• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
অবন্তিকার আত্মহত্যা মামলায় সহপাঠী আম্মানের জা‌মিন নামঞ্জুর
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তার মায়ের দায়ের করা মামলায় সহপাঠী রায়হান সি‌দ্দিকী আম্মানের জা‌মিন আবেদন নামঞ্জুর ক‌রে‌ছে কুমিল্লার সি‌নিয়র জুডিসিয়াল ম‌্যাজিস্ট্রেট আদালত। রোববার (২৪ মার্চ) বেলা পৌ‌নে ১২টায় আম্মান সিাদ্দকীর প‌ক্ষে তার আইনজীবীরা জা‌মিন আবেদন ক‌রলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ শুক্রবার রাত ১০ টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরোজ সাদাত অবন্তিকা সহকারী প্রক্টর দীন ইসলাম ও তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করে ফেসবুকে এক পোস্ট লিখার কিছু সময় পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ এনে সহকারী প্রক্টর দীন ইসলাম ও তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর নাম উল্লেখ ও বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামিদের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছিল আদালত
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৯

অবন্তিকার আত্মহত্যা / রিমান্ড শেষে কারাগারে সহপাঠী আম্মান
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। দুই দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু বকর সিদ্দিক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে, এদিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি আম্মান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম হিরা।  পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে নেওয়া হয় জবি শিক্ষার্থী রায়হান সিদ্দিক আম্মানকে। পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।  এর আগে সোমবার একই আদালতের বিচারক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের এক দিনের ও আম্মানের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গতকাল মঙ্গলবার রিমান্ড শেষে কারাগারে যাওয়া সহকারী প্রক্টরও স্বীকরোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।  তবে, কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন জানিয়েছেন, আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি না হলেও রিমান্ডে দ্বীন ইসলাম ও আম্মানকে জিজ্ঞাসাবাদে অবন্তিকার বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। এ মামলার তদন্ত ও প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের স্বার্থে জবি প্রশাসনের সঙ্গেও কথা হবে।     প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে কুমিল্লা শহরের উত্তর বাগিচাগাঁও এলাকায় অবস্থিত নিজ বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা। আত্মহত্যার আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এই শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন এবং নিজের মৃত্যুর জন্য সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মানকে দায়ী করেন। ঘটনার পরদিন অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। ডিএমপি পুলিশ ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করে রোববার কুমিল্লা পুলিশে হস্তান্তর করে। রিমান্ড শেষে তারা বর্তমানে কুমিল্লা কারাগারে আছেন।  
২০ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৯

