• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জোরেশোরে চলছে কারওয়ান বাজার সরিয়ে নেওয়ার কাজ (ভিডিও)
কারওয়ান বাজার সরিয়ে নিতে যাত্রাবাড়ী ও গাবতলিতে আড়তদারদের দোকান বরাদ্দ দেওয়ার কাজ হাতে নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে না গেলে নতুন জায়গার বরাদ্দ বাতিলের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন মেয়র। গাবতলিতে যেতে না চাইলেও যাত্রাবাড়ীতে আপত্তি নেই ব্যবসায়ীদের, সেক্ষেত্রে রয়েছে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব। সব ঠিক থাকলে চলতি মাসেই কাঁচাবাজার খালির কাজ শুরু হচ্ছে।  শত বছরের পুরোনো কারওয়ান বাজার সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা এবারই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার এমন ঘোষণা আসলেও শেষ মুহূর্তে আলোর মুখ দেখেনি। তবে এবার ২৮ মার্চ কারওয়ান বাজারে অবস্থিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয় সরানোর মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কারওয়ান বাজারের ১৭৬টি পাইকারি দোকান গাবতলিতে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেখানে মূলত উত্তরবঙ্গ থেকে আসা পণ্যের জন্য পাইকারি আড়তের কথা বলছে ডিএনসিসি। তবে ব্যবসায়ীরা যেতে চান যাত্রাবাড়ীতে। এ বিষয়ে কাওরান বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, দুই তিন প্রজন্ম ধরে তারা এখানে ব্যবসা করছেন। কৃষকদের টাকা দাদন দেওয়া আছে। বিভিন্ন জায়গাতে টাকা পড়ে আছে। এই মুহূর্তে বাজার সরালে তাদের টাকাগুলো উদ্ধার না-ও হতে পারে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, যাত্রাবাড়ীর মার্কেটটি দীর্ঘদিন পড়ে আছে অবহেলায়। সেখানে দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা পণ্যের জন্য আড়তের আন্ডারগ্রাউন্ডে যাদের বরাদ্দ মিলবে, তাদের জন্য ৯০ স্কয়ার ফিট বেশি থাকবে। কাঁচাবাজারের পর পর্যায়ক্রমে মার্কেটের অন্যান্য দোকানও সরিয়ে নেওয়া হবে। এর আগে কারওয়ান বাজার স্থানান্তর কমিটির সদস্য ও ডিএনসিসির ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেলের নির্বাহী প্রকৌশলী নাঈম রায়হান খান বলেছিলেন, কারওয়ান বাজার কাঁচামাল আড়ত ভবনে থাকা ১৭৬ জন ব্যবসায়ীই শুধু ভবনের ভেতর দোকান বরাদ্দ পাবেন। অস্থায়ী কাঁচাবাজারের ১৮০ জন ব্যবসায়ীকে বাজারের পূর্ব পাশে খালি জায়গায় দোকান দেওয়া হবে। বেশির ভাগ দোকান বরাদ্দ দেওয়া হবে দক্ষিণ পাশের ভবনে। ঢাকা উত্তর সিটির সূত্র অনুযায়ী, কারওয়ান বাজার আড়ত ভবনে নিচতলায় ৪০০ বর্গফুটের ৬২টি ও দোতলায় ১৭০ বর্গফুটের ১১৪টি দোকান রয়েছে। আর আড়ত ভবনের দুই পাশে টিনের ছাউনির নিচে অস্থায়ী কাঁচাবাজারে ১৮০টি দোকান রয়েছে। ২০০ বর্গফুট আয়তনের এসব দোকান সম্পত্তি বিভাগ থেকে বরাদ্দ দেওয়া।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৬

সমালোচনার ঝড়, ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো ‘রূপান্তর’
প্রতিবছরই ঈদের নাটকে নজর কাড়েন অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান। তবে এবার তার ভিন্নতা ঘটল। ঈদে তার অভিনীত নাটক ‘রূপান্তর’র কারণে নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়েছেন জোভান। নাটকটি নিয়ে রীতিমতো সমালোচনার ঝড় উঠেছে নেটদুনিয়ায়। ফলে বাধ্য হয়ে ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ‘রূপান্তর’ নাটকটি। নাটকটি নির্মাণ করেছেন রাফাত মজুমদার রিংকু। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন জোভান। মূলত ট্রান্সজেন্ডার বিষয়টিকে কেন্দ্র করি নির্মিত হয়েছে নাটকটি। শুধু জোভানই নন, বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনার মুখে পড়েছেন নাটকের নির্মাতাও। নাটকটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই নাটক নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। নেটদুনিয়ায় বলা হচ্ছে— ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু নিয়ে নাটকটি বানানো হয়েছে। আরেকটি পক্ষ বলছে ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভালোভাবে না জেনেই মনগড়া কথা বলছেন নির্মাতা। অন্য একটি পক্ষের দাবি, ট্রান্সজেন্ডার কনসেপ্টকে প্রচারণা করা হচ্ছে। তবে নাটকের বিষয়বস্তু নিয়ে অভিযোগ যাচাই করার আগেই ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো নাটকটি। