্রীয় নৈশভোজের আগে জিল বাইডেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের দেশগুলো এমন একটি বিশ্বের অংশীদার যেখানে আমরা ধ্বংসের বদলে সৃষ্টি, রক্তপাতের পরিবর্তে শান্তি এবং স্বৈরাচারের বদলে গণতন্ত্রকে বেছে নিই৷ বুধবার দেশ দুটির মধ্যে শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে৷ এরপর বৈঠকে বসবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী৷ বৈঠক শেষে রোজ গার্ডেনে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আসবেন দুই নেতা৷ বৃহস্পতিবার জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং ফিলিপাইনসের মধ্যে একটি শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবেন জো বাইডেন৷ সেখানে উপস্থিত থাকবেন ফিলিপাইনসের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস৷ প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের পর দ্বিতীয় জাপানি নেতা হিসাবে মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেবেন কিশিদা৷ এরপর তিনি যোগ দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে বিশেষ নৈশভোজে৷ গত বছরের আগস্টে সবশেষ যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন কিশিদা৷ সেবার সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল৷ গত মাসে জাপানের নিপ্পন স্টিলের কাছে ইউএস স্টিল বিক্রির বিরোধিতা করেছিলেন বাইডেন৷ এ ঘটনায় কিশিদার সঙ্গে তার সম্পর্কের কিছুটা অবনতি হতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল৷ যা এখন সম্পূর্ণ বদলে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫০

‘স্কাউটিংকে এগিয়ে নিতে সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে’ 
স্কাউটিংকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ৮ এপ্রিল দেশব্যাপী স্কাউটস দিবস উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এ উপলক্ষে স্কাউটস সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। দিবসটির এবারের থিম ‘স্মার্ট স্কাউটিং, স্মার্ট সিটিজেন’ যা সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্কাউটস প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি সহপাঠ্যক্রম হিসেবে স্কাউটিংয়ের মাধ্যমে সৎ, যোগ্য, দক্ষ ও আদর্শ নাগরিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রশংসনীয় কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে ১৯৭২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ স্কাউটসকে সরকারি স্বীকৃতি প্রদান করেন। তার অনুপ্রেরণা এবং উদ্যোগের ফলে ১৯৭৪ সালের ১ জুন ১০৫তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ স্কাউটস বিশ্ব স্কাউট সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে। জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ স্কাউটস’র বিস্তৃতি এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম অর্জনে বঙ্গবন্ধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। সরকারপ্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার স্কাউটিংয়ের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশে স্কাউটিং সম্প্রসারণ ও স্কাউট শতাব্দী ভবন নির্মাণ প্রকল্প’ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আমরা ৪৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘সিলেট অঞ্চল ও মৌলভীবাজার জেলা স্কাউট ভবন নির্মাণ প্রকল্প’ এবং ৪৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘আঞ্চলিক স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, লালমাই উন্নয়ন প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করছি। ‘রোভার স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বাহাদুরপুর’ এর উন্নয়নে ইতোমধ্যে ৪৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছি। চট্টগ্রামে রোভার স্কাউটদের জন্য একটি অ্যাডভেঞ্চার ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণের জন্য ১৮৮ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৩৫৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে কাব স্কাউটিং সম্প্রসারণ (৪র্থ পর্যায়) প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুটি করে স্কাউট দল গঠন এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীরা যেন স্কাউট প্রশিক্ষণ পায় তার জন্য আমি নির্দেশনা প্রদান করেছি। শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শিশু-কিশোর, যুবকদের প্রযুক্তি জ্ঞাননির্ভর দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। আমি আশা করি, বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রত্যেক সদস্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলাদেশ’ তথা জ্ঞানভিত্তিক ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সূত্র : বাসস
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২০

বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বাড়াতে ভারত ও নেপালকে প্রস্তাব পাঠিয়েছে বাংলাদেশ 
ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে এ খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে সরকার। সেই লক্ষ্যে বিদ্যুৎ খাতে পারস্পারিক সহযোগিতা বাড়াতে চুক্তি সম্পাদনের জন্য প্রতিবেশী ভারত ও নেপালের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ইতোমধ্যে।  শনিবার (৩০ মার্চ) ঢাকায় অবস্থিত নেপাল দূতাবাসে ‘প্রি-ইভেন্ট সেমিনার অন দ্য থার্ড নেপাল ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৪’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে সীমানা অতিক্রম করে লাভজনক অংশীদারত্ব গড়ে তোলা সম্ভব উল্লেখ করে তিনি এ সময় বলেছেন, যৌথ প্রয়াসের মাধ্যমে আমাদের এই অঞ্চলের সম্ভাবনা দ্রুতই কাজে লাগানো যাবে। টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর একত্রে কাজ করা অপরিহার্য। প্রতিমন্ত্রী এরপর বলেন, বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ-ভারত-নেপালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি আবশ্যক। আলোচনা চলছে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ভারত ও নেপালের কাছে। বর্তমানে ভারত থেকে প্রায় ২ হাজার ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশ প্রথম বিদ্যুৎ আমদানি করে। এখন প্রায় ২ হাজার ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশের ভেড়ামারায় এইচভিডিসি সাব-স্টেশনের অব্যবহৃত সক্ষমতার মাধ্যমে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত। নেপালের ন্যাশনাল ইলেকট্রিক অথরিটি (এনইএ) এবং বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) মাঝে ট্যারিফ নির্ধারণ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, নেপাল ও ভারতে বিদ্যুৎ বিক্রির সুযোগ রেখে নেপালের সুঙ্কোশি-৩ প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। ইতোমধ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে আরও এগিয়ে যাওয়ার আলোচনা চলমান রয়েছে। জিএমআর প্রকল্পে ভারতীয় কোম্পানির যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানির বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে সঞ্চালন লাইন তৈরি করা গেলে বিদ্যুৎ আমদানির সঙ্গে রপ্তানিও করা যাবে বলে মনে করেন প্রতিমন্ত্রী। নেপালের বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট তাদের প্রকৌশলীদের মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ দিতে পারে উল্লেখ করে নসরুল হামিদ আরও বলেন, সোলার পাওয়ার প্লান্ট ও সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনে বাংলাদেশ নেপালকে সহযোগিতা করতে পারে। বাংলাদেশের বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা নেপালের বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক। তাদের উৎসাহিত করতে নেপালের বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করা উচিত। প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি এ সময় বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নেপালে বিনিয়োগের পরিবেশ আরও উদার ও ব্যবসাবান্ধব করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার নেপালের অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রথমবারের মতো এই দুই দেশ পরিবেশবান্ধব জলবিদ্যুৎ বাণিজ্যের পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এ সময় অন্যদের মধ্যে নেপাল ইনভেস্টমেন্ট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুশীল ভাটও বক্তব্য রাখেন।  
৩১ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫৬

উন্নয়নে ঢাকা-থিম্পু একযোগে কাজের তাগিদ রাষ্ট্রপতির
আঞ্চলিক সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ভুটানের যৌথ সমন্বয় ও উদ্যোগের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেছেন, দুই দেশ নিজ নিজ দেশের সম্ভাবনা ও অগ্রাধিকারকে কাজে লাগিয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে পারে।  বাংলাদেশ সফররত ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার সময় রাষ্ট্রপ্রধান এসব কথা বলেন। বঙ্গভবন থেকে জানানো হয়, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইতিবাচকভাবে বিকশিত হচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিদ্যুৎ, সংযোগ, কৃষি, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ এবং পর্যটন খাতেও দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র চমৎকারভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রপ্রধান সার্ক, বিমসটেক, এসএসইসি এবং বিবিআইএন-এর মতো আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সহযোগিতার ক্ষেত্রে ভুটান ও বাংলাদেশের সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেন। ৫৪তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির বিশেষ আমন্ত্রণে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক ও রানি জেটসুন পেমা এখন চারদিনের সরকারি সফরে ঢাকায়।  আমন্ত্রণ গ্রহণ করে ঐতিহাসিক মার্চ মাসে বাংলাদেশ সফরের জন্য রাষ্ট্রপতি ভুটানের রাজার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধন গভীর ও ঐতিহাসিক উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান দু’দেশের অভিন্ন ইতিহাস, ভৌগোলিক নৈকট্য, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য, জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে দুই সরকারই যৌথভাবে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম দেশ হিসেবে ভুটানের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন এবং কৃতজ্ঞ চিত্তে বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ভুটানের প্রতি কৃতজ্ঞ। ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ও সংস্কৃতিসহ সামাজিক বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তিনি তার দেশের সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের উল্লেখ করেন এবং গণতন্ত্রের চর্চা ও বিকাশের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। ভুটানের রাজা বাংলাদেশ উৎপাদিত তৈরি পোশাক, সিরামিক ও ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্যের গুণগতমানের প্রশংসা করেন এবং দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  তিনি শিক্ষা, সংস্কৃতি, যোগাযোগ ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপারেও আগ্রহ ব্যক্ত করেন। বৈঠকে ভুটানের পক্ষে অন্যান্যদের মধ্যে সেদেশের শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী নামগিয়াল দরজি, পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী ডিএন ধুংগেল এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী তান্ডিন ওয়াংচুক উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং সংশ্লিষ্ট সচিবরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে ভুটানের রাজা ও রানি বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ভুটানের রাজাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এবং রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ভুটানের রানি জেটসুন পেমাকে আরেকটি ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান।
২৭ মার্চ ২০২৪, ০২:০৮

