• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অস্ত্র মামলায় এক ব্যক্তির ১৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড
সিরাজগঞ্জে অস্ত্র রাখার দায়ে জেলাল হোসেন শেখ (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে দুটি ধারায় ১৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।  বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের যুগ্ম জেলা জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক নাদিরা সুলতানা এই আদেশ দেন।  দণ্ডপ্রাপ্ত জেলাল হোসেন শেখ সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার বয়রা মাছুম গ্রামের আজিজল শেখের ছেলে।  সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার রাশেদুল ইসলাম ও এপিপি মো. চাঁদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  মামলার অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর রাতে র‍্যাব-১২ এর ডিএডি নেতৃত্বে র‍্যাবের একটি দল কামারখন্দ উপজেলা ও তার আশপাশের এলাকায় টহল ডিউটি করছিল। এ সময় র‍্যাবের কাছে খবর আসে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার কুখ্যাত সন্ত্রাসী জেলাল হোসেন শেখ কামারখন্দ উপজেলার আলোক দিয়ার মধ্যে পাড়া গ্রামে অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছে। এমন খবরের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় র‍্যাব-১২ সদস্যরা। এ সময় জেলাল হোসেন শেখকে আটক করে র‍্যাব সদস্যরা। পরে তার দেহ তল্লাশি চালিয়ে একটি লোহার তৈরি পিস্তল, একটি পিস্তলের ম্যাগাজিন ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।  এ ঘটনায় র‍্যাব-১২ এর ডিএডি ইউনুস আলী বাদী হয়ে কামারখন্দ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা চলাকালে ৭ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ১৮৭৮ সালের ১৯ (এ) ধারার অপরাধে ১০ বছর ও ১৯ (এফ) ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন বিচারক।   
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৪

ডাকঘরের কর্মচারীকে ৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় গাইবান্ধা ডাকঘরের কর্মচারী হাবিবুর রহমানকে ৯ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ২৮ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুরের দুর্নীতি দমন বিশেষ আদালতের বিচারক হায়দার আলী এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে আসামিকে পুলিশি পাহারায় আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামি হাবিবুর রহমান গাইবান্ধা ডাকঘরে চাকরি করার সময় ভুয়া সঞ্চয়পত্রের অ্যাকাউন্ট খুলে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়াও তিনি অবৈধভাবে তিন তলা বাড়ি, ৪৫ বিঘা জমি ও সন্তানদের নামে ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হন। এ ঘটনায় দুদক তার বিরুদ্ধে অবৈধ ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে মামলা করে। ২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক বীরকান্ত রায় বাদী হয়ে দুদক আইনে মামলা দায়ের করেন।  তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আসামি হাবিবুর রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করে ৯ বছরের কারাদণ্ড ও ২৮ লাখ ৯১ হাজার ৩শ ৯১ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। জরিমানার অর্থ ৬০ কার্যদিবসে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে। দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী দুদক আইনজীবী অ্যাডভোকেট হারুনুর রশীদ জানান, আসামি পোস্টাল অপারেটর হিসেবে চাকরি করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ায় সাক্ষ্য প্রমাণে তা প্রমাণিত হওয়ায়, আদালত এ রায় প্রদান করেন। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করছে বলে জানান তিনি।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৬

প্রেমিকাকে হত্যা, প্রেমিকের যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে প্রেমিকাকে হত্যার ঘটনায় ইউনুছ আলী (২৭) নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ইউনুছ আলী আড়াইহাজারের বিষনন্দী এলাকার আবদুল ওহাবের ছেলে। মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী প্রেমিকা হলেন ফাতেমা (২৩)। তিনি তার নানি বাড়ি আড়াইহাজারে মানিকপুর বসবার করতেন। তার নানি বাড়ি থাকা অবস্থায় দণ্ডপ্রাপ্ত ইউনুছ আলীর সঙ্গে পরিচয়। ইউনুছ সম্পর্কে তার আত্মীয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সঙ্গে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের মাঝে কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়। কিন্তু তাদের সম্পর্ক মেনে নিচ্ছিলো না ইউনুছের পরিবার। যার কারণে ইউনুছ আলী ফাতেমার সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেন। এদিকে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করায় ফাতেমা মামলা করার ভয় দেখিয়ে আসছিল। এমতাবস্থায় ২০২০ সালের ১০ আগস্ট বিকেলে ফাতেমাকে ফোন করে নিয়ে যায় ইউনুছ আলী। ইউনুছ ও ফাতেমা একসঙ্গে ঘুরাঘুরি করে রাত ১টায় মানিকপুর এলাকায় নিয়ে গলাটিপে হত্যা করেন। এরপর লাশটি গুম করার উদ্দেশ্য মাটি চাপা দিয়ে দেওয়া হয়। পরে চারদিন পর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আড়াইহাজার থানায় মামলা দায়ের করা হয়। আদালত ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিচার কার্যক্রম শেষে এ রায় ঘোষণা করেন। কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেছেন।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়