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন জোভান ও নির্মাতা রিংকু। দেশের এক গণমাধ্যমে রিংকু বলেন, বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক কিছুই দেখছি, আসলে বিষয়টি নিয়ে আমি কিছু মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। ইউটিউব থেকে কেন নাটকটি সরিয়ে নেওয়া হলো সে বিষয়ে জানতে চাইলে নির্মাতা বলেন, এ বিষয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বলতে পারবে। তবে তার ধারণা, ইউটিউবে নেতিবাচক মন্তব্য থেকে হয়তো অনেকে চ্যানেলটিকে রিপোর্ট করছিলেন। মূলত এ কারণে নাটকটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ‘রূপান্তর’ নাটকটির গল্প এগিয়েছে জোভানকে নিয়ে। এই অভিনেতার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে নাটকটি নিয়ে সমালোচনা করতে গিয়ে অনেকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করায় অবাক হচ্ছেন বলে একটি গণমাধ্যমে জোভান বলেন, ‘বিষয়টি মোটেও কাম্য নয়। নাটকটি নিয়ে মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। আবার দর্শকেরাই বলেন, একই ধরনের চরিত্রে বারবার আমাদের দেখে নাকি তারা বিরক্ত!
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩২

দূষণ রোধে বিশ বছরের পুরোনো বাস-ট্রাক সরিয়ে ফেলা হবে : পরিবেশ মন্ত্রী
পরিবেশ দূষণ রোধে রাজধানী থেকে বিশ বছরের পুরোনো সকল ফিটনেসবিহীন বাস এবং ট্রাক সরিয়ে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর খিলগাঁওর ত্রিমোহনীতে হাজী নুর মোহাম্মদ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, পরিবেশ দূষণের  উৎসগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে সমস্যা সমাধানে কাজ করা হচ্ছে। সমাজসেবক ও আওয়ামী লীগ নেতা হাজী নুর মোহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সলর ওয়াহিদুল হাসান মিলটন, ২,৩,৪ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর বিপ্লবী আক্তার, ৭৩,৭৪ ও ৭৫ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর, নাসিরাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী মাস্টার, ৭৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, ৭৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মনির হোসেন মোল্লা, ৭৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা সাহাদত হোসেন সাদু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে পাঁচ শতাধিক পরিবারের মাঝে চাল, সেমাই চিনিসহ ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।  
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১৫

৯০ বছর ধরে সংরক্ষিত বইয়ের মানব চামড়ার মলাট সরিয়ে নিলো হার্ভার্ড
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত ছিল মানব চামড়ায় বাঁধানো একটি বই। ৯০ বছর ধরে বইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংরক্ষণে থাকলেও তার মলাট যে মানুষের চামড়ায় তৈরি, তা নিশ্চিত হওয়া যায় ২০১৪ সালে। তারপরও এক দশক এ অবস্থাতেই বইটি নিজেদের সংরক্ষণে রাখলেও এবার সেই মলাট সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ‘ডেস্টিনিজ অব দ্য সোল’ নামে বইটি থেকে মানব চামড়ায় তৈরি মলাটটি অপসারণ করা হয়েছে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।  