• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহে ব্যস্ত হিলির মৌ চাষিরা
দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌ চাষিরা। সরিষা ক্ষেতে বক্স বসিয়ে মৌমাছি থেকে মধু সংগ্রহ করছেন তারা। প্রতিটি মৌ বক্স থেকে সপ্তাহে তিন থেকে চার কেজি করে মধু আহরণ হচ্ছে। এদিকে মৌ চাষিরা বলছেন, বৈরি আবহাওয়ার কারণে আশানুরুপ মধু আহরণ করতে পারছেন না। তবে আগামীতে আরও বড় পরিসরে কৃষকদের নিয়ে মধু চাষের আশা করছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।  দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত থেকে ৩ কিলোমিটার পূর্বে ছাতনি গ্রামে ১০৩টি বক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করেছেন সাকিল আহম্মেদ ও তার সহযোগিরা। সীমান্তবর্তী হাকিমপুর উপজেলার মাঠগুলো এখন যেন হলুদের গালিচা। সরকারি সহযোগিতায় এ উপজেলায় বেড়েছে সরিষার দ্বিগুণ চাষ। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সরিষা বেশি আবাদ হয়েছে। যতদূর চোখ যায়, শুধু হলুদ আর হলুদ। এ যেন প্রকৃতির এক অপরূপ নিদর্শন। মৌমাছিরা মৌ মৌ গন্ধে ছুটে বেড়াচ্ছে। হলুদ ফুলের ঘ্রাণে পাখিরা যেমন উড়ে, তেমনি মৌমাছিরাও ব্যস্ত ফুলের মধু আহরণে। মধু সংগ্রহ করা দেখতে এবং মধু কিনতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন স্থানীয়রা।  হিলির জালালপুর গ্রামের আতিয়ার রহমান, মানিক মিয়া ও আসমা বেগম বলেন, আমরা খাঁটি মধু নিতে এখানে এসেছি। এখানকার মধু অনেক ভালো মানের। প্রতি বছর সাকিল আহমেদ নামে এক যুবক সরিষা ফুল থেকে মৌমাছির দ্বারা মধু সংগ্রহ করে থাকেন। তার এই কার্যক্রম আমাদের অনেক ভালো লাগে। আমরা আগামীতে নিজেরাই এই রকম ভাবে মধু সংগ্রহ করতে চাইছি। হিলির মৌ-চাষী সাকিল আহমেদ বলেন, উপজেলার ছাতনী এলাকায় সরিষা ক্ষেতের পাশে ১৬ শতক জমির উপর মধু সংগ্রহের জন্য ১০৩টি বক্স বসানো হয়েছে। ১০৩টি বক্স থেকে ৪ থেকে সাড়ে ৫ মন মধু সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে আবহাওয়া কিছুটা খারাপ হওয়ার কারণে মধু কম সংগ্রহ হয়েছে।  হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম বলেন, হাকিমপুর উপজেলায় এবার সরিষার আবাদ দ্বিগুণ হয়েছে। সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৯ শত ৫৫ হেক্টর জমি। আর আবাদ হয়েছে ৩ হাজার ৩৫ হেক্টর জমি। যা ক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮০ হেক্টর জমিতে বেশি। এবার এলাকায় মৌ বক্সের মাধ্যমে মধু সংগ্রহের জন্য ১০৩টি মৌবাক্স স্থাপন করা হয়েছে। 
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়