‘বাংলাদেশে বৈশ্বিক গণমাধ্যম তৈরিতে সহযোগিতা করবে কাতার’
বাংলাদেশের গণমাধ্যমের উন্নয়নে ও বৈশ্বিক গণমাধ্যম তৈরিতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে কাতার। স্থানীয় সময় শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ওআইসি সদস্য দেশগুলোর তথ্যমন্ত্রীদের ইসলামিক সম্মেলনের সাইডলাইনে কাতার মিডিয়া করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকতা শেখ আবদুল আজিজ বিন থানি আল-থানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।  সাক্ষাতে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের উন্নয়নে এবং বৈশ্বিক গণমাধ্যম তৈরিতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন শেখ আবদুল আজিজ বিন থানি আল-থানি। আল জাজিরার মতো বৈশ্বিক গণমাধ্যম তৈরির অভিজ্ঞতার আলোকে কীভাবে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র গড়ে তোলা যায় তা নিয়ে দুই জনের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। এ সময় গণমাধ্যম সেক্টরে দু’দেশের মধ্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ব্যাপারেও তারা একমত পোষণ করেন।  এর মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও উন্নয়ন ঘটবে বলেও তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সূত্র : বাসস
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩০

বাংলাদেশি তরুণদের সহযোগিতা বাড়াতে চায় রাশিয়া
রাশিয়া বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীদের আরও সহযোগিতা বাড়াতে চায় বলে জানিয়েছেন রাশিয়ান হাউসের মস্কোর প্রধান কার্যালয়ের উপ-প্রধান পাভেল সেভেস্তোভ। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় জাদুঘর, রাশিয়ান ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি উইথ বাংলাদেশ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একাডেমির সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘রোল অব রোসোত্রুদ ইন এডুকেশন, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইয়োথ অ্যাকটিভিটি’ শিরোনামে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীদের কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া যায়, তা জানতেই আমি ঢাকা সফরে এসেছি। বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে আমাদের অনেক সফলতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তরুণদের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে পারি। শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা রাশিয়ায় পড়াশোনা করছেন। রাশিয়ায় পড়াশোনার প্রতি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহও দিন দিন বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন পাভেল সেভেস্তাভ। বিজ্ঞানে বাংলাদেশি তরুণদের তৎপরতা বাড়ানোর প্রতি জোর দিয়ে তিনি বলেন, বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তরুণদের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে চায় রাশিয়া। বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে রাশিয়ার উন্নয়নে বাংলাদেশি তরুণরাও যুক্ত হতে পারবে। এ জন্য অর্থায়ন করা হবে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কোনো স্কলারশিপের ব্যবস্থা রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থীদের যেসব স্কলারশিপ রয়েছে, সবগুলোই বিশেষ। বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া রাশিয়ায় যেসব শিক্ষার্থী পড়তে যান, তাদেরও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হয়। বর্তমানে অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও কিছুটা সমস্যায় রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ সুবিধা রয়েছে। রাশিয়ান হাউসের উপ-প্রধান বলেন, বাংলাদেশের দীর্ঘ ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে। রাশিয়ার জনগণ তা জানে। আমাদের ইতিহাসও অনেক বিশাল। শিল্প-সংস্কৃতিতে অনেক খ্যাতি রয়েছে। সাংস্কৃতিক ভাবে দুদেশের বোঝাপড়া অনেক ভালো এবং সেটা অব্যাহত রাখা দরকার। বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যকার অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও বাড়বে বলে আশা করছি। আমাদের দুদেশের অংশীদারিত্বও বন্ধুত্বপূর্ণ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধ একাডেমী ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। শেষে বাংলাদেশী শিল্পীরা অনুপ্রেরণামূলক দেশাত্মবোধক গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।  
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৯

‘বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রশাসনকে সহযোগিতা দেবে মন্ত্রণালয়’
বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষ কিংবা অপরাধের ঘটনায় প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সবসময় সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।   রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হওয়ায় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়েগুলোতে সংঘটিত সংঘর্ষ কিংবা অপরাধের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সরাসরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমীচীন হয় না। তবে এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগী হলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সবসময় সহযোগিতা প্রদান করা হবে।    তিনি বলেন, দেশের কতিপয় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরাজমান অচলাবস্থা নিরসনে ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রচলিত আইনের আওতায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অপরাধীর কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। তাই অপরাধী যে দলেরই হোক দেশের প্রচলিত আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে তার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।   অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো, আনোয়ার হোসেন এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউজিসি’র চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। এ সময় ইউজিসি’র সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের এবং অধ্যাপক ড. হাসিনা খান উপস্থিত ছিলেন। 
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৮