হার্ভার্ড জানিয়েছে, চামড়াটি অপসারণ করা হয়েছে এবং ফ্রান্সের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তার শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করা হবে। জানা গেছে, ১৮৮০ সালে লেখা হয় এই বইটি। ‘দেস দেসতিনেস দে লামে’ শিরোনামে আত্মা ও মৃত্যুপরবর্তী জীবন নিয়ে লেখা এই  বইটির লেখক আর্সেন হোসায়ের। পরে বইটি নিজের চিকিৎসক বন্ধু ডা. লুডোভিচ বোল্যান্ডকে দেন লেখক। বইপ্রেমী ওই চিকিৎসক পরবর্তীতে এক অপরিচিত মানসিক বিকারগ্রস্ত নারীর চামড়া দিয়ে বাঁধাই করেন বইটি। মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছিল ওই নারীর। ১৯৩৪ সাল থেকে বইটি স্থান পায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হাফটন লাইব্রেরিতে। এরপর একটা পর্যায়ে বইটির মলাট নিয়ে সন্দেহ হওয়ার পর ব্যাপক অনুসন্ধান চালান বিজ্ঞানী ও পর্যবেক্ষকরা। অবশেষে ২০১৪ সালে এসে সিদ্ধান্তে উপনীত হতে সক্ষম হন গবেষকরা। বইটির মলাটে মানুষেরই চামড়া ব্যবহার করা হয়েছে বলে শতভাগ নিশ্চিত হন তারা। এরপর এক দশক ধরে বইটি মানব চামড়ার মলাটেই সংরক্ষিত থাকলেও দুদিন আগে সেই মলাট সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ। অনেক বিবেচনা ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। অজ্ঞাত ওই নারীর এই দেহাবশেষের সম্মানজনক সৎকারের পাশাপাশি এখন ওই নারীর জীবন নিয়েও গবেষণা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাফটন লাইব্রেরি। অবশ্য কেন মানুষের চামড়া দিয়ে বই বাঁধাইয়ের মতো ‘উদ্ভট’ কাজটি করেছিলেন ওই ব্যাখ্যাও বইয়ের ভেতর একটি চিরকুটে দিয়ে গিয়েছিলেন ডা. বোল্যান্ড। চিরকুটে ওই চিকিৎসক লিখেছিলেন, “মানব আত্মা নিয়ে লেখা একটি বই অবশ্যই মানুষের চামড়া দিয়ে বাঁধাই হওয়ার দাবি রাখে।”  আজকাল মানুষের চামড়া দিয়ে বই মলাট করাকে উদ্ভট বা ঘৃণ্য কাজ হিসেবে গণ্য করা হলেও এক সময় অবশ্য এর প্রচলন ছিল। বোল্যান্ড লিখেছিলেন, ষোড়শ শতাব্দি থেকে ‘এনথ্রোপোডার্মিক’ শব্দটি বেশ প্রচলিত, যার অর্থ হচ্ছে মানুষের চামড়া দিয়ে বইয়ের মলাট করা। ওই শতকে এর প্রচলন ছিল। তখন কেউ অপরাধ করলে তার চামড়ায় তা লিখে দেওয়া হতো। অনেক সময় কেউ কেউ মরে যাওয়ার পর তার চামড়া দিয়ে বইয়ের মলাট বানিয়ে তাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের অনুরোধও করে যেতেন। একই নোটে তার সংগ্রহে থাকা আরেকটি বই ‘সাভিয়েরিন পাইনাস’ও মানুষের চামড়ায় বাঁধাই করা বলে নিজের লেখা চিরকুটে উল্লেখ করে যান বোল্যান্ড। বইটি বর্তমানে লন্ডনের ‘ওয়েলকাম’ লাইব্রেরিতে আছে বলে জানা গেছে।
২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৭

জিম্মি জাহাজ উপকূল থেকে ফের সরিয়ে নিয়েছে দস্যুরা
সোমালিয়ার উপকূলে নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২৩ নাবিকসহ জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজটিকে কাছাকাছি আরেক এলাকায় জলদস্যুরা সরিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন জাহাজটির চিফ অফিসার ক্যাপ্টেন মো. আতিক উল্লাহ খান। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় জাহাজের মালিকপক্ষের কাছে এক ই-মেইল বার্তায় এ কথা জানান তিনি।  তথ্যসূত্র বলছে, গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দুপুরে প্রথমে সোমালিয়ার গ্যারাকাদ উপকূল থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে জিম্মি জাহাজটি নোঙর করেছিল দস্যুরা। এরপর সন্ধ্যার দিকে উপকূল থেকে ৭ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রাখে। শুক্রবার জাহাজটি আবারও নোঙর তুলে কাছাকাছি আরেক এলাকায় নিয়ে যায়।  ধারণা করা হচ্ছে, দস্যুরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে জাহাজের অবস্থান পরিবর্তন করছে।   বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এসআর শিপিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরেুল করিম। তিনি বলেন, চিফ অফিসারের মেইল পেয়েছি। জাহাজের সব নাবিক সুস্থ আছেন বলে চিফ অফিসার ক্যাপ্টেন মো. আতিক উল্লাহ খান জানিয়েছেন। দস্যুরা তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছে না এবং এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের আর্থিক দাবি-দাওয়া নিয়েও কথা বলেনি। জাহাজ নিয়ে তাদের পছন্দমতো কোনো নিরাপদ অবস্থানে পৌঁছানোর পরই হয়তো জলদস্যুরা মুক্তিপণ দাবি করতে পারে। এদিকে কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, দস্যুরা এখনও যোগাযোগ করেনি। তবে আমরা বসে নেই। আলোচনার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারী সংগঠনগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ চলছে। এর আগে মোজাম্বিক থেকে ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জিম্মি করার তৃতীয় দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলের দিকে নিয়ে আসে দস্যুরা।
১৫ মার্চ ২০২৪, ২১:৫৫

যে কারণে কপালের টিপ সরিয়ে পরছেন তারা
সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে নারীদের কপালের বাঁকা টিপের সেলফি। না, এটি কোনো ট্রেন্ড নয়। চলছে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ‘Odd Dot Selfie’। বাঙালি নারীর সাজসজ্জায় টিপের ব্যবহার কারও অজানা নয়। নারীর চিরাচরিত এই টিপই এবার হয়ে উঠেছে নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা। ‘আমার প্রতিবাদের ভাষা #OddDotSelfie’ স্লোগানে চলছে এই অভিনব প্রতিবাদ যাতে সাড়া দিয়েছেন দেশখ্যাত অভিনয় শিল্পী ও ইনফ্লুয়েন্সাররা।  সম্প্রতি ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে সেলফি পোস্ট করে এই প্রতিবাদ শুরু করেন তারা। কপালের মাঝখান থেকে টিপ একটু সরিয়ে সেলফি তুলে #OddDotSelfie লিখে পোস্ট করেন নিজ নিজ ওয়ালে। তারা নারীদের আহ্বান জানান সেলফি ও হ্যাশট্যাগসহ প্রতিবাদে যোগ দিতে। এরপর এটি ছড়িয়ে যেতে থাকে সাধারণ মানুষের মাঝেও। ইনফ্লুয়েন্সার নাজিবা নওশিন বলেন, আমরা নারীরা মন ভালো থাকলে টিপ পরি। এটি আমাদের কালচার। কপালের সেই টিপ সরিয়ে দিয়ে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা এবার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ বিষয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সমাজকর্মী সারা যাকের বলেন, আমাদের দেশের নারীরা প্রতিদিন ঘরে বাইরে নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কিন্তু সেই অনুপাতে এটা নিয়ে কোনো প্রতিবাদই হচ্ছে না। সবাই মিলে সোচ্চার হওয়ার এখনই সময়। শুধু নিজের জন্য নয়, আশেপাশে কোনো নারীকে নির্যাতিত হতে দেখামাত্র প্রতিবাদ করা উচিত। পরিবারে নারীর প্রতি সহিংসতা যেমন বাড়ছে তেমনি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনলাইনে এই হয়রানির মাত্রা বেড়েছে। কিন্তু কোনো প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে না। যেকোনো নির্যাতনের শিকার হলে নারীরা বেশির ভাগ সময় তা মুখ বুজে সহ্য করে নেন। কিন্তু নারীর প্রতি সহিংসতা নারীরা মুখ খুললেই বন্ধ হবে। তাই আমি এই প্রতিবাদে যোগ দিয়েছি, জানান প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারী নাট্যকর্মী ফৌজিয়া করিম অনু।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৯

এরশাদভক্তদের দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছিল, দাবি রওশনের
এরশাদভক্তদের জাতীয় পার্টি থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছিল দাবি করে জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বলেন, ‘যাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল কিংবা যাদের বহিষ্কার করা হয়েছিল; তাদের সবাইকে আমি পল্লিবন্ধুর রেখে যাওয়া পতাকা তলে আবার নিয়ে এসেছি।’  শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গুলশানে জাতীয় মহিলা পার্টির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের প্রতি অনুরক্ত নেতাকর্মীদের মধ্যে কোনো মতানৈক্য নেই। যারা পল্লিবন্ধুকে মুছে ফেলতে চায় তারা আলাদা থাকতে পারে। আমি কোনোভাবেই পার্টিকে ছোট করতে পারি না।  