• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের আয়োজনে ইফতার মাহফিল
রাজশাহীস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের আয়োজনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) রাজশাহীস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের উদ্দ্যোগে নগরীর একটি স্বনামধন্য হোটেলে ইফতারের আয়োজন করা হয়।  ইফতার মাহফিলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার এমপি, রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম সাব্বির সাত্তারসহ রাজশাহীর বর্তমান এমপি ও সাবেক এমপি, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, খৃষ্টান ধর্মের ধর্মযাজক (বিশোপ), ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৩৬

গুনে গুনে ঘুষ নেওয়া ভূমি কার্যালয়ের সেই সহকারী বরখাস্ত
দপ্তরে সেবা নিতে আসা এক ব্যক্তির কাছ থেকে গুনে গুনে ঘুষের টাকা নেওয়া কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের সহকারী আবদুল কাদির মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) বিকেলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, আবদুল কাদির মিয়াকে প্রথমে শোকজ করা হয়েছিল। শোকজের জবাবে তিনি জমি খারিজ করে দেওয়ার পর এক ব্যক্তি তাকে টাকা দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। তবে কোনো সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে এভাবে টাকা নেওয়া যায় না। সম্প্রতি ভূমি অফিসে বসে সেবাগ্রহীতাদের থেকে আব্দুল কাদির মিয়ার ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, সেবাগ্রহীতা বলছেন, ‘সব খারিজ তো সমান না। গরিব মানুষ, কাজটা করে দিয়ে দেন।’ উত্তরে আবদুল কাদির বলেন, ‘কথা ছিল ৬ হাজার টাকা দেবেন। কম দিতে পারবেন না। প্রয়োজনে পরে হলেও দিতে হবে। একটা কাজ করে কিছু টাকা পাওয়া না গেলে চলে?’ এরপর টাকাগুলো গুনে পকেটে ভরেন আবদুল কাদির। সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ, ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ করেন না মাইজখাপন ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের সহকারী আবদুল কাদির মিয়া। ঘুষ না দিলে কাজ তো দূরের কথা সেবা নিতে আসা লোকজনের সঙ্গে কথাও বলতে চান না তিনি।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৩

ফের জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত।  বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় কুমিল্লার ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ নাছরিন জাহান তার জামিন না মঞ্জুর করেন। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ নুরুর রহমান জানান, গত ২০ মার্চ জামিন আবেদন করে দ্বীন ইসলামের আইনজীবী। তখনও তার আবেদন না মঞ্জুর করা হয়। আদালত ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত ১৫ মার্চ রাতে কুমিল্লা নগরের উত্তর বাগিচাগাঁও এলাকার অরণি নামের ভাড়া বাসায় সিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা। আত্মহত্যার আগে ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি মৃত্যুর জন্য জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করেন। ঘটনার পরদিন অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম বাদী হয়ে কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। ডিএমপি এ মামলায় ওই দুই জনকে গ্রেপ্তার করে ১৭ মার্চ কুমিল্লা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরদিন এ মামলায় সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের একদিন ও সহপাঠী আম্মানের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। বর্তমানে উভয় আসামি কুমিল্লা কারাগারে আছেন।  গত শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে দ্বীন ইসলাম ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকীকে আসামি করে মামলা করেন অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫১

অবন্তিকার আত্মহত্যা : জবির সাবেক সহকারী প্রক্টরের জামিন নামঞ্জুর
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলার আসামি বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় দু’পক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে শুনানি শেষে চিফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দিক জামিন আবেদন বাতিল করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অবন্তিকার আইনজীবী সৈয়দ নুরু উর রহমান। এ দিকে মঙ্গলবার একদিনের রিমান্ড শেষে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত।  উল্লেখ্য, গেল শুক্রবার রাত ১০টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা সহকারী প্রক্টর দীন ইসলাম ও তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট করে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ এনে সহকারী প্রক্টর দীন ইসলাম ও তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর নাম উল্লেখ ও বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।
২০ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪০