ব্যবসা খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে বাংলাদেশ-কানাডা : স্পিকার
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে বাংলাদেশ ও কানাডা।  সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) তার কার্যালয়ে কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার খলিল রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন।   সাক্ষাতে তারা দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্য, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। স্পীকার বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুই দেশের সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের পারস্পরিক সফর বিনিময়ের মাধ্যমে কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বৃদ্ধি করা যেতে পারে।  কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার খলিল রহমান বলেন, বর্তমানে কানাডাতে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানি আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।  এসময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে স্পিকারকে অবগত করেন।  এসময় জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।   
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৫৪

পোশাক শিল্পের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা
পোশাক রপ্তানিতে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রভাবসহ নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে এই খাতের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা চেয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সঙ্গে সংগঠনটির একটি প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ সহযোগিতা চান। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি টিপু মুনশি, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, বিজিএমইএর বর্তমান বোর্ডের প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি এস এম মান্নান (কচি), সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, মো. নাসির উদ্দিন, মিরান আলী, রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক ব্যারিস্টার শেহরিন সালাম ঐশী, ব্যারিস্টার ভিদিয়া অমৃত খান ও নীলা হোসনে আরা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পঞ্চম মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের জন্য শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান বিজিএমইএ প্রতিনিধি দল। এ সময় বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান তৈরি পোশাক শিল্পের অগ্রগতি, বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, পরিবেশগত সাসটেইনেবিলিটি এবং শ্রমিকদের কল্যাণে যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে, সে সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের যে নির্দেশনা দিয়েছেন তার উপর শিল্পের জোর প্রদান করে উচ্চমূল্যের পণ্যে যাওয়ার মাধ্যমে পণ্য বৈচিত্র্যকরণে বিজিএমইএ’র প্রতিশ্রুতিও তিনি তুলে ধরেন। প্রতিনিধি দলটি অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধির বিষয় উল্লেখ করে রপ্তানির নতুন বাজার অনুসন্ধানে বিজিএমইএর গৃহীত উদ্যোগগুলো সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। বিজিএমইএ সভাপতি প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্ব বাণিজ্য এবং বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রভাবসহ পোশাক শিল্পের বর্তমান প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো সম্পর্কে অবহিত করেন। এ ছাড়া কোভিডকালে পোশাক শিল্পে প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী উদ্যোগ এবং নীতি সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিজিএমইএ নেতারা। পাশাপাশি শিল্পের প্রবৃদ্ধির গতি অব্যাহত রাখতে নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহসহ পোশাকখাতের সম্মুখ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় সরকারের নীতি সহায়তাগুলো অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে, যেখানে তৈরি পোশাক শিল্প দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে বিজিএমইএ মনে করে।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৯

ইন্দোনেশিয়ায় পোশাক রপ্তানি বাড়াতে সহযোগিতা চাইলো বিজিএমইএ
ইন্দোনেশিয়ার বাজারে পোশাক রপ্তানি বাড়াতে দেশটির কাছে সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ান রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ সহযোগিতা চান বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।     তিনি বলেন, পারস্পরিকভাবে লাভজনক অংশীদারত্বের সম্ভাবনার ওপর জোর দিয়ে বাংলাদেশে ম্যানমেইড টেক্সটাইল খাতে ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করুন। সেদেশের বাজারে পোশাক রপ্তানি বাড়াতে শিল্পের আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক বলেন, পোশাকের বৈচিত্র্যকরণ, বিশেষ করে ম্যানমেইড ফাইবার ব্যবহার করে উচ্চমূল্যের পোশাক উৎপাদনে মনোযোগ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ। ইন্দোনেশিয়া থেকে সেটা আমদানি করতে পারে এ দেশ। বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) এবং ইন্দোনেশিয়ান ফ্যাশন ইনস্টিটিউটের মধ্যে সহযোগিতা প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রদূতকে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। যার উদ্দেশ্য হলো ফ্যাশন ডিজাইন, পণ্য উন্নয়ন, প্রযুক্তি এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে বিইউএফটির শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়ানো। এ সময় পোশাক ও বস্ত্র খাতের ওপর বিশেষ জোর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেন তারা। আলোচনায় পারস্পারিক বাণিজ্য-সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত ছিল।  পারস্পরিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণরূপে কাজে লাগানোর জন্য একসঙ্গে কাজ করে নতুন উপায় চিহ্নিত করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন দুজনই।  
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়