জিএম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নুকে পদ থেকে সরানো হয়েছে, তাদের বাদ দেওয়া হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ। জিএম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নুর দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘তাদের ব্যর্থতার জন্য পার্টিতে বিপর্যয় নেমে এসেছিল। ওই দুই জনকে শুধুমাত্র তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, দল থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। তারা সংসদে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিত্ব করবেন। আশা করি সেখানে তারা যোগ্যতার প্রমাণ দিতে পারবেন।’ রওশন বলেন, জাতীয় পার্টির নারী নেত্রীরা তাদের অনেক দুঃখ-বেদনা, ক্ষোভের কথা বলেছেন। আমার মনটাও অনেক ভারাক্রান্ত হয়ে গেছে। জাতীয় পার্টির এমন অগণিত নেতাকর্মীর মনের যন্ত্রণা ঘোচাতেই আজ আমাকে পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জাতীয় উন্নয়নে সমানভাবে নারীদের কাজে লাগতে হবে। এটা নারীর অধিকার। সেই অধিকার আদায় করে নিতে হবে। দলের মধ্যেও নারী নেতৃত্বকে এই অধিকার কেড়ে নিতে হবে। নারীদের উদ্দেশ্যে রওশন বলেন, শুধু দুঃখ-ক্ষোভের কথা মুখে বললেই চলবে না। প্রতিবাদ করে প্রতিকার আদায় করে নিতে হবে। এদেশের রাজনীতিতে নারী নেতৃত্ব তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। দেশের তিন প্রধান রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বে রয়েছেন তিন নারী। তারা কেউ ব্যর্থ নন। এটাই এদেশের নারী সম্মানের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। আগামী ৯ মার্চ পার্টির জাতীয় কাউন্সিলে যোগ্য নেতৃত্ব দায়িত্ব গ্রহণ করবে জানিয়ে রওশন বলেন, জাতীয় পার্টির মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। সর্বস্তরের নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ আছে এবং থাকবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মহিলা পার্টির যুগ্ম মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শাহনাজ পারভীন। আরও উপস্থিত ছিলেন- জাপার রওশনপন্থি মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক সফিকুল ইসলাম সেন্টু প্রমুখ।  
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৮

আ.লীগকে সরিয়ে আবারও নির্বাচনের আশা মঈন খানের
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেছেন, যেকোনো মূল্যে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আওয়ামী লীগকে সরিয়ে পুনরায় নির্বাচন করা হবে। ৭ জানুয়ারি শুধু বিএনপি ভোটাররা নয়, আওয়ামী লীগের ভোটাররাও ভোট দেননি। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে প্রহসন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে, ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) তাঁতী দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার অংশ হিসেবে সরকার বিএনপিকে নিষিদ্ধের অপচেষ্টা করছে দাবি করে বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার খেলায় মেতেছেন। এজন্য বিএনপিকে নিষিদ্ধ করার অপচেষ্টা করছেন তারা। ক্ষমতাসীনরা গণতন্ত্রকে হরণ করেছে অভিযোগ করে ড. মঈন খান আরও বলেন, রাজপথের আন্দোলন অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, যেকোনো মূল্যে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে; আওয়ামী লীগকে সরিয়ে পুনরায় নির্বাচন হবে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪১

বই বিক্রেতা টিপু সুলতানকে সরিয়ে দেওয়া হলো