সহপাঠী ও প্রক্টরের বিরুদ্ধে লোমহর্ষক বর্ণনা অবন্তিকার মায়ের
সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানের যৌন হয়রানিমূলক নিপীড়ন এবং সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের গালিগালাজ থেকে রক্ষা পেতেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) হোস্টেল ছেড়ে মেসে ওঠেন অবন্তিকা। এরপর তার সঙ্গে আম্মান আরও বেশি কুরুচিমূলক আচরণ শুরু করলে গত ১৪ মার্চ অবন্তিকা কুমিল্লায় নিজ বাসায় ফেরত যান। তবুও আম্মান-দ্বীন ইসলামের অমানুষিকতায় শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নেন জবির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অবন্তিকা ফাইরুজ। শনিবার (১৬ মার্চ) কুমিল্লা কোতয়ালি থানায় করা মামলার এজাহারে এমনটিই দাবি করেছেন অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম। এতে জবির সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও অবন্তিকার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারে অবন্তিকার মা উল্লেখ করেছেন, ‘ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা (২৪) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ছিল। আমার মেয়ে মেধা তালিকা অনুসারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে সিট পায়। অবন্তিকা আমাকে জানায় যে, তাঁর ক্লাসমেট রায়হান সিদ্দিক আম্মান বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে যৌন হয়রানিমূলক নিপীড়ন দেয় ও বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে জানানোর পরও তিনি আম্মানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো আম্মানের পক্ষ নিয়ে আমার মেয়েকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। এজন্য আমার মেয়ে হোস্টেলে থাকাটা নিরাপদ মনে না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ছাত্রীদের মেসে থাকা শুরু করে।’ ‘কিন্তু তাতেও অভিযুক্ত দুজন ক্ষান্ত হননি। তারা অবন্তিকার কয়েকজন ক্লাসমেটের মাধ্যমে তাঁর চলা ফেরার প্রতি নজর রাখতে শুরু করে। তাদের মাধ্যমেও আমার মেয়েকে বিভিন্ন মাধ্যমে মানসিক নিপীড়ন দিতে থাকে। এরই মধ্যে গত ১৪ মার্চ অবন্তিকা কুমিল্লার বাসায় চলে আসে। অন্যমনস্ক অবন্তিকা আমাকে জানায়, যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ছেড়ে মেসে উঠেছিল সে সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। অর্থাৎ বিবাদী রায়হান সিদ্দিক আম্মান আগের চেয়ে আরও বেশি পরিমাণে আমার মেয়ের সঙ্গে যৌন হয়রানিমূলক কুরুচিপূর্ণ আচরণ করছে।’ তাহমিনা বেগম দাবি করেন, ‘সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম আম্মানের পক্ষ নিয়ে আমার মেয়েকে ৬ থেকে ৭ বার অফিসে ডেকে অপদস্থ করেন। মেয়ে কুমিল্লা চলে আসলেও তাকে খারাপ মেয়ে হিসেবে প্রচার করবে, যেন আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। এসব কারণে আমার মেয়ে কুমিল্লা নগরীর বাঁগিচাগাও বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।’ কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, নিহত অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম বাদী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানকে আসামি করে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা করেছেন।মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৪

অবন্তিকার আত্মহত্যা / জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী আটক 
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় তাদের আটক করা হয়েছে। আটকের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।  তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে এই দুইজনকে নজরদারিতে রাখা হয়ছিল। তারা পুলিশের হেফাজত রয়েছেন। কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি দল ঢাকায় আসছেন। আটক দুইজনকে তাদের হাতে তুলে দেয়া হবে।  এ ব্যাপারে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার ওসি জানান, এ ঘটনায় মামলা এখনো প্রক্রিয়াধীন। মামলা রেকর্ড হওয়ার পরে আসামিদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। এর আগে অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় নিজের কোনো দায় নেই বলে দাবি করেছেন দ্বীন ইসলাম। নিজ এলাকার মানুষ হওয়ায় অবন্তিকা ও তার পরিবারকে যথেষ্ট সহায়তা করেছেন জানিয়ে দ্বীন ইসলাম বলেন, অফিশিয়ালি যে দায়িত্ব পেয়েছিলেন, সে অনুযায়ী তা পালন করেছেন তিনি। ফেসবুক স্ট্যাটাসে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে অভিযুক্ত করে আত্মহত্যার ঘটনায় সঠিক তথ্য জেনে সিদ্ধান্ত এবং মন্তব্য করার অনুরোধ করে বিবৃতিও দেন সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। ওই বিবৃতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের এই সহকারী অধ্যাপক বলেন, ‘একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকা এবং তাদের জন্য কাজ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। শুধুমাত্র স্ট্যাটাসের ওপর ভিক্তি করে কাউকে ভুল না ভাবার অনুরোধ রইল। আমাদের স্নেহের শিক্ষার্থী অবন্তিকা হয়তো দীর্ঘদিন যাবৎ কোনো মানসিক চাপে ছিল। সেটা হয়তো তার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই। এই অপ্রত্যাশিত ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য আমি সবিনয়ে প্রস্তুত। সঠিক তথ্য জেনে সিদ্ধান্ত এবং মন্তব্য করার অনুরোধ রইল।’ এদিকে, অবন্তিকার মৃত্যুর জন্য দায়ীদের বিচারসহ ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি ঘোষণা করে। তারা বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি মানা না হলে, সোমবার (১৮ মার্চ) ভিসি কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।  প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত ১০ টায় কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে দায়ী করে যান অবন্তিকা।
১৬ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৬