অবন্তিকার মৃত্যু : রিমান্ড শেষে জেলহাজতে জবির সহকারী প্রক্টর 
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তার মায়ের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে এক‌দি‌নের রিমান্ড শে‌ষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু বকর সিদ্দিক এ নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার কোতোয়ালী থানার ওসি মো. ফিরোজ হোসেন।  তিনি বলেন, একদিনের রিমান্ড শেষে আজ দুপুর ১টায় সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে হাজির করা হয় আদালতে। পরে বিচারক কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিক জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। দুপুর দেড়টায় প্রিজনভ্যানে করে দ্বীন ইসলামকে কুমিল্লা জেলহাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় দুই আসামি সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামের ১ দিন ও সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানের ২ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। উল্লেখ্য, শিক্ষক-সহপাঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা আত্মহত্যা করেন। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা সদরের বাগিচাগাও এলাকায় নিজ বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা। তাৎক্ষণিকভাবে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:০৮

অবন্তিকার আত্মহত্যায় সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠীর সংশ্লিষ্টতা আছে : ডিএমপি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনায় তার সহপাঠী ও সাবেক সহকারী প্রক্টরের প্রাথমিক সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে পুলিশ। রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা নজরদারিতে ছিলেন। কুমিল্লার কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা হওয়ার পর তাদের আটক করা হয়। তাদেরকে কুমিল্লা জেলা পুলিশের রোববার হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার তদন্তে এখন তারা বিশদভাবে খতিয়ে দেখবেন। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে তারা আমাদের ঘটনার খণ্ডিত অংশ জানিয়েছে। তদন্তের আগে পূর্ণাঙ্গ অংশ বলা সম্ভব না। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে এ ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে। তবে গভীরতা কতখানি বা তাদের কার দিকে কত দায় সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না।  
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:০০

অবন্তিকার মৃত্যু : কুমিল্লায় জবির সহকারী প্রক্টর এবং সহপাঠীর বিরুদ্ধে মামলা 
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকাকে আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে কুমিল্লায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।  শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এতে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামসহ বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম বলেন, পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। জানিনা মামলা করে কতটুকু বিচার পাব। তবে আমার প্রত্যাশা থাকবে দায়ীরা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়। কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, রাত ৯টার দিকে মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে। আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি যেহেতু চাঞ্চল্যকর এবং আলোচিত তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 
১৬ মার্চ ২০২৪, ২৩:২৪

অবন্তিকার আত্মহত্যা / জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী আটক 
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় তাদের আটক করা হয়েছে। আটকের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।  তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে এই দুইজনকে নজরদারিতে রাখা হয়ছিল। তারা পুলিশের হেফাজত রয়েছেন। কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি দল ঢাকায় আসছেন। আটক দুইজনকে তাদের হাতে তুলে দেয়া হবে।  এ ব্যাপারে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার ওসি জানান, এ ঘটনায় মামলা এখনো প্রক্রিয়াধীন। মামলা রেকর্ড হওয়ার পরে আসামিদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। এর আগে অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় নিজের কোনো দায় নেই বলে দাবি করেছেন দ্বীন ইসলাম। নিজ এলাকার মানুষ হওয়ায় অবন্তিকা ও তার পরিবারকে যথেষ্ট সহায়তা করেছেন জানিয়ে দ্বীন ইসলাম বলেন, অফিশিয়ালি যে দায়িত্ব পেয়েছিলেন, সে অনুযায়ী তা পালন করেছেন তিনি। ফেসবুক স্ট্যাটাসে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে অভিযুক্ত করে আত্মহত্যার ঘটনায় সঠিক তথ্য জেনে সিদ্ধান্ত এবং মন্তব্য করার অনুরোধ করে বিবৃতিও দেন সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। ওই বিবৃতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের এই সহকারী অধ্যাপক বলেন, ‘একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকা এবং তাদের জন্য কাজ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। শুধুমাত্র স্ট্যাটাসের ওপর ভিক্তি করে কাউকে ভুল না ভাবার অনুরোধ রইল। আমাদের স্নেহের শিক্ষার্থী অবন্তিকা হয়তো দীর্ঘদিন যাবৎ কোনো মানসিক চাপে ছিল। সেটা হয়তো তার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই। এই অপ্রত্যাশিত ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য আমি সবিনয়ে প্রস্তুত। সঠিক তথ্য জেনে সিদ্ধান্ত এবং মন্তব্য করার অনুরোধ রইল।’ এদিকে, অবন্তিকার মৃত্যুর জন্য দায়ীদের বিচারসহ ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি ঘোষণা করে। তারা বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি মানা না হলে, সোমবার (১৮ মার্চ) ভিসি কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।  প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত ১০ টায় কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে দায়ী করে যান অবন্তিকা।
১৬ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৬

অবন্তিকার আত্মহত্যা : যে ব্যাখ্যা দিলেন সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যা ঘিরে নিজের ব্যাখ্যা দিয়েছেন অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। শনিবার (১৬ মার্চ) একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি নিজের ব্যাখ্যা তুলে ধরেন।  দ্বীন ইসলাম বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে অবন্তিকার ব্যাচমেটরা কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে, সেখানে অবন্তিকাও উপস্থিত ছিল। জিডিতে উল্লেখ করা হয় যে, কেউ একজন ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে তাদের হয়রানি করে। পুলিশ তখন বলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আইডিটা কে চালায় সেটা বের করে দেব। এ কথা শুনে অবন্তিকা থানা থেকে বের হয়ে ক্যাম্পাসে আসার পথেই তার বন্ধুদের কাছে স্বীকার করে যে, ফেক আইডিগুলো সে নিজেই চালায়। তখন তার বন্ধুরা প্রক্টর অফিসে অবন্তিকার বিরুদ্ধে গত ৮ আগস্ট ২০২২ তারিখে একটা লিখিত অভিযোগ দেয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তৎকালীন প্রক্টর মোস্তফা কামাল স্যার আমাকে ও সহকারী প্রক্টর গৌতম কুমার সাহা (গণিত বিভাগ) স্যারকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেন। পরবর্তীতে গত ১৬ আগস্ট ২০২২ তারিখে প্রক্টর স্যারের উপস্থিতিতে আমি ও সহকারী প্রক্টর গৌতম কুমার সাহা অবন্তিকা ও তার অভিভাবকদের প্রক্টর অফিসে আসার জন্য আহ্বান করি। পরে অবন্তিকার মা মিটিংয়ে আসে এবং এখানে অবন্তিকার ক্লাসমেটসহ (অভিযোগকারীরা) সবাই উপস্থিত ছিল। তখন অবন্তিকার মা তার ব্যাচমেট (যারা অভিযোগ করেছে) তাদের কাছে ঘটনার সত্যতা শুনে বলে যে আমার মেয়ে যা করেছে ভুল করেছে। ঘটনার জন্য তিনি অভিযোগকারী সবার কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে তার মেয়ে আর এ ধরনের কাজ করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, আমার মেয়ে ভালো শিক্ষার্থী কিন্তু সে কয়েক দিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ও ওষুধ খাচ্ছে। ‘তখন তার ব্যাচমেটরা বিষয়টা মানবিক ও ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখেন। এভাবে বিষয়টা প্রাথমিকভাবে মীমাংসা করা হয়। মীমাংসার পর অবন্তিকার মা জিডিটা তুলে নেওয়ার জন্য অভিযোগকারীদের বারবার অনুরোধ করেন। কিন্তু অভিযোগকারীরা জিডি তুলে নিতে অসম্মতি জানায়, কারণ তাদের ধারণা অবন্তিকা ভবিষ্যতে এ ধরনের আচরণ আবারও করতে পারে। অভিযোগকারীরা বলেন, আমরা তাকে আগামী ৩ মাস পর্যবেক্ষণ করব এবং যদি অবন্তিকা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে তাহলে আমরা ৩ মাস পরে জিডিটা তুলে নেব। ঝামেলা এখানেই প্রাথমিকভাবে নিষ্পত্তি করা হয়। এর কিছুদিন পরে অবন্তিকা ও তার মা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন এবং আমাকে প্রক্টর অফিসে না পেয়ে আমার বিভাগে আসেন। ওইদিন অবন্তিকার মা আমাকে জানান, অবন্তিকার হলের বন্ধুরা ওর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে না। এতে অবন্তিকা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে। তখন আমি তাদের প্রক্টর অফিসে লিখিতভাবে অভিযোগ করার পরামর্শ দিই। তখন অবন্তিকার মা বলেন, যা হওয়ার হয়ে গেছে এখন আর এ বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে চাইছি না এবং বলেন, আমি আমার মেয়েকে হলে রাখব না। এতে করে তার পড়াশোনা খারাপ হয়ে যাবে এবং সে মানসিকভাবে আরও ভেঙে পড়বে। তখন আমি তাকে বলি, আপনি অভিভাবক যা ভালো মনে করেন সেটাই করেন। যেকোনো প্রয়োজনে আমার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে’ বলেন সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। তিনি বলেন, অভিযোগ নিষ্পত্তির ৩ মাসেরও কিছুদিন পরে অবন্তিকা এবং তার বাবা-মা প্রক্টর অফিসে জিডি তোলার জন্য আসেন। কিন্তু তার ব্যাচমেটরা জিডি তুলতে অসম্মতি জানান। তখন অবন্তিকার মা-বাবা এবং অবন্তিকা আবার আমার সঙ্গে দেখা করতে আসে। তারা জিডি তোলার বিষয়ে আমাকে অনুরোধ করেন। আমি তখন তাদের বিষয়টা বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করি যে বিষয়টা আমার হাতে নেই। আমাদের কাজ তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদান করা এবং আমরা তাই করি। জিডির বিষয়ে প্রক্টর স্যার ও অভিযোগকারীদের সাথে আলাপ করে নিষ্পত্তি করার পরামর্শ দিই। তৎক্ষণাৎ অবন্তিকার মা কিছুটা হতাশার ভাষায় বলেন, আমি দুজন (অবন্তিকা ও তার বাবা)  ডিপ্রেশনের রোগীকে নিয়ে এত বছর সংসার করে আসছি। আমি নিজেও অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ছি। আমার মেয়েটা মারাত্মক ডিপ্রেশনে পড়ে গেছে। এরপর অবন্তিকা ও তার পরিবারের কারো সঙ্গে এ বিষয়ে আজ পর্যন্ত আমার কোনো যোগাযোগ হয়নি। এর আগে, জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান সিদ্দিকী আম্মানকে (আম্মান সিদ্দিকী) দায়ী করে শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে ফেসবুকে পোস্ট দেন ফাইরুজ অবন্তিকা। এরপর ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের এই শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নির্দেশে অভিযুক্ত শিক্ষককে প্রক্টরিয়াল বডি থেকে অব্যাহতি এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৮

সুপ্রিম কোর্টে মারামারি / তিন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বরখাস্ত
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় তিনজন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার (১১ মার্চ) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বরখাস্ত হওয়া সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা হলেন, সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহমেদ ও অ্যাডভোকেট শ্যামা আক্তার। তাদের নিয়োগ আদেশ বাতিল করে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে এই আদেশ কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। বরখাস্ত হওয়া তিন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানার (যুথি) অনুসারী। তাদের মধ্যে কাজী বশির ও জাকির হোসেন মাসুদের বিরুদ্ধে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গত ৭ মার্চ বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোটগ্রহণ শেষে গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল ও মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ২০ জনকে আসামি করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ। এ ছাড়া মামলায় ৩০ থেকে ৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় আইনজীবী নাহিদ সুলতানাকে (যুথী)। দুই নম্বর আসামি ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। অন্য আসামিরা হলেন, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ, অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ, ব্যারিস্টার উসমান, অ্যাডভোকেট আরিফ, অ্যাডভোকেট সুমন, অ্যাডভোকেট তুষার, রবিউল, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল, অলিউর, যুবলীগ নেতা জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, অ্যাডভোকেট তরিকুল ও অ্যাডভোকেট সোহাগ।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়