আলোচিত বই বিক্রেতা মো. টিপু সুলতান ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালত এলাকায় বই বিক্রি করতে এলে সেখান থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে এলে তাকে চলে যেতে বলা হয়। ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির মো. খাদেমুল ইসলাম তাকে অনুরোধ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টিপু সুলতান সম্মানিত মানুষ। আদালত এলাকায় মাইকিং করে বই বিক্রি করলে লোকজন জড়ো হবে, এতে বিচারপ্রার্থীরা বিরক্ত হতে পারেন। এজন্য তাকে অনুরোধ করা হয়েছে। এ সময় মো. টিপু সুলতান বলেন, আদালত এলাকা থেকে তো বের করে দিলো। এখন আইনজীবী সমিতির ওদিকে সুযোগ পেলে ওখানে বই বিক্রি করব। প্রসঙ্গত, এবারের একুশে বইমেলাসহ অনেক জায়গায় মাইকিং করে ইংরেজি ভাষা শিক্ষার বই ‘বোনাস’ বিক্রি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হন টিপু সুলতান। বইমেলায় ঘুরতে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের ইংরেজি বানান এবং বাংলা অর্থ জিজ্ঞেস করে আলোচনায় আসেন তিনি।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:১১

সীমান্তের ২৪০ পরিবারকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ
বান্দরবান-মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান পরিস্থিতির কারণে জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ২৪০ পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহ মুজাহিদ উদ্দিন। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক (ডিসি) এ নির্দেশ দেন। জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহ মুজাহিদ উদ্দিন বলেন, বান্দরবান-মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান পরিস্থিতির কারণে ছাত্রছাত্রী ও সীমান্তে অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী ২৪০ পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সীমান্তবর্তী স্কুলগুলো বন্ধ ও সবাইকে আতঙ্কিত না হয়ে সজাগ থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বিকেল ৩টায় নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত পয়েন্ট পরির্দশন করে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদে যান তারা। পরে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে জলপাইতলী এলাকা যান তারা। সেখানে মিয়ানমারের ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে নিহত হোসনে আরার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন ডিসি। সেই সঙ্গে প্রশাসনে পক্ষ থেকে হোসনে আরার পরিবারকে ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেন। পরির্দশন শেষে সার্বিক অবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জেলা প্রশাসক। স্থানীয়রা জানায়, সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। এরইমধ্যে সীমান্ত লাগোয়া দেশটির সরকারি বাহিনীর তমব্রু রাইট ক্যাম্প দখলে নিয়েছেন বিদ্রোহীরা। বর্তমানে ঢেকুবনিয়ে বিজিপি ক্যাম্প দখলে নিতে উভয় পক্ষের লড়াই চলছে। তাদের এ সংঘাতে ব্যবহার করা গুলি ও মর্টার শেলের গোলা সীমান্ত অতিক্রম করে এসে পড়ছে বাংলাদেশের ঘুমধুম এলাকার বিভিন্ন লোকালয়ে। গত সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জলপাইতলি এলাকায় এক বাংলাদেশি নারীসহ দুজন নিহত ও আহত হয়েছে অন্তত তিনজন। বিদ্রোহীদের কাছে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) ১১৩ সদস্য। এ অবস্থায় সীমান্তে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের নিরাপদে আশ্রয় দিতে উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সোমবার রাত থেকে ঘুমধুমের কোনাকপাড়া, জলপাইতলি ও ভাজাবনিয়া এলাকার বাসিন্দাদের ওই আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এদিকে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গোলায় নাইক্ষ্যংছড়িতে সৈয়দ আলম (৩৮) নামের আরও এক বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের পশ্চিমকুল পাহাড়পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সৈয়দ আলম ওই এলাকার কাদের হোসেনের ছেলে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার আনোয়ার হোসেন বলেন, গত রাত থেকে উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানীয়দের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে।   
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়