স্কুলছাত্র মামুনুর রশীদ, সহপাঠী চঞ্চলপুত্র!
দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। অভিনয়ের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। ফেসবুকে ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের নতুন সব খবর দিয়ে থাকেন। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে ফেসবুকে দুটি ছবি শেয়ার করেন চঞ্চল। ছবি দুটিতে দেখা যায়, চঞ্চল চৌধুরীর ছেলে শৈশব রোদ্দুর শুদ্ধ ও বর্ষীয়ান নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদকে। আর তাদের দুজনের পরনে স্কুলের ইউনিফর্ম, কাঁধে ঝোলানো স্কুল ব্যাগ। ছবির ক্যাপশনেই আবার তা স্পষ্ট করেছেন চঞ্চল। জানিয়েছেন, এটি একটি সাত পর্বের ধারাবাহিক নাটকের দৃশ্য। বৃন্দাবন দাসের রচনা ও এজাজ মুন্নার পরিচালনায় ঈদের এই নাটকের নাম ‘ইতি তোমার আমি।’ ভেঁপু ক্রিয়েশনস লিমিটেড প্রযোজিত এই নাটক প্রচার হবে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে। চঞ্চল চৌধুরীর কথায়, দাদা-নাতি দুইজনই নাকি স্কুলে পড়ে! দাদা মামুনুর রশীদ, নাতি শৈশব রোদ্দুর শুদ্ধ। প্রবল বন্ধুত্ব দুজনের। শুদ্ধর টেলিভিশনে অভিনয় শুরু হলো বৃন্দাবনদার লেখা নাটক দিয়ে, মামুন ভাইয়ের সঙ্গে প্রথম অভিনয়, এর চেয়ে বড় সৌভাগ্য ওর কী হতে পারে! ‘মনপুরা’খ্যাত এই তারকা বলেন, এর আগে শুদ্ধ একটি নাটকে কাজ করেছিল, সেটা স্রেফ শুটিং সেটে বেড়াতে গিয়ে একটা বর্ধিত দৃশ্যে। এবার একেবারে প্রস্তুতি নিয়ে বড় চরিত্রে অভিষেক হচ্ছে। নির্মাতা তিন দিনের শিডিউল নিয়েছেন ওর। ফলে এটাই ওর প্রথম পূর্ণাঙ্গ কাজ।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩১

অবন্তিকাকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন তার সহপাঠী
ফেসবুকে পোস্ট করে আত্মহত্যা করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। পোস্ট করার কিছুক্ষণ পরই ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন।  অবন্তিকার মৃত্যুর পর তার এক সহপাঠী জানান, আমরা যতটুকু জানি- ওরা (অবন্তিকারা) মেসেঞ্জারে, হোয়াটসঅ্যাপে অশালীন ছবি, ভিডিও আদান প্রদান করতো। অবন্তিকার বাবা একজন প্রফেসর। উনি যখন এই ব্যাপারটা জানতে পেরেছে তখন সে বিষয়টা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারে নাই। তার মেয়ে এরকম একটা ঘটনায় জড়িয়ে পড়বে এটা সে মানতে পারেনি। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওর বাবা হার্টঅ্যাটাক করে মারা গেছে।  অবন্তিকা কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলো কিনা এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ক্যাম্পাস রাজনীতিতে সবাই কম বেশি জড়িত থাকে। কেউ অ্যাকটিভ থাকে, কেউ থাকে না। তবে অবন্তিকা ডিবেটিং সোসাইটির সঙ্গে জড়িত ছিল।  এদিকে ফাইরুজ অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনমের অভিযোগ, এক বছর আগে থেকে অবন্তিকার এক সহপাঠী নানাভাবে তাকে উৎপীড়ন করতেন। এ নিয়ে তার মেয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের কাছে নালিশ করেন। কিন্তু সহকারী প্রক্টর ঘটনার বিচার করেননি, উল্টো মেয়েকে ডেকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। ওই ছেলের পক্ষ নেন তিনি। তখন ওই ছেলে আরও বেপরোয়া হয়ে পড়েন। আপত্তিকর মন্তব্য করতেন, হুমকি দিতেন। এসব ঘটনার বিচার চেয়ে না পেয়ে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।  
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